অপপ্রচার : আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা ‘স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী’, এই নাম হয় সন্ন্যাস গ্রহণের পরে, কিন্তু এর আগে তার কি নাম ছিল তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনা ৷ এমনকি দয়ানন্দের পিতা-মাতার নামও কেউ জানেনা ৷ দয়ানন্দ নিজেকে ব্রাহ্মণ ঘরের সন্তান বলে দাবি করতেন, কিন্তু তিনি এমন কোন
প্রমাণ উপস্থাপন করেননি যাতে তার কথা সত্য প্রমাণিত হয় ৷ অর্থাৎ আর্যসমাজীগণ এমন এক
ধর্মগুরুর পদাঙ্ক অনুসরণ করছে যার বংশ-পরিচয় অনিশ্চিত ৷
সমাধান :
সম্পূর্ণ মিথ্যাচার
দয়ানন্দ চরিত ৩৯,৪০
দয়ানন্দ চরিত ৭৬,৭৭ পৃষ্ঠার ফুটনোট
অপপ্রচার : এরপর দয়ানন্দ যখন যুবক, পিতা যখন দয়ানন্দের
বিবাহের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছেন, তখন
তিনি বাড়ি হতে পলায়ন করেন ৷
(যে মেয়েটির সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তার কি দশা হয়েছিল?)
সমাধান : পুনরায় মিথ্যাচার মহর্ষি দয়ানন্দ বারংবার তার পিতামাতার কাছে গৃহত্যাগের অনুমতি চেয়েছেন পরবর্তীতে যখন তার বিবাহ আলোচনা ও উদ্যোগ গৃহীত হয় তখন তিনি গৃহত্যাগ করেন যেহেতু তিনি বিবাহ আসর থেকে পলায়ন করেননি তাই কন্যার সাথে কোন প্রকার অন্যায় [ লগ্নভ্রষ্টাদি ] হওয়ার প্রসঙ্গ অবান্তর
দয়ানন্দ চরিত, পৃষ্ঠা ৪৪
অপপ্রচার : পলাতক দয়ানন্দ একদিন সকালে সিদ্ধপুরের
নীলকন্ঠ মন্দিরে অবস্থান করছিলেন ৷ দয়ানন্দের
পিতা এক বৈরাগীর কাছ থেকে দয়ানন্দের খবর
পেয়ে সেই সময় সিপাহীসহ দয়ানন্দকে ধরতে
আসলেন ৷ তখন দয়ানন্দ পিতার হাতে মার খাওয়ার
ভয়ে মিথ্যা কথা বলেন যে তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি হতে
পলায়ন করেন নাই, কোন অসৎ ব্যক্তির পরামর্শে
এইকাজ করেছেন এবং তিনি এখন অনুতপ্ত ও বাড়ি
ফেরার কথাই ভাবছিলেন ৷
(অর্থাৎ সত্য কথা বলার মতো অকুতোভয়ী তিনি
ছিলেন না, আর সেই দয়ানন্দই যদি লেখেন
‘সত্যার্থ-প্রকাশ’ তাতে কতটা মিথ্যা থাকতে পারে তা
একবার ভেবে দেখুন)
সমাধান : তখন তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন আর অপপ্রচারকারী মহাশয় আর্য সমাজ থেকে প্রচারিত পুস্তক থেকেই কথাগুলো তুলে ধরেছেন আর্যসমাজ কি এতটাই বোকা যে যেবিষয়ে মহর্ষির নিন্দা হবে তা জেনেও ওই বিষয়ে মন্তব্য করা ? বস্তুতঃ তারা মহর্ষির এই মিথ্যা বলাকে তার ভ্রান্তি ও অপরিপক্বতাই বলেছেন এবং মন্তব্য করেছেন এই ত্রুটি স্বাভাবিক ও সঙ্গত কারণ তিনি জ্ঞান লাভের সংকল্প সিদ্ধির জন্যই একার্য করেছিলেন
দয়ানন্দ চরিত পৃষ্ঠা92,93
সুতরাং পরবর্তীতে রচিত সত্যার্থ প্রকাশে মিথ্যার কথা টেনে আনা অনুচিত যদি মিথ্যাই থাকত তবে মাওলানা মেহেবুব আলী , পণ্ডিত মহেন্দ্র পাল আর্য হতেন না আর উত্তর প্রদেশ এর যোগী আদিত্যনাথও সনাতন ধর্মে প্রত্যাবর্তন ইচ্ছুকদের তা পড়তে বলতেন না
