https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

যজ্ঞপবীত কেন ধারন করা উচিৎ

Sunday, July 24, 2016
ও৩ম্ যজ্ঞোপবীতং পরমং পবিত্রং  প্রজাপতের্যৎ সহজং পুরস্তাত্।
আয়ুষ্যমগ্রয়ং প্রতিমুঞ্চ শুভ্রং যজ্ঞোপবীতং বলমস্ত তেজঃ।।১।।
ও৩ম্ যজ্ঞোপবীতমসি যজ্ঞস্য ত্বা যজ্ঞোপবীতেনোপনহ্যামি।।২।।
(পারস্কর কান্ড ২। কন্ডিকা ২।  সূত্র ১১)


যজ্ঞোপবীত বা পৈতার অপর নাম প্রতিজ্ঞাসূত্র বা ব্রতসূত্র।আটবছর থেকে বার বছর বয়সের ভেতর প্রতিটি বৈদিক ধর্মালম্বীর উপনয়ন আবশ্যক এবং উপনয়নের মাধ্যমে এই পবিত্র সুত্রটি সে গুরুকর্তৃক প্রাপ্ত হয়।যদিও বর্তমানে পুরুষশাসিত ঘূণে ধরা সমাজ নারীদের থেকে এই অধিকার কেড়ে নিয়ে বেদের বিরুদ্ধাচরন করছে। 

যজ্ঞোপবীত না ধারণ করলে ক্ষতি কি?
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য শুদ্রের উপনয়ন সংস্কার হওয়া অতি আবশ্যক,  কেননা উপনয়ন সংস্কার না হলে মানুষ বৈদিক কর্মকান্ডে্ অধিকারী হয় না।  উপবীতহীন ব্যক্তি মন্ত্রপাঠ এবং বৈদিক ক্রিয়া করবার যোগ্য নয়। এই অধিকার প্রাপ্ত হেতু যজ্ঞপবীত ধারণ করানো হয়।
যজুর্বেদে বলা হয়েছে - "তদেতৎ সর্বমাপ্নোতি যজ্ঞে শ্রোত্রামণি সুতে  (যজুর্বেদ ১৯।৩১)
অর্থাৎ গ্রন্থিযুক্ত যজ্ঞোপবীত সূত্র ধারণ করিয়া যজ্ঞ করলে যজ্ঞের সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায়। 

যজ্ঞোপবীত বা প্রতিটি পৈতা তিনটি আলাদা সূত্রকে গিট দিয়ে বেঁধে তৈরী।এই গিট বা বন্ধনকে ব্রহ্মগ্রন্থি বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত গ্রন্থি বলা হয়।এই তিনটি সূত্র ঈশ্বর কর্তৃক নির্দেশিত প্রতিটি মানুষের তিনটি ব্রত বা ঋন বা দায়িত্বের প্রতীক।কি সেই তিনটি ঋন যা প্রত্যেকটি মানুষকে শোধ করতে হয়?  সেগুলো হচ্ছে দেবঋণ ,পিতৃঋণ ও ঋষিঋণ।

১) দেবঋণ- ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত আমাদের বেঁচে থাকার অপরিহার্য এ পৃথিবী,পরিবেশ ও প্রানীকুলের প্রতি দায়িত্ব।পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলা,পরিবেশ শুদ্ধ করা ও জীবে সেবা করা দেবঋণের অন্তর্গত।

২) পিতৃঋণ-পিতামাতার প্রতি ঋন।নিঃস্বার্থভাবে এই দুই জীবন্ত দেবতা আমাদের মানুষ করেন,তাদের যথাসাধ্য সেবাযত্ন করা আমাদের কর্তব্য।

৩) ঋষিঋণ-প্রাচীন বৈদিক ঋষিগন থেকে শুরু করে নিজের গুরু-শিক্ষক,এরাই আমাদের প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তোলেন।এদের সেবা,অনুসরন করা ই ঋষিঋণ।
.
পঞ্চগিট-যজ্ঞোপবীত বা পৈতাতে মোট পাঁচটি গিট থাকে।এই পাঁচটি গিট উপরোক্ত ঋনসমূহ পরিশোধে পাঁচটি বাঁধার কথাকে স্মরন করিয়ে দেয়-কাম,ক্রোধ,
লোভ,হিংসা,মোহ।
অবস্থান-যজ্ঞোপবীত বাঁম কাধ থেকে ঝুলিয়ে ডান দিকের কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে কেননা এত সূত্রটি ঠিক হৃদপিন্ডের উপর দিয়ে যায় যার মাধ্যমে প্রতীকিভাবে বোঝানো হয় নিজের দায়িত্বগুলো হৃদয় থেকে পালন করতে।

  1. Replies
    1. "লগুন"-হল যজ্ঞপবীত-পৈতা এর আঞ্চলিক রূপ। সাধারণত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা পৈতাকে লগুন বলে থাকে।

      Delete
    2. মূলত এইটা লগূন না নগুন।
      নয় সুতোর উপবিতকে আঞ্চলিক ভাষায় নগুন বলে

      Delete
    3. মূলত এইটা লগূন না নগুন।
      নয় সুতোর উপবিতকে আঞ্চলিক ভাষায় নগুন বলে

      Delete
  2. দেবতাদের পৈতে ক্য়টি ভাগ

    ReplyDelete
  3. উপনয়ন শুধু ব্রাহ্মণদের জন্য নয়, সকল নারী ও পুরুষের জন্য এটার রেফারেন্স কি?

    ReplyDelete