বাবা লোকনাথ বলেছেন..."ওরে তোরা আমার চরণ ধরিস না,আচরণ ধর"- এটা তার একটা বিখ্যাত বাণীও বটে।
কিন্তু আজ সনাতন সমাজের এতো দুর্গতি যে, তারা ঈশ্বর কে বাদ দিয়ে বাবা লোকনাথের চরণ ধরে অর্থাৎ তার পূজা আরম্ভ করেছে।অথচ বাবা লোকনাথ কখনোই বলেন নি তার পূজা করতে।বরং বাবা লোকনাথ একজন সিদ্ধ যোগীপুরুষ যিনি বলেছেন যে,তার আচরণ ধরতে।অর্থাৎ তিনি যেরকম এক ঈশ্বর এর আরাধনা করেছেন,আমাদেরো ঠিক সেরূপইই করতে বলেছেন।
এখন কেউ আবার বলতে পারেন,বাবা লোকনাথ তো বলেছেন তাকে ডাকলে, স্মরণ করলে তিনি আমাদের রক্ষা করবেন।
আমি বলবো, এটা নিছকই একটা বোঝার ভুল।বাবা লোকনাথ একজন যোগীপুরুষ ছিলেন,তিনি বলেছেন,"রণে,বনে,জলে-জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে,আমাকে স্মরণ করিও,আমিই রক্ষা করিব।"
আর যোগীপুরুষ রা ধ্যানস্থ বা যোগে থাকার সময় "আমি"-সূচক কথা বলেন।এর মানে তাদের মধ্যে তখন ঈশ্বর প্রকটিত হয়ে কথা বলেন। অর্থাৎ উপরের কথাটি জীবাত্মা বাবা লোকনাথ বলেন নি,তিনি যোগযুক্ত হয়ে বলার কারণে কথাটি আসলে ঈশ্বর বলেছেন। কিন্তু আমরা বাবা লোকনাথ বলেছেন ভেবে ভুল করি।
গীতাতেও আমরা সেরকম দেখতে পাই যোগীশ্রেষ্ঠ মুক্ত আত্মা কৃষ্ণজী যোগযুক্ত ও যোগমুক্ত অবস্থায় জ্ঞান দান করেছিলেন অর্জুনকে। যখন যোগমুক্ত অবস্থায় কথা বলছিলেন তখন জীবাত্মা(মুক্ত আত্মা) কৃষ্ণ নিজে বলছিলেন আবার যখন যোগযুক্ত অবস্থায় বলছিলেন তখন কথাগুলো ঈশ্বর বলছিলেন তার মধ্যে প্রকটিত হয়ে।কিন্তু আমরা কৃষ্ণ জীকেও ঈশ্বর ভেবে ভুল করি :-(
প্রমাণ হিসেবে গীতার ১৮/৬১-৬৬ শ্লোক গুলো দেখাতে পারি। যোগমুক্ত অবস্থায় জীবাত্মা কৃষ্ণজী গীতার ১৮/৬২ তে স্পষ্ট বলেছেন যে "সর্বতোভাবে তাহার(ঈশ্বরের) শরণাগত হও"। কৃষ্ণ যদি ঈশ্বর হতো তাহলে কার স্মরণ নিতে বলেছেন!? আবার অনেক জায়গায় তিনি বলেছেন আমার শরণাগত হওও,আমি এ বিশ্বের নিয়ন্তা, আমাকে নমস্কার করো ইত্যাদি।তখন তিনি যোগযুক্ত অবস্থায় ছিলেন বলে আমি সূচক কথাগুলি আসলে ঈশ্বর বলেছিলেন কৃষ্ণজীর মধ্যে প্রকটিত হয়ে।
বৈদিক শাস্ত্র গুলো থেকে এরকম বহু উদাহরণ দেখানো যাবে যেখানে যোগীরা যোগযুক্ত হয়ে 'আমি' সূচক কথা বলছেন।
কিন্তু আজ সনাতন সমাজের এতো দুর্গতি যে, তারা ঈশ্বর কে বাদ দিয়ে বাবা লোকনাথের চরণ ধরে অর্থাৎ তার পূজা আরম্ভ করেছে।অথচ বাবা লোকনাথ কখনোই বলেন নি তার পূজা করতে।বরং বাবা লোকনাথ একজন সিদ্ধ যোগীপুরুষ যিনি বলেছেন যে,তার আচরণ ধরতে।অর্থাৎ তিনি যেরকম এক ঈশ্বর এর আরাধনা করেছেন,আমাদেরো ঠিক সেরূপইই করতে বলেছেন।
এখন কেউ আবার বলতে পারেন,বাবা লোকনাথ তো বলেছেন তাকে ডাকলে, স্মরণ করলে তিনি আমাদের রক্ষা করবেন।
আমি বলবো, এটা নিছকই একটা বোঝার ভুল।বাবা লোকনাথ একজন যোগীপুরুষ ছিলেন,তিনি বলেছেন,"রণে,বনে,জলে-জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে,আমাকে স্মরণ করিও,আমিই রক্ষা করিব।"
আর যোগীপুরুষ রা ধ্যানস্থ বা যোগে থাকার সময় "আমি"-সূচক কথা বলেন।এর মানে তাদের মধ্যে তখন ঈশ্বর প্রকটিত হয়ে কথা বলেন। অর্থাৎ উপরের কথাটি জীবাত্মা বাবা লোকনাথ বলেন নি,তিনি যোগযুক্ত হয়ে বলার কারণে কথাটি আসলে ঈশ্বর বলেছেন। কিন্তু আমরা বাবা লোকনাথ বলেছেন ভেবে ভুল করি।
গীতাতেও আমরা সেরকম দেখতে পাই যোগীশ্রেষ্ঠ মুক্ত আত্মা কৃষ্ণজী যোগযুক্ত ও যোগমুক্ত অবস্থায় জ্ঞান দান করেছিলেন অর্জুনকে। যখন যোগমুক্ত অবস্থায় কথা বলছিলেন তখন জীবাত্মা(মুক্ত আত্মা) কৃষ্ণ নিজে বলছিলেন আবার যখন যোগযুক্ত অবস্থায় বলছিলেন তখন কথাগুলো ঈশ্বর বলছিলেন তার মধ্যে প্রকটিত হয়ে।কিন্তু আমরা কৃষ্ণ জীকেও ঈশ্বর ভেবে ভুল করি :-(
প্রমাণ হিসেবে গীতার ১৮/৬১-৬৬ শ্লোক গুলো দেখাতে পারি। যোগমুক্ত অবস্থায় জীবাত্মা কৃষ্ণজী গীতার ১৮/৬২ তে স্পষ্ট বলেছেন যে "সর্বতোভাবে তাহার(ঈশ্বরের) শরণাগত হও"। কৃষ্ণ যদি ঈশ্বর হতো তাহলে কার স্মরণ নিতে বলেছেন!? আবার অনেক জায়গায় তিনি বলেছেন আমার শরণাগত হওও,আমি এ বিশ্বের নিয়ন্তা, আমাকে নমস্কার করো ইত্যাদি।তখন তিনি যোগযুক্ত অবস্থায় ছিলেন বলে আমি সূচক কথাগুলি আসলে ঈশ্বর বলেছিলেন কৃষ্ণজীর মধ্যে প্রকটিত হয়ে।
বৈদিক শাস্ত্র গুলো থেকে এরকম বহু উদাহরণ দেখানো যাবে যেখানে যোগীরা যোগযুক্ত হয়ে 'আমি' সূচক কথা বলছেন।
যাই হোক,বাবা লোকনাথও কিন্তু বেদানুসারে সেই এক ঈশ্বরেরই ধ্যান করেছিলেন।তিনি কলিযুগে জন্মগ্রহণ করেও কিন্তু "হরে কৃষ্ণ"- জপেন নি।
তিনি হিমালয়ে বসে,জঙ্গলে বসেও বেদানুসারে এক ঈশ্বরের ধ্যান করতেন।আর আমরা বাবা লোকনাথের মতো যোগীপুরুষ কে অবজ্ঞা করে তার কথার অমান্য করি এবং সেই এক ঈশ্বর এর আরাধনা না করে পড়ে আছি মহাপুরুষদের পূজা,নানান রকম দেব দেবীর পূজা নিয়ে।হায়রে সনাতন সমাজ কবে বোধদয় হবে তোমাদের? নিজ ধর্মগ্রন্থ টি একবার খুলিয়া দেখো প্লীজ!
তিনি হিমালয়ে বসে,জঙ্গলে বসেও বেদানুসারে এক ঈশ্বরের ধ্যান করতেন।আর আমরা বাবা লোকনাথের মতো যোগীপুরুষ কে অবজ্ঞা করে তার কথার অমান্য করি এবং সেই এক ঈশ্বর এর আরাধনা না করে পড়ে আছি মহাপুরুষদের পূজা,নানান রকম দেব দেবীর পূজা নিয়ে।হায়রে সনাতন সমাজ কবে বোধদয় হবে তোমাদের? নিজ ধর্মগ্রন্থ টি একবার খুলিয়া দেখো প্লীজ!
হাস্যকর পোস্ট।এই পোস্টের পাব্লিসিটি হবেই।
ReplyDelete