অপপ্রচার :
দয়ানন্দের প্রতি তার পিতার কোন আস্থা-বিশ্বাস ছিলনা,
কেননা বিশ্বাস করার যোগ্য সন্তান তিনি জন্ম দেন
নাই ৷ তাই তিনি দয়ানন্দকে নজরে রাখার জন্য
দয়ানন্দের সাথে সিপাহী নিযুক্ত করে দিলেন ৷
এদিকে দয়ানন্দ আবার পালানোর কৌশল খুজতে লাগল
৷ একদিন রাতে দয়ানন্দ ঘুমানোর ভান করে শুয়ে
আছেন, সিপাহীরা ভাবল দয়ানন্দ ঘুমিয়ে পরেছে ৷
তাই তারাও ঘুমাতে গেল ৷ এই সুযোগে
সিপাহীদের ধোকা দিয়ে তিনি আবার বাড়ি হতে
পলায়ন করলো ৷
(সত্যার্থ-প্রকাশ গ্রন্থেও তিনি শাস্ত্রবাক্য নিয়ে
ধোকাবাজী করেছেন, কিন্তু দয়ানন্দ অনুরাগীরা
তা বুঝতে পারে না)
সমাধান : ভুল আরোপ মহর্ষি বাল্যকাল থেকেই গৃহত্যাগ করে জ্ঞান অন্বেষণে বের হতে চেয়েছিলেন , যোগালম্বন করে শাশ্বত সুখ চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁর পিতা সর্বদা তাঁকে সংসারী এবং সংসার উপভোগ করার ইচ্ছা পোষণ করতেন
দয়ানন্দ চরিত পৃষ্ঠা ৯৩
প্রথম বার বের হয়ে যখন তিনি পিতৃহস্তে ধরা পড়েন তখন তার পিতা পুনরায় পলায়ন যাতে না করেন তাই পাহারা বসান
দয়ানন্দ চরিত পৃষ্ঠা ৯৩
সত্যার্থ প্রকাশে কি অর্থ ভুল আছে তা মাননীয় অপপ্রচারকারী পেশ করলে বাধিত থাকব এবং বোঝার চেষ্টা করব
অপপ্রচার : দয়ানন্দ সরস্বতী মূর্তিপূজার প্রতি অবিশ্বাসী ছিলেন, ঈশ্বরের অবতার মানতেন না, শিব-রাম- কৃষ্ণকে কেবল সাধারণ মানুষ মনে করতেন ৷ তিনি এসকল বিষয়ে যখন বিভিন্নস্থানে ভাষণ দিতেন তখন শ্রোতারা তার ভাষণ শুনে ইট-পাটকেল-জুতো ছুড়ে মারত ৷
সমাধান : সত্য কারও গায়ে সহ্য না হলে সে বিদ্বেষ করবে স্বাভাবিক
ধরুন আপনি এমন এক স্থানে গেলেন যেখানে ভাগবত+বৈষ্ণবদের আস্তানা সেখানে গিয়ে ভাগবতের নিচের শ্লোক গুলো তুলে ধরলেন --
ভাগবত পুরাণ ৬.৬.৫ : লম্বার গর্ভে জন্ম নিল
বিদ্যোত | যার থেকে সৃষ্টি হয়েছে মেঘের!!
SB 6.6.5 —
O
King, a son named Deva-ṛṣabha was born from the womb of Bhānu, and from
him came a son named Indrasena. From the womb of Lambā came a son named
Vidyota, who generated all the clouds.
সংকল্প ,আর তার পুত্র কাম!!
SB 6.6.10-11 —
The
son of Saṅkalpā was known as Saṅkalpa, and from him lust was born. The
sons of Vasu were known as the eight Vasus. Just hear their names from
me: Droṇa, Prāṇa, Dhruva, Arka, Agni, Doṣa, Vāstu and Vibhāvasu. From
Abhimati, the wife of the Vasu named Droṇa, were generated the sons
named Harṣa, Śoka, Bhaya and so on.
ভাগবত পুরাণ ৬.৬.১২ : ধ্রুবর স্ত্রী ধরণীর গর্ভ
হতে বিভিন্ন শহরের সৃষ্টি হয়
SB 6.6.12 —
Ūrjasvatī,
the wife of Prāṇa, gave birth to three sons, named Saha, Āyus and
Purojava. The wife of Dhruva was known as Dharaṇi, and from her womb
various cities took birth.
