https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

ভাষ্যাদিকরণ শঙ্কা সমাধানঃ ঋগবেদ ১।১৩- দয়ানন্দ সরস্বতীর ঋগ্বেদ ভাষ্যে কি ক্রমভঙ্গের দোষ ছিল ?

Friday, March 30, 2018
               maharshi dayanand and vedas এর ছবির ফলাফল

বেদের গূঢ়  অর্থ প্রকাশে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী জীর অপূর্ব প্রচেষ্টা।  একেশ্বরবাদের অপূর্ব সমন্বয় তাহার ভাষ্যে উপস্থিত। বহু ঈশ্বর বাদ,  কাল্পনিক দেব দেবীর ধারণা তথা অশ্লিলতার অবসান ঘটিয়ে তিনি বেদের উচ্চ মর্মার্থের উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।  একজন মানবের কর্তব্য কর্ম হিসেবে তাহার কর্ম তথা সাধন ছিলো অসাধারন। এজন্য তিনি  মহামানবে পরিণত হয়েছিলেন।

তাহার উচ্চ প্রসংশা অনেক বিজ্ঞ পন্ডিত বর্গরা করে গিয়েছেন। তাহার সফলতার সঙ্গী যে শুধু তাহার মিত্র তথা অনুগামীরা ছিলেন তা নয়।   বরং স্বামী জীর বিরোধীও ছিলেন অসংখ্য, যাদের ঈর্ষার প্রকাশ শুধু মনে আর লেখনিতে ছিলো না।  বরং তাদের ঈর্ষার প্রকাশ স্বামীজীর প্রাণ সংশয়ের কারণও ছিলো।  বর্তমানেও এরূপ বহু বিরোধী আছেন যাহারা স্বামী দয়ানন্দ জীর বিদ্বেষী।  যারা সর্বদা স্বামী জীর ত্রুটি বিচ্যুতি তথা বদনামের প্রচার করতে দু পা এগিয়ে।  স্বামী জীর মহান কার্যের বিন্দু মাত্র প্রচার এদের দেখা যায় না,  যা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করে তাদের মনে প্রতিহিংসার অবস্থান কতটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।


সংশয়বাদীঃ দয়ানন্দ সরস্বতীর ঋগ্বেদ ভাষ্যের অনেক স্থলেই দেখা যায় যে, কোন সূক্তের একটি মন্ত্রকে ঈশ্বরপক্ষে ব্যাখ্যা করলেও ঠিক পরের মন্ত্রটিকে একইভাবে ঈশ্বরপক্ষে ব্যাখ্যা করতে তিনি সক্ষম হননি ৷ এই ক্রম-ভঙ্গ দোষ দেখে, ধর্মানন্দ সরস্বতী সেসব স্থলে নিজে আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন (উদাহরণস্বরূপ- দয়ানন্দ কৃত ঋগ্বেদ ভাষ্যের ধর্মানন্দ সরস্বতী কৃত ইংরেজি অনুবাদ, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৬২ দেখুন)

সংশয় নিবারণঃ
সংশয় বাদী স্বামী জীর বেদ ভাষ্যের যেস্থলে ক্রম ভঙ্গের দোষ পেয়েছে তা মূলত ঋগবেদের ১ম মন্ডলের ১৩ নং সুক্তে।  এই সুক্তের ৩ নং মন্ত্রে সংশয়বাদীরা  আচার্য্য ধর্মদেব বিদ্যা মার্তন্ডের ইংরেজী কমেন্টারীর উল্লেখ করে স্বামী জীর মন্ত্রের ক্রম ভঙ্গের দোষ দেখান। এখন বিচার্য্য বিষয় এই যে, স্বামী জী উক্ত সুক্তে আদৌ কি মন্ত্রগুলোর ক্রম ভঙ্গ করে অর্থ করেছিলেন কিনা?  সুক্তের প্রারম্ভ মন্ত্র থেকে পর পর কয়েকটি মন্ত্রের উল্লেখ এবং বিশ্লেষন করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।


