https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

বৈদিক ঈশ্বর বনাম সেমেটিক সৃষ্টিকর্তা - পর্ব ১

Friday, March 23, 2018
                    hinduism vs islam এর ছবির ফলাফল


প্রশ্ন : বৈদিক সনাতন ধর্ম বহু ঈশ্বরবাদী সমগ্র বেদ কেবল ইন্দ্র অগ্নি বায়ু প্রভৃতি দেবতাদের ধারণা ও স্তব স্তুতিতে পরিপূর্ণ

সমাধান : মোটেই না বৈদিক ঈশ্বর তত্ত্ব কেবলমাত্র একেশ্বরবাদী এতে আপনার কথিত দেবতার এক ঈশ্বরেরই গুণবাচক নাম মাত্র



इन्द्रं मित्रं वरुणमग्निमाहुरथो दिव्यः स सुपर्णो गरुत्मान |
एकं सद विप्रा बहुधा वदन्त्यग्निं यमं मातरिश्वानमाहुः ||

ইন্দ্রং মিত্রং বরুণ মগ্নি মাহু রথো দিব্যঃ স সুপর্ণো গরুত্মান।
একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্ত্যগ্নিং যমং মাতরিশ্বানমাহুঃ।।
➢ ঋগ্বেদ. ১/১৬৪/৪৬।
বঙ্গানুবাদঃ-
 এক সত্তা পরব্রহ্মকে
জ্ঞানীরা ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, অগ্নি, দিব্য,
সুপর্ণ, গরুৎমান, যম, মাতরিশ্বা আদি বহু নামে
অভিহিত করেন।

প্রশ্ন : বেদে দেবতা বলতে কি বুঝাচ্ছে  ?

সমাধান :
মহর্ষি যাস্কাচার্য লিখিত বৈদিক শব্দকোষ নিরুক্তে বলা হয়েছে-

নিরক্তে দেব শব্দের অনেক অর্থ রয়েছে।
 "দেবো দানদ বা, দীপনাদ্ বা, দৌতনাদ বা, দ্যুস্থানো ভবতীতি বা; নিঃ ৭।১৫। 
অর্থাৎ দেবের লক্ষন হচ্ছে দান।  ঈশ্বর,সবার হিতার্থে যিনি দান করে সে দেব। দেবের গুণ হচ্ছে দীপন অর্থাৎ প্রকাশ করা। সূর্য,চন্দ্র, অগ্নি প্রকাশ করে বলে তাদের দেব বলা হয়। দেবের কর্ম হচ্ছে দৌতন অর্থাৎ সত্যপদেশ করা। অর্থাৎ যে মানুষ সত্য মানে, সত্য বলে এবং সত্য উপদেশ দান করে সে দেব। দেবের বিশেষতা হচ্ছে দ্যুস্খান অর্থাৎ উপরে স্থিতি লাভ। ব্রহ্মাণ্ডের উপরে স্থিতি লাভ করার জন্য সূর্যকে, সমাজের উপর স্থিতি লাভ করার জন্য বিদ্যান কে এবং রাষ্টের উপর স্থিতি লাভ করার জন্য রাজা কে দেব বলে।

“ত্রয়স্ত্রিং শতাস্তুবত ভুতান্য শাম্যন্ প্রজাপতিঃ।
পরমেষ্ঠ্যধিপতিরাসীত্‍।।” 

 যজুর্বেদ ১৪.৩১

অনুবাদ:-
যাঁহার প্রভাবে গতিশীল প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হয়, প্রজার পালক, সর্বব্যপক ,অন্তরীক্ষে ব্যপ্ত, তাঁহার মহাভূতের তেত্রিশ প্রকার গুনের স্তুতি কর।
 


এখন তেত্রিশ ধরনের শক্তির ব্যখ্যা দেখা যাক।

শতপথ ব্রাহ্মন ১৪.৫ এ যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি শাকল্যকে বলছেন-দেব ৩৩টি যা পরমেশ্বরের মহিমার প্রকাশক।

