রামায়ণে রাবণের দশ শিরের কথা উল্লেখ আছে।তাছাড়া যুদ্ধে রাম বাণ দিয়ে যে শির কাটতেন সেই স্থলে পুনরায় অন্য শির গজিয়ে উঠতো এইরকম বর্ণনাও লক্ষিত হয়-
সন্ধায় ধনুষা রামঃ শরমাশীবিষোপমম্।
রাবণস্য শিরোচ্ছিন্দচ্ছ্রীমজ্জ্বলিত কুন্ডলম্।।
তচ্ছিরঃ পতিতং ভূমৌ দৃষ্টং লোকৌসি_ভিস্তদা।
তস্য সদৃশং চান্যদ্রাবণস্যোত্থিতং শিরঃ।।
যুদ্ধ কাণ্ড ১০৭.৫৪, ৫৬
=>>রাম সর্পবিষসদৃশ বাণ ধনুকে সংযোজন করে রাবণের শির ভূপাতিত করলেন।সকলের সে দৃশ্য দর্শন করলেন।সেই কর্তিত স্থানে পুণরায় নতুন শির গজিয়ে উঠলো।
এখন এখানে বিচার্য এই যে, শরীরের কোন অঙ্গ কর্তিত পুনরায় সেখানে সেই অঙ্গ উতপন্ন হতে পারে না।হস্ত কর্তিত হলে পুন: হস্ত উতপন্ন হতে পারে না।সেইরুপ পদ ও মস্তকের সম্বন্ধেও বুঝতে হবে।
রাবণ এর এক মস্তক ও দ্বিহস্ত সম্পর্কে বহু প্রমাণ পাওয়া যায় যা নিম্মে লিখিত হল :-
সুন্দর কাণ্ডে দেখা যায়,রামের চররূপে হনুমান গভীর রাত্রে রাবণের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে দেখলেন,
কাঞ্চনাঙ্গদসন্নদ্ধৌ দদর্শ সঃ মহাত্মনঃ ।
বিক্ষিপ্তৌ রাক্ষসেন্দ্রস্য ভূজাবিন্দ্রধ্বজোপমৌ ।।
সুন্দরকাণ্ড ১০.১৫
=>>সুবর্ণময় অঙ্গদে ভূষিত মহাকায় রাক্ষসরাজ রাবণের বাহুদ্বয় ইন্দ্রধ্বজের মত শয্যার ওপর ছড়ানো রয়েছে ।
এখানে ভুজৌ ইন্দ্রধ্বজোপমৌ শব্দটি দ্বিবচনান্ত; বহুবচনান্ত নয় ।
তস্য রাক্ষসরাজস্য নিশ্চক্রাম মহামুখাৎ ।
শয়ানস্য বিনিশ্বাসঃ পূরয়ন্নিব তদগৃহম ।।
মুক্তামণিবিচিত্রেণ কাঞ্চনেন বিরাজতা ।
মুকুটেনাপবৃত্তেন কুণ্ডলোজ্জ্বলিতাননম ।।
সুন্দরকাণ্ড ১০.২৫
=>>মণিমুক্তাখচিত কুণ্ডলেল উজ্জ্বল আভায় রাবণের মুখখানাও উজ্জ্বল তাঁর মুখবিবর হতে বহির্গত ভুক্তান্ন ও পানের গন্ধপূর্ণ নিঃশ্বাসে ঘর ভরে আছে ।
এখানে "মহামুখাৎ" এবং "আননম্" শব্দদ্বয় একবচনে
পঞ্চবটি থেকে সীতা হরণের পূর্বে রাবণ সীতাকে বলেছিলেন -
উদ্বাহেয়ং ভূজাভ্যান্ত মেদেনীমস্বরে স্থিতঃ ।
আপিয়েয়ং সমুদ্রঞ্চ মৃত্যুং হন্যাং রণে স্থিত ।।
অরণ্যকাণ্ড ৪৯.৬
=>> আমি আমার বাহুবলে পৃথিবী উত্তোলন করতে পারি, সমুদ্র শোষণ করতে পারি, রণে স্থিত হয়ে মৃত্যুকে পরাজিত করতে পারি
ভূজাভ্যান্ত দ্বিবচনান্ত বিধায় তা দুই হাত নির্দেশ করে
নেমাঃ শূন্যা ময়া বাচঃ শুষ্যামানেন ভাষিতা ।
ন চাপি রাবণঃ কাঞ্চিৎ মূর্দ্ধানা স্ত্রীং প্রণমেত হ ।।
অরণ্যকাণ্ড ৫৫.৩৬
