
প্রশ্ন- গীতা ১০।২৩ বলা আছে "রুদ্রাণাং
শঙ্করশ্চাস্মি" অর্থাৎ রূদ্রদের মধ্যে আমি
শঙ্কর। এখানে ইসকনের . প্রতিষ্ঠাতা
প্রভুপাদ বলেছেন শিব হচ্ছেন তমোগুনের
নিয়ন্তা ও ভগবানের গুণ অবতার। আপনি কি
মনে করেন?
উত্তর-আমার মনে করা বা না করার মধ্যে
নিশ্চয়ই আপনার কিছু আসে যায় না। সত্য কি
সেটাই মূখ্য বিষয়। আমি কিছু তথ্য তুলে ধরছি,
আপনারাই যাচাই করে দেখুন যে গীতার অথবা প্রভুপাদের ঐ কথাটা কতটুকু ঠিক!
নিশ্চয়ই আপনার কিছু আসে যায় না। সত্য কি
সেটাই মূখ্য বিষয়। আমি কিছু তথ্য তুলে ধরছি,
আপনারাই যাচাই করে দেখুন যে গীতার অথবা প্রভুপাদের ঐ কথাটা কতটুকু ঠিক!
হরিবংশ ১/৩/৫১,৫২. এর মতে একাদশ রূদ্র হল-
"হর, বহুরূপ, ত্র্যম্বক, অপরাজিত, বৃষাকপি, শম্ভু
( শঙ্কর ), কপর্দী, রেবত, মৃগব্যাধ, শর্ব ও
কপালী।"
এতে করে বুঝা যায় প্রভুপাদ হরিবংশ থেকেই
কথাটা বলেছেন! অথচ গীতার যিনি মাতা
অর্থাৎ উপনিষদে একাদশ রূদ্রের অন্য একটা
তালিকা দেওয়া আছে! সেখানে হরিবংশ ও
মহাভারতে উল্লেখি একাদশ রূদ্রের নাম
গন্ধও নেই! দেখুন-
"হর, বহুরূপ, ত্র্যম্বক, অপরাজিত, বৃষাকপি, শম্ভু
( শঙ্কর ), কপর্দী, রেবত, মৃগব্যাধ, শর্ব ও
কপালী।"
এতে করে বুঝা যায় প্রভুপাদ হরিবংশ থেকেই
কথাটা বলেছেন! অথচ গীতার যিনি মাতা
অর্থাৎ উপনিষদে একাদশ রূদ্রের অন্য একটা
তালিকা দেওয়া আছে! সেখানে হরিবংশ ও
মহাভারতে উল্লেখি একাদশ রূদ্রের নাম
গন্ধও নেই! দেখুন-
"বিদগ্ধ শাকল্যের প্রশ্নের উত্তরে ঋষি
যাজ্ঞবল্ক্য বলিলেন- কতমে রুদ্রা ইতি দশমে
পুরুষে প্রাণা আত্মৈকাদশস্তে
য়দাহস্মাচ্ছরীরান্মর্ত্যাদুৎক্রামন্ত্যথ
রোদয়ন্তি তস্মাদ্ রুদ্রা ইতি।
বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৩।৯।৪.
যাজ্ঞবল্ক্য বলিলেন- কতমে রুদ্রা ইতি দশমে
পুরুষে প্রাণা আত্মৈকাদশস্তে
য়দাহস্মাচ্ছরীরান্মর্ত্যাদুৎক্রামন্ত্যথ
রোদয়ন্তি তস্মাদ্ রুদ্রা ইতি।
বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৩।৯।৪.
অর্থাৎ কাঁহারা রূদ্রগণ? মানব দেহে এই যে
দশটি ইন্দ্রিয় (পঞ্চ কর্ম ইন্দ্রিয় ও পঞ্চ
জ্ঞান ইন্দ্রিয়) এবং জীবাত্মা তাঁহাদের
একাদশ। তাঁহারা যখন এই মর্ত্য দেহ থেকে
উৎক্রান্ত হন, তখন (আত্মীয়গণকে) রোদন
করাইয়া থাকেন। যেহেতু তারা উক্ত সময়ে
রোদন করান, অতএব তাঁরা রুদ্র।"
প্রাণ, অপান, ব্যান, উদান, সমান, নাগ, কূর্ম,
কৃকল, দেবদত্ত ,ধনঞ্জয় ও জীবাত্মা। এই ১১টি
দেহান্তকালে রোদন করে বলিয়া ইহাদিগকে
রুদ্র বলে। অর্থাৎ উপনিষদে শঙ্কর নামক কোন
রূদ্র নেই! তাই বলতে চাই প্রভুপাদের গীতার
ঐ শ্লোকের ভাষ্য কতটুকু সত্য তা আপনারাই
বুঝে নিবেন।
দশটি ইন্দ্রিয় (পঞ্চ কর্ম ইন্দ্রিয় ও পঞ্চ
জ্ঞান ইন্দ্রিয়) এবং জীবাত্মা তাঁহাদের
একাদশ। তাঁহারা যখন এই মর্ত্য দেহ থেকে
উৎক্রান্ত হন, তখন (আত্মীয়গণকে) রোদন
করাইয়া থাকেন। যেহেতু তারা উক্ত সময়ে
রোদন করান, অতএব তাঁরা রুদ্র।"
প্রাণ, অপান, ব্যান, উদান, সমান, নাগ, কূর্ম,
কৃকল, দেবদত্ত ,ধনঞ্জয় ও জীবাত্মা। এই ১১টি
দেহান্তকালে রোদন করে বলিয়া ইহাদিগকে
রুদ্র বলে। অর্থাৎ উপনিষদে শঙ্কর নামক কোন
রূদ্র নেই! তাই বলতে চাই প্রভুপাদের গীতার
ঐ শ্লোকের ভাষ্য কতটুকু সত্য তা আপনারাই
বুঝে নিবেন।
ধন্যবাদ
ReplyDelete