৮ বসু, ১১রুদ্র, ১২আদিত্য, ১ইন্দ্র, ১প্রজাপতি = ৩৩ প্রকার , শতপথ ব্রাহ্মন

বৃহদারন্যক উপনিষদ ৩.৯.২-১১

→ বিদগ্ধ শাকল্য যাজ্ঞবল্ক্যকে জিজ্ঞেস করলেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব(শক্তি) কয়টি?
=>>যাজ্ঞবল্ক্য বললেন ৩৩টি।

তখন শাকল্য আবার বললেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?
=>>তখন তিনি আবার বললেন ৬টি।

শাকল্য আবার বললেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?
=>>তখন যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিলেন ৩টি।

আবার শাকল্য জিজ্ঞেস করায় তিনি উত্তর দিলেন দুইটি।
তখন শাকল্য আবার জিজ্ঞেস করলেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?
তখন যাজ্ঞবল্ক্য বললেন দেড়টি।
=>>শাকল্য আবার জিজ্ঞেসকরলেন হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?

তখন তিনি বললেন একটি!

তখন শাকল্য জিজ্ঞেস করলেন এই ৩৩টি দেব কি?

★যাজ্ঞবল্ক্য বললেন :-
★৮ বসুগণ :-

অগ্নি
পৃথিবী
বায়ু
অন্তরীক্ষ
আদিত্য
দ্যৌ
চন্দ্র
নক্ষত্র

★১১ রুদ্র হল :-

প্রান(নিশ্বাস)
অপান(প্রশ্বাস)
ব্যন
সমান
উদাম
নাগ
কুর্ম্ম
কৃকল
দেবদত্ত
ধনন্জয়
এবং জীবাত্মা

→ ১২ আদিত্য হল ১২মাস,ইন্দ্র,প্রজাপতি অর্থাত্‍ মোট ৩৩টি।ইন্দ্র হল বিদ্যুত্‍ আর প্রজাপতি হল যজ্ঞ(যে কোনশুভ কর্ম)।

তখন শাকল্য আবার জিজ্ঞেস করলেন তাহলে ৬টা দেব কি কি?
=>> তখন তিনি উত্তর দেন অগ্নি,পৃথিবী, বায়ু,অন্তরীক্ষ, আদিত্য,দ্যুঃ।

তখন তিনি বললেন তাহলে ৩টি দেব কি?
=>>তখন যাজ্ঞবল্ক্য বললেন তিনলোক(ভ্যু,দ্যু,অন্তরীক্ষ)।

তারপর শাকল্য আবার বললেন সেই দুইটি দেব কি কি?
 =>>খাদ্য এবং প্রান-উত্তর দিলেন যাজ্ঞবল্ক্য।

তখন আবার শাকল্য জিজ্ঞেস করলেন সেই দেড়টি কি?
 =>>তখন যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিলেন যিনি প্রবাহিত হন।

তখন শাকল্য বললেন সেই এক এবং অদ্বিতীয় যিনি প্রবাহিত হন তাঁকে আপনি কিভাবে দেড় বললেন?
 =>>তখন যাজ্ঞবল্ক্য বললেন যখন তা প্রবাহিত হয় তখন ই সবকিছু উত্‍পন্ন হতে শুরু করে।তাহলে কে সেই এক? প্রাণ!!!হ্যঁ প্রাণ(পরমাত্মা) সেই এক এবং অদ্বিতীয় দেব যাকে সবাই তত্‍ বলে জানে"

অসাধারন এই শৈল্পিক ও গভীর দার্শনিক কথোপকথন ব্যখ্যা করছে সেই এক এবং অদ্বিতীয় পরব্রহ্ম থেকে সবকিছু উত্‍পন্ন হতে শুরু করে।একে একে অগ্নি,বায়ু,আদিত্য,ভু,দ্যু এবং অন্তরীক্ষলোক, বিদ্যুত্‍শক্তি সবকিছুই তার থেকে তৈরী হয় যাদেরকে ৩৩টি ভাগে ভাগ করা হয় এবং এদেরকে বলা হয় দেব অর্থাত্‍ শক্তি।আর দিনশেষে শক্তি একটাই যা থেকে সকল কিছু আপাতশক্তিপ্রাপ্ত হয়।আর এই শক্তিই এক এবং অদ্বিতীয় পরমাত্মা।


