https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

বেদ ও পুরাণঃ পৌরাণিক আক্ষেপ নিবারণ

Sunday, March 18, 2018
   

পুরাণ শব্দ নিয়ে যেন ভ্রান্তির আর শেষ নেই। আমরা সবাই পুরাণ বলতে প্রচলিত ১৮ টি পুরাণ ও উপপুরাণ কেই বুঝি।  যা কি না ব্যসদেবের স্বরচিত বলিয়া সবার নিকট পরিচিত। বৈদিক কালে পুরাণ শব্দটি ছিলো অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। কিন্তু অধুনা প্রচলিত পুরাণগুলো বেদবাহ্য দেব দেবীর মাহাত্ম্য,  অশ্লিল বর্ণনা,  কাল্পনিক গল্প গাথায় পরিপূর্ণ। পুরাণগুলোর আদ্যোপান্ত  পাঠ করলেই বেশ বুঝা যায় যে, সেগুলোর অধিকাংশ ভাগ মিথ্যা কল্পনা মাত্র ও বিশ্বাস যোগ্য নয়।
এসব বিচারে ব্যাসদেবকে প্রচলিত পুরাণের রচয়িতা বলে কোন মতেই বিশ্বাস করা যায় না। বরং এটাই প্রতীয়মান হয় যে,  স্ব স্ব মতের পন্ডিতরা তাদের মতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যাসদেবের নাম দিয়ে পুরাণগুলো চালিয়ে দিয়েছেন। পুরাণগুলোর মধ্যে পরস্পর বিরুদ্ধ মত, নিন্দাবাদ তথা বিদ্বেষ ভাব এমনভাবে সন্নিবেশিত আছে যে,  এগুলো এক ব্যক্তির রচনা কখনো হওয়া সম্ভব নয়। কয়েকটি উদ্ধৃতির মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হবে -

=>> শিবের মাহাত্ম্য প্রচারার্থে লিঙ্গ  পুরাণের রচয়িতা  সবাই কে শিবের ভক্ত হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।  এমনি কি যদি কেউ শিব ভক্ত না হয়ে অন্য দেবতার ভক্ত হয় তবে তাহার যে অধোগতি হবে এমন ভয়ও তিনি দেখিয়েছেন।  যথা -

শিবোভক্ত ন যে রাজ্য ভক্তোহন্যেযু সুরেযু যঃ।
স্বপতিং যুবতীং তক্তা যথা জারেষু রাজতে।।
(লিঙ্গপুরাণ - উত্তরার্দ্ধ ১১/৩৫)

অর্থাৎ যে রাজা শিব ভক্ত  না হইয়া অন্যদেবতার ভক্ত হয়, নিজ পতি পরিত্যাগ করিয়া উপপতি ভজনা করিলে যুবতীর যাদৃশ গতি হয়,  তাহারও সেইরূপ অধোগতি হয়।








এমনকি বিষ্ণু আদি অনান্য দেবতা দেবতাকে শিবের দাস বলে পরিচয় দিয়েছেন এই পুরাণসমূহ-

মহেশস্য চ দাসোহয়ং বিষ্ণুস্তেনানুকম্পিতঃ।৫
শ্রুতিস্মৃতিপুরাণাং সিদ্ধাস্তোহয়ং যথার্থতঃ।
ইন্দ্রোপেন্দ্রাদয়ঃ সর্ব্বে মহেশস্যৈব কিঙ্করাঃ।।৬
(সৌর পুরাণ ৪০।৫-৬)

অর্থাৎ মহেশ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বস্তু আর কিছু নেই।  বিষ্ণু প্রভৃতির শ্রেষ্ঠতা শিবকৃপায় হইয়াছে। দাস বলিয়া বিষ্ণুকে মহেশ্বর অনুগ্রহ করিয়াছেন।  ইন্দ্র উপন্দ্র প্রভৃতি সকলেই মহেশ্বররই কিঙ্কর অর্থাৎ ভৃত্য।






অপরদিকে পদ্ম পুরাণের রচয়িতা যেন প্রত্যুত্তর দিচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি শিব মাহাত্ম্য সহ্য করতে না পেরে বরং শিব ভক্তদের কোটী কল্পকাল নরকের অগ্নিতে দ্গ্ধ হবার অভিশাপ দিচ্ছেন।  যথা -

মোহাদ্যঃ পূজদেন্যাং স পাখংন্ডী ভবিষ্যতি।।৬৯।।
সুকৃতদেব হি  য়োশনাতি ব্রাহ্মণো জ্ঞানদূর্বলঃ।
নির্মাল্যং শংকরাদীনাং স চান্ডালো ভবেৎ ধ্রুবম্।।৯৯।।
কল্পকোটি সহস্রাণি পচ্যয়তে নরকাগ্নিনা।১০০।।
( পদ্মপুরাণ উত্তরখন্ড ২৫৫)