ভাগবত পুরাণ ৬.৬.১৬ : আতপা থেকে পঞ্চমা
জন্মলাভ করে আর তার থেকে জন্ম হয় দিনের
পরিব্যপ্তি |
SB 6.6.16 —
Ūṣā,
the wife of Vibhāvasu, gave birth to three sons — Vyuṣṭa, Rociṣa and
Ātapa. From Ātapa came Pañcayāma, the span of day, who awakens all
living entities to material activities.
ভাগবত পুরাণ ৬.৬.২৭, ২৮,২৯ : সুরভীর গর্ভ
থেকে মহিষ,গরু এবং অন্যান্য দ্বিখুর বিশিষ্ট পশুর
জন্ম হয়েছে!! তাম্রার গর্ভ হতে শ্যেন ও গৃধ্র
ও অন্যান্য শিকারী পাখির জন্ম হয়!!আবার কশ্যপমুনির স্ত্রীর গর্ভ হতে অপ্সরার জন্ম হয়!!
ক্রোধবশার গর্ভে সাপ, বিছা বিষধর প্রাণী ও ইলার
গর্ভে লতা - বৃক্ষ বনস্পতির জন্ম হয় | সুরসার
গর্ভে যাতুধান ( রাক্ষস) এর জন্ম | অরিষ্টার গর্ভে
গন্ধর্বগণ এবং কাষ্ঠার গর্ভে একখুর বিশিষ্ট
জন্তুদের |
From:https://www.vedabase.com/en/sb/6/6
এসব বেদ বিরুদ্ধ অবৈজ্ঞানিক তথ্যগুলোকে আপনি যদি পরিত্যাজ্য বলেন আর পাবলিক যদি তাতে ক্ষেপে গিয়ে হামলা করে তবে দোষ কার ? আর এই ঘটনাতে মূর্খ কারা প্রমাণিত হয় ?
আশা করি বুঝতে পেরেছেন বুদ্ধিমানের জন্য ইশারা যথেষ্ট
অপপ্রচার : তো শেষমেশ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী কি উপাধি
অর্জন করেছিল জানেন? তার উপাধি ছিল ‘কোলাহল-
স্বামী’ ৷ কারণ যেখানেই যেতেন তিনি নিজেই
কোলাহল জুড়ে দিতেন এবং বিরোধীপক্ষের
যুক্তিতে না পেরে দিলে তাদের যুক্তিকে তিনি
স্বয়ং কোলাহল আখ্যা দিতেন ৷
সমাধান : সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বরং যখন কোন বিতর্কে মহর্ষির বিরুদ্ধে কয়েকজন একত্রে কথা বলে গোলমাল করত তখন তিনি কোলাহল করতে নিষেধ করতেন বিপক্ষ তখন যুক্তিতে তো পারতো না বরং পিছনে পিছনে "কোলাহল স্বামী " বলে নিজেদের গায়ের ঝাল মেটাতো মূর্খের তো গালাগাল আর কটাক্ষই সম্বল আর মহর্ষি এই কাহিনী নিজ মুখে বলেছেন যে নিজের মস্তিষ্ক অপ্রাকৃত জ্ঞানে গঙ্গার জলে বিসর্জন দেয়নি সে অনায়াসে বুঝতে পারবে মহর্ষি শুধু শুধু এই ইতিহাস বলেননি
দয়ানন্দ চরিত পৃষ্ঠা 51
অপপ্রচার : শ্রী অরবিন্দ কপালী শাস্ত্রী ইনস্টিটিউট এর
বেদভাষ্যকার R L Kashyap তার ঋগ্বেদ ভাষ্যের
শেষে লিখেছেন— “দয়ানন্দ একই শব্দের বিভিন্ন
স্থানে বিভিন্ন অর্থ করেছে, যাতে করে তিনি
কোন মন্ত্রের যেরুপ অর্থ আকাঙ্ক্ষা করেন,
সেরুপ অর্থই বানাতে পারেন ৷” অর্থাৎ দয়ানন্দের
বেদভাষ্য হচ্ছে তার নিজস্ব মতবাদের ভাষ্য ৷
সমাধান : তাই নাকি ! এই আর এল কশ্যপ নিজে কত পণ্ডিত দেখে নিন
ঋগ্বেদ ১.১২৬.৬-৭ এর অনুবাদ ইনি সায়ণ অনুযায়ী অশ্লীল অনুবাদ করেছেন লজ্জায় পড়ে বলেছেন এই মন্ত্র নাকি পরবর্তী কালের সংযোজন হতে পারে এতে ঐতিহাসিক চরিত্র আছে বলেও তার মত !! এটি রাজা রাণীর নাকি "সেক্সুয়াল" কথার সমর্থন করে
