➤ নারীদের প্রতি ভেদভাব
“বিয়ে করার পর যদি কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর মধ্যে এমন কিছু লজ্জাকর জিনিষ দেখে যার জন্য সে তার প্রতি সন্তুষ্ট না হয়, তবে সে ত্যাগ পত্র লিখে তাকে বাড়ী থেকে বিদায় করে দেবে।"
দ্বিতীয় বিবরণ ২৪:১
কিন্তু এমন হতে পারে যে সেই নতুন স্বামীও তাকে পছন্দ করল না এবং বাড়ী থেকে বিদায় করল। তারপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ দেয়, অথবা যদি সে মারা যায় তবে প্রথম স্বামী আর তাকে তার স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে না। দ্বিতীয় বিবরণ ২৪:৩
সে তার কাছে অশুচি, তাই সে যদি আবার বিয়ে করে তবে সে প্রভু যা ঘৃণা করেন তাই করবে। প্রভু, তোমার ঈশ্বর, অধিকারের জন্য যে দেশ দিচ্ছেন সেখানে তুমি অবশ্যই এভাবে পাপ করবে না। দ্বিতীয় বিবরণ ২৪:৪
মন্তব্য⇒ বাইবেলে পুরুষদের জন্য এমন ব্যবস্থা না থাকায় এটা কি নারীদের প্রতি অন্যায় নয়?
➤ নারীজাতি কি লুটের জিনিস?
“তোমরা তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তাদের পরাজিত করতে তোমাদের সাহায্য করতে পারেন এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের বন্দী করে আনতে পারো। দ্বিতীয় বিবরণ ২১:১০
বন্দীদের মধ্যে কোনো সুন্দরী স্ত্রীলোককে দেখে মুগ্ধ হয়ে তোমাদের স্ত্রী হিসেবে তোমরা চাইতে পারো। দ্বিতীয় বিবরণ ২১:১১
প্রভু মোশিকে যা আজ্ঞা করেছিলেন মোশি এবং ইলিয়াসর ঠিক সেই মতোই কাজ করলেন। সৈন্যরা
6,75,000 মেষ,72,000 গরু,61,000 গাধা, 32,000 স্ত্রীলোক সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। (ওরা সেইসব স্ত্রীলোক যাদের কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল না।) গণনাপুস্তক ৩১:৩১-৩৫
এখন সমস্ত মিদিয়নীয় ছেলেদের হত্যা করো। সমস্ত মিদিয়নীয় স্ত্রীলোকদের হত্যা করো যাদের কোনো না কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল। তুমি সমস্ত যুবতী মেয়েদের বাঁচতে দিতে পারো। কিন্তু কেবল তখনই যদি তাদের সঙ্গে কোনো পুরুষের যৌন সম্পর্ক না থেকে থাকে। গণনাপুস্তক ৩১:১৭,১৮
মন্তব্য⇒ দেখুন বাইবেলে নারীদের লুটের জিনিস হিসেবে মনে করে।
➤ নারীর অধিকার হনন?
একজন বিবাহিতা স্ত্রীলোক প্রভুকে কিছু দেওয়ার জন্য কোনো বিশেষ প্রতিজ্ঞা করে থাকতে পারে। গণনাপুস্তক ৩০:১০
যদি তার স্বামী তার প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পারে এবং তাকে তার প্রতিজ্ঞা পালন করতে দিতে সম্মত হয়, তাহলে সে তার প্রতিজ্ঞানুসারে সমস্ত কাজ অবশ্যই যথাযথভাবে পালন করবে। সে যা প্রতিজ্ঞা করেছিল সেই অনুসারে সমস্ত কিছু সে অবশ্যই করায়। গণনাপুস্তক ৩০:১১
কিন্তু যদি তার স্বামী তার প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পারে, এবং তাকে তার প্রতিজ্ঞা পালন করতে দিতে অসম্মত হয়, তাহলে সে যা প্রতিজ্ঞা করেছিল সেই সমস্ত কাজ তাকে আর করতে হবে না। সে কি প্রতিজ্ঞা করেছিল তাতে কিছু যায় আসে না, তার স্বামী তার স্ত্রীর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করাতে পারে। যদি তার স্বামী প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করায়, তাহলে প্রভু তাকে ক্ষমা করবেন। গণনাপুস্তক ৩০:১২
মন্তব্য⇒দেখুন বাইবেলে নারী স্বতন্ত্রতা সহিত নিজের ইচ্ছাও প্রকাশ করতে পারে না।
➤ নারীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব
“ইস্রায়েলের লোকদের বলো: যদি একজন স্ত্রীলোক একটি শিশু পুত্রের জন্ম দেয়, তাহলে সেই স্ত্রীলোকটি সাতদিন ধরে অশুচি থাকবে। তার মাসিকের রক্ত পাতের অশুচি সময়ের মতই হবে এই অশুচিতা।লেবীয়পুস্তক ১২:২