উদাহরণস্বরুপ ঋগ্বেদ ১০.১৫১ এর দেবতা হল 'শ্রদ্ধা' , এই সুক্তের আলোচ্য বিষয় হল ঈশ্বর ও গুরুজনে শ্রদ্ধা বা সম্মান।


 ঋগ্বেদ ১০.১১৭ এর দেবতা হল 'ধনদানপ্রশাংসা' , এই সুক্তের মন্ত্রসমূহের আলোচ্য বিষয় হল গরীবদুঃখীদের দানে উত্সাহিত ও উদ্বুদ্ধ করা।


ঋগ্বেদ ১০.১৪৬ এর দেবতা হল ''অরণ্যানী" , তাই এর আলোচ্য বিষয়বস্তু হল অরণ্য


এভাবে প্রকরণভেদে দেবতা পরিবর্তন ঘটে

কিন্তু পাশ্চাত্য পণ্ডিত সর্বদাই এই বাক্য এড়িয়ে বহু ঈশ্বর এর কথা বলে থাকেন কিন্তু

❏ সত্যমেব জয়তে নানৃতং সত্যেন পন্থা
বিততো দেবযানঃ। যেনাহ্ক্রমন্ত্যৃষয়ো
হ্যাপ্তকামা যত্র তৎ সত্যস্য পরমং নিধানম্।।
➢ মূণ্ডকোপনিষৎ ৩/১/৬
.
অনুবাদঃ
সত্যই জয়লাভ করে, অসত্য জয়লাভ করে না।
যে পথদ্বারা আপ্তকাম ঋষিগণ সেই সত্যের
পরম ধামে গমন করেন,
সেই দেবযান পথও সত্যপ্রভাবেই বিতত
রয়েছে।




তাই বৈদিক সনাতন ধর্ম একেশ্বরবাদী এটা প্রমাণিত
  

প্রশ্ন : বেদে স্পষ্ট ভাবে একেশ্বরবাদ কোথায়  ??

সমাধান :
य एक इत तमु षटुहि कर्ष्टीनां विचर्षणिः |
पतिर्जज्ञे वर्षक्रतुः ||

য এক ইৎ তমু ষ্টুহি কৃষ্টীনাং বিচর্যণিঃ 
পতির্জজ্ঞে বৃষক্রতুঃ।।
➢ ঋগ্বেদ. ৬/৪৫/১৬
বঙ্গানুবাদঃ- যিনি এক অদ্বিতীয়, যিনি
মনুষ্যদের সর্ব্বদ্রষ্টা, যিনি সর্ব্বশক্তিমান ও
পালক একমাত্র তাঁহাকেই উপাসনা কর।


ন দ্বিতীয়ো ন তৃতীয় শ্চতুর্থো নাপ্যুচ্যতে।
ন পঞ্চমো ন ষষ্ঠঃ সপ্তমো নাপ্যুচ্যতে।
নাষ্টমো ন নবমো দশমো নাপ্যুচ্যতে।
য এতং দেবমেক বৃতং বেদ।।
➢ অথর্ব্ববেদ. ১৩/৪/১৬
বঙ্গানুবাদঃ- পরমাত্মা এক, তিনি ছাড়া
কেহই দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ,
সপ্তম, অষ্টম, নবম বা দশম ঈশ্বর বলিয়া
অভিহিত হয় না। যিনি তাঁহাকে শুধু এক
বলিয়া জানেন তিনিই তাঁহাকে প্রাপ্ত হন।

এক ঈশ্বর চিন্তন জ্ঞানীর, বহু ঈশ্বরের ধারণা
মুর্খের।

শঙ্কা : কোরান তো সমস্ত মানবজাতির জন্য নাজিল হয়েছে কিন্তু নারী ও শুদ্ররা তো বেদ পড়তে পারবে না এটাই নিয়ম

সমাধান :