=>> রাবণ কোনদিন কোনদিন কোন নারীর নিকট মাথা নত করেনি
এখানে মূর্দ্ধনা তৃতীয়ার একবচন ।
নিক্ষিপ্য দীর্ঘৌ নিশ্চেষ্টৌ ভূজাবঙ্গদভূষিতৌ ।
মুকুটেনাপবৃত্তেন ভাস্করাকার বর্চসা ।।
লঙ্কাকাণ্ড ১১১.৩
=>>আপনার সূর্য করোজ্জ্বল মুকুট ও অঙ্গদভূষিত বাহুদ্বয় আজ নিশ্চেষ্টভাবে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে আছে ।
বহুমানাৎ পরিষ্বজ্য কাচিদ্দেহং রুরোদ হ ।
চরণৌ কাচিদালম্ব্য কাচিৎ কণ্ঠেহবলম্ব্য চ ।।
উৎক্ষিপ্য চ ভুজৌ কাচিদ্ ভূমৌ সুপরিবর্ততে ।
হতস্য বদনং দৃষ্টা কাচিন্মোহমুপাগমৎ ।।
কাচিদঙ্কে শিরঃ কৃত্বা রুরোদ মুখমীক্ষতী ।
স্নাপয়ন্তীদ মুখং বাষ্পেস্তুষারৈরিব পঙ্কজম্ ।।
লঙ্কাকাণ্ড ১১২.৯-১১
=>>রাবণের মৃতুর পর তার পত্নীগণের কেউ তার পদ,মস্তক কোলে তুলে তা মুখের দিক
তাকিয়ে রোদন করছিলেন ।
এখানে চরণৌ দ্বিবচনান্ত,শিরঃ একবচন,বদনং দ্বিতীয়ার একবচন ।
রাবণের প্রধানা মহিষী মন্দোদরী বিলাপ করতেকরতে বলেছিলেন-
কান্তিশ্রীদ্যুতিভিস্তল্যমিন্দুপদ্ম দিবাকরৈঃ ।
কিরীটকুটজ্বলিতং তাম্রাস্যং দীপ্ত কুণ্ডলম্ ।।
মদব্যাকুললোলাক্ষং ভূত্বা যৎ পানভূমিষু ।
বিবিধস্রগ্ধরং চারুবল্গু স্মিতকথং শুভং ।।
তদোবাদ্য তবেবং হি বক্তং ন ভাজতে প্রভো ।
রামশায়কনির্ভিন্নং রক্তং রুধিরবিস্রবৈঃ ।।
লঙ্কাকাণ্ড ১১৩.৩৫-৩৭
=>>মন্দোদরী রাবণের কুণ্ডল কিরীট শোভিত মুখ ও সূর্যকিরণে প্রস্ফুটিত পদ্মের মত সুন্দর কান্তির বর্ণনা করতে করতে বলেছিলেন-হায়!তোমার সুন্দর মুখখানি আজ রামের বাণে ছিন্নভিন্ন রক্তে হতশ্রী হয়েপড়ে আছে ।
এখানে আস্যং এবং বদনং এক বচনান্ত শব্দ ।
এর দ্বারা প্রমাণ হয় যে,রাবণের শিরগুলি জন্মজাত ছিলো না কেননা জন্মজাত হলে পুনরায় সেখানে শিরের উদয় হওয়া সম্ভব হতো না।রামায়ণের বচনে শিরের স্থানে অন্য নতুন শির গজিয়ে উঠলো ঠিক এইরকম শব্দ ব্যবহৃত হয়নি।সেখানে শির উত্থিতং অর্থাৎ উঠে এলো এইরুপ বলা হয়েছে।সুতরাং রাবণের দশ শির কৃত্রিম বা মেকি বুঝতে হবে
রাবণাদি মায়াবী অর্থাৎ ইন্দ্রজাল বিশেষজ্ঞ ছিলেন,রামায়ণে কয়েকটি স্থলে তার উল্লেখ পাওয়া যায়।
রাবণের জ্ঞান সম্পর্কে পরিচয় পাওয়া যায় নিম্নরূপ
বেদবিদ্যাব্রতস্নাতঃ স্বকর্মনিরস্তথা ।
স্ত্রীয়ঃ কস্মাদ্ বধং বীর মন্যসে রাক্ষসেশ্বর । ।
যুদ্ধ কাণ্ড ৯২.৬২
=>> হে রাবণ! তুমি বেদবিদ্যা স্নাতক ও স্বকর্ম পরায়ণ হয়েও কেন স্ত্রী (সীতা ) বধ করতে চাও ?