কিন্তু যদি স্ত্রীলোকটি এক শিশুকন্যার জন্ম দেয়, তাহলে তার মাসিক সময়ের রক্তপাতের মতই দু সপ্তাহ ধরে সে অশুচি থাকবে। তার রক্তক্ষয় থেকে 66
দিন পর্যন্ত কাটিয়ে সে শুচি হবে। লেবীয়পুস্তক ১২:৫
কারণ স্ত্রীলোক থেকে পুরুষের সৃষ্টি হয় নি; কিন্তু পুরুষ থেকেই স্ত্রীলোক এসেছে৷ স্ত্রীলোকের জন্য পুরুষের সৃষ্টি হয় নি, কিন্তু পুরুষের জন্য স্ত্রীলোকের সৃষ্টি হয়েছিল৷ ১ করিন্থীয় ১১:৮,৯
মন্তব্য⇒ দেখুন উক্ত বিবরণে জন্ম থেকেই নারীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে।
➤ কাজ করবে কেউ তার ফল ভোগ করবে অন্য কেউ
তারপর প্রভু ঈশ্বর নারীকে বললেন,“তুমি যখন গর্ভবতী হবে, আমি সেই দশাটাকে দুঃসহ করে তুলব, তুমি অসহ্য ব্যথায সন্তানের জন্ম দেবে। তুমি তোমার স্বামীকে আকুলভাবে কামনা করবে কিন্তু সে তোমার উপরে কর্তৃত্ব করবে।” উৎপত্তি ৩:১৬
মন্তব্য⇒ দেখুন সাপের কথায় হবা বৃক্ষের ফল খেয়েছিল, হবার দ্বারা কৃত অপরাধের শাস্তি ঈশ্বর সমস্ত নারীদের দিচ্ছে। এখানে ন্যায় কোথায়?
➤ বাইবেলে বহুপত্নীবাদের বর্ণন
এষৌর যখন 40
বছর বয়স হল তখন সে দুজন হিত্তীয় রমণীকে বিবাহ করল। একজন ছিল বেরির কন্যা য়িহূদীৎ। অন্যজন ছিল এলনের কন্যা বাসমৎ।উৎপত্তি ২৬:৩৪
পরে সেই রাতে উঠে যাকোব সেখান থেকে চলে গেল। সে তার সাথে তার দুই স্ত্রী, দুই দাসী ও তার এগারোটি সন্তানকে নিয়ে য়ব্বোক নদী পার হল। উৎপত্তি ৩২:২২
এরকম বর্ণনা উৎপত্তি ২৯:১৫-৩০ এও দেখতে পাবেন।
মন্তব্য⇒ দেখুন বাইবেলে বহুপত্নীবাদ এর মতো অমানবিক ঘটনাও দেখতে পাওয়া যায়।
➤ পূত্রবধূর সঙ্গে শশুরের সম্পর্ক
যিহূদা সেই পথে যেতে যেতে তাকে দেখে ভাবল বোধ হয় বেশ্যা। (বেশ্যার মত তার মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকা ছিল।) উৎপত্তি ৩৮:১৫
যিহূদা তার কাছে গিয়ে বলল, “এস আমার সাথে শোও।” (যিহূদা জানত না যে এই ছিল তামর, তার পুত্রবধূ।) সে বলল, “আমায় কত দেবেন?” উৎপত্তি ৩৮:১৬
যিহূদা উত্তর করল, “আমার পশুপাল থেকে তোমার জন্য একটা বাচ্চা ছাগল পাঠিয়ে দেব।”সে বলল, “ঠিক আছে। কিন্তু ছাগলটা পৌঁছাবার আগে আমার কাছে কিছু বন্ধক রাখুন।” উৎপত্তি ৩৮:১৭
যিহূদা জিজ্ঞেস করল, “তোমাকে যে ছাগল পাঠাব তার প্রমাণ হিসাবে তুমি আমার কাছে কি চাও?”তামর বলল, “চিঠিতে মারবার তোমার ঐ মোহর, ও তার সুতো এবং হাঁটার ছড়িটাও আমায় দাও।” যিহূদা তাকে ঐ জিনিসগুলো দিল। তারপর যিহূদা ও তামর সহবাস করলে তামর গর্ভবতী হল। উৎপত্তি ৩৮:১৮
মন্তব্য⇒ দেখুন চরিত্রহীনতা এবং ব্যাভিচারের বীভৎস স্বরূপ।
➤ নারী কেনার বস্তু
যদি তোমরা আমায় কেবল দীণাকে বিয়ে করতে দাও, তবে তোমাদের চাওয়া যে কোনো উপহার আমি তোমাদের দেব। তোমরা যা চাইবে তাই-ই দেব, কেবল দীণাকে বিয়ে করতে দাও।” উৎপত্তি ৩৪:১২
সেইসঙ্গে রূতকেও আমার স্ত্রী হিসেবে কিনে নিলাম। এর ফলে মৃত স্বামীর সব সম্পত্তির অধিকার হবে তারই পরিবারের লোকরা। এভাবেই তার নাম তার জমির ও পরিবার থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে না।তোমরা আজ সকলেই সাক্ষী থাকলে।” রুথ ৪:১০
মন্তব্য⇒ দেখুন বাইবেল অনুযায়ী নারী ও কেনার বস্তু।
➤ নারী পায়ের জুতা
যদি কোনো ব্যক্তি একজন অবাগদত্তা কুমারী মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে সে অবশ্যই তার পিতাকে পুরো যৌতুক দেবে এবং তাকে বিয়ে করবে।নির্গমন ২২:১৬
যদি তার পিতা মেয়েটিকে সেই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিতে নাও চান তাহলেও তাকে মেয়েটির জন্য পুরো অর্থ দিতে হবে।নির্গমন ২২:১৭
মন্তব্য⇒ এর থেকে অসভ্য কিছু হতে পারে?