যথেমাং বাচং কল্যাণীমাবদানি জনেভ্যঃ
ব্রাহ্মরাজন্যাভ্যাং শূদ্রায় চার্য্যায় চ স্বায়
চারণায়।।
প্রিয়ো দেবানাং দক্ষিণায়ৈ দাতুরিহভূয়াসময়ং মে কামঃ সমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু
।।
যজুর্বেদ ২৬/২
অনুবাদ : হে মনুষ্যগন আমি যেরূপে ব্রাক্ষণ
,ক্ষত্রিয় ,বৈশ্য ,শূদ্র , স্ত্রীলোক এবং
অন্যান্য সকল জনগনকে এই কল্যানদায়িনী
পবিত্র বেদবানী বলিতেছি ,তোমরাও সেই
রূপ কর।
যেমন বেদবানীর উপদেশ করিয়া আমি
বিদ্বানদের প্রিয় হয়েছি ,তোমরাও সেইরুপ
হও। আমার ইচ্ছা বেদ বিদ্যা প্রচার হোক।
এর দ্বারা সকলে মোক্ষ এবং সুখ লাভ করুক


প্রশ্ন : কোরানেও তো এক আল্লাহর কথা বলা তবে বৈদিক ঈশ্বর আর কোরানের আল্লাহ কি এক

সমাধান :
আর কি কোন যুক্তি আছে এক বলার  ?

প্রশ্ন : আছে আগে বলুন তো বেদে ঈশ্বর নিরাকার বলা এর পক্ষে প্রমাণ কি  ?

সমাধান :

❏ স পর্যগাচ্ছুক্রমকায়ম ব্রণম স্নাবিরং
শুদ্ধ মপাপ বিদ্ধম্ কবির্মনীষী পরিভূঃ স্বয়ম্ভূর্যাথা
তথ্যতোহর্থাম্ব্যদধাচ্ছা শ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ ।।
➢ ঈশোপনিষৎ—৮ (যজুর্বেদ ৪০.৮)
অনুবাদঃ- পরমাত্মা সর্বব্যাপক,
সর্বশক্তিমান, শরীররহিত, ছিদ্র
রহিত, স্নায়ু আদির বন্ধন রহিত,
দোষরোহিত, পাপরহিত,সর্বজ্ঞ,অন্তর্যামী,দুষ্টের দমন কর্তা, স্বয়ম্ভু তিনি তাহার শ্বাশত প্রজা
জীবের জন্য যথাযথ ফলের বিধান করেন।


প্রশ্ন : বেদে ঈশ্বর নিরাকার কোরানেও তো আল্লাহ নিরাকার   ??

সমাধান মোটেও না কোরানে আল্লাহ সপ্ত আসমানের ওপর আরশে ( সিংহাসন ) এ অধিষ্ঠিত আল্লাহ নিরাকার হলে কি করে তার আসন থাকতে পারে  ?

وَهُوَ الَّذِي خَلَق السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاء لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً وَلَئِن قُلْتَ إِنَّكُم مَّبْعُوثُونَ مِن بَعْدِ الْمَوْتِ لَيَقُولَنَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِنْ هَـذَا إِلاَّ سِحْرٌ مُّبِينٌ

তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন, তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে, তিনি  তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। আর যদি আপনি তাদেরকে বলেন যে, "নিশ্চয় তোমাদেরকে মৃত্যুর পরে জীবিত ওঠানো হবে, তখন কাফেরেরা অবশ্য বলে এটা তো স্পষ্ট যাদু!";  [সুরা হুদ - ১১: ০৭ http://quranx.com/11.7]


اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ مَا لَكُم مِّن دُونِهِ مِن وَلِيٍّ وَلَا شَفِيعٍ أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ
আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না? [সূরা সেজদাহ-,আয়াত ৪ http://quranx.com/32.4 ]

قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَن تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ أَسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنتَ مِنَ الْعَالِينَ
আল্লাহ বললেন, হে ইবলীস, আমি স্বহস্তে যাকে সৃষ্টি করেছি, তার সম্মুখে সেজদা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি অহংকার করলে, না তুমি তার চেয়ে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন?
[সূরা-ছোয়াদ (Sad),আয়াত-৭৫http://quranx.com/38.75]

إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ
"সেদিন কোন কোন মুখ খুব উজ্জল হবে । তারা তার পালনকর্তার দিকে তাকিয়ে থাকবে।[সুরা-আল-কিয়ামাহ, আয়াত-২২,২৩-http://quranx.com/75.23]


حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ،
حَاتِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَدِيثِ ابْنِ حَاتِمٍ عَنِ النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏
"‏ إِذَا قَاتَلَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيَجْتَنِبِ الْوَجْهَ فَإِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ
عَلَى صُورَتِهِ ‏"‏ ‏.‏
সহিহ মুসলিম :: বই ৩২ :: হাদিস ৬৩২৫:
নাসর ইবন আলী আল যাহযামী (র)......আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আর ইবন হাতিম বর্ণিত হাদীসেও নবী (সা) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন তার ভাইকে প্রহার করে সে যেন তার চেহারা বাঁচিয়ে রাখে । কেননা, আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ) -কে তার নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন । [Source :https://muflihun.com/muslim/32/6325 ]


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ
هَذَا مَا حَدَّثَنَا بِهِ أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا
وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏
"‏ خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ طُولُهُ سِتُّونَ
ذِرَاعًا فَلَمَّا خَلَقَهُ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ وَهُمْ نَفَرٌ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ جُلُوسٌ فَاسْتَمِعْ
مَا يُجِيبُونَكَ فَإِنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ قَالَ فَذَهَبَ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوا السَّلاَمُ
عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ - قَالَ - فَزَادُوهُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ - قَالَ - فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ
آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ بَعْدَهُ حَتَّى الآنَ ‏"‏ ‏.‏
সহিহ মুসলিম :: বই ৪০ :: হাদিস ৬৮০৯:
মুহাম্মদ ইলূন রাফিঁ (র)......আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেছেন । এর মধ্যে একটি হল এ ই যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আদম (আঃ)-কে তার নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন । তার দৈর্ঘ্য হল ষাট হাত । সৃষ্টির পর তিনি তাকে বললেন, যাও, এ সমস্তদেরকে সালাম কর । তারা হচ্ছে ফিরিশতাদের উপবিষ্ট একটি দল । সালামের জবাবে তারা কি বলে তা খুব মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর । কেননা তোমার এবং তোমার আওলাদের অতিবাদন এই । বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি গেলেন ও বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম” । উত্তরে তারা বললেন, আসসালামু আলাইকা ওয়ারাহমাতুল্লাহ- । তাঁরা ওয়া রামাতূল্লাহ বাড়িয়ে বলেছেন । এরপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে সে আদম (আঃ)-এর আকৃতিতে যাবে । তার দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত । নবী (সা) বলেনঃ এরপর হতে মানব দেহের পরিমাণ দিন দিন কমতে থাকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ।[Source :https://muflihun.com/muslim/40/6809 ]