কিন্তু পাণ্ডিত্য থাকা সত্ত্বেও তা অনুধাবন ও প্রয়োগে তিনি ব্যর্থ ছিলেন । যার সুস্পষ্ট বিবরণ বাল্মীকি রামায়ণে লিপিবদ্ধ রয়েছে ।
রাবণের অধর্ম বিষয়ক যে দোষগুলি ছিল, তাঁর বধে বিলাপরতা মন্দোদরী তার গণনা এইভাবে করেছেন
নৈকযজ্ঞবিলোপ্তারং ধর্মব্যবস্থাভেত্তারং।
দেবাসুর নু কন্যা নামহির্তারং ততস্ততঃ।।
যুদ্ধ০ ১১১.৫১
=>>অনেক যজ্ঞের বিলুপ্তকারী, ধর্মব্যবস্থালঙ্ঘনকারী,দেব, অসুর ও মানব কন্যাদের যত্র-তত্র হরণকারী। অাজ তুমি তোমার এই সব পাপ কর্মের কারণে হত হয়েছো।এই সব অধর্ম ও পাপের কারণে রাবণ দুষ্ট বা পাপী বলে গণ্য হয়েছে
নিরুক্ত এ বলা হয়েছে যে বেদ পড়ে কিন্তু অর্থ না বুঝে সে ভারবাহী পশুর ন্যায় । রাবণও বেদ পড়েই ছিল । কখনও তা স্বীয় কর্মে প্রয়োগ করেনি ।
স্থাণুরয়ং ভারহারঃ কিলাভূদধীত্য বেদং ন বিজানাতিয়োহর্থম্।
য়োহর্থজ্ঞইত্যকলং ভদ্রমশ্নুতে নাকমেতি জ্ঞানবিধূতপাপ্মা।।
নিরুক্ত নৈগম কাণ্ড ১/১৮
=>> যে বেদ পড়ে তাহার অর্থ বোঝে না সে মালবাহী পশুর সমান হয়। কিন্তু যে বেদের অর্থ বুঝতে পারে, সে সমস্ত সুখ আর কল্যাণ প্রাপ্ত হয়। সে ওই পবিত্র জ্ঞানের দ্বারা পাপকে নষ্ট করে পরমানন্দ রূপে মোক্ষ প্রাপ্ত করে নেয়।
য়োহর্থজ্ঞইত্যকলং ভদ্রমশ্নুতে নাকমেতি জ্ঞানবিধূতপাপ্মা।।
নিরুক্ত নৈগম কাণ্ড ১/১৮
=>> যে বেদ পড়ে তাহার অর্থ বোঝে না সে মালবাহী পশুর সমান হয়। কিন্তু যে বেদের অর্থ বুঝতে পারে, সে সমস্ত সুখ আর কল্যাণ প্রাপ্ত হয়। সে ওই পবিত্র জ্ঞানের দ্বারা পাপকে নষ্ট করে পরমানন্দ রূপে মোক্ষ প্রাপ্ত করে নেয়।
য়ো বেদে চ শাস্ত্রে চ, গ্রন্থধারণতপ্তরঃ।
ন চ গ্রন্থার্থতত্বজ্ঞঃ, তস্য তদধারণংবৃথা।।
ভারং স বহতে তস্য, গ্রন্থস্যার্থ ন বেক্তি য়ঃ।
য়স্তু গ্রন্থার্থতত্বজ্ঞো, নাস্য গ্রন্থাগমোবৃথা।।
মহাঃভারত শান্তিপর্ব অঃ ৩০৫/১৩-১৪
অর্থাৎ- যে বেদ শাস্ত্রকে কেবল পড়ে কিন্তু তাহার অর্থ আর তত্বকে বুঝতে পারেনা। তাহারা ওই প্রকার ঐ-ঐ গ্রন্থকে ধারণ করে বা কেবল বোঝা হয় আর নিষ্ফল হয়ে যায়। অতঃ বেদাদি শাস্ত্রের অর্থ আর তত্ব সহিত বুঝে যাবতীয় প্রযত্ন করতে হবে।