➤ ঈশ্বর দ্বারা নারীদের পরপুরুষের হাতে তুলে দেওয়া
“প্রভু এ কথাই বলেন: ‘আমি তোমাকে সমস্যায় ফেলব। এই সমস্যা তোমার নিজের পরিবার থেকেই আসবে। আমি তোমার স্ত্রীদের তোমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবো এবং তোমারই ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজনকে দিয়ে দেব। সে তাদের সঙ্গে শয়ন করবে এবং প্রত্যেকে তা দিনের আলোর মত জানতে পারবে। ২ সামুয়েল ১২:১১
➤ বাইবেলে পূনর্বিবাহ খন্ডন
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একমাত্র যৌনপাপের দোষ ছাড়া অন্য কোনো কারণে কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে, তবে সে তাকে ব্যাভিচারিণী হবার পথে নামিয়ে দেয়৷ আর যে কেউ সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও যৌনপাপ করে৷ মথি ৫:৩২
‘যে কেউ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে অন্য কোনো স্ত্রীলোককে বিয়ে করে, সে ব্যভিচার করে; আর যে সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও, ব্যভিচার করে৷’ লুক ১৬:১৮
➤ নারীকে ব্যভিচারের জন্য উস্কানো
“তোমাদের কন্যারা পতিতার মতো থাকে বলে অথবা তোমাদের পুত্রবধূরা যৌন পাপ কাজ করছে বলে আমি তাদের দোষ দেব না। লোকেরা পতিতাদের কাছে যায় এবং তাদের সঙ্গে ঘুমোয়। তারা পতিতাদের সঙ্গে যায় এবং মন্দিরে তাদের সঙ্গেই দেবতাকে উৎসর্গ দেয়। ফলে, ঐ বোকা লোকরা নিজেদেরই ধ্বংস করছে। হোসেয়া ৪:১৪
মন্তব্য⇒ বাইবেলের ঈশ্বর কন্যা-পুত্রবধূদের ব্যভিচারের মান্যতা দিচ্ছে।
➤ বিধবা বিবাহের নিষেধাজ্ঞা
প্রধান যাজক এমন কোনো রমণীকে অবশ্যই বিবাহ করবে না যার সঙ্গে অন্য পুরুষের যৌন সম্পর্ক ছিল। প্রধান যাজক অবশ্যই একজন বারবনিতা, স্বামী পরিত্যক্তা রমণী অথবা একজন বিধবাকে বিবাহ করবে না। প্রধান যাজক অবশ্যই তার নিজের লোকদের মধ্যে থেকে একজন কুমারীকে বিয়ে করবে। লেবীয়পুস্তক ২১:১৪
মুসলিম-০২-৫৬৬: একবার এক ব্যক্তি আয়েশা-এর মেহমান হল। অতঃপর সকালে সে তার কাপড় ধুতে লাগল। তখন আয়েশা বললেন, তুমি যদি (কাপড়ে) তা (বীর্য) দেখতে পাও তবে তোমার জন্য শুধু সে জায়গাটা ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট হবে। আর যদি তা না দেখ তবে তার আশে পাশে পানি ছিটিয়ে দিবে। আমিতো রাসুলুল্লাহ-এর কাপড় থেকে তা নখ দিয়ে ভাল করে আচড়ে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরে সালাত আদায় করতেন।
বুখারী-৭-৬২-১৩৭: আমরা যুদ্ধকালীন সময় গনীমত হিসেবে কিছু দাসী পেয়েছিলাম। আমরা তাদের সাথে আযল করতাম। এরপর আমরা এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি উত্তরে বললেন: আরে! তোমার কি এমন কাজও করো? একই প্রশ্ন তিনি তিনবার করলেন এবং পরে বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত যে রূহ পয়দা হবার, তা অবশ্যই পয়দা হবে।
বুখারী-৩-৪৮-৮১৭: মুহাম্মদ অবিবাহিত ব্যভিচারী সম্পর্কে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুখারী-৩-৪৯-৮৬০: এক বেদুঈন এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহর কিতাব মোতাবেক আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন।’ তখন তাঁর প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে বলল, ‘সে ঠিকই বলেছে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেক ফয়সালা করুন।’ পরে বেদুঈন বলল, ‘আমার ছেলে এ লোকের বাড়ীতে মজুর ছিল। তারপর তার স্ত্রীর সাথে সে যিনা করে।’ লোকেরা আমাকে বলল, ‘তোমার ছেলের উপর রাজম (পাথর মেরে হত্যা) ওয়াজিব হয়েছে।’ তখন আমি আমার ছেলেকে একশ বকরী এবং একটি বাদীর বিনিময়ে এর কাছ থেকে মুক্ত করে এনেছি। পরে আমি আলিমদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বললেন, ‘তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন ওয়াজিব হয়েছে। সব শুনে মুহাম্মদ বললেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেকই ফয়সালা করব। বাদী এবং বকরীপাল তোমাকে ফেরত দেওয়া হবে, আর তোমার ছেলেকে একশ বেত্রাঘাত সহ এক বছরের নির্বাসন দেওয়া হবে।’ আর অপরজনকে বললেন, ‘হে উনাইস, তুমি আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর কাছে যাবে এবং তাকে রাজম করবে।’ উনাইস তার কাছে গেলেন এবং তাকে রাজম করলেন।
