https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

গীতা_বিশ্লেষণঃ৩১- ইসকনের গীতা জ্ঞানের পরম্পরার লিস্ট কতটুকু যথাযথ?

Tuesday, July 18, 2017


প্রশ্ন- ইসকন সব সময়ই বলে তাদের গীতা
ভাষ্যই সঠিক অর্থাৎ যথাযথ, কারণ তারা
গুরু পরাম্পরার মাধ্যমে গীতা জ্ঞান
প্রাপ্ত হয়েছে। আপনার মতামত কি?

উত্তর - ইসকনের গুরু পরাম্পরা কতটুকু ঠিক
তা আপনারাই বিচার করে দেখুন। তাদের
গুরু পরাম্পরার লিস্টের শুরতেই তারা

গীতা ৪।২নং শ্লোকের ১ম লাইনের
উর্দ্বিতি দিয়েছেন এবং ক্রমান্বয়ে
পরাম্পরার লিষ্টটা দিয়েছেন। তাদের গুরু
পরাম্পরায় যে সকল নাম দেখা যায় তাহল-

১. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ২.ব্রহ্মা ৩.নারদ
৪.ব্যাসদেব ৫.মধ্বাচার্য ৬.পদ্মানাভ
৭.নৃহরি ৮.মাধব ৯.অক্ষোভ্য ১০.জয়তীর্থ
১১.জ্ঞানসিন্ধু ১২.দয়ানিধি
১৩.বিদ্যানিধি ১৪.রাজেন্দ্র ১৫.জয়ধর্ম
১৬.পুরুষোত্তম ১৭.ব্রহ্মণ্যতীর্থ
১৮.ব্যাসতীর্থ ১৯.লক্ষ্মীপতি
২০.মাধবেন্দ্রপুরী ২১.ঈশ্বরপুরী,
(নিত্যানন্দ ,অদ্বৈত আচার্য প্রভু)
২২.শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ২৩.শ্রীরূপ
গোস্বামী, (শ্রীস্বরূপ দামোদর, শ্রীসনাতন
গোস্বামী) ২৪.শ্রীরঘুনাথ দাস গোস্বামী,
শ্রীজীব গোস্বামী ২৫.শ্রীকৃষ্ণদাস
কবিরাজ গোস্বামী ২৬.শ্রীনরোত্তম দাস
ঠাকুর ২৭.শ্রীবিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর ২৮.
(শ্রীশ্রীবলদেব বিদ্যাভূষণ), শ্রীজগন্নাথ
দাস বাবাজী মহারাজ ২৯.শ্রীভক্তিবিন
োদ ঠাকুর ৩০.শ্রীগৌরকিশোর দাস
বাবাজী মহারাজ ৩১.শ্রীল
ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর ৩২.শ্রীল
অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী
প্রভুপাদ।

অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যে যে, তারা
গীতার যে শ্লোকের রেফারেন্স ব্যবহার
করেছে তার পূর্বের শ্লোকটাই (গীতা ৪।
১) ভালো করে বুঝেছে কিনা সন্দেহ।
কারণ এই শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ জী নিজেই
বলেছেন-
"ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবান্ অহম্
অব্যয়ম্।
বিবস্বান্ মনবে প্রাহ মনুঃ ইক্ষ্বাকবে
অব্রবীৎ।।"
গীতা. ৪।১.
ভাবার্থ- আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বানকে
এই অব্যয় কর্মসম্পর্কীত জ্ঞান
বলেছিলাম। সূর্য তা মনুকে বলেছিলেন,
মনু ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন।
"এইভাবে পরাম্পরার মাধ্যমে প্রাপ্ত এই
পরম বিজ্ঞান রাজর্ষিরা লাভ
করেছিলেন। কিন্তু কালের প্রভাবে
পরম্পরা ছিন্ন হয়েছিল এবং তাই সেই
যোগ নষ্ট হয়েছে।" গীতা ৪।২.
"সেই সনাতন যোগ আজ আমি তোমাকে
বললাম,...।" গীতা ৪।৩.

উপরের এই তিনটা গীতা শ্লোক থেকে
দেখা যাচ্ছে যে কর্মযোগ সম্পর্কীত সেই
জ্ঞান কৃষ্ণ জী প্রথমে সূর্যকে বলেছিল,
ইসকনের লিস্ট আনুসারে ব্রহ্মাকে বলে
নাই। আর গীতা অনুসারে পূর্বে
শ্রীকৃষ্ণজী যে জ্ঞান বলেছেন তা
পরাম্পরার মাধ্যমে অনেকগুলো পরাম্পরা
চলার পর নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই তিনি
সেই জ্ঞান অর্জুনকে আবার বলেছেন। অথচ
অবাক করা ব্যাপার হল তাদের লিস্টে
সূর্য্যদেব ও অজুর্নেরই নাম নেই! তাছাড়া
পূর্বের সেই পরাম্পরা যা শ্রীকৃষ্ণজী
সূর্যকে বলেছেন তা যেহেতু নষ্টই হয়ে
গিয়েছিল সেহেতু এই পরাম্পরার লিস্ট
আবার অর্জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা। তার
মানে গীতা অনুসারে ইসকনের পরাম্পরা
শুরুতেও ভুল ,আবার অর্জুনের নাম না
থাকার কারণে মাঝেও ভুল। তার মানে
তাদের গুরু পরাম্পরা অন্তর্সার শূণ্য একটা
পরাম্পরা। এটা অজ্ঞানী জনসাধারণকে
বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়ে ধর্মব্যবসা
করার জন্যই তৈরি।

  1. চৈতন্য মহাপ্রভুর পরম্পরা কিভাবে ভুল হবে.... ব্যাসদেবের পরম্পরা কিভাবে ভুল হবে৷ ইসকনের প্রচারে মানুষ সঠিক দিশা খুঁজে পাচ্ছে আর আপনারা সেখানে মানুষের কানে বিষ ঢালছেন৷
    মাহাপ্রভুর হরেকৃষ্ণ আন্দোলন কিভাবে রোধ হবে....

    ReplyDelete
  2. বৈদিক ধর্মকে একীভূত করার চেষ্টা করুন । তা না হলে ভিন্ন মতবাদ সৃষ্টি করবেন না। কারন হিন্দুরা পূর্বেই অনেক ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
    ইসকনের জন্যই আজ পৃথিবীতে হিন্দু নামের ধর্মটি টিকে আছে। পারলে মানুষের মঙ্গলের চিন্তা করুন।

    ReplyDelete
  3. তাহলে ইসকন এর এতো বিশ্ব জুরে, পাশ্চাত্য দেশগুলোর গুনি মানুষদের কাছ থেকে কিভাবে সন্মান পেলো??? কিভাবে সারা বিশ্বে জাইগা করে নিলো ইসকনের গীতা????

    ReplyDelete