
ঈশ্বরের উপাসনা দুই প্রকার, যথা-
১. সগুণ উপাসনা
২. নির্গুণ উপাসনা।
সগুণ উপাসনাঃ-
ঈশ্বরকে ন্যায়কারী, দয়ালু, সর্বশক্তিমান, সচ্চিদানন্দ স্বরূপ ইত্যাদি গুণযুক্ত মনে করিয়া উপাসনা করাকে সগুণোপাসনা বলে।
নির্গুোপাসনাঃ- ঈশ্বরকে জম্ম-মৃত্যু, রোগ-শোক ও পাপাদি রহিত মনে করিয়া উপাসনা করাকে নির্গুণ উপাসনা বলে।
এই দুই প্রকারের উপাসনার ফল আনন্দ প্রাপ্তি। আনন্দ আবার দুই প্রকার, যথা-
ঋনাত্মক_আনন্দ ( অভাবাত্মক আনন্দ)ঃ-
ইহার অপর নাম শান্তি, ইহা নির্গুণ উপাসনার ফল। ইহা দ্বারা মানুষের কিছু প্রাপ্তি হয় না, কিন্তু কিছু ব্যাপার লোপ পায়। আর এই যে লোপ (বিনাশ বা নির্গমন), এর দ্বারা মানুষ যে প্রসন্নতা লাভ করে তাকে শান্তি বা ঋণাত্মক আনন্দ বলে। উপনিষদে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে-
"অশব্দমস্পর্শমরূপমব্যযং তথাহরসংনিত্যমগন্ধবচ্চ যৎ।
অনাদ্যনন্তংমহতঃ পরংধ্রুবং নিচায্যতম্মৃত্যুমুখাৎপ্রমুচ্যতে।।
কঠোপনিষদ ১/৩/১৫.
অর্থাৎ- যিনি অশব্দ, অস্পর্শ, অরূপ, অব্যয়, অরস, নিত্য, অগন্ধ, অনাদি, এবং নিশ্চলাদি গুণযুক্ত, সেই ঈশ্বরের নিশ্চয়াত্মক জ্ঞান লাভ করিয়া মনুষ্য মৃত্যু হইতে পরিত্রাণ পায়।
ইহারই নাম ঋণাত্মক আনন্দ (শান্তি)।
ধনাত্নক আনন্দ(Positive)ঃ-
ইহা সগুণোপাসনার ফল, মানুষ এই উপাসনার দ্বারা আনন্দ লাভ করে। উপনিষদে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে-
"একো বশী সর্বভূতান্তরাত্মা একং রূপংবহুধা য়ঃ করোতি।
তমাত্মস্তং য়েহনুপশ্যন্তিধীরাস্তেষাং সুখং শাশ্বতংনেতরেষাম্।।"
কঠোপনিষদ্ ২/২/১২.
অর্থাৎ- যিনি এক, সকলকে বশীভুত করিয়া রাখেন, সর্বব্যাপক এবং যিনি একরূপ প্রকৃতিকে বহু রূপে পরিণত করেন, যিনি আত্মার ভেতরে বাস করেন, সেই ঈশ্বরকে যে ধীর পুরুষ ধ্যানাবন্তিত হইয়া প্রাপ্ত হইয়া থাকেন তিনি চির আনন্দ প্রাপ্ত হইয়া থাকেন, অন্যে নহে।
ओ३म् कृनन्ती विश्वमार्यम
ReplyDelete