https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

সংস্কৃত বাক্য প্রবোধ সম্বন্ধে অম্বিকাদত্তের আক্ষেপের জবাব

Saturday, August 19, 2017

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী প্রণীত সংস্কৃত বাক্য প্রবোধের সম্বন্ধে পণ্ডিত অম্বিকাদত্ত যে সমস্ত আক্ষেপ করেছিল তার উত্তর আর্যসমাজের সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত আচার্য যুধিষ্ঠির মিমাংসক দিয়েছেন যেটা মহর্ষি দয়ানন্দের পত্র ও বিজ্ঞাপনে নিম্ন প্রকারে দেওয়া হয়েছে। তার কিছু অংশ আপনাদের জ্ঞাতার্থে হিন্দি থেকে অনুবাদ করে উপস্থাপন করা হলো -



প্রথম আক্ষেপ --

যেন শরীরাচ্ছ্রমো ন ক্রিয়তেস নৈব শরীরসুখমবাপ্নোতি॥ --_প:৩/প:১॥         এখানে পণ্ডিত অম্বিকাদত্ত লিখেছে যে , শরীরাত্--পদটিতে পঞ্চমী বিভক্তি লেখা হল অশুদ্ধ কিন্তু " শরীরেণ " ---- এমনটি লেখা উচিত ছিল । । 

 পণ্ডিতের এমন সন্দেহ কারক-ব্য়বস্থাকে ভালোভাবে না বুঝার ফলে হয়েছে । দেখুন ! শ্রম বলা হয় পুরুষার্থ -কে। তার কর্তা হল জীবাত্মা যা শরীরকে আশ্রয় করে থাকে ।  কেন না -" চেষ্টেন্দ্রিয়ার্থাশ্রয়ঃ শরীরম্ ॥ " ----চেষ্টা অর্থাৎ ক্রিয়ার যা আশ্রয় তাকে শরীর বলা হয় । তাই এখানে " পঞ্চমী বিধানে ল্য়ব্লোপে কর্মণ্য়ুপসংখ্য়ানম্ ॥ " --অ:২/৩/২৮}  এই বার্তিকের দ্বারা ল্য়বন্ত ক্রিয়ার লোপে পঞ্চমী বিভক্তি হয়েছে । দেখুন , এইরকম বাক্যার্থ হবে ---' যেন  পুরুষেণ শরীরমাশ্রিত্য় শ্রমো ন ক্রিয়তে---' ইত্যাদি । যদি বলো যে, এমনটি মহর্ষি দয়ানন্দ ভাষায় লিখেননি কেন ? এর উত্তর হল এই যে , সংস্কৃত বাক্যের ব্যাখ্যান ভাষা অনেক প্রকারের হয় । তাই এতে কোনো বিবাদ নেই । কিন্তু এখানে তো এটাই প্রয়োজন যে, যাতে ভাষা সুগম ও অল্প হয় তার চেষ্টা করা উচিত । আর পণ্ডিত অম্বিকাদত্তের কথন অনুসারে তো ' প্রাসাদাৎ প্রেক্ষতে '  -- ইত্যাদি মহাভাষ্য়কার মহর্ষি পতজ্ঞলির প্রয়োগেও পঞ্চমী বিভক্তি হওয়া উচিৎ নয় । আর ও পণ্ডিত অম্বিকাদত্ত কি লিখেছে দেখুন যে, "বিভাষা গুণেস্ত্রিয়াম্" অ:২/৩/৫} --এই সূত্রে র এখানে প্রয়োগ হয়েছে ।  এবারে ভাবুন এখানে এই সূত্রের কেন  বা দরকার বলুন ?  সুতরাং স্বামী দয়ানন্দের মূখ্য় উদ্দেশ্যটিকে না বুঝে যে সূত্র মনে এল তাই লিখে দিল । যে অল্প পড়েছে সেও কি কখনও বলবে যে, শরীর হল একটি  গুণবাচক শব্দ আর গুণবাচী মেনে সেখানে পঞ্চমী বিভক্তি হয়ে যাবে ??  আর কারক বিষয়ে নিয়মও রয়েছে যে , কারকং নেদ্বিজানীয়াদ্য়াং য়াং মন্য়েত সা "-- মহাভাষ্য় ১/৪/৫৭}  মানে এই শব্দ ক্রিয়ার কোন অংশ কে সিদ্ধ করে এইরকম ক্রিয়াসাধক কারককে জেনে যে যে বিভক্তি দ্বারা সেই অর্থ বোধ হয় , সেই বিভক্তি হওয়া উচিৎ । এই গূঢ়  কথাটিকে বোঝার সামর্থ্য সকলের কাজ নয় ।