ন চ গ্রন্থার্থতত্বজ্ঞঃ, তস্য তদধারণংবৃথা।।
ভারং স বহতে তস্য, গ্রন্থস্যার্থ ন বেক্তি য়ঃ।
য়স্তু গ্রন্থার্থতত্বজ্ঞো, নাস্য গ্রন্থাগমোবৃথা।।
মহাঃভারত শান্তিপর্ব অঃ ৩০৫/১৩-১৪
অর্থাৎ- যে বেদ শাস্ত্রকে কেবল পড়ে কিন্তু তাহার অর্থ আর তত্বকে বুঝতে পারেনা। তাহারা ওই প্রকার ঐ-ঐ গ্রন্থকে ধারণ করে বা কেবল বোঝা হয় আর নিষ্ফল হয়ে যায়। অতঃ বেদাদি শাস্ত্রের অর্থ আর তত্ব সহিত বুঝে যাবতীয় প্রযত্ন করতে হবে।
লিঙ্গোপদেশশ্চ তদর্থত্বাত্।
মিমাংসা দর্শন ১/২/৫১
অর্থাৎ- বেদ মন্ত্রের ভেতরে পরমাত্মার লক্ষণ বলা হয়েছে, অতঃ বেদ মন্ত্রের অর্থ হবার কারণ এবং অর্থ সহিত পঠন-পাঠন করার যোগ্য হতে হয়।
মিমাংসা দর্শন ১/২/৫১
অর্থাৎ- বেদ মন্ত্রের ভেতরে পরমাত্মার লক্ষণ বলা হয়েছে, অতঃ বেদ মন্ত্রের অর্থ হবার কারণ এবং অর্থ সহিত পঠন-পাঠন করার যোগ্য হতে হয়।
ঊহঃ।
মিমাংসা দর্শন ১/২/৫২
অর্থাৎ- তর্ক থেকে সিদ্ধ করে বেদের পঠন-পাঠন অর্থ সহিত হওয়া উচিৎ।
মিমাংসা দর্শন ১/২/৫২
অর্থাৎ- তর্ক থেকে সিদ্ধ করে বেদের পঠন-পাঠন অর্থ সহিত হওয়া উচিৎ।
উপরোক্ত প্রমাণ থেকে সিদ্ধ হয় যে বেদাদি শাস্ত্র অর্থ সহিত পড়া উচিৎ। বেদ ব্যাকরণে স্পষ্ট করার জন্য। গ্রন্থ অষ্টাধ্যায়ী, মহাভাষ্য, নিরুক্ত আর নিঘন্টুর সহিত বিদ্যার্থীকে পঠন-পাঠন করা উচিৎ।
[১]
মারিচ মায়াবী মৃগরুপ ধারন করেছিলেন,রৌপ্য বিন্দু যুক্ত স্বর্ণিম দেহ তৈরী করা হয়েছিল সেইরুপও বলা হয়েছে
সোবর্ণস্তং মৃগো ভূত্ত্বা চিত্রো রজতবিন্দুভি:।
আশ্রমে তস্য রামস্য সীতায়া: প্রমূখে চর।।
অরণ্যকাণ্ড ৩৫.৫৮
=>>হে মারীচ, তুমি সূবর্ণ চিত্ত রজতবিন্দু যুক্ত হয়ে রামের আশ্রমে সম্মূখে বিচরন করো।
[২]
রাবণ লঙ্কায় রামের কৃত্রিম কর্তিত শির সীতার সম্মুখে রেখেছিলেন যে শিরের নির্মাতা ছিলেন মধুজিহ্ব নামক রাক্ষস।
মোহয়িষ্যাবহে সীতাং মায়য়া জনকাত্মজাম।