মানে নিজে না পারলে তা পরবর্তী কালে যুক্ত যে ব্যক্তি বেদ নিয়ে এরকম কথা ও অনুবাদ করে তার জ্ঞান কতটুকু বোঝাই যায় ইনি আবার মহর্ষি দয়ানন্দের ভুল ধরতে আসেন !! মহর্ষি দয়ানন্দ নিরুক্তাদির সাহায্যে কি সুন্দর ভাষ্য করেছেন তা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে http://back2thevedas.blogspot.com/2017/11/blog-post_95.html#more
যার নিজের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই সে অপরের ভাষ্যকে মতবাদ বলতে আসে কোন মুখে
ঋগ্বেদ ২.৭.৫ এ তিনি গোহত্যার পক্ষে ভাষ্য করেছেন অথচ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সায়ণের ভুল ব্যাখ্যার ওপর আধারিত
সঠিক ভাষ্য পড়ুন এই লিংকে http://back2thevedas.blogspot.com/2016/12/blog-post_12.html#more
অপপ্রচার : দয়ানন্দ ‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি’ (যজুর্বেদ ৩২/৩) দ্বারা
দাবি করেন যে প্রতিমাপূজা বেদবিরোধী ৷
শ্রীঅরবিন্দ কপালী শাস্ত্রী ইনস্টিটিউট হতে
প্রকাশিত ‘যজুর্বেদ’ নামক আর্টিকেলে সরাসরি
দয়ানন্দের নাম উল্লেখ তার দাবির বিরোধীতা করা
হয়েছে এবং সঠিক অনুবাদ তুলে ধরা হয়েছে ৷
সমাধান : সে হিসেবে তাদের আগে শ্রী অরবিন্দকে কারেকশন করা দরকার কারণ অরবিন্দও প্রতিমা অর্থ ইমেজই করছেন
শ্বেতাশ্বতর ভাষ্য 4/19, শ্রী অরবিন্দ
আবার ঐ আর্টিকেলেই "শুক্ল যজুর্বেদ " এর জন্য মহর্ষি দয়ানন্দের ভাষ্য সাজেস্ট করা হয়েছে
Yajur Veda P70,71
সুতরাং তারা কেবল জনগণের সামনে নিজেদের ইমেজ বাঁচানোর জন্য ভিন্নার্থ করেছে
অপপ্রচার : শ্রী
অরবিন্দ বলেছেন যে দয়ানন্দের মতবাদ
অনুসারে - “বেদের আধ্যাত্মিক তত্ত্ব হলো
একেশ্বরবাদ ও বৈদিক দেবতারা হলেন এক
দেবের বিভিন্ন বর্ণনাত্মক নামমাত্র ৷” দয়ানন্দ
দেবতাদের রূপ স্বীকার করত না, দয়ানন্দের
এইরুপ মতবাদের বিরুদ্ধে শ্রীঅরবিন্দ বলেন—
“সত্য বটে ঋগ্বেদ নিজেই বলেছে যে
দেবতারা হলেন এক বিশ্বাত্মক সৎ-এর বিভিন্ন নাম ও
প্রকাশ, যিনি আবার বিশ্বকে অতিক্রম করেও আপন
স্বরুপে অবস্থান করেন ৷ কিন্তু সূক্তগুলোর
বক্তব্য থেকে আমরা এই উপলব্ধি করতেও বাধ্য
যে শুধু নামই নয়, দেবতারা হলেন এক সত্তার রূপ,
শক্তি ও ব্যষ্টি প্রকাশ ৷ বেদের একেশ্বরবাদে
অদ্বৈতবাদ, সর্বেশ্বরবাদ, বহুদেবতাবাদও অন্তর্ভূক্ত
৷ যদি আমরা বেদের মন্ত্রগুলোর সাথে প্রবল
ধ্বস্তাধ্বস্তি করি, তাহলেই শুধু তার ওপর আমরা
(দয়ানন্দের মতো) একটি কম জটিল মতবাদ জোর
করে চাপাতে পারি ৷”
সমাধান : সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ পড়ুন আগে
এতে স্পষ্ট বলা যে দয়ানন্দজির ভাষ্য আধ্যাত্মিকতা যুক্ত কিন্তু তিনি কম জটিল মতবাদ বলেছেন এই ভিত্তিতে কারণ ইঊরোপিয় তথাকথিত জটিল মতবাদ ইতিমধ্যে চেপে বসেছে তার পর বেদের এহেন দুরুহ অর্থ যা মহর্ষি বের করছেন নিরুক্তাদির ভিত্তিতে তা পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের চেয়ে কম জটিল এবং প্রকৃত নতুবা "দয়ানন্দ এবং বেদ " পুস্তকে তিনি দয়ানন্দজির ভূয়সী প্রশংসা করতেন না
