যজ্ঞাদি কর্মকাণ্ড প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রত্যহ করা আবশ্যক। স্বামী ও স্ত্রী দুজনে একত্রে বসে এ যজ্ঞকৃৎ কর্ম করবেন। এতে যেমন পরমাত্মার দিকে ধাবিত হওয়া যায় তেমনি পরিবারের সকলের জন্য মঙ্গলকর ও হয়।
বেদ বলেছে:-
যা দম্পতী সমনসা সুনুত আ চ ধাবতঃ।
দেবাসো নিত্যয়াহশিরা।।
(ঋগ্বেদ ৮।৩১।৫)
- হে বিদ্বান্ গণ! যে পত্নী ও পতি একসঙ্গে একমনে যজ্ঞ করে। উপাসনা দ্বারা যাহাদের মন পরমাত্মার দিকে ধাবমান হয় তাহারা নিত্য পরমাত্মার আশ্রয়েই সব কার্য্য করে।
প্রতি প্রাশব্যাঁ ইতঃ সম্যঞ্চা বর্হিরাশাতে।
ন তা বাজেষু বায়তঃ।।
(ঋগ্বেদ ৮।৩১।৬)
- যে পত্নী ও পতি একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করে তাহারা উভয়েই নানা ভোগ্য পদার্থ উপভোগ করে এবং অন্নের জন্য ইতস্ততঃ ভ্রমন করে না।
পুত্রিণা তা কুমারিণ বিশ্বমায়ুর্র্যশ্নুতঃ।
উভা হিরণ্য পেশসা।।
(ঋগ্বেদ ৮।৩১।৮)
- একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করিলে পত্নী ও পতির পুত্র পুত্রী, কুমার কুমারী লাভ হয়। তাঁহার পূর্ণ আয়ু ভোগ করেন এবং উভয়ে নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের স্বর্ণ ভূষণে দীপ্যমান হন।
0 মন্তব্য(গুলি)