শিরো মায়াময়ংগৃহ্য রাঘবস নিশাচর।।
যুদ্ধ০ ৮১:৮
=>>হে মধুজিহ্ব! তুমি রামের কর্তিত শির তৈরী করে নিয়ে এসো। আমি তাই দিয়্ব সীতাকে প্রতারিত করবো।
[৩]
ইন্দ্রজিত ও কৃত্রিম সীতা যুদ্ধের মধ্যে রামের সম্মুখে বধ করেছিলেন।
ইন্দ্রজিৎ তু রথে স্থাপ্য সীতাং মায়াময়ীং তথা।
বলেন মহতাকৃষ্য তস্যা বদমরোচয়ৎ।।
যুদ্ধ০ ৩১:৮
=>>ইন্দ্রজিত মায়াময়ী সীতাকে রথে উপবিষ্ট করিয়ে তাকে বধ করলেন।
শ্রী যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি এই দশ শিরকে উপমালংকার সাব্যস্ত করেছেন এবং একটি জ্যোতিষপূরক ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাঠকের শুধুমাত্র জ্ঞাতার্থে তা নিম্নলিখিত হল :-
যে সূর্য বৃষ্টিদান করেন, বিশেষতঃ দক্ষিণায়ন সময়ে করেন,তিনি ইন্দ্র। একদা বহু বহুকাল পূর্বে মূলা নক্ষত্রে দক্ষিণায়ন হইত। ঋগ্বেদে মূলা,এই নাম নাই। আছে নির্ঋতি। নির্ঋতি শব্দের অর্থ মৃত্যু। নির্ঋতি মূলা নক্ষত্রের অধিপতি। পরবর্তীকালে নির্ঋতি অর্থে রাক্ষস হইয়াছিল। সেই নির্ঋতি নমূচি অসুর। ইহাতে দশ বারোটি তারা আছে। যতদিন এই রাক্ষস দেখা যাইত,ততদিন বৃষ্টি হইত না। যখন সূর্যের নিকটবর্তী হইত তখন সূর্যকিরণে অদৃশ্য হইত। ইহাই "নমূচি বধ"।
দক্ষিণ আকাশে বৃশ্চিক রাশি সহজে চিনিতে পারা যায়। এই বৃশ্চিক কাঁকড়াবিছা। চৈত্র মাসে প্রথম সপ্তাহে ভোর চারিটার সময় দৃষ্টিপাত করিলে মধ্যরেখায় বৃশ্চিক রাশি (কাঁকড়া বিছার আকারে তারা সন্নিবেশ) দেখিতে পাওয়া যায়। বৈশাখ মাসে রাত্রি দুইটায়,জ্যৈষ্ঠ মাসে বারটায়,আষাঢ় মাসে দশটায়,শ্রবণ মাসে সন্ধ্যা আটটায় দেখিতে পাওয়া যায়। বৃশ্চিকের পশ্চিমদিকে মুণ্ড, পূর্বদিকে আরও দক্ষিণে বক্রপুচ্ছ। সেই বক্রপুচ্ছ মূলা নক্ষত্র। আমাদের প্রাচীন জ্যোতিষীরা মূলা নক্ষত্রের তারা-সন্নিবেশ সিংহপুচ্ছাকার বলিয়াছেন। ইহাতে দশ-বারোটি তারা আছে। দশটি তারা লইয়া দশগ্রীব রাবণ কল্পিত হইয়াছে। নমূচিই রাবণ, দশমুণ্ড রাবণ ।
রাবণ কয়টি বিয়ে করেছিল?
ReplyDelete