ইসলাম নারী
মুসলিম-০৮-৩৩৬৫: মুহাম্মদ বলেছেন: স্বামী ইচ্ছে করলে উপুড় করে, ইচ্ছা করলে উপুড় না করে, তবে তা একই দ্বারে (যোনী) হতে হবে।বুখারী-১-৪-১৪৩: মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কেউ তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলনের পূর্বে যদি বল, (আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যা আমাদেরকে দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখো)- তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোন সন্তান থাকলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
মুসলিম-০৮-৩৪৩২: মুহাম্মদ হুনায়নের যুদ্ধের সময় একটি দল আওতাসের দিকে পাঠান। তারা শক্রদলের মুখোমুখি হয়েও তাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে এবং তাদের অনেক কয়েদী তাদের হস্তগত হয়। এদের মধ্য থেকে দাসীদের সাথে সহবাস করা রাসুলুল্লাহ-এর কয়েকজন সাহাবী যেন না জায়িয মনে করলেন, তাদের মুশরিক স্বামী বর্তমান থাকার কারণে। আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন: ‘নারীদের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নারীগণও তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, কিন্তু তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদের বাদে (৪:২৪)’, অর্থাৎ তারা তোমাদের জন্য হালাল, যখন তারা তাদের ইদ্দত (মাসিকচক্র) পূর্ন করে নিবে।
মুসলিম-০২-৫৬৬: একবার এক ব্যক্তি আয়েশা-এর মেহমান হল। অতঃপর সকালে সে তার কাপড় ধুতে লাগল। তখন আয়েশা বললেন, তুমি যদি (কাপড়ে) তা (বীর্য) দেখতে পাও তবে তোমার জন্য শুধু সে জায়গাটা ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট হবে। আর যদি তা না দেখ তবে তার আশে পাশে পানি ছিটিয়ে দিবে। আমিতো রাসুলুল্লাহ-এর কাপড় থেকে তা নখ দিয়ে ভাল করে আচড়ে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরে সালাত আদায় করতেন।
বুখারী-৭-৬২-১৩৭: আমরা যুদ্ধকালীন সময় গনীমত হিসেবে কিছু দাসী পেয়েছিলাম। আমরা তাদের সাথে আযল করতাম। এরপর আমরা এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি উত্তরে বললেন: আরে! তোমার কি এমন কাজও করো? একই প্রশ্ন তিনি তিনবার করলেন এবং পরে বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত যে রূহ পয়দা হবার, তা অবশ্যই পয়দা হবে।
বুখারী-৩-৪৮-৮১৭: মুহাম্মদ অবিবাহিত ব্যভিচারী সম্পর্কে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুখারী-৩-৪৯-৮৬০: এক বেদুঈন এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহর কিতাব মোতাবেক আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন।’ তখন তাঁর প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে বলল, ‘সে ঠিকই বলেছে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেক ফয়সালা করুন।’ পরে বেদুঈন বলল, ‘আমার ছেলে এ লোকের বাড়ীতে মজুর ছিল। তারপর তার স্ত্রীর সাথে সে যিনা করে।’ লোকেরা আমাকে বলল, ‘তোমার ছেলের উপর রাজম (পাথর মেরে হত্যা) ওয়াজিব হয়েছে।’ তখন আমি আমার ছেলেকে একশ বকরী এবং একটি বাদীর বিনিময়ে এর কাছ থেকে মুক্ত করে এনেছি। পরে আমি আলিমদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বললেন, ‘তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন ওয়াজিব হয়েছে। সব শুনে মুহাম্মদ বললেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেকই ফয়সালা করব। বাদী এবং বকরীপাল তোমাকে ফেরত দেওয়া হবে, আর তোমার ছেলেকে একশ বেত্রাঘাত সহ এক বছরের নির্বাসন দেওয়া হবে।’ আর অপরজনকে বললেন, ‘হে উনাইস, তুমি আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর কাছে যাবে এবং তাকে রাজম করবে।’ উনাইস তার কাছে গেলেন এবং তাকে রাজম করলেন।
ইসলামে যৌনতার ক্ষেত্রে নারীর ইচ্ছার কোনো মূল্য নেই; নারী সবসময়ই থাকবে পুরুষের ইচ্ছাধীন। একই অপরাধে তার শাস্তিও হতে পারে ভিন্ন মাত্রার!
