উত্তর- জীবদেহে বিদ্যমান জীবাত্মা বা পুরুষই কর্মফল ভোগ করে, দেহ করে না। গীতা থেকেই প্রমাণ দেখুন-
"দেহ ও ইন্দ্রিয়াদির কর্তৃত্বে প্রকৃতিকে কারণ বলা হয় ,সুখ ও দুঃখের ভোগ বিষয়ে পুরুষকে কারণ বলা হয়।"
(গীতা ১৩।২০)
"পুরুষ বা জীবাত্মা প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত বলিয়াই প্রকৃতিজাত গুণসমূহ ভোগ করে। প্রকৃতজাত গুণসমূহের প্রতি আসক্তিই ইহার সদসৎ যোনিতে জম্মসমূহের কারণ।"
(গীতা ১৩।২০)
"দেহাদির অধীশ্বর জীবাত্মা যখন শরীর গ্রহণ করে এবং যখন উৎক্রমণ করে অর্থাৎ মৃত্যুকালে দেহ ত্যাগ করে, তখন বায়ু যেমন পুষ্পাদি আধার হতে গন্ধ গ্রহণ করে ,সেইরূপ সেই জীবাত্মাও তখন এই ইন্দ্রিয়গুলি গ্রহণ করিয়া দেহ অন্তরে গমন করে।"
(গীতা ১৫।৮)
"এই দেহী অর্থাৎ জীবাত্মা কর্ণ ,চক্ষু ,ত্বক ,জিহ্বা ,নাসিকা ও মন আশ্রয় করিয়া বিষয়সমূহ উপভোগ করে।"
(গীতা ১৫।৯)
"দেহ ও ইন্দ্রিয়াদির কর্তৃত্বে প্রকৃতিকে কারণ বলা হয় ,সুখ ও দুঃখের ভোগ বিষয়ে পুরুষকে কারণ বলা হয়।"
(গীতা ১৩।২০)
"পুরুষ বা জীবাত্মা প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত বলিয়াই প্রকৃতিজাত গুণসমূহ ভোগ করে। প্রকৃতজাত গুণসমূহের প্রতি আসক্তিই ইহার সদসৎ যোনিতে জম্মসমূহের কারণ।"
(গীতা ১৩।২০)
"দেহাদির অধীশ্বর জীবাত্মা যখন শরীর গ্রহণ করে এবং যখন উৎক্রমণ করে অর্থাৎ মৃত্যুকালে দেহ ত্যাগ করে, তখন বায়ু যেমন পুষ্পাদি আধার হতে গন্ধ গ্রহণ করে ,সেইরূপ সেই জীবাত্মাও তখন এই ইন্দ্রিয়গুলি গ্রহণ করিয়া দেহ অন্তরে গমন করে।"
(গীতা ১৫।৮)
"এই দেহী অর্থাৎ জীবাত্মা কর্ণ ,চক্ষু ,ত্বক ,জিহ্বা ,নাসিকা ও মন আশ্রয় করিয়া বিষয়সমূহ উপভোগ করে।"
(গীতা ১৫।৯)
আশা করি আপনার এরপর আর কোন সংশ্চয় থাকার কথা নয়। প্রকৃত পক্ষে জীবাত্মাই কর্মফল ভোগ করে ,দেহ ভোগ করে না। এমন কি মুক্তিতেও জীবাত্মা পরমেশ্বরে থেকে আনন্দ ভোগ করে। এর প্রমাণের জন্য বেদান্ত সূত্রের একটি সূত্রই যথেষ্ট, দেখুন-
"ভোগমাত্রসাম্যলিঙ্গাচ্চ।"
(বেদান্ত সূত্র ৪।৪।২১)
অর্থাৎ শুধু মাত্র ভোগব্যাপারে পরমেশ্বর এবং মুক্ত পুরুষ বা জীবাত্মার মধ্যে সাম্যভাব আছে, সর্ব শক্তিমত্তা বিষয়ে নহে।
"ভোগমাত্রসাম্যলিঙ্গাচ্চ।"
(বেদান্ত সূত্র ৪।৪।২১)
অর্থাৎ শুধু মাত্র ভোগব্যাপারে পরমেশ্বর এবং মুক্ত পুরুষ বা জীবাত্মার মধ্যে সাম্যভাব আছে, সর্ব শক্তিমত্তা বিষয়ে নহে।
0 মন্তব্য(গুলি)