অপপ্রচার : এই বইতে লেখা আছে দয়ানন্দ আত্মা নিয়ে ভুলভাল বক্তব্য দিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন
প্রথমতঃ যে বইটি থেকে দাবি করা হয়েছে সেটি আহমেদিয়া সম্প্রদায়[কাদিয়ানী] এর । যারা মীর্যা গোলামকে নবী মানে । তিনি ইসলামের পরিপূর্ণতা দানকারী একজন উম্মতি নবী হিসেবেও নিজেকে দাবী করেন এবং তার সপক্ষে কুরআনের বহু আয়াত এবং মোজেজা পেশ করেন। এদের বৈধতা খোদ ইসলামিক সমাজেই নেই । এদের দিয়ে পৌরাণিক মহাশয় প্রমাণ করতে চাচ্ছিলেন মহর্ষির পরাজয় প্রচার করতে !!
Source :https://en.wikipedia.org/wiki/Mirza_Ghulam_Ahmad
পাকিস্তানে আহমদিয়ারা সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষিত।
Source : https://en.wikipedia.org/wiki/Persecution_of_Ahmadis
এরা মুসলিম নয় বলেই সর্বাধিক পরিচিত । আর এদের লেখা প্রচার করছেন ? এদের দাবির পক্ষে কি প্রমাণ ? এরা তাঁদের কাহিনীর প্রমাণ টানে তাঁদের বই থেকেই । বিষয়টা অনেকটা এরকম - আপনি বললেন আমি এ দেশের রাজা । প্রমাণ চাওয়াতে আপনি বললেন আপনার শিষ্যরা আপনাকে রাজা বলে এটাই প্রমাণ ।
তাঁরাও যে প্রমাণ টেনেছে তাঁদেরই বই থেকে এবং তথাকথিত উকিলে হিন্দুস্থান পত্রিকায় ইতিহাস বা সংখ্যা দিতেই পারবে না । যদি পারে তবে দিক ।
রাবল পিন্ডী নগরে শাস্ত্রচর্চা ( ৭ নভেম্বর, সন ১৮৭৭ - ২৯ ডিসেম্বর ১৮৭৭)
বিহার বন্ধু" পত্রিকায় ৪৮নং সংখ্যায় ৫ ই ডিসেম্বর ছাপা হয় যে - " পন্ডিত দয়ানন্দ সরস্বতী আজকার রাবলপিন্ডী বিরাজ করছেন ।"
Maharshi Dayanand Ka Jevvan Chrita - Pandit Lekhram
এতে প্রমাণ হয় এইসময় তিনি লাহোর ছিলেন না ।
এরা পাকিস্তানে পণ্ডিত লেখরাম এর জবাব এর যন্ত্রণাতে পড়ে পণ্ডিত লেখরামকে খুন করে এই হত্যার কারণ বর্ণনায় আহমদিয়াদের তথাকথিত নবী বলেন এই হত্যা আল্লাহর নির্দেশেই !!
Source:https://en.wikipedia.org/wiki/Pandit_Lekh_Ram
সুতরাং তাঁরা যে ভণ্ড এবং তাঁদের স্বরচিত পুস্তক যে ঐ রূপ মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য পণ্ডিত লেখরামের নিকট তাঁরা শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয় যা থেকে বাঁচতেই হত্যা করেন লেখরামজীকে
আর পৌরাণিকরা যারা এটা প্রচার করছে তাঁদের এটা জানিয়ে রাখি এই কাদিয়ানীরাই তাঁদের নেতা মাওলানা আব্দুল হকের "বিশ্ব ধর্মগ্রন্থে মুহম্মদ" নামে বই লেখে যাতে নির্লজ্জভাবে বেদ,উপনিষদ,
পুরাণে,কল্কি অবতারে মুহম্মদ খুঁজে পেয়েছে যা বর্তমানে অনলাইন কাঠমোল্লাদের চর্বিত চর্বণ । Source :http://www.abdulhaq.info/
আর তাঁদের লেখা বই আপনার দাবির মূল ভিত্তি ! মারহাবা !! আর্যদের নামে অপপ্রচার চালাতে মোল্লাদের পদলেহন করতেও বুঝি বাধছে না !?