অর্থাৎ যে ব্যক্তি মোহবশতঃ অন্য দেবতার উপাসনা করে সে পাষন্ড হইবে। যে অজ্ঞ ব্রাহ্মণ একবার মাত্রও শিবাদির প্রসাদ সামগ্রী ভোজন করে, সে নিশ্চিত চন্ডাল। সে নরকাগ্নিতে কোটিসহস্র কল্প দগ্ধ হয়।




অর্থাৎ পুরাণ রচয়িতাদের মধ্যে কোনরূপ দ্বন্দযুদ্ধ না বাধলেও তারা পরস্পররের প্রতি তীক্ষ্ণ বচন বাণ নিক্ষেপ করতে কোন রকম কমতি করেন নি। এজন্যই দেবী ভাগবত এসব পুরাণকার দের ধূর্ত বলে সম্বোধন করছে -


ধূর্ত্তৈঃ পুরাণচতুরৈর্হরিশঙ্করাণাং
সেবপরায়শ্চ বিহিতাস্তব নির্ম্মাতানাম্।।১২
১৯ অঃ

অর্থাৎ হে দেবী! এই ঘোর কলিযুগে যে সকল মানব আপনাকে ভজনা না করিয়া অনান্য দেবগণকে ভজনা করে, পুরাণচতুর ধূর্তের্ নিশ্চয়ই তাহাদিগকে বঞ্চিত করিয়া আপনার নির্মিত হর হরাদির সেবাপরায়ন করিয়াছে, হায়! ইহাতে সেই জনগণের কি দূর্ভাগ্যই সংঘটিত হইয়াছে।


অর্থাৎ পুরাণের এরূপ পরস্পর বিরোধী প্রবচন  বিদ্বেষভাবাপন্ন  উক্তি যেসব ব্যক্তি এক লেখকের বলিয়া মুখ দিয়ে ঝংকার তোলে তাদের মস্তিষ্ক যে সুস্থ নয় উপরের উদ্ধৃতিতেই তা স্পষ্ট হয়েছে। পুরাণ রচয়িতারা যে নিজ সম্প্রদায়ের প্রচারার্থে এসব রচনা করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পুরাণ গুলোর এরূপ অসারতা সম্পর্কে লিখতে গেলে পুরো একটা বই রচনা হয়ে যাবে। তাই সেদিক না গিয়ে  আমরা  মূল আলোচনায়  প্রবেশ করছি। পুরাণের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায় ব্রাহ্মণগ্রন্থ ও গৃহ্যসূত্রে।  যথা-

"ব্রাহ্মণানোতিহাসান্ পুরাণানি কল্পানি কল্পনা গাথানারাশংসীরিতি"
(তৈত্তিরীয় অরণ্যক ২।৯)
অর্থাৎ ব্রাহ্মণ গ্রন্থের ইতিহাস,  পুরাণ, কল্প, গাথা,  নারাশংসী এই পাঁচ নাম। জগৎ উৎপত্তির বিষয় বর্ণনা থাকার হেতু একে পুরাণ বলা হয়। বেদ শব্দার্থ বর্ণনা করা হেতু বলা হেতু, একে কল্প বলা হয়। কোন স্খানের দৃষ্টান্ত কে,  দৃষ্টান্ত রূপে বর্ণনা করা হেতু ,  একে নারাশংসী বলা যায়।  এই ব্রাহ্মণ গ্রন্থে মানবের সৎ কর্মেরও জীবন কথা বর্ণনা আছে, ইহা দ্বারা বেদার্থ জ্ঞাত হওয়া যায়।




 গৃহ্যসূত্রাদিতেও সাধ্যায় এ ঋগবেদাদি পাঠ শেষে পুরাণের কথা শুনিবার আদেশ আছে। যথা -

"ঋচো যজুংষি সামান্যথর্বাঙ্গিরসো ব্রাহ্মণানি কল্পান্ গাথা - নারাশংসীরিতিহাসপুরাণানীতি "
(আশ্বলায়নগৃহ্যসূত্রম ৩।২।৬)

এই যে, গৃহ্যসূত্রাদিতে যজ্ঞান্তে সাধ্যায় এ পুরাণ শ্রবণ করানোর কথা আছে।



তা ব্যাসদেবের জন্মানোর বহু বছর পূর্বে। অতএব প্রচলিত পুরাণের শ্রবণ সেখানে কদাপি করানো হয় নি।

পুরাণের পরিচয় দিতে সায়ন তৈত্তেরীয় অরণ্যকের উক্ত ভাষ্যে বলেছেন - “আত্মা বা ইদমেক এবাগ্র আসীন্নান্যৎ কিঞ্চন মিষৎ ইত্যাদীনি সৃষ্টাদিপ্রতিপাদকানি পুরাণানি” অর্থাৎ আত্মা বা ইদমেক এবাগ্র আসীন্নান্যৎ কিঞ্চন মিষৎ এর মত সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে এমন বচনগুলোই পুরাণ


অর্থাৎ সায়নাচার্য পুরাণ বলতে সৃষ্টি প্রতিপাদক বচনগুলোকে বুঝিয়েছেন। কোন প্রচলিত কাল্পনিক কথামালাকে নয়। শঙ্করাচার্য্যও পুরাণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে "তৈ০ উ০ ২।৬।১ এর এর  "অসদ্ধা ইদমগ্নে আসীত্"  সৃষ্টিবিদ্যা গুলোকে বুঝিয়েছেন -




রামায়ন,  মহাভারত,  মনুস্মৃতি কে সনাতন ধর্মে  প্রচলিত পুরাণ অপেক্ষা অনেক প্রাচীন গ্রন্থ মান্য করা হয়।  সেসব গ্রন্থের  বহু স্থলে পুরাণ বর্ণনার  উদ্ধৃতি মেলে।  যেমন- রামায়ন রাজা দশরথের সারথী সুমন্ত্র কে  পুরাণবিত্ বলে বর্ননা করা হয়েছে -
রাজ্ঞঃ সম্প্রতিবুদ্ধস্য চানাগমনকারণম্।
ইত্যুক্ত্বান্তঃপুরদ্ধারমাজগাম পুরণবিত্।।

অর্থাৎ ইহা বলে জাগ্রত হয়ে শ্রীমহারাজের বাহিরে না আসার কারন বলে পুরাতন বৃতান্তের জ্ঞাতা(পুরাণজ্ঞ) সুমন্ত্র পুনঃ অন্তঃপুরেের দ্বারপ্রান্তে ফিরে এলো।





এরুপে উক্ত কান্ডের ১৬ সর্গের 18 শ্লোকে সুমন্ত্রের পুরাণের অভিজ্ঞতা।

 বালকান্ডের ৯ম সর্গের ১ম শ্লোকে পুরাণের কথন বর্ণনা করা হয়েছে। এসকল পুরাণ বাচক শব্দ কদাপি বর্তমানের পুরাণ হওয়া সম্ভব নয়। এরূপে মনুসংহিতাতেও পুরাণ, ইতিহাসের অধ্যয়নের বর্ণানা আছে -

স্বাধ্যায়ং শ্রাবয়েত্ পিত্র্যে ধর্মশাস্ত্রাণি চৈব হি।
আখ্যানানীতিহাসাংশ্চ পুরাণান্যখিলানি চ।।
(মনুসংহিতা ৩।২৩২)
অর্থাৎ ব্রাহ্মণ কে বেদ ধর্শাস্ত্র, আখ্যান, ইতিহাস,  পুরাণ আদি শুনাবে।





মহাভারতের স্থলে স্থলে পুরাণের কথা বারংবার উল্লেখিত হয়েছে। পুরাণের সহায়তা দ্বারা  বেদার্থের বিস্তার করতে বলা হয়েছে। আবার অনেক স্থানে নির্দিষ্ট পৌরানিক উপাখ্যান পুরাণ কথা বলে বর্ণনা করা হয়েছে -

"ইতিহাসপুরাণাভ্যাং বেদং সমুপংবৃহয়েত্"।
(মহাঃ আদি পর্ব ১।২৬৭)
অর্থাৎ পুরাণের সহায়তাই বেদের বিস্তার এবং সমর্থন করা উচিৎ।


আবার মহাভারতের পঞ্চম অধ্যায়ে ভৃগবংশীয় ঘটনাগুলোকে পুরাণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এসব কথাগুলোকে দিব্য বলা হয়েছে।  যথাঃ
পুরাণে হি কথা দিব্যা আদিবংশাশ্চ ধীমতাম্।
কথ্যন্তে যে পুরাস্মাভিঃ শ্রুতেপূর্বাঃ পিতুস্তব।।
(মহাঃ আদি ৫।২)
পুরাণে দিব্য কথা বর্ণিত। পরম বুদ্ধিমান্ রাজর্ষি এবং ব্রহ্মর্ষির আদি বংশও বর্ণনা করে গিয়েছেন। যাহা প্রথমে আমাকে আপনার পিতা শুনিয়েছেন।


অর্থাৎ প্রচলিত পুরাণ অপেক্ষা অধিক প্রাচীন গ্রন্থে যেমনঃ ব্রাহ্মণ, উপনিষদ, রামায়ন,  মহাভারত, মনু, গৃহ্যসূত্র ইত্যাদি গ্রন্থে যেসব পুরাণের কথা রয়েছে সেগুলো মোটেও বর্তমানের রচিত কোন পুরাণ হতে পারে না। অধুনা রচিত অষ্টাদশ পুরাণ রচনার পূর্বেও  কোন বিশেষ গ্রন্থ কে পুরাণ বলা হতো তা একদম পরিষ্কার। অনেকে নিজ পক্ষ সমর্থন করার জন্য বলেন যে, পুরাণ অনাদি কাল ধরে এসেছে।  বেদের ন্যায় প্রতি কল্পে আবির্ভূত হয়। এ কথা মোটেও সত্য নয় কারন পুরাণ কোন ঈশ্বরের নিত্য জ্ঞান নয়।  পুরাণ মনুষ্য লিখিত গ্রন্থ। অতএব পুরাণে বেদ বিরুদ্ধ কথা থাকতেই পারে। 


এজন্য ব্যাস সংহিতাই ব্যাস বলেছেন -

শ্রুতিসবমৃতিপুরাণানাং বিরোধো যত্র দৃশ্যতে।
তত্র শ্রৌতং প্রমানন্ত তয়োর্দ্বৈধে স্মৃতির্ব্বরা।।
(ব্যাস সংহিতা ১।৪)

অর্থাৎ শ্রুতি ও স্মৃতি ও পুরাণের বিরোধ দেখা যায় সেখানে শ্রুতি কথিত বিধিই বলবান এং যেস্থলে স্মৃতি ও পুরাণের বিরোধ দেখা যায়, সেস্থলো স্মৃতিকথিত বিধিই বলবান।




তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, পুরাণ এবং স্মৃতির বিরোধ ঘটতেই পারে।  এজন্য ব্যাস এ শঙ্কার সমাধান করে দিয়েছেন।  শ্রুতি, স্মৃতি এবং পুরাণের বিরোধে শ্রুতি কে প্রথম বলবান বলা হয়েছে। এবং স্মৃতি ও পুরাণের বিরোধে স্মৃতি কে বলবান বলা হয়েছে। অর্থাৎ পুরাণ কে তৃতীয় স্থানে রাখা হয়েছে।  পুরাণ কে মান্য করার পূর্বে স্মৃতিকে আগে গ্রহন করতে হবে যদি স্মৃতির সাথে না সাংঘর্ষিক না হয় তবেই পুরাণ মান্য।

এরূপ শঙ্কা যুক্ত শাস্ত্র কে ঈশ্বরীয় বলতে পৌরাণিকগণের জুড়ি নেই। তারা বেদ উপনিষদ থেকে কিছু মন্ত্র শ্লোক উদ্ধৃতি দিয়ে মায়াকান্না জুড়ে দিয়ে  প্রচলিত পুরাণ গুলোকে  ঈশ্বরীয় বলে প্রচার করে।  এ পর্যায়ে সেগুলোর নিরসন করা হইবে -

পৌরাণিকঃ পুরাণ সত্য এবং  তা ঈশ্বর প্রদত্ত।  কারন শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪।৫।৪।১০  "স যথার্দ্রধাগ্নেরিতি" এ পুরাণ কে ঈশ্বর হতে প্রকট হওয়া লিখা রয়েছে।

নিরীক্ষকঃ প্রথমে এখানে শুধুমাত্র পুরাণ বিদ্যার উল্লেখ নেই বরং এখানে চার টি বেদের সাথে  " ইতিহাস,  পুরাণ বিদ্যা, উপনিষদ্,  শ্লোক,  সূত্র,  অনুখ্যান " ব্যাখ্যান" এই আট টি বিদ্যার বর্ণনা রয়েছে।



তৈত্তিরীয় আরণ্যক ৮-২ এ সায়নাচার্য বলছেন “ব্রাহ্মণং চাষ্টধা ভিন্নম” অর্থাৎ ব্রাহ্মণ গ্রন্থে আটটি ভিন্ন ভাগ রয়েছে বা ব্রাহ্মণ গ্রন্থ আটটি ভিন্ন নামে অভিহিত।




অর্থাৎ এখানে যে আটটি বিদ্যার বর্ণনা রয়েছে তা কোন আলাদা আলাদা গ্রন্থের নাম নয় বরং ব্রাহ্মণের ৮ টি ভাগের এক একটির  নাম। অনেক পন্ডিতদের মতানুসারে ব্রাহ্মণ গ্রন্থও বেদ সেহেতু তাদের ভাষ্যানুযায়ী ব্রাহ্মণ গ্রন্থও ঈশ্বর থেকে বেদের ন্যায় উদ্ভূত হয়েছে। কিন্তু মহর্ষি পাণিনী তার অষ্টাধ্যায়ী সূত্রে এ শঙ্কার নিরসন করে বলেছেন ব্রাহ্মণ গ্রন্থ প্রাচীন ঋষি প্রোক্ত বেদের ন্যায় দৃষ্ট নয়। যথাঃ

দৃষ্ট সাম।। ৪।২।৭।
ভাষ্যার্থঃ (তেন) তৃতীয় সমর্থ প্রাতিপদিক দ্বারা (দৃষ্ট সাম) সাম (বেদ)  প্রত্যক্ষ্য করা এই অর্থে যথাবিহিত ( অণ্) প্রত্যয় হয়।
উদাঃ বসিষ্ঠ্যম্ (বসিষ্ঠ ঋষির দ্বারা দৃষ্ট সাম গান)

পুরাণপ্রোক্তেষু ব্রাহ্মণকল্পেষু।।৪।৩।১০৫।
ভাষ্যার্থঃ (তেন) তৃতীয় সমর্থ প্রাতিপদিক দ্বারা (প্রোক্তম্) প্রোক্ত অর্থে (নিণি) ণিনি প্রত্যয় হয় (পুরাণ প্রোক্তেষু) এখানে যে প্রোক্ত শাখা গ্রন্থ তাহা ব্রাহ্মণ গ্রন্থ কল্প গ্রন্থ।
বিশেষঃ প্রাচীন ঋষি বেদের ব্যাখ্যাস্বরূপ  ব্রাহ্মণ গ্রন্থ  রচনা করেছেন। এবং বেদের ব্যাখ্যাই শিক্ষা, কল্প ,ব্যকরন ,নিরুক্ত, ছন্দ, জ্যোতিষ এই ছয় বেদাঙ্গের রচনা।