মুসলিম-০৮-৩৩৬৭: মুহাম্মদ বলেছেন: কসম সেই সত্তার যার হাতে আমার জীবন। কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যখন বিছানায় আহ্বান করে, কিন্তু সে তা অস্বীকার করে, নিঃসন্দেহে যে পর্যন্ত সে তার স্ত্রীর প্রতি সন্তষ্ট হয়, ততক্ষন আসমানবাসী তার প্রতি অসন্তষ্ট থাকে।
বুখারী-৩-৪৯-৮৬০: এক বেদুঈন এসে বলল, 'ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহর কিতাব মোতাবেক আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন।' তখন তাঁর প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে বলল, 'সে ঠিকই বলেছে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেক ফয়সালা করুন।' পরে বেদুঈন বলল, 'আমার ছেলে এ লোকের বাড়ীতে মজুর ছিল। তারপর তার স্ত্রীর সাথে সে যিনা করে।' লোকেরা আমাকে বলল, 'তোমার ছেলের উপর রাজম (পাথর মেরে হত্যা) ওয়াজিব হয়েছে।' তখন আমি আমার ছেলেকে একশ বকরী এবং একটি বাদীর বিনিময়ে এর কাছ থেকে মুক্ত করে এনেছি। পরে আমি আলিমদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বললেন, 'তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন ওয়াজিব হয়েছে। সব শুনে মুহাম্মদ বললেন, 'আমি তোমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেকই ফয়সালা করব। বাদী এবং বকরীপাল তোমাকে ফেরত দেওয়া হবে, আর তোমার ছেলেকে একশ বেত্রাঘাত সহ এক বছরের নির্বাসন দেওয়া হবে।' আর অপরজনকে বললেন, 'হে উনাইস, তুমি আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর কাছে যাবে এবং তাকে রাজম (কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুতে রেখে পাথর মেরে হত্যা) করবে।' উনাইস তার কাছে গেলেন এবং তাকে রাজম করলেন।
নারী ইসলামের দৃষ্টিতে অপূর্ণ মানুষ, পুরুষ ছাড়া নারীর পূর্ণতা লাভ হয় না। নারী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যার মধ্যে ১ নং অবস্থানে থাকবে সবসময়ই!
বুখারী-২-২০-১৯২: মুহাম্মদ বলেছেন: কোন মহিলাই যেনো মাহরাম পুরুষকে সঙ্গে না নিয়ে তিন দিনের বেশী সফর না করে।
মুসলিম-৩১-৫৯৬৬: মুহাম্মদ বলেছেন: পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা লাভ করেছেন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে মরিয়ম বিনতে ইমরান ও ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া ছাড়া আর কেউ পূর্ণতা লাভ করেননি। আর অন্যান্য মাহিলাদের উপর আয়েশার ফযীলত অন্যান্য খাদ্যের উপর সারীদের ফযীলতের মত।
বুখারী-২-২০-১৯৪: মুহাম্মদ বলেছেন: যে মহিলা আল্লাহ্ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মাহ্রাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে এক দিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়।
মুসলিম-৩৬-৬৬০৩: মুহাম্মদ বলেছেন: আমি আমার (ওফাতের) পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর বেশি ফিতনা রেখে যাইনি।
বুখারী-৩-৩১-১৭২: মুহাম্মদ বলেছেন: এ কথা কি ঠিক নয় যে হায়য শুরু হলে মেয়েরা সালাত আদায় করেনা এবং সাওমও পালন করে না। এ হল তাদের দ্বীনেরই ত্রুটি।
বুখারী-৬-৬০-৫১: ঈহুদীরা বলতো যে: যদি কেউ স্ত্রীর পেছন দিক থেকে সহবাস করে তাহলে সন্তান টেরা চোখের হয়। তখন (তাদের এ ধারণা রদ করে) তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যে প্রকারে ইচ্ছে গমন কর এবং নিজেদের জন্য ভবিষ্যতের বন্দোবস্ত কর এবং আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখ যে, তোমাদেরকে তাঁর কাছে হাজির হতে হবে। আর বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দাও। (২:২২৩) আয়াত অবতীর্ণ হয়।