৷ তিনি বেগম নান্নিজান নামক এক মুসলিম মহিলার হাতে
বিষ খেয়ে বহুদিন যাবৎ ভুগতে ভুগতে মারা যান
৷ ঈশ্বর কেন তাকে এমন যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু দিলেন?
সমাধান : তাঁর মৃত্যু কাহিনী পণ্ডিত লেখরাম এবং দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় রচিত জীবন গ্রন্থ মতে নিম্নলিখিত রূপ :-
নান্নিজানের সাথে রাজাকে দেখে মহর্ষির নিন্দা :
প্রচারের জন্য স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী যখন
যোধপুরে গেলেন, সেখানে যোধপুর
নরেশকে নান্নিজান নামক বাঈজীর সঙ্গে
একসাথে দেখায় ক্রোধিত হয়ে গেলেন এবং নীতি উপদেশ করলেন ।
যোধপুর নরেশ নান্নিজানকে চলে যেতে
বললেন ।
নান্নিজানের ক্রোধ এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া :
ইংরেজ ও নান্নিজানের ষড়যন্ত্রে
পাচক কাচযুক্ত বিষ দুধে মিশিয়ে স্বামীজীকে
দেন ।
পাচক কর্তৃক দুধে কাঁচের গুড়ো প্রদান :
পাচক জগন্নাথ দ্বারা দেওয়া কাঁচের গুড়ো যুক্ত
বিষমেশানো দুধ খেয়ে স্বামী দয়ানন্দের
পেটে অসহ্য পীড়া হতে লাগল ।
ইঞ্জেকশনে বিষ প্রদান :
পরদিন সকালে
অন্য ওষুধের সঙ্গে ইঞ্জেকশন দিয়ে ডাঃ
আলীমর্দান খান স্বামীজীর শরীরে বিষ
প্রবেশ করিয়ে দেন।
মৃত্যুঞ্জয়ী দয়ানন্দ —
১৮৮৩ সালের ৩০শে অক্টোবর , স্থান—
আজমীর, অত্যন্ত পীড়াদায়ক পরিস্থিতি থাকলেও
প্রসন্নচিত্ত অবস্থায় ও যোগমুদ্রায় প্রাণ ত্যাগের
ঘটনা দেখে গুরুদত্ত বিদ্যার্থীর (নাস্তিক যুবক)
জীবন পরিবর্তন হয়ে গেল, পরবর্তীকালে
ধর্মের দেওয়ানা পন্ডিত গুরুদত্ত বিদ্যার্থী নামে
পরিচিত ।
পন্ডিত গুরুদত্ত বিদ্যার্থী
Zee News on Pandit Gurudutt Vidhyarthi
মহাপ্রস্থানের পথে—
কার্তিক অমাবস্যা ৩০শে অক্টোবর ১৮৮৩ সালের
স্বামী দয়ানন্দের কষ্টদায়ক স্থিতিতে অত্যন্ত
শান্তচিত্র অবস্থা দেখে ডাঃ লক্ষ্মণদাস বলেছিলেন
—
ধৈর্য শক্তিতে এতো বড় ধনী আমি পূর্বে কখনও
দেখিনি ।
সন্ধ্যা ৬ টার সময় দীপাবলীর দিনে, স্বামী
দয়ানন্দ সবাইকে পিছনে দাঁড়ানোর জন্য বললেন ।
তারপর স্বামীজী মন্ত্রপাঠ করলেন ওম্ শব্দের
উচ্চারণ করে পাশ ফিরে শেষবারের মত শ্বাস
বাইরে বের করে দিলেন ।
ঈশ্বরের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস করেন এমন সন্ন্যাসী
জীবনের অন্তিম শব্দ এইভাবে বলেছিলেন—
হে প্রভূ ! তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হোক ।
ধন্যবাদ
ReplyDeleteঅসাধারণ !
ReplyDelete