উপজ্ঞাতে।। ৪।৩।১১৫।
ভাষ্যার্থঃ (তেন) তৃতীয় সমর্থ প্রাতিপদিক দ্বারা (উপজ্ঞাতে) উপজ্ঞাত অর্থে যথাবিহিত প্রত্যয় হয়। উপজ্ঞা বলে নতুন বোধ করাকে। নিজ বুদ্ধি দ্বারা যে নতুন কথা আবিষ্কার করা হয় তাহাকে উপজ্ঞা বলে।  কিন্তু যাহার আবিষ্কার প্রথমে হয়েছে তাহার কিছু পরিষ্কার ইত্যাদি করা যায় তো নতুন রূপে প্রস্তুত গ্রন্থাদিকে  প্রোক্ত বলা হয়।

অতএব এটা পরিষ্কার যে ব্রাহ্মণ গ্রন্থ প্রাচীন ঋষি রচিত কারন বেদের ক্ষেত্রে এখানে দৃষ্ট শব্দ এবং ব্রাহ্মণের ক্ষেত্রে প্রোক্ত শব্দের ব্যবহার হয়েছে।  অতএব পৌরাণিকী দাবীকৃত মন্ত্রের যথার্থ অভিপ্রায় এই যে, পুরাণাদি  বিদ্যা বেদ হতে নির্গত। যথা -
স যথার্দ্রধাগ্নেরভ্যাহিতস্য। পৃথগ্ধূমা বিনিশ্চরন্ত্যেবং বারেহস্য মহতো ভূতস্য নিঃশ্বসিতমেতদ্ যদৃগ্বেদো যজুর্বেদঃ সামবেদোহধর্বাঙ্গিরস ইতিহাসঃ পুরাণং বিদ্যা উপনিষদঃ শ্লোকা সূত্রাণুব্যাখ্যানানি - ব্যাখ্যানান্যস্যৈবৈতানি সর্বাণি নিঃশ্বসিতানি।।

- যেমন অগ্নির উপর আর্দ্র কাষ্ঠ রাখার কারনে ধুয়া উঠে,  এই প্রকার সেই মহান সত্তা থেকে নির্গত ঋগবেদ,  যজুর্বেদ,  সামবেদ এবং অথর্ববেদ। ইতিহাস,  পুরাণ, বিদ্যা, উপনিষদ্,  শ্লোক,  সূত্র,  অনুখ্যান, ব্যাখ্যান  ইহা (বেদ) হতে এই সব নিঃশ্বসিত।


মহর্ষি মনু মহারাজ এর প্রেক্ষিতে বলেছেন -

চাতুর্বণ্য ত্রয়া লোকাশ্চত্বানশ্চাশ্রমা পৃথক্।
ভূতং ভব্যং ভবিষ্যং চ সর্ব বেদাৎপ্রসিধ্যতি।।
(মনুস্মৃতি ১।৯৭)

অর্থাৎ চার বর্ণ, ত্রিলোক, চতুরাশ্রম এবং ভূত, ভবিষ্যত, বর্তমান সমস্ত কালের বিদ্যা সব বেদ দ্বারাই প্রসিদ্ধ, প্রকট এবং জ্ঞাত হয় অর্থাৎ এই সব ব্যবস্থা এবং বিদ্যার জ্ঞান বেদ দ্বারাই হয়।



পৌরাণিকঃ পুরাণ বেদের সমান মর্যাদাপূর্ণ কেননা ছান্দোগ্যপনিষদ্ ৭।১।২ এ পুরাণ কে পঞ্চম বেদ বলা হয়েছে।

নিরীক্ষকঃ পুরাণ এবং বেদের ভাষা সমন্ধ্যে আপনার যথেষ্ঠ জ্ঞান না থাকার কারনে এরূপ নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছেন।  এখানে পুরাণ শব্দ এবং পুরাণের সাথে বেদ শব্দ দেখেই পুরাণ কে বেদের ন্যায় ঈশ্বর প্রদত্ত মনে করছেন।  গোপথ ব্রাহ্মণ ১।১০ এ প্রসিদ্ধ চার বেদের অতিরিক্ত পাঁচ প্রকার অন্য বেদের বর্ণনা রয়েছে। যথাঃ  "তাভ্যঃ পঞ্চবেদান্নিেমিয়ত। সর্পবেদং পিশাচবেদমসুরবেদমিতিহাসবেদং পুরাণবেদমিতি",  অর্থাৎ তাহা থেকে সর্পবেদ,  পিশাচবেদ, অসুরবেদ,  ইতিহাসবেদ এবং পুরাণবেদ নির্মিত হয়েছে। এখানে ইতিহাস এবং পুরাণ কেও বেদ নামে বর্ণনা করা হয়েছে। 




ভরতকৃত নাট্যশাস্ত্রে লেখা রয়েছে -

সঙ্কল্প্য বগবানেবং সর্ববেদাননুস্মরন্। নাট্যবেদং ততশচক্রে চতুর্বেদাঙ্গসম্ভবম্।।
জগ্রাহ পাঠ্যমৃগ্বেদাৎসামেভ্যো গীতমেব চ। যজুর্বেদাদভিনয়ান রসানাথর্বণাদপি।।
(নাট্যশাস্ত্র ১।১৭-১৮)
অর্থাৎ চার বেদ থেকে সংকলন করে ভগবান ব্রহ্মাজী নাট্যবেদ তৈরী করেছেন।  ঋগবেদ থেকে পাঠ নিয়ে, সামবেদ থেকে গীত নিয়ে,  যজুর্বেদ থেকে অভিনয় নিয়ে এবং অথর্ববেদের রস গ্রহন করে।




এখানে স্পষ্ট যে নাট্যশাস্ত্র কে নাট্যবেদ বলা হয়।  যেমন চরক এবং সুশ্রুত সংহিতা কে আয়ুর্বেদ নারদ সংহিতা কে গান্ধর্ববেদ এবং ধনুর্বেদ ইত্যাদি প্রভূত শাস্ত্র বেদ নামে প্রসিদ্ধ। এসব শাস্ত্রে বেদ শব্দ উপাচার রূপে এসেছে অর্থাৎ গৌণ বৃত্তিতে। কারন জ্ঞানের সাধন হওয়ার কারনে গৌণ বৃত্তিতে এগুলোকে বেদ বলা হয়েছে।

পরন্তু ছান্দ্যোপনিষদে উক্ত শ্লোকে পুরাণ কে পঞ্চম বেদ বলা হয় নি বরং চার বেদ তথা পঞ্চমত পুরাণ,  ইতিহাস কে বেদের জানার বিষয় রূপে বর্ণনা রয়েছে।  যথাঃ

সহোবাচর্গ্বেদং ভগবোধ্যেমি যজুর্বেদং সামবেদমাথর্বণং চতুর্থমিতিহাসপুরাণং পঞ্চমং বেদানাং বেদ পিত্রং রাশিং দৈবং নিধিং বাকোবাক্যময়মেকায়নং দেববিদ্যাং ব্রহ্মবিদ্যাং ভুতবিদ্যাং ক্ষাত্রবিদ্যাং নক্ষত্রবিদ্যাং সর্পদেবজনবিদ্যামেতদ্ ভগবোধ্যেমি।।
(ছান্দ্যোগ্য ৭।১।২)
(সঃ হ উবাচ) প্রসিদ্ধ নারদ বললেন (ভগবঃ) ভগবান! (ঋগবেদং) ঋগবেদ (যজুর্বেদং) যজুর্বেদ (সামবেদ) সামবেদ (চতুর্থ) চতুর্থ (অথর্বণং) অথর্ববেদ (অধ্যেমি) আমি অবগত আছি (পঞ্চমং) পঞ্চমত (ইতিহাস)  ইতিহাস (পুরাণং) পুরাণ (বেদানাং) বেদের (বেদ) জানার বিষয় [ অর্থাৎ বেদের মুখ্য বিষয়] (পিত্র্য)  শশ্রুষা বিষয় (রাশি) গণিত (দৈবং) উৎপাত বিজ্ঞান (নিধি) অর্থশাস্ত্র (বাকোবাক্যম) তর্কশাস্ত্র (একায়নম্) নীতিশাস্ত্র (দেববিদ্যাম্) নিরুক্ত (ব্রহ্মবিদ্যাম্) ঈশ্বর প্রাপ্তি বিজ্ঞান (ভূতবিদ্যাম) প্রাণীশাস্ত্র (ক্ষাত্রবিদ্যাম্) ধনুর্বিদ্যা (নক্ষত্রবিদ্যা) জ্যোতিষ (সর্পবিদ্যাম্) বিষাক্ত জন্তুর বিদ্যা (দেবজনবিদ্যাম) নৃত্যগীত বাদ্যশাস্ত্র (এতত ভগবঃ অধ্যেমিদ) এই সব হে ভগবন! আমি অবগত আছি।



পৌরাণিকগণ যদি উক্ত শ্লোকে পুরাণ কে (প্রচলিত ১৮ পুরাণ নয়) পঞ্চম বেদ রূপেই গ্রহন করতে চান তবে আমাদের কোন আপত্তি নেই।  কারন উপরে আমরা অনেক প্রকার বেদের বর্ননা দেখিয়েছি।  তাই কোন শাস্ত্রে বেদ শব্দ প্রযুক্ত হলে এমন আশ্চর্য হবার কিছুই নেই যে,  সেটা ঈশ্বরকৃত বলে সিদ্ধ হতে পারে।

পৌরাণিকঃ  "স বৃহতী দিশামিতি " [অথর্ববেদ ১৫।৬।১০]  এই মন্ত্রে  পুরাণ কথা এসেছে এবং বেদের সাথে স্থানে দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষকঃ এই মন্ত্রে "পুরাণ " ইতিহাস শব্দের বিশেষন,  যার অর্থ পুরাণা ইতিহাস অর্থাৎ সৃষ্টির উৎপত্তির ইতিহাস। যেমন

সূর্যাচন্দ্রমসৌ ধাতা যথাপূর্বমকল্পয়ত্।  দিবং চ পৃথিবীং চান্তরিক্ষমথো স্বঃ।।
(ঋগবেদ ১০।১৯০।৩)
অর্থাৎ পরমাত্মা যেমন পূর্বকল্পে সূর্য, চন্দ্র ,পৃথিবী, অন্তরিক্ষ আদি কে সৃষ্টি করেছিলেন ওইরূপ এখন করেছেন। এর নামই পুরাণ অর্থাৎ পুরাণো ইতিহাস।
 নিঘন্টু ৩।২৭ এবং   নিরুক্ত ৩।১৯ এ পুরাণ এর বর্ণনায় বলা হয়েছে -
 প্রত্নম্। প্রদিবঃ।  প্রবয়াঃ। সনেমি। পূর্ব্যম্। অহ্লায়েতি ষট্ পুরাণামানি।। ২৭।। পুরাণামান্যুত্তারাণি ষট্।।২৩।। পুরাণং কসম্মাত্ পুরা নবং ভবতি।।২৪।।
অর্থাৎ উপরের এই ছয় নাম পুরাণের অর্থাৎ প্রাচীনের।


পুরাণ কিজন্য বলা হয় তাহা প্রথমে নতুন ছিলো এখন নয়।  অর্থাৎ বেদের উক্ত মন্ত্রটির অর্থ এরূপ -

তমিতিহাসশ্চ পুরাণং চ গাথাশ্চ নারাশংসীশ্চানুব্য চল।
ইতিহাসস্য চ বৈ পুরাণস্য চ গাথানং চ
নারশংসীনাং চ প্রিয় ধাম ভবতি য এবং বেদ।।
(অথর্ববেদ ১৫।৬।১১-১২)
পদার্থঃ (ইতিহাস) ইতিহাস [মহান লোকের বৃত্তান্ত] (চ) এবং (পুরাণম) পুরাণ [সৃষ্টি উৎপন্ন বিষয়ক] (চ) এবং (গাথা) গাথা [কোন কিছুর দৃষ্টান্ত কথা প্রসংগ] (নারাশংসী) নরশংসী [বীরের প্রসংশনীয় গুণ কথা ] (তম)  সেই [ব্রাত্য পরমাত্মার] (অনুব্য চলম) পেছনে চলে [কারন এগুলো দ্বারা বেদ ব্যাখ্যা সহজতর হয়] (স) বিদ্বান পুরুষের (বৈ) নিশ্চয় করে (ইতিহাস)  ইতিহাস (চ) এবং (পুরাণম) পুরাণ (চ) এবং (গাথানম) গাথাকে (চ) এবং (নারাশংসী নাম) নারাশংসী (প্রিয়ম) প্রিয় (ধাম) ধাম (ভবতি) হয় (য) যে [বিদ্বান] (এবম) এই [ব্রাত্য পরমাত্মাকে ] (বেদ)  জানে।




পৌরাণিকঃ  পুরাণ ঈশ্বর সৃষ্ট কেননা অথর্ববেদ ১১।৭।২৪ এ পুরাণ কে ঈশ্বর সৃষ্ট বলা হয়েছে।

নিরীক্ষকঃ আপনার মান্য প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণের উৎপত্তি এ মন্ত্রে বর্ণনা করা হয় নি। কারন বেদ বাণি নিত্য যা অনাদিকাল ধরে এক ,কোন কল্পে তার ভিন্নতা ঘটে না। পরন্ত আপনার প্রচলিত পুরাণগুলোর স্খানে স্খানে ঘটনা প্রবাহের পরিবর্তন তথা বিরোধপূর্ণ ঘটনায় পরিপূর্ণ। বেদে নিত্য সনাতন বিদ্যার বর্ণনা রয়েছে।  এখানে পুরাণ শব্দে   সৃষ্টিৎপত্তি,  প্রলয় আদি বর্ণনাকারী মন্ত্রকে বলা হয়েছে। তৈত্তিরী অরণ্যকে  ২।৯ এ সায়নাচার্য্য ও পুরাণ বলতে সৃষ্টিপ্রতিপাদক মন্ত্রগুলোকে বুঝিয়েছে (সৃষ্টাদিপ্রতিপাদকানি পুরাণানি)। অর্থাৎ মন্ত্রের বর্ণনাতে সৃষ্টিৎপত্তি মন্ত্রগুলো ঈশ্বর থেকে উৎপন্ন এরূপ বলা হয়েছে।  যথাঃ

ঋচঃ সামানি চ্ছন্দাংসি পুরাণাং যজুষা সহ৷
 উচ্ছিষ্টা জজ্ঞিরে সর্বে দিবি দেবা দিবিশ্রিত৷৷
 (অথর্ববেদ ১১.৭.২৪)

পদার্থঃ (ঋচঃ) স্তুতি বিদ্যা [বা ঋগবেদ মন্ত্র ] (সামানি) মোক্ষজ্ঞান [বা সামবেদ মন্ত্র]  এবং (যজুষা সহ) বিদ্বানের সৎকার সহিত [বা যজুর্বেদ সহিত] (ছন্দাংসি) আনন্দ প্রদ কর্ম [বা অথর্ববেদ মন্ত্র ] এবং (পুরাণ) পুরাণ [পুরাতন বৃতান্ত ] [সৃষ্টি নির্মাণ বা প্রলয়াদি প্রতিপাদক মন্ত্র ] [এই সব এবং ] (দিবি) আকাশে বর্তমান (দিবিশ্রিতঃ) সূর্যের [আকর্ষনে] স্থিত (সর্বে) সব (দেবাঃ) গতিমান লোক (উচ্ছিষ্টা) পরমাত্মা দ্বারা (জজ্ঞিরে)  উৎপন্ন হয়েছে।


নিষ্কর্ষঃ  উপরের আলোচনা দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, বেদ, উপনিষদ,  রামায়ন,  মহাভারত আদি গ্রন্থে যেসব পুরাণের উল্লেখ এসেছে তা প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণ নয়। আর্ষ গ্রন্থের যেখানে যেখানে পুরাণ এর উল্লেখ মেলে তা প্রকৃতপক্ষে ব্রাহ্মণাদি গ্রন্থের জন্য এসেছে ভাগবত আদি পুরানের জন্য নয়,  কারন তখন তো এসমস্ত পুরাণের জন্মই হয় নি। স্বামিজীর মন্তব্যের উপর আক্ষেপ কারী পৌরাণিকগণ প্রচলিত পুরাণগুলোকে কে ঈশ্বর সৃষ্ট  করার জন্য যেসব প্রয়াস করেছে তার কোন টার দ্বারাও প্রচলিত পুরাণ ঈশ্বর সৃষ্ট সিদ্ধ হয় না তার বিবরণ আমরা উপরে দেখিয়েছি।  তাই সত্য গ্রহনে সর্বদা সচেষ্ট থাকা উচিৎ শুধুমাত্র নিজেদের সম্প্রদায় বাঁচাতে প্রচলিত পুরাণ কে ঈশ্বর সৃষ্ট বলে চালানো পূর্ণ জ্ঞানীর লক্ষণ নয়।

Author

Unknown

  1. পৌরাণিক দের বাঁশ।

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. আপনার ব্যাখ্যায় ব্রহ্মা‌জিও তাজ্জব ব‌নে গে‌ছেন। পৌরা‌নিক গন এত বি‌ভেদ ব্যাখ্যা পায়‌নি। এক পুরান কে ব্যা‌স‌দেব রচিত নয় প্রমাণ কর‌তে বু‌দ্ধি বিদ্যা খরচ কর‌তে হল। আপনার দিব্যা‌কে বে‌দের কল্যা‌নে লাগান। সায়‌নের এত সন্মান ক‌রেন সেই সায়নই বে‌দের গো মাংসভক্ষ‌ণের কথা ব‌লে গে‌ছেন। আর বে‌দের অর্থ গ্রহ‌নে ত আপনারা সায়‌কে মান্য ক‌রেন না। কিন্তু পুরান‌কে মিথ্যা প্রমান কর‌তে সেই সায়‌নের আশ্রয় নি‌তে হল। আপসুস! আপনার জ্ঞান নি‌য়ে।

    ReplyDelete
  4. আপনার ব্যাখ্যায় ব্রহ্মা‌জিও তাজ্জব ব‌নে গে‌ছেন। পৌরা‌নিক গন এত বি‌ভেদ ব্যাখ্যা পায়‌নি। এক পুরান কে ব্যা‌স‌দেব রচিত নয় প্রমাণ কর‌তে বু‌দ্ধি বিদ্যা খরচ কর‌তে হল। আপনার দিব্যা‌কে বে‌দের কল্যা‌নে লাগান। সায়‌নের এত সন্মান ক‌রেন সেই সায়নই বে‌দের গো মাংসভক্ষ‌ণের কথা ব‌লে গে‌ছেন। আর বে‌দের অর্থ গ্রহ‌নে ত আপনারা সায়‌কে মান্য ক‌রেন না। কিন্তু পুরান‌কে মিথ্যা প্রমান কর‌তে সেই সায়‌নের আশ্রয় নি‌তে হল। আপসুস! আপনার জ্ঞান নি‌য়ে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দুর্জনসন্তোষ ন্যায় বুঝো বালক ? না বুঝলে পড়ে এসো । সায়ণ না মেনেও আমাদের ব্যাখ্যা পাল্টাবে না । তুমি তো মানো তো তোমাকে দেখানোর জন্য দেওয়া ? তুমি না মানলে লিখে দেও যে তুমি সায়ণ মানো না তারপর অন্য প্রমাণ নিয়ে কথা বলো । গণ্ডমূর্খ।

      Delete