বুখারী-৩-৪৮-৮২৬: মুহাম্মদ বলেন: মহিলাদের সাক্ষ্য কি পুরুষদের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা (উপস্থিত মহিলারা) বলল: তাতো অবশ্যই অর্ধেক। মুহাম্মদ বলেন: এটা মহিলার জ্ঞানের ত্রুটির কারণে।
বুখারী-৭-৬২-৩১: মুহাম্মদ-এর নিকট লোকেরা অশুভ স্ত্রীলোক সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি বলেন, কোন কিছুর মধ্যে যদি অপয়া থাকে, তা হলো: বাড়ি-ঘর, স্ত্রীলোক এবং ঘোড়া।
বুখারী-৭-৬২-৩৩: মুহাম্মদ বলেন: পুরুষের ওপরে মেয়েলোকের অপেক্ষা অন্য কোন বড় ফিতনা আমি রেখে গেলাম না।
বুখারী-৭-৬২-১১৩: মুহাম্মদ বলেছেন: নারীরা হচ্ছে পাঁজরের হাড়ের ন্যায়। যদি তোমরা তাকে একেবারে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং, যদি তোমরা তাদের থেকে লাভবান হতে চাও, তাহলে ঐ বাঁকা অবস্থাতেই লাভবান হতে হবে।
ইসলাম পুরুষকে দিয়েছে সামান্য অপরাধেও নারীকে প্রহারের অধিকার, ত্যাগ করার অধিকার, আর তা মুহাম্মদের হাদীস অনুসারে গ্রহণযোগ্যতা দাবি রাখে পূর্ণমাত্রায়।
বুখারী-৭-৬২-১৩৪: "কোন নারী যদি তার স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ অথবা উপেক্ষার আশংকা করে তাহলে তারা উভয়ে আপোষ মীমাংসা করে নিলে তাতে তাদের উভয়ের কোন অপরাধ নেই। বস্তুতঃ আপোষ মীমাংসাই উত্তম। এবং লোভের কারণে স্বভাবতঃই মানুষের হৃদয় কৃপণ; এবং যদি তোমরা সৎ ব্যবহার কর ও সংযমী হও তাহলে তোমরা যা করছো তদ্বিষয়ে আল্লাহ অভিজ্ঞ (৪:১২৮)" এই আয়াত প্রসঙ্গে আয়েশা বলেন: এ আয়াত হচ্ছে ঐ মহিলার সম্পর্কে, যার স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চায় না; বরং তাকে তালাক দিয়ে অন্য কোন মহিলাকে শাদী করতে চায়। তখন তার স্ত্রী তাকে বলে: আমাকে রাখ এবং তালাক দিও না বরং অন্য মহিলাকে বিয়ে করে নাও এবং তুমি ইচ্ছা করলে আমাকে খোরপোষ না-ও দিতে পার আর আমকে শয্যাসঙ্গিনী না-ও করতে পার। আল্লাহ্ তাআলার উক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, স্বামী-স্ত্রী যদি পারস্পরিক সন্ধি করে নেয়, তবে তাতে কোন দোষ নেই এবং সন্ধি করা উত্তম।
বুখারী-৭-৭২-৭১৫: রিফাআ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে আবদুর রহমান কুরাযী তাকে বিবাহ করে। 'আয়েশা বলেন, তার গায়ে একটি সবুজ রঙ্গের উড়না ছিল। সে আয়েশা-এর নিকট অভিযোগ করলেন এবং (স্বামী প্রহারের দরুন) নিজের গায়ের চামড়ার সবুজ বর্ণ দেখালো। মুহাম্মদ যখন এলেন, আর স্ত্রীলোকেরা একে অন্যের সহযোগিতা করে থাকে, তখন আয়েশা বললেন: কোন মুমিন মহিলাকে এমনভাবে প্রহার করতে আমি কখনও দেখিনি। মহিলাটির চামড়া তার কাপড়ের চেয়ে অধিক সবুজ হয়ে গেছে। বর্ণনাকারী বলেন: 'আবদুর রহমান শুনতে পেল যে, তার স্ত্রী মুহাম্মদ-এর কাছে এসেছে। সুতরাং সেও তার অন্য স্ত্রীর দুটি ছেলে সাথে করে এলো। স্ত্রীলোকটি বলল: আল্লাহর কসম! তার উপর আমার এ ছাড়া আর কোন অভিযোগ নেই যে, তার কাছে যা আছে, তা আমাকে এ জিনিসের চেয়ে বেশী তৃপ্তি দেয় না। এ বলে তার কাপড়ের আচল ধরে দেখাল। 'আবদুর রহমান বলল: ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সে মিথ্যা বলছে, আমি তাকে ধোলাই করি চামড়া ধোলাই করার ন্যায়। অর্থাৎ (পূর্ণ শক্তির সাথে দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গম করি)। কিন্তু সে অবাধ্য স্ত্রী, রিফাআর কাছে ফিরে যেতে চায়। মুহাম্মদ বললেন: ব্যাপার যদি তাই হয় তাহলে রিফাআ তোমার জন্য হালাল হবে না, অথবা তুমি তার যোগ্য হতে পার না, যতক্ষণ না আব্দুর রহমান তোমার সুধা আস্বাদন করবে। বর্ণনাকারী বলেন: মুহাম্মদ, আবদুর রহমানের সাথে তার পুত্রদ্বয়কে দেখে বললেন, এরা কি তোমার পুত্র? সে বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন: এই আসল ব্যাপার, যে জন্যে স্ত্রীলোকটি এরূপ করছে। আল্লাহর কসম! কাকের সাথে কাকের যেমন সাদৃশ্য থাকে, তার চেয়েও অধিক মিল আছে ওদের সাথে এর (অর্থাৎ আব্দুর রহমানের সাথে তাঁর পুত্রদের)।