আল্লাহর যে পাঁচ আঙ্গুল বিশিষ্ট হাত আছে , পা-ও আছে , সেটাও আছে হাদিসে ,যেমন -


حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، - يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ - عَنْ
مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ جَاءَ حَبْرٌ إِلَى النَّبِيِّ
صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَوْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ عَلَى إِصْبَعٍ وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالْجِبَالَ وَالشَّجَرَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالْمَاءَ وَالثَّرَى
عَلَى إِصْبَعٍ وَسَائِرَ الْخَلْقِ عَلَى إِصْبَعٍ ثُمَّ يَهُزُّهُنَّ فَيَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَنَا الْمَلِكُ ‏.‏ فَضَحِكَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَعَجُّبًا مِمَّا قَالَ الْحَبْرُ تَصْدِيقًا لَهُ ثُمَّ قَرَأَ ‏{‏ وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ
قَدْرِهِ وَالأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا
يُشْرِكُونَ‏}‏
সহিহ মুসলিম :: বই ৩৯ :: হাদিস ৬৬৯৯
আহমদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন ইউনূস (র)...... আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, একদা এক ইয়াহুদী আলিম নবী (সা)-এর নিকট এসে বললো, হে মুহাম্মাদ! অথবা (বললো) হে আবুল কাসেম কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আকাশকে এক আঙ্গুলে, যমীনকে এক আঙ্গূলে, পর্বত ও বৃক্ষরাজি এক আঙ্গুলে; পানি ও মাটি এক আঙ্গুলে এবং সমস্ত সৃষ্টিকে এক আঙ্গূলে তুলে ধরবেন । তারপর এগুলো দুলিয়ে বলবেন, আমিই বাদশাহ, আমিই অধিপতি ।” পাদরীর কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বিনয়ের সাথে তার সত্যায়ন স্বরুপ হাসলেন । এরপর তিনি পাঠ করলেনঃ “তারা আল্লাহর যথোচ্চিত সম্মাল করেনি । কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তার হাতের মুষ্টিতে এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে তার ডান হাতের আয়ত্ত্বে । পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে- তিনি তার ঊধের্ব ।” [Source : https://muflihun.com/muslim/39/6699]

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا فَضْلُ بْنُ مُسَاوِرٍ، خَتَنُ أَبِي عَوَانَةَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ ـ رضى الله عنه ـ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ اهْتَزَّ الْعَرْشُ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ ‏"‏‏.‏ وَعَنِ الأَعْمَشِ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ لِجَابِرٍ فَإِنَّ الْبَرَاءَ يَقُولُ اهْتَزَّ السَّرِيرُ‏.‏ فَقَالَ إِنَّهُ كَانَ بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَيَّيْنِ ضَغَائِنُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ ‏"‏‏.‏
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৫ :: অধ্যায় ৫৮ :: হাদিস ১৪৭:
মুহাম্মদ ইব্ন মুসান্না (র) ........ জাবির (রা) বলেন, আমি নবী করীম (সা)-কে বলতে শুনেছি সা’দ ইব্ন মু’আয (রা)-এর মৃত্যুতে আল্লাহ্ ত’আলার আরশ কেঁপে উঠে ছিল। [Source :https://muflihun.com/bukhari/58/147 ]

মুহাম্মাদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (কিয়ামতের দিন)
আল্লাহ তাঁআলা যমীনকে আপন মুঠোয় আবদ্ধ করবেন আর
আকাশকে ডান হাত দিয়ে লেপটে দিবেন। এরপর তিনি
বলবেন:আমই বাদশাহ, দুনিয়ার বাদশাহরা কোথায়?।
( সহীহ বুখারী ১০র্ম খন্ড হাদিস নম্বর ৬০৭৫)
সুতরাং বৈদিক নিরাকার ঈশ্বর এর কনসেপ্ট এর সাথে কোরানের সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য মেলানো বুদ্ধিহীনতার পরিচয় বটে

প্রশ্ন : আর কি পার্থক্য আছে  ?

সমাধান : ঈশ্বরকে বেদে , উপনিষদে সর্বব্যাপী বলা কোরানের আল্লাহ কি সর্বব্যাপী ?

যত্তদদ্রেশ্যমগ্রাহ্মমগোত্রমবর্
ণমচক্ষূঃশ্রোত্রং তদপাণিপাদম্। নিত্যং
বিভূং সর্বগতং সূসুক্ষ্মং তদব্যয়ং
যদ্ভুতয়োনিং পরিপশ্যন্তি ধীরাঃ।।
➢মূণ্ডকোপনিষৎ ১/১/৬
অনুবাদঃ যিনি অদৃশ্য, অগ্রাহ্য, অগোত্র, অবর্ণ
এবং অচক্ষুঃ ও অশ্রোত্র, যিনি হস্তপাদশূন্য,
নিত্য, বিভু, সর্বব্যাপী এবং অতিসূক্ষ্ম, সেই
অব্যয় এবং সর্বভূতের কারনকে ধীরগণ সর্বতঃ
দেখতে পান।