সুক্তের প্রারম্ভ স্বামী জী এই প্রকারে করেছেন -
"তত্র তাবৎপরমেশ্বরভৌতিকাগ্ন্যোর্গুণা উপদিশ্যন্তে"
 অর্থাৎ তেরো সুক্তের অর্থ আরম্ভ।  ইহার প্রথম মন্ত্রে পরমেশ্বর এবং ভৌতিক অগ্নির গুণের উপদেশ করা হচ্ছে -
সুসমিদ্ধো ন আ বহ দেবাঁ অগ্নে হবিষ্মতে।
হোতঃ পাবক যক্ষি চ।।১।।
(ঋগবেদ ১।১৩।১)

স্বামী জী উক্ত মন্ত্রের "ঈশ্বরপক্ষে" এবং "ভৌতিক অগ্নি পক্ষে" এই দুই প্রকারেরই অর্থ দিয়েছেন

 যথাঃ -

(i) ঈশ্বর পক্ষে -
হে হোতঃ পাবকগ্নে বিশ্বেশ্বর! যতঃ সুসমিদ্ধসবত্বং কৃপয়া নোহস্মভ্যং হবিষ্মতে চ দেবানাবহসি প্রাপয়স্যতোহং ভবন্তং নিত্য যক্ষি যজামীত্যেকঃ।।।

(ii) ভৌতিক অগ্নি পক্ষে -
যোতহয়ং পাবকো হোতা সুসমদ্ধোহগ্নির্নোহস্মভ্যং হবিষ্মতে চ দেবানাবহতি সমন্তাত্ প্রাপয়তি তস্মাদেতমহং নিত্যং যক্ষি যজামি সঙ্গতং করোমীতি।।



অথ ভাষ্যার্থঃ

(i) ঈশ্বর পক্ষে -
হে (হোতঃ) পদার্থের দান এবং (পাবক) শুদ্ধ কারী (অগ্নে) বিশ্বের ঈশ্বর! যেই কারনে (সুসমিদ্ধঃ) উত্তম প্রকার প্রকাশবান্ আপনি কৃপা করে (নঃ) আমাদের (চ) তথা (হবিষ্মতে) যাহার অনেক হবি অর্থাৎ পদার্থ বিদ্যমান,  সেই বিদ্বানের জন্য (দেবান্) দিব্যপদার্থকে (আবহ) উত্তম প্রকারে প্রাপ্ত করান,  ইহা দ্বারা আমি আপনার নিরন্তর (যক্ষি) সৎকার করি।।১।।১।।

(ii) ভৌতিক অগ্নি পক্ষে -
যাহা দ্বারা এই (পাবক) পবিত্রতার হেতু (হোতা) পদার্থের গ্রহন কারী তথা (সুসমিদ্ধঃ) উত্তম প্রকার প্রকাশকারী (অগ্নে) ভৌতিক অগ্নি (নঃ) আমাদের (চ) তথা (হবিষ্মতে) উক্ত পদার্থ সম্পন্ন বিদ্বানের জন্য (দেবান) দিব্যপদার্থকে (আবহ) উত্তম প্রকার প্রাপ্ত করায়,  এই কারনে আমি উক্ত অগ্নি কে (যক্ষি) কার্য্যসিদ্ধির জন্য নিজের সমীপবর্তী করছি।। ২।।১।।

ভাবার্থঃ এই মন্ত্রে শ্লেষালঙ্কার রয়েছে। যে মনুষ্য অনেক প্রকারের সামগ্রী কে গ্রহন করে বিমান আদি যানে সমস্ত পদার্থ কে প্রাপ্ত করানোকারী অগ্নি কে উত্তম প্রকার যোজনা করেন,  সেই মনুষ্যের জন্য অগ্নি নানা প্রকারের সুখের সিদ্ধি করানোকারী হয়।

পুনঃ শরীরাদিসংরক্ষকাগ্নের্গুণা উপদিশ্যতে।
পুণরায় সামনের মন্ত্রে শরীর আদি রক্ষা কারী ভৌতিক অগ্নির গুণ বর্ণনা করা হচ্ছে -