বুখারী-৫-৫৯-৪৫৯: ইবনে মুহায়রীয থেকে বর্ণিত: একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবু সাঈদ খুদরী-কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং তাকে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবু সাঈদ খুদরী বললেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্-এর সংগে বানু মুসতালিকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহু বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে খায়েস হল এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করার মনস্থ করলাম। তখন আমরা বলাবলি করতে লাগলাম, রাসুলুল্লাহ্ আমাদের মাঝে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেন: এরুপ না করলে তোমাদের ক্ষতি কি? জেনে রাখ, কিয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই।
বুখারী-৭-৬২-৮১: মুহাম্মদ বলেছেন: সকল শর্তের চেয়ে শাদীর শর্ত পালন করা তোমাদের জন্য অধিক কর্তব্য এই জন্য যে, এর মাধ্যমেই তোমাদেরকে মহিলাদের বিশেষ অংশ ভোগ করার অধিকার দেয়া হয়েছে।
বুখারী-৭-৬২-১২১: মুহাম্মদ বলেছেন: যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সাথে একই বিছানায় শোয়ার জন্য ডাকে, আর তার স্ত্রী অস্বীকার করে, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা ঐ মহিলার ওপর লানত/অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে।
বুখারী-৭-৬২-৫১: আবু জামরা থেকে বর্ণিত যে: আমি মহিলাদের মুতা বিবাহ সম্পর্কে ইবনে আব্বাস-কে প্রশ্ন করতে শুনেছি, তখন তিনি তার অনুমতি দেন। তাঁর আযাদকৃত গোলাম তাঁকে বললেন, যে এরূপ হুকুম অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা কি মহিলাদের কাছে পাওয়ার জন্য ছিল? তখন ইবনে আব্বাস বললেন: হ্যাঁ।
মুসলিম-০৮-৩২৪৮: জাবির ইবন আব্দুল্লাহ উমরা পালন করতে এলেন। তখন আমরা তাঁর আবাসে তাঁর নিকট গেলাম। লোকেরা তাঁর নিকট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেসা করল। অতঃপর তারা মুতা সস্পর্কে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা রাসুলুল্লাহ-এর যুগে এবং আবু বকর ও উমর এর যুগে মুতা (অস্থায়ী বিবাহ) করেছি।
বুখারী-৭-৭২-৮১৫: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত: আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক সে সব নারীদের উপর যারা অঙ্গ-প্রতঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করে এবং যারা উৎকীর্ণ করায়, আর সে সব নারীদের উপর যারা চুল, ভূরু উঠিয়ে ফেলে এবং সে সব নারীদের উপর যারা সৌন্দের্যের জন্যে সামনের দাত কেটে সরু করে দাঁতের মাঝে ফাক সৃষ্টি করে, যা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন এনে দেয়। রাবী বলেন: আমি কেনো তার উপর লানত করবো না, যাকে নবী লানত করেছেন? আর আল্লাহর কিতাবে আছে: ‘‘রাসুল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাক (৫৯:৭)”
বুখারী-৭-৬২-১৩৩: কোন এক আনসারী মহিলা তার মেয়েকে শাদী দিলেন। কিন্তু তার মাথার চুলগুলো উঠে যেতে লাগল। এরপর সে নবী-এর কাছে এসে এ ঘটনা বর্ণনা করে বলল: আমার স্বামী আমাকে বলেছে আমি যেন আমার মেয়ের মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করিয়ে দেই। তখন নবী বললেন: না তা করো না, কারন, আল্লাহ্ তাআলা এ ধরনের মহিলাদের ওপর লানত বর্ষণ করে থাকেন, যারা মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করে।