অগ্নীর্মুর্ধা চক্ষূষী চন্দ্রসুর্যৌ দিশঃ
শ্রোত্রে বাগ্ বিবৃতাশ্চ বেদাঃ। বায়ূঃ
প্রাণো হৃদয়ং বিশ্বমস্য পদভ্যাং পৃথিবী
হ্যেষ সর্বভুতান্তরাত্মা।।
➢মূণ্ডকোপনিষৎ ২/১/৪
অনুবাদঃ অগ্নি তার মূর্ধাস্বরুপ, চন্দ্র-সূর্য
তার চক্ষূস্বরুপ, দিকসমুহ তার শ্রোত্রস্বরুপ,
বিবৃত বেদসকলই তার বাকস্বরুপ, বায়ু তার
প্রাণস্বরুপ, বিশ্ব তার হৃদয়স্বরুপ, তার পদ
থেকে এই পৃথিবী, তিনি সর্বভূতের
অন্তরাত্মা।

শঙ্কা :সর্বব্যাপীত্ব না থাকলে কি সমস্যা?

সমাধান :

ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান সেই জন্যে তিনি সকল স্থানেই বিদ্যমান। ঈশ্বর আকাশে কোন বিশেষ জায়গায় অথবা কোন বিশেষ সিংহাসনের মত কোন নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতেন তাহলে তিনি সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ, সর্বনশক্তিমান, সকল কিছুর পরিচালক, সৃষ্টিকারী ও ধ্বংসকারী হতে পারতেন না। তিনি যেখানে বর্তমান নেই সেখানে তিনি তার কোন ক্ষমতায় প্রয়োগ করতে পারবেন না।  যদি তুমি বল ঈশ্বর কোন এক জায়গা থেকে পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছেন যেমন করে সুর্য লক্ষ কোটি মাইল দূর থেকে আলো ছাড়ায় অথবা যেমন করে রিমোর্টের মাধ্যমে তুমি টেলিভশনকে নিয়ন্ত্রণ কর, এগুলো সব দুর্বল যুক্তি। কারন সূর্য পৃথিবীকে আলোকিত করা ক্ষমতা রাখে এবাং রিমোট কন্ট্রোল টেলিভিশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে রশ্মিবিচছুরণ তরঙ্গের (radiation waves) মধ্য দিয়ে যা অর্ন্তবর্তি কাল ও সীমার মধ্যে ( interim space) সীমাবদ্ধ। যেহেতু আমরা তাদের দেখতে পারি না তাই আমরা একে দূর নিয়ন্ত্রক (remote control) বলি। কিন্তু বাস্তবে দূর নিয়ন্ত্রক বলে কিছু নেই। মূল কথাটি হচ্ছে ঈশ্বর কোন কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলতে আমরা বুঝি তিনি সেখানে উপস্থিত থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছেন।  ৩. অধিকন্তু যদি ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হয়ে থাকেন তাহলে কেন তিনি ভীত হয়ে নিজেকে একটি ছোট জায়গায় সীমাবদ্ধ করবেন। এতে করে ঈশ্বর সীমিত শক্তির হয়ে যাবেন। খ্রিষ্টানরা বলে যে ঈশ্বর আছেন ৪০ আসমানে আর মুসলিমরা বলে সাত আসমানে। এবাং তাদের অনুসারীরা পরস্পরের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকে তার নিজের মতটা সত্য ও যথার্থ বলে প্রমাণ করতে

শঙ্কা :  তার মানে কি ঈশ্বর অ্যালকোহল, মূত্র, বিষ্ঠার মত নোংরা জিনিসেও বিদ্যমান?