মধুমন্তং তনুপাদ্যজ্ঞং দেবেষু নঃ কবে।
অদ্যা কৃনুহি বীতয়ে।।২।।

ভাষ্যার্থঃ যে (তনুপাত্) শরীর তথা ঔষধি আদি পদার্থের ছোট ছোট অংশেরও রক্ষা কারী এবং (কবে) সমস্ত পদার্থের দর্শানোকারী অগ্নি,  তিনি (দেবেষু) বিদ্বান তথা দিব্যপদার্থে (বীতয়ে) সুখ প্রাপ্ত হওয়ার জন্য (নঃ) আমাদের (মধুমন্তম্)  উত্তম উত্তম রসযুক্ত (যজ্ঞম্) যজ্ঞ কে (কৃণুহি) নিশ্চিন্ত করেন।

ভাবার্থঃ যখন অগ্নিতে সুগন্ধি পদার্থের হবন হয়, তখন যজ্ঞের বায়ু আদি পদার্থ কে শুদ্ধ তথা শরীর এবং ঔষধি আদি পদার্থ কে রক্ষা করে অনেক প্রকারের রস উৎপন্ন করে, তথা যজ্ঞে সেই শুদ্ধ পদার্থের ভোগ দ্বারা প্রাণীদের বিদ্যা জ্ঞান এবং বলের বৃদ্ধি হয়।।


নরৈঃ প্রশংসনীয়স্য ভৌতিকাগ্নের্গুণন উপদিশ্যন্তে।
এখন সামনের মন্ত্রে মনুষ্যের প্রশংসা করে যোগ্য ভৌতিক অগ্নির গুণের উপদেশ করা হচ্ছে -

নরাশংসমিহ প্রিয়মস্মিন্ যজ্ঞ উপ হ্বয়ে
মধুজিহ্বং হবিষ্কৃতম্।।৩।।

ভাষার্থঃ
আমি (অস্মিন) এই (যজ্ঞে) অনুষ্ঠান যোগ্য যজ্ঞ তথা (ইহ) সংসারে (হবিষ্কৃতম্) হোম করার যোগ্য পদার্থ দ্বারা প্রদিপ্ত করা যায় তথা (মধুজিহ্বম্) যাহার কালী, করালী, মনোজবা, সুলোহিতা, সুধুম্রবর্ণ,  স্ফুল্লিঙ্গিনী এবং বিশ্বরূপী এই অতি প্রকাশমান চপল জ্বালারূপী জিহ্বা (প্রিয়ম্) যে সমস্ত জীব কে প্রীতি দান এবং (নরাশংসম্) যেই সুখ কে মনুষ্য প্রসংশা করে,  তাহার প্রকাশ কারী অগ্নি কে (উপহ্বয়ে) সমীপ প্রজ্বলিত করি।।

ভাবার্থঃ  যে ভৌতিক অগ্নি এই সংসারে হোমের নিমিত্ত যুক্তি দ্বারা গ্রহন কৃত প্রাণির প্রসন্নতা করানোকারী,  সেই অগ্নির সাত জিহ্বা অর্থাৎ কালী যা শুক্ল আদি রঙ্গের প্রকাশ কারী,  করালী - সহনে কঠিন,  মনোজবা- মনের সমান বেগবান,  সুলোহিতা - যাহার উত্তম রক্তবর্ণ,  সুধুম্রবর্ণ - যাহার সুন্দর ধুমলাসা বর্ণ,  স্ফুল্লিঙ্গিনী - যাহাতে অনেক স্ফুলিঙ্গ উঠে তথা বিশ্বরূপী যাহার সব রূপ। এই দেবী অর্থাৎ অতিশয় করে প্রকাশমান এবং লেলামান প্রকাশ দ্বারা সমস্ত জায়গায় জ্ঞাত সাত প্রকারের জিহ্বা অর্থাৎ সমস্ত পদার্থ কে গ্রহন কারী হন। এই উক্ত সাত প্রকারের অগ্নির জিহ্বা দ্বারা সমস্ত পদার্থের উপকার নেওয়া মানুষের উচিৎ।