বুখারী-৩-৩৮-৫০৮: মুহাম্মদ বলেন, হে উনাইস ইবনে যিহাক আসলামী; সে মহিলার কাছে যাও; যদি সে (অপরাধ) স্বীকার করে তবে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর।
বুখারী-৮-৮২-৮০৩: আলী জুমআর দিন জনৈকা মহিলাকে যখন রজম (যৌনতার দায়ে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুতে পাথর ছুড়ে হত্যা) করেন তখন বলেন, আমি তাকে রাসুলুল্লাহ এর সুন্নাত অনুযায়ী রজম করলাম।
১. বেদে নারী জাতির সম্মান
⏩
ইমা নারীরবিধবাঃ সুপত্নীরাঞ্জনেন সর্পিষা সং স্পৃশন্তাম্।
অনশ্রবো অনমীবাঃ সুরত্না আ রোহন্তু জনয়ো য়োনিমগ্ৰে।।
(অথর্ববেদ ১২/২/৩১)
ভাবার্থ➨ নারীরা উত্তম ধনপত্নী হোক, তাঁরা যেন কখনো বিধবা না হয়। তাঁরা সৌভাগ্যবান হয়ে শরীরকে অঞ্জন দ্বারা সুভোষিত করুক। নিরোগ হোক,শোকরহিত হয়ে অশ্রুরহিত থাকুক। নিজেদের ঘরে নারীরা সুপূজিত হয়ে মহত্বের স্থান প্রাপ্ত হোক
অঘোরচক্ষুরপতিঘ্নী স্যোনা শগ্মা সুশেবা সুয়মা গৃহেভ্যঃ।
বীরসূর্দেবৃকামা সং ত্বৈধিষীমহি সুমনস্যমানা।।
(অথর্ববেদ ১৪/২/১৭)
ভাবার্থ➨ নারীরা তাঁর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আনন্দে থাকুক, রাগান্বিত চোখ যেন না করে, স্বামীর হিতকারীণী হোক, ধর্মের নিয়মের পালন করুক, সকলকে সুখী করুক, নিজের সন্তানদের বীরত্বের শিক্ষা দান করূক। অন্তঃকরণে শুভ চিন্তা ভাবনা হোক। এরকম নারীর দ্বারা সংসার সুসম্পন্ন হোক।
সুমঙ্গলী প্রতরণী গৃহাণাং সুশেবা পত্যে শ্বশুরায় শম্ভূঃ।
স্যোনা শ্বশ্র্বৈ প্র গৃহান্বিশেমান্।।
(অথর্ববেদ ১৪/২/২৬)
ভাবার্থ➨ উত্তম মঙ্গল কামনাকারী, গৃহের সকলের দুঃখ নিবারণ কারী, স্বামীর সেবা যত্নকারী, শশুরকে সুখ প্রদান কারী, শাশুড়ির হিতকারীণী নিজের ঘরে প্রবিষ্ট হোক।
ইডে রন্তে হব্যে কাম্যে চন্দ্রে জ্যোতে দিতে সরস্বতী মহি বিশ্রুতি।
এতা তে অঘ্ন্যেনামানি দেবেভ্যো মাং সুকৃতং ব্রূয়াত্।।
(যজুর্বেদ ৮/৪৩)
ভাবার্থ➨ যে নারী বিদ্বানদের থেকে শিক্ষা প্রাপ্ত করেছে সেই নারী নিজের স্বামী এবং অন্যান্য নারীদের যথাযোগ্য উত্তম কর্ম শেখাবে যার দ্বারা তাঁরা ভূল পথে যাবে না। সেই নারী সকলের বিদ্যা বৃদ্ধি করবে।
⏩
প্রেতো মুঞচামি নামুতঃ সুবদ্ধামমুতস্করম্।
য়থেয়মিন্দ্র মীঢ্বঃ সুপুত্রা সুভগাসতি।।
(ঋকবেদ ১০/৮৫/২৫)
ভাবার্থ➨ বধুর সম্পর্ক পিতৃকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হোক, কিন্তু পতিকুল থেকে নয়। পতিকূলের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় হোক। পরমেশ্বর সেই বধূকে পতিকুলে উত্তম পূত্রের সাথে এবং উত্তম পূত্রের সাথে যুক্ত করুক।
⏩
প্রবুধ্যস্য সুবুধা বুধ্যমানা দীর্ঘায়ুত্বায় শতশারদায়।
গৃহান্গচ্ছ গৃহপত্নী য়থাসো দীর্ঘং ত আয়ুঃ সবিতা কৃণোতু।।
(অথর্ববেদ ১৪/২/৭৫)
ভাবার্থ➨ স্ত্রীরা বিদূষী হোক, প্রাতঃকালে উঠুক,শত বছর দীর্ঘায়ুর জন্য জ্ঞান প্রাপ্তিপূর্বক চেষ্টা করুক। নিজের স্বামীর ঘরে থাকুক। নিজের ঘরে স্বামিনী হয়ে থাকুক। পরমাত্মা তাকে দীর্ঘায়ু প্রদান করুক।
⏩
ইহ প্রিয়ং প্রজায়ৈ তে সমৃধ্যতামস্মিন্গৃহে গার্হপত্যায় জাগৃহি।
এনা পত্যা তন্বং সং স্পৃশস্বাথ জির্বির্বিদথমা বদাসি।।
(অথর্ববেদ ১৪/১/২১)
ভাবার্থ➨ ধর্মপত্নী র সন্তান উত্তম সুখী হোক। ধর্মপত্নী নিজের গৃহস্থাশ্রম উত্তম রূপে চালনা করূক। নিজের স্বামীর সঙ্গে সুখী হোক। এই ভাবে ধর্মের পথে গৃহস্থাশ্রম চালনা কারী স্ত্রী বৃদ্ধাবস্থায় জ্ঞানের