উত্তরঃ
সমস্ত সৃষ্টি ঈশ্বরের মাঝেই। কারন হলো ঈশ্বর এই সকল জিনিসের বাইরে কিন্তু এই সকল জিনিস ঈশ্বরের বাইরে নয়। সুতরাং পৃথিবীর সমস্ত কিছুতে ঈশ্বর পরিব্যাপ্ত। উপমা স্বরূপ বলতে পারি আমরা ঈশ্বরের মাঝে আছি যেমন করে এক টুকরো কাপড় এক বালতির জলে মধ্যে থাকে। কাপড়টির মধ্যে, বাইরে এবাং চারিদিকে জল বিদ্যমান। পুরো কাপড়ের টুকরোটিতে জলে ভিজে গেছে কিন্তু জল কাপড়ে বাইরে।  তাই কোন কিছু ভাল ও মন্দ নির্ভর করে সেটার প্রতি আমাদের দ্বায়িতটা কি রকম তার উপর। এক ধরনের কত গুলো অণু মিলে একটি মিষ্টি আম হিসেবে গড়ে ওঠে যা আমাদের জন্য খুবই কদরের বস্তু। কিন্তু যখন এই অণুগুলোকে আলাদা করা হয়, অন্যন্যা রাসায়নিক পর্দাথের সাথে বিক্রিয়া করা হয় এবং সেগুলোকে মলমূত্রে পরিণত করা হয় তখন তা আমাদের জন্য নোংরা হয়ে যায়।প্রকৃতপক্ষে এই সকল জিনিসের সার হচ্ছে শুধু মাত্র প্রকৃতির বিভিন্ন অণুর সমন্বয় মাত্র। যেহেতু পৃথিবীতে আমাদের একটা মিশন রয়েছে, তাই আমরা সমস্ত কিছুকে আমরা বিশ্লেষণ করি আমাদের মিশন অনুযায়ী এবং কিছু গ্রহন করি আর কিছু পরিত্যাগ করি। যা আমরা ত্যাগ করি তা আমদের জন্য নোংরা আর যা আমরা গ্রহন করি তা আমাদের জন্য ভাল। কিন্ত ঈশ্বরের কাছে এই ধরনের দায়িত্ব নেই  তার কাছে কোন কিছুই নোংরা নয়। অন্য ভাবে বলা যায়, তার কর্ম ও দ্বায়িত আমাদের চেয়ে ভিন্ন। তাই জগতের সমস্ত কিছু তার স্পর্শের বাইরে নয়।  আপনি যদি অন্য ভাবে দেখতে চান তাহলে বলব যে ঈশ্বর কোন নাম মাত্র সমাজকর্মী নন যিনি সশরীরে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের দুর্দশা পর্যবেক্ষন করার জন্য দুর্গত স্থান পরিদর্শন না করে দূর থেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসেই পরিকল্পনা করতে পছন্দ করেন। বরাং ঈশ্বর সকল স্থানের নোংরাগুলির মাঝে বর্তমান থাকেন আমাদের উপকারের জন্য। যেহেতু ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ সেহেতু তিনি সর্বত্র ব্যাপী এবাং সমস্ত তার মাঝে বর্তমান হওয়া সত্ত্বেও তিনি ঐ সকল বিষয় হতে বাইরে ও ভিন্নতর।
See Also :[ Clik on the title  ]
1.আল্লার সন্ধান বেদে,জাকির নায়েকিয় রসিকতা
2.জাকির নায়েকিয় অষ্টম আশ্চর্য;বেদে নবীর খোঁজ ও কিছু রসিকতা  
3.অথর্ববেদের কুন্তাপ সূক্তে ইসলামের নবী: চাঁদে সাঈদীর দর্শন  
[ চলবে...]

  1. কেবল অসাধারণ, আর কিছুই বলার নেই

    ReplyDelete
  2. দারুণ লেখনী, চালিয়ে যান। ওঁ তৎ সৎ

    ReplyDelete
  3. এর চেয়ে ভালো রেফারেন্স আর কি হতে পারে।পরম আয়ু আর নিজ ধর্ম বিস্তারের জন্য পরম প্রভু দীর্ঘ আয়ু দান করুন। আর আপনেদের রক্ষা করুন।

    ReplyDelete
  4. অসাধারণ লেখা, পড়ে খুব ভালো লাগলো। বৈদিক সনাতন ধর্মের জয় হোক, সত্যের জয় হোক, জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ,ওম।

    ReplyDelete