আলোচনাঃ উপর্য়ুক্ত পর পর ক্রমান্বয়ে তিন টি মন্ত্রের স্বামী জীর ভাষ্য দেখার পর এখন আলোচ্য বিষয় এই যে, তিনি কোন মন্ত্রে ক্রম ভঙ্গ করে অর্থ  করেছেন। সুক্তের প্রথম মন্ত্রে  স্বামিজী  অগ্নিকে ঈশ্বর পক্ষে এবং ভৌতিক অগ্নি পক্ষে এই দুই পক্ষেই ব্যাখ্যা করেছেন।  অগ্নি ( বিশ্বেশ্বর) যেমন হবি আদি পদার্থ বিদ্বানের জন্য দিব্যপদার্থ কে দান করেন সেরূপ ভৌতিক অগ্নিও আমাদের প্রাপ্ত করান। অর্থাৎ এই ভৌতিক অগ্নি মনুষ্যের সুখের সিদ্ধির কারন হয়।  এই প্রকার ২য়  মন্ত্রে স্বামীজী শরীর আদি রক্ষা কারী ভৌতিক অগ্নির গুণ বর্ণনা করে বলেছেন-  যজ্ঞে সুগন্ধি আদি পদার্থের হবন শরীরের জন্য লাভদায়ক যা প্রাণীদের বিদ্যা বলের বৃদ্ধি করে।  ৩য় নং মন্ত্রেও স্বামীজী অগ্নির ভৌতিক গুণ বর্ণনা করেছেন এবং অগ্নির সপ্ত জিহ্বার উল্লেখ করেছেন। যথাঃ

কালী করালী চ মনোজবা চ সুলোহিতা যা চ সুধূম্রবর্ণা।
স্ফুলিঙ্গিনী বিশ্বরূচী চ দেবী লেলায়মানা ইতি সপ্ত জিহ্বাঃ।।
(মুন্ডক ১।২।৪)
অর্থাৎ কালী, করালী, মনোজবা,  সুলোহিতা, সুধূম্রবর্ণা, স্ফুলিঙ্গিণী,  বিশ্বরূচী দেবী অগ্নির এই সাত লেলিহান জিহ্বাঃ।


বেদের এই মন্ত্রের ভাষ্যের উপর নোট লিখতে গিয়ে মন্ত্রটিকে ধর্মদেব জী  আধ্যাত্মিক ভাবে গ্রহন করেছেন।  তিনি লিখেছেন -

Besides the above meaning given by Rishi Dayananda, the inner or spiritual meaning of the Mantra, when by Agni, God s taken as clearly stated in the first Mantra. is as follows I invoke in this non-vilolent sacrifice, God who is extolled by men, the Beloved, the sweet tongued (giver of the knowledge of the sweet Vedas which are full of sweetness) and the most Liberal Donor.


সংশয়বাদী ধর্মদেবের এই উক্তিতে স্বামী জীর ক্রম ভঙ্গের দোষ খুজে পেয়েছেন।  ধর্মদেব নাকি স্বামীজীর ক্রম ভঙ্গের দোষ দেখে আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা করেছেন। অথচ আমরা স্বামীজীর ভাষ্য পর্যালোচনা করে দেখেছি তিনি কোন মন্ত্রেরই ক্রম ভঙ্গ করেন নি। প্রতিটি মন্ত্রই তিনি ভৌতিক অগ্নি পক্ষে অর্থ করেছেন এবং প্রথম মন্ত্রে ভৌতিক অগ্নির সাথে সাথে ঈশ্বর পক্ষেও অর্থ দেখিয়েছেন। 

 ধর্মদেব জী এখানে স্বামীজীর ভাষ্যের দোষ ধরেন নি তিনি বলেছেন - উপরের মন্ত্রে ঋষি দয়ানন্দ মন্ত্রের আধ্যাত্মিক অর্থ প্রদান করেছেন,  যেহেতু ১ম মন্ত্রে  অগ্নি কে ঈশ্বর রূপে পরিষ্কার ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।  তাহার অনুসরনে  আমি এই অহিংস যজ্ঞে আহ্বান করি ঈশ্বর কে , যিনি  মনুষ্য দ্বারা প্রসংশিত,  অত্যন্ত প্রিয়, মধুজিহ্বা ( বেদের মধুর জ্ঞান প্রদানকারী যাহা মধুপূর্ণ) এবং অত্যন্ত উদার দাতা।