দ্বিতীয় আক্ষেপ --

চক্রবর্তিশব্দস্য কঃ পদার্থ? পৃ ১১ পং ৫
এখানে পন্ডিতজী লিখেছে যে চক্রবর্তি শব্দের কি অর্থ ইহার সংস্কৃত ইহাই হবে। ইনার ভাষার বোধ যাহা জানা হয়ে গেছে।

ভালো কথা  সংস্কৃত শব্দ কে স্ত্রীলিংগ পন্ডিত জী কোন ব্যকরণ থেকে করেছেন। এই সংস্কৃত প্রাচীন ঋষি মুনির অনুকুলেই, ইহাতে কোন দোষ নেই।  দেখুন, মহাভাষ্যে লেখা রয়েছে অথ শব্দসিদ্ধস্য কঃ পদার্থ? অ ১। পাদ ১১। আহ্লিক ১।। ইহার কি এই অর্থ নয় তো সিদ্ধ শব্দের কি অর্থ?  বড় আশ্চর্যের কথা এই যে প্রাচীন গ্রন্থ দেখা বিনাই তিনি দোষ লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন পন্ডিত জীর লাগানো দোষ কিছু স্বামীজী কেই নয় পরন্তু তিনি তো সব ঋষি মুনিকে দোষ লাগিয়ে দিয়েছেন এবং সাপেক্ষমসমর্থ ভবতীতি। মহাভাষ্য ২।১।১।। এই দোষ এখানে কখনো আসে নি কারণ এখানে এক দেশের সাথে অন্বয় নেই। এবং এই প্রকার সভা শব্দস্য কঃ পদার্থঃ? ইহাকে শুদ্ধ বুঝে নেওয়া। ২।।

তৃতীয় আক্ষেপ --


অস্মিন্ সময়ে তু মম সামর্থ্য নাস্তি ষণ্মাসান্তরং দাস্যামি
(মহাঃ ২।১।১) পৃ ১৯।২৪।
এখানে "ষণ্মাস" শব্দে পন্ডিত জীর সন্দেহ হয়েছে যে এখানে দ্বিগোঃ অষ্টাঃ ৪।১।১২।। এই সূত্রে ঙীপ্ হয়ে ষণ্মাসী শুদ্ধ। 

 এই ভ্রমের মূল এই যে  তাহার ব্যকরণের সব সূত্র বিদিত নয়। পন্ডিতজীর কথন অনুসারে যদি স্বামীর লেখা অশুদ্ধও মানা হয় তবে পাণিনি মুনির সূত্রও অশুদ্ধ মানা উচিৎ। সূত্র ষণ্মাসাণ্যচ্চ।  অ ৫।১।৮৩।। এখানে পন্ডিত জীর মতানুসারে ষণ্মাস্যা ণ্যচ্চ এই প্রকার সূত্র হওয়া উচিৎ। এখন দেখুন পাণিনীয় সুত্র কে যদি পন্ডিতজী জানতো  তবে স্বামীজীর  লেখা কে মিথ্যা দোষ কেন লাগতো এবং ছোট ছোট বালক যে অষ্টাধ্যায়ীর সূত্র ঘাটাঘাটি করে তারাও জানে যে, এই সূত্র তাহাই। এই প্রকার অনেক প্রয়োগ ব্যকরণ আদি শিষ্ট জনের গ্রন্থে এসেছে তো কি সব অশুদ্ধ?  এখন রয়েছে যে, ঙীপ্ কেন হয় নি তো পাত্রাদিভ্যঃ প্রতিষেধঃ। মহা ১।৪।১৭।। এই বার্তিক এই জন্য।  পাত্রাদি আকৃতিগণ। এর পরিগণন কোথাও নেই কারন এখানে পাত্রাদি শব্দ। মহাভাষ্যকার তো এই বার্তিকে উপর উদারহন মাত্র দিয়েছেন। এখন এই প্রকার "দ্বিবর্ষতির্ন্তরম্" ইহাকেও শুদ্ধ বোঝা উচিৎ।  পাণিনীজী মহারাজ নিজ সূত্রে "ষণ্মাস" শব্দ কে পাঠ করেছেন। ইহার মধ্যে তাহার উপদেশ প্রসিদ্ধ বিদিত হয়েছে যে, ষণ্মাস" আদি শব্দর ঙীপ্ কদাপি হয় না এবং কোথাও  করতে চাওয়া  অশুদ্ধ।