https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

বেদ এবং পুনর্জন্ম

Tuesday, December 6, 2016

কিছু পাশ্চাত্য বিদ্বানদের এই ধারণা যে, বেদের মধ্যে পুনর্জন্ম সিদ্ধান্তের সমর্থন নেই।  কিছু কিছু লেখকও পশ্চিমের  এসব বিদ্বানদের অন্ধ অনুসরণ করে।  ইহার এক কারণ বেদের অর্থ কে সূক্ষ্মভাবে না বোঝা।  এবং দ্বিতীয় কারণ মুখ্য রূপে পাশ্চাত্য বিদ্বানরা ঈসাই মতালম্বী ছিলো। ঈসাই মতবালম্বীরা কর্মফল ব্যবস্থা এবং পুনর্জন্ম সমর্থন করে না। এজন্য পশ্চিমাদের ধারণা যে বেদে পুনর্জন্মের কোন কথা নেই।
 কিন্তু সনাতন ধর্ম পুনর্জন্ম এবং কর্মফলের উপর সু প্রতিষ্ঠিত। উপনিষদ, গীতায় পুনর্জন্ম সমন্ধ্যে পরিষ্কারভাবে বর্ণিত হয়েছে। যা মূলত বৈদিক সিদ্ধান্ত থেকে ক্রমে ক্রমে চলে এসেছে। বেদে আমরা পুনর্জন্ম সমন্ধ্যে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাই -

প্রসদ্য ভস্মনা যোনিমপশ্চ পৃথিবীমগ্নে। 
সꣳসৃজ্য মাতৃভিষ্ট্বং জ্যোতিষ্মান্ পুনরাসদঃ॥
[যজুর্বেদ ১২.৩৮]
পদার্থ- হে (অগ্নে) প্রকাশমান পুরুষ ! সূর্যের ন্যায় (জ্যোতিষ্মান্) প্রশংসিত প্রকাশ যুক্ত জীব! (ত্বম্) তুমি (ভস্মনা) শরীর দাহের অনন্তর (পৃথিবীম্) পৃথিবী (চ) অগ্নি প্রভৃতি এবং (অপঃ) জলের মধ্যে (যোনিম্) দেহ ধারণের কারণকে (প্রসদ্য) প্রাপ্ত হও এবং (মাতৃভিঃ) মাতার গর্ভে বাস করে (পুনঃ) পুনরায় (আসদঃ) শরীরকে প্রাপ্ত হও।

পুনর্মনঃ পুনরায়ু॑র্মঽআগন্ পুনঃ প্রাণঃ পুনরাত্মা মঽআগন্ পুনশ্চক্ষুঃ॒ পুনঃ শ্রোত্রং মঽআগন্।
বৈশ্বানরোঽদব্ধস্তনূপাঽঅগ্নির্নঃ পাতু দুরিতাদবদ্যাৎ॥
[যজুর্বেদ ৪।১৫]
পদার্থ- যাঁর সম্বন্ধ বা কৃপা দ্বারা (মে) আমাকে যে (মনঃ) বিজ্ঞানসাধক মন, (আয়ুঃ) আয়ু (পুনঃ) পুনঃপুন (আগন্) প্রাপ্ত হয়, (মে) আমাকে (প্রাণঃ) শরীরের আধার প্রাণ (পুনঃ) পুনরায় (আগন্) প্রাপ্ত হয়, (আত্মা) সকলের মধ্যে ব্যাপক, সকলের অভ্যন্তরের সকল কথার জ্ঞাতা পরমাত্মার বিজ্ঞান (আগন্) প্রাপ্ত হয়, (মে) আমাকে (চক্ষুঃ) দর্শনের জন্য নেত্র (পুনঃ) পুনরায় (আগন্) প্রাপ্ত হয় এবং (শ্রোত্রম্) শব্দ গ্রহণকারী কর্ণ (আগন্) প্রাপ্ত হয়, সেই (অদব্ধঃ) হিংসার অয়োগ্য (তনূপাঃ) শরীর বা আত্মাকে রক্ষাকারী এবং (বৈশ্বানরঃ) শরীর [দ্বারা] প্রাপ্ত (অগ্নিঃ) অগ্নি বা বিশ্বকে প্রাপ্তকারী পরমেশ্বর (নঃ) আমাদেরকে (অবদ্যাৎ) নিন্দিত (দুরিতাৎ) পাপ দ্বারা উৎপন্ন দুঃখ বা দুষ্ট কর্মসমূহ থেকে [রক্ষা করে] (পাতু) পালন করেন।

দ্বে সৃতীঽঅশৃণবং পিতৄণামহং দেবানামুত মর্ত্যানাম্। 
তাভ্যামিদং বিশ্বমেজৎসমেতি যদন্তরা পিতরং মাতরং চ॥
[যজুর্বেদ ১৯.৪৭]
পদার্থ- হে মানবগণ ! (অহম্) আমি যে (পিতৄণাম্) পিতা প্রভৃতি (মর্ত্যানাম্) মানবদের (চ) এবং (দেবানাম্) বিদ্বানদের (দ্বে) দুই গতি [পিতৃযান ও দেবযান], (সৃতী) যাতে আগমন-প্রস্তান অর্থাৎ জন্ম-মরণ প্রাপ্ত হয়, তাকে (অশৃণবম্) শ্রবণ করি, (তাভ্যাম্) সেই দুই গতি দ্বারা (ইদম্) এই (বিশ্বম্) সমগ্র জগৎ (এজৎ) চলায়মান হয়ে (সমেতি) উত্তম ভাব প্রাপ্ত হয় (উত) এবং (যৎ) যে (পিতরম্) পিতা এবং (মাতরম্) মাতা থেকে (অন্তরা) পৃথক হয়ে অন্য শরীর দ্বারা অন্য মাতা-পিতাকে প্রাপ্ত হয়, সেটি তোমরা জানো।

অসুনীতে পুনরস্মাসু চক্ষুঃ পুনঃ প্রাণমিহ নো ধেহি ভোগম্। 
জ্যোক্পশ্যেম সূর্যমুচ্চরন্তমনুমতে মৃল়য়া নঃ স্বস্তি॥
[ঋগ্বেদ ১০.৫৯.৬]
পদার্থ- (অসুনীতে) হে প্রাণসমূহকে প্রাপ্তকারী পরমাত্মা ! (পুনঃ-ইহ অস্মাসু চক্ষুঃ-প্রাণং ভোগং নঃ-ধেহি) তুমি এই জীবনে, এই পুনর্জন্মে আমাদের নিমিত্তে পুনরায় নেত্র, পুনরায় প্রাণ এবং ভোগ্য পদার্থকে ধারণ করাও (সূর্যম্-উচ্চরন্তং জ্যোক্ পশ্যেম) উদিত সূর্যকে [আমরা] চিরকাল পর্যন্ত দেখব। (অনুমতে নঃ স্বস্তি মৃল়য়) হে আজ্ঞা প্রদানকারী পরমেশ্বর ! আমাদের কল্যাণ যেরূপে হবে, [আমাদের] সেরূপ সুখী করো৷ 

পুনর্নো অসুং পৃথিবী দদাতু॒ পুনর্দ্যৌর্দেবী পুনরন্তরিক্ষম্। 
পুনর্নঃ সোমস্তন্বং দদাতু পুনঃ পূষা পথ্যাং৩ যা স্বস্তিঃ ॥
[ঋগ্বেদ ১০.৫৯.৭]
পদার্থ-
(পুনঃ) পুনর্জন্মে (পৃথিবী-অসুং দদাতু) মাতৃভূত পৃথিবী প্রাণসমূহকে প্রদান করে, (পুনঃ দেবী দ্যৌঃ, পুনঃ-অন্তরিক্ষম্) দ্যুতিময় দ্যুলোক দীপ্তি অর্থাৎ পিতৃভূত দ্যুলোক এবং অন্তরিক্ষ প্রাণকে পুনরায় প্রদান করে, (সোমঃ-নঃ পুনঃ-তন্বং দদাতু) চন্দ্রমা অথবা ওষধি শরীরকে পুনরায় প্রদান করে, পুষ্ট করে, (পূষা পুনঃ পথ্যাম্) সর্বপোষক পরমাত্মা যথার্থ জীবনযাত্রাকে পুনরায় প্রদান করুন, (যা স্বস্তিঃ) যা [আমাদের জন্য] কল্যাণকরী অর্থাৎ মোক্ষসাধক হয়।

সূর্যং চক্ষুর্গচ্ছতু বাতমাত্মা দ্যাং চ গচ্ছ পৃথিবীং চ ধর্মণা। 
অপো বা গচ্ছ যদি তত্র তে হিতমোষধীষু প্রতি তিষ্ঠা শরীরৈঃ॥
[ঋগ্বেদ ১০.১৬.৩]
পদার্থ- (চক্ষুঃ সূর্যং গচ্ছতু-আত্মা বাতং দ্যাং চ পৃথিবীং চ ধর্মণা গচ্ছ) নেত্রপ্রকাশ সূর্যপ্রকাশকে প্রাপ্ত হোক, জীবাত্মা বায়ুময় অন্তরিক্ষকে এবং পুনরায় প্রকাশয়ুক্ত লোককে অথবা পৃথিবীলোককে নিজের কৃত কর্ম দ্বারা প্রাপ্ত হোক। (অপঃ-বা গচ্ছ যদি তত্র তে হিতম্) জলময় লোকে গমন করো, যদি তোমার সেখানে কর্মফল [বিদ্যমান] থাকে, (শরীরৈঃ-ওষধীষু প্রতিতিষ্ঠ) শরীর ধারণমাত্র গুণসমূহ দ্বারা ওষধিসমূহে গমনাভাবরূপ স্থাবরত্ব, জড়ত্বকে প্রাপ্ত হও, যদি সেখানে তোমার কর্মফল [বিদ্যমান] থাকে।

অগ্নের্বয়ং প্র॑থমস্যামৃতানাং মনামহে চারু দেবস্য নাম। 
স নো মহ্যা অদিতয়ে পুনর্দাৎপিতরং চ দৃশেয়ং মাতরং চ॥
[ঋগ্বেদ ১.২৪.২]
পদার্থ- আমরা যে (অগ্নে) জ্ঞানস্বরূপ (অমৃতানাম্) বিনাশ ধর্মরহিত পদার্থ বা মোক্ষ প্রাপ্ত জীবসমূহে (প্রথমস্য) অনাদি বিস্তৃত অদ্বিতীয় স্বরূপ (দেবস্য) সব জগতের প্রকাশকারী বা সংসারে সব পদার্থের দানকারী পরমেশ্বরের (চারু) পবিত্র (নাম) গুণসমূহের গান করতে (মনামহে) জানি, (সঃ) তিনি (নঃ) আমাদের (মহ্যৈ) মহৎ গুণবালী (অদিতয়ে) পৃথিবীর মধ্যে (পুনঃ) পুনরায় জন্ম (দাৎ) প্রদান করেন, যার ফলে আমরা (পুনঃ) পুনরায় (পিতরম্) পিতা (চ) এবং (মাতরম্) মাতা (চ) এবং স্ত্রী-সন্তান-বন্ধু প্রভৃতিকে (দৃশেয়ম্) দেখি।

সারভাব - 


--- আমরা জ্ঞানস্বরূপ বিনাশধর্ম রহিত পদার্থের মধ্যে অদ্বিতীয় স্বরূপ সব জগতের প্রকাশকারী পরমেশ্বরের  পবিত্রম নাম  স্মরন করি। তিনি আমাদের মহৎ গুনের ধারক পৃথিবীর মধ্যে পুনরায় জন্ম দান করেন ,  যাতে আমরা পিতা এব মাতাকে (চ) এবং অনান্য জনকে দর্শন করতে পারি।
(ঋগবেদ ১।২৪।২)

--- হে প্রাণবিদ্যাবিদ! আমাদের এই শরীরে পুনরায় [পুনর্জন্মে] নেত্র  পুনরায় প্রাণকে আমাদের  ভোগ্যবস্তু গ্রহনের শক্তি প্রদান করুন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত উপরে আকাশ মধ্যে  সূর্যকে দেখতে থাকি  হে অনুমতি প্রদানকারী! আমাদের  সুখ দ্বারা সুখী করুন।
(ঋগবেদ ১০।৫৯।৬)

--- সুখদাত্রী  ভূমি আমাদের পুনরায় [পুনর্জন্মে] প্রাণশক্তি  প্রদান করেন দ্যুলোক পুনরায় [প্রানশক্তি প্রদান করেন] অন্তঃরিক্ষ পুনরায় [প্রাণশক্তি প্রদান করেন ] পরমেশ্বর আমাদের পুনরায়  শরীর প্রদান করেন সবার পোষক প্রভূ পুনরায় আমাদের সৎপথ প্রদান করেন যা কল্যানদায়ক।
(ঋগবেদ ১০।৫৯।৭)

--- হে  প্রকাশমান জীব! শরীর দাহের পর পৃথিবী এবং জলের মধ্যে দেহ ধারনের কারন কে প্রাপ্ত হও এবং মাতার গর্ভে [পিতা দ্বারা ] সংযুক্ত হয়ে  তেজস্বী হয়ে পুনরায় এই লোকে ফিরে আসো।
(যজুর্বেদ ১২।৩৮)

--- পরম ঐশ্বর্য  আমার পুনরায় [পুনর্জন্মে] আত্মবল ধন এবং বেদ বিজ্ঞান পুনরায় [পুনর্জন্মে] প্রাপ্ত হোক বলার মধ্যে চতুর বিদ্বান লোক যথাস্থানে [কর্ম অনুসারে] এই লোকেই পুনরায় [প্রাপ্ত করার] সামর্থ করো।
(অথর্ববেদ ৬।৬৭।১)

--- হে মনুষ্য! মরনন্তর তোমার নেত্র সূর্যকে প্রাপ্ত হয় আত্মা প্রাণবায়ুকে প্রাপ্ত হয় কৃত কর্ম অনুসারে আত্মা দুল্যো এবং পৃথিবী লোকে  ও যায়।  যদি সেই লোক কে প্রাপ্তির মধ্যমে তোমার আত্মার কর্ম হিতকর হয় তখন শরীর ধারন করে অথবা জলে ও  যায় এবং ঔষধি বৃক্ষ আদির মধ্যে ও স্থিতি লাভ করে।
(ঋগবেদ ১০।১৬।৩)

--- আমি মানুষের জন্য দুই মার্গ শ্রবণ করেছে এক পিতৃযান এবং দ্বিতীয় দেবযান যা পিতা ও মাতার সংসর্গ দ্বারা উৎপন্ন  এই সমস্ত  চর, জীবিত সংসার এই দুই মার্গ দ্বারাই সুখপূর্বক প্রয়াণ করে।
(যজুর্বেদ ১৯।৪৭)

এরকম আরো শত উদাহরন দেখানো যাবে পবিত্র বেদ থেকে যেগুলো জন্মান্তরবাদ এর কথা ব্যখ্যা করেছে।
মূলত জন্মান্তরবাদ এমন একটি তত্ত্ব যা বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমানিত।এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর Head of the department,psychiatri Dr. Ian Stevenson এর কথা যিনি সারা পৃথিবী থেকে তিনহাজার এর ও অধিক কেস হিস্ট্রি এর প্রমান করেছিলেন যারা পূর্বজন্মের কথা সঠিকভাবে মনে করতে পারে এবং তাদের কথা বাস্তবের সাথে সম্পূর্ন মিলে যায়।

  1. tobe pithibite to borto mane pap bere jasse.r ai pap barle manush kome jabar kotha,r posu pakhi bere jabar kotha.kintu akhane manus bere jasse kon niyome

    ReplyDelete
    Replies
    1. //পৃথিবীতে পাপ বেড়ে যাচ্ছে-যার কারণে মানুষ কমে যাবার কথা। কিন্তু মানুষ বাড়ছে। তার মানে পুনর্জন্ম দর্শনটা সত্য নয়..//- এই যুক্তিটা ব্যবহার করে ভন্ড জাকির। অজ্ঞতার কারণে আমরা সত্যটা বুঝতে পারি না।
      দেখুন, পৃথিবীতে বর্তমানে প্রাণী হত্যাও বেড়ে গেছে, মুক্তি না পাওয়া আত্মা গুলো কিন্তু নানা রকম যোনী ভ্রমণ করেই চলেছে।মুক্তি পাবার জন্য সে সকল প্রাণীরাও মনুষ্য যোনী প্রাপ্ত হচ্ছে। আপনি এক দিক থেকে হিসেব করলে তো হবে না। আর পাপ বেড়েছে কি না সেই বিতর্কে না গিয়েও উত্তর দেয়া যায়।
      পাপ বেড়েছে বলে মানুষ বাড়ছে এই বাচ্চা ভোলানো জাকিরের লজিক্টা হাস্যকর, কেননা শুরু থেকেই পৃথিবীতে মানুষ বাড়ছে বংশ বৃদ্ধির কারণে। সৃষ্টির শুরুতে তো আর এতো মানুষ ছিলো না। তাহলে ঐ সময়ও কি পাপ বেড়েছে বলে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে? আসলে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বংশ বিস্তারের কারণে।
      আর যদি পাপ বাড়েও তবে মানুষ কমবে কেন? আত্মার সংখ্যা কি নির্দিষ্ট!??? কোন সনাতন ধর্মগ্রন্থ তে কি আছে যে মানুষের সংখ্যা বা আত্মার সংখ্যা নির্দিষ্ট? পাপের সাথে এর সম্পর্ক নেই। এটা জাস্ট একটা চক্র। বিজ্ঞানের বইতে পানি চক্রের মতো... কর্মফল ভোগের জন্যে আমরা ঘুরছি...
      আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না ক্লীয়ার হলে আবার প্রশ্ন করবেন।
      নমস্তে।

      Delete
  2. tobe pithibite to borto mane pap bere jasse.r ai pap barle manush kome jabar kotha,r posu pakhi bere jabar kotha.kintu akhane manus bere jasse kon niyome

    ReplyDelete
    Replies
    1. //পৃথিবীতে পাপ বেড়ে যাচ্ছে-যার কারণে মানুষ কমে যাবার কথা। কিন্তু মানুষ বাড়ছে। তার মানে পুনর্জন্ম দর্শনটা সত্য নয়..//- এই যুক্তিটা ব্যবহার করে ভন্ড জাকির। অজ্ঞতার কারণে আমরা সত্যটা বুঝতে পারি না।
      দেখুন, পৃথিবীতে বর্তমানে প্রাণী হত্যাও বেড়ে গেছে, মুক্তি না পাওয়া আত্মা গুলো কিন্তু নানা রকম যোনী ভ্রমণ করেই চলেছে।মুক্তি পাবার জন্য সে সকল প্রাণীরাও মনুষ্য যোনী প্রাপ্ত হচ্ছে। আপনি এক দিক থেকে হিসেব করলে তো হবে না। আর পাপ বেড়েছে কি না সেই বিতর্কে না গিয়েও উত্তর দেয়া যায়।
      পাপ বেড়েছে বলে মানুষ বাড়ছে এই বাচ্চা ভোলানো জাকিরের লজিক্টা হাস্যকর, কেননা শুরু থেকেই পৃথিবীতে মানুষ বাড়ছে বংশ বৃদ্ধির কারণে। সৃষ্টির শুরুতে তো আর এতো মানুষ ছিলো না। তাহলে ঐ সময়ও কি পাপ বেড়েছে বলে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে? আসলে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বংশ বিস্তারের কারণে।
      আর যদি পাপ বাড়েও তবে মানুষ কমবে কেন? আত্মার সংখ্যা কি নির্দিষ্ট!??? কোন সনাতন ধর্মগ্রন্থ তে কি আছে যে মানুষের সংখ্যা বা আত্মার সংখ্যা নির্দিষ্ট? পাপের সাথে এর সম্পর্ক নেই। এটা জাস্ট একটা চক্র। বিজ্ঞানের বইতে পানি চক্রের মতো... কর্মফল ভোগের জন্যে আমরা ঘুরছি...
      আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না ক্লীয়ার হলে আবার প্রশ্ন করবেন।
      নমস্তে।

      Delete
    2. যদি আত্তার সংখ্যা নিদিষ্ট না হয়ে থাকে, তাহলে পুনর্জীবন একটা চক্র হবে কেন?

      Delete
  3. খুবই উপকৃত হলাম। ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  4. আমি জানার জন্য জিজ্ঞেস করছি।

    একজন মানুষ তার অপরাধের জন্য পরের জন্মে পশু হল। পরের জন্মে কেউ তাকে হত্যা করল। এবার কিন্তু পশুটি নির্দোষ ছিল। তবে কি সে পরেরবার মানুষ হবে?

    যদি সবাই পাপ-পূণ্যের ফলভোগে এই চক্রে ঘুরতেই থাকে তবে স্বর্গ ও নরক কার জন্য?

    এই জন্মে যে আপনার মা। পরের জন্মে সে আপনার স্ত্রী হতে পারে। তবে কি বিষয়টি অদ্ভুত হয়ে যাচ্ছে না৷ আপনি আপনার মা কে বিয়ে করলেন! আবার যদি পরের জন্মে ফেরত আসবেই তবে এই জন্মে শ্রাদ্ধের কি প্রয়োজন?
    আজ রেস্টুরেন্টে যে চিকেন খাচ্ছেন তা আপনার দাদাও হতে পারে। এভাবে কি পূণর্জন্ম অদ্ভুত হয়ে যাচ্ছে না?

    ReplyDelete
    Replies
    1. Apnar atma bisoyok clarity dorkar. Asole aminba amar ma ba amar wife eke. Abar ami and amar plate a thaka murgir mangso ta o kintu ek e. Ei dharona apnar aste onek somoy lege jete pare. But ekbar upolobdhi asle e apni r kono question korben na. You can also study quantam physics. Apnake juktibadi mone hoice tai bollam. Asole jukti dia sob hoina. Kano hoina ta ekhane bakkha kora somvob na. Apni sudhu apnar jukti die amake bujhan to je Mohabisso three dimensionally kivabe ses holo???

      America o australiar scientist ra jonmantorbad ke prove korce. Apnar juktibadi mon asa kori believe korbe. Apni online a search kore dekhte paren. Youtube a dekhte paren documentaries gulo.

      Delete