অর্থাৎ ধর্মদেব জী এখানে স্বামী জীর  ১ম মন্ত্রের অনুকুলে আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা করেছেন।  স্বামী জী এ স্থলে যে ভৌতিক অগ্নির সপ্তজিহ্বার বর্ণনা করেছেন সেখানে ধর্ম দেব জী অগ্নি কে ঈশ্বর পক্ষে নিয়েছেন এবং মধুজিহ্বাঃ অর্থ করেছেন -

( মধু জিহ্বম্) মধু জ্ঞানম্ মন আবগমে ইতি ধাতোঃ (মনের্ধশ্চ্ছন্দি উণাতি ২।১১৭)
জ্ঞানময়ো জিহ্বা যস্য সঃ অথবা মাধুর্যযুক্তবেদজ্ঞান দায়কম।।

অর্থাৎ giver of the knowledge of the sweet Vedas which are full of sweetness.

ধর্মদেব জী এখানে স্বামীজীর অনুসারে মন্ত্রের আরেক প্রকার আধ্যাত্মিক ভাষ্য দেখিয়েছেন মাত্র ,কোন ক্রম ভঙ্গের দোষের কারনে নয়।
আর্য সমাজের আরেক সুপ্রসিদ্ধ চতুর্বেদ ভাষ্যকার হরিশরণ সিদ্ধান্তলংকার জী এই সুক্ত টিকে ঈশ্বর পক্ষে ব্যাখ্যা করেছেন 

(অস্মিন যজ্ঞে) এই যজ্ঞে (মধুমান যজ্ঞ) মাধুর্যের মিলের নিমিত্তে (ইহ) এই মানব জীবনে প্রভূ কে (উপহ্বয়ে) আহ্বান করি, যে প্রভূ (নরাশংস) মনুষ্য দ্বারা প্রসংশার যোগ্য, (প্রিয়ম) ওই প্রভূ আমাদের প্রীণিত কারী (মধুজিহ্বম্) ওই প্রভূ মাধুর্যময় জিহ্বাসম্পন্ন,  অর্থাৎ হৃদয়স্থ হয়ে অত্যন্ত মধুরতা দ্বারা নিরন্তর সৎ প্রেরণা দিতে থাকেন,  এই প্রেরণার দ্বারা (হবিষ্কৃতম্) আমাদের জীবন কে হবি করানোকারী।

সুক্তের এরূপ অন্য আধ্যাত্মিক অর্থ তো স্বামীজী প্রথম মন্ত্রেই  দেখিয়েছেন। সংশয় বাদী বলেছেন - স্বামীজী সূক্তের একটি মন্ত্রকে ঈশ্বরপক্ষে ব্যাখ্যা করলেও ঠিক পরের মন্ত্রটিকে একইভাবে ঈশ্বরপক্ষে ব্যাখ্যা করতে তিনি সক্ষম হননি।  অথচ স্বামী জী দুই প্রকারের অর্থই দেখিয়েছেন এবং পরের মন্ত্রগুলোতে ভৌতিক অগ্নির গুণ তথা যজ্ঞে হবন আদির গুণ বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী ভাষ্যকার যেমন হরিশণ জী আধ্যাত্মিক পক্ষে ভাষ্য করেছেন এবং জয়দেব শর্মা তো ভৌতিক ব্যাখ্যার সাথে সাথে আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাও করেছেন।  যদি স্বামী জী ১ম মন্ত্রটিকে শুধু মাত্র মন্ত্রটিকে ঈশ্বরপক্ষে করতেন তবে সংশয় বাদী সংশয় প্রকাশ করতে পারতেন।  কিন্তু সামগ্রীকভাবে বিবেচনা না করে  অকারনে  এরূপ সংশয় প্রকাশ বড়ই আশ্চর্যের বিষয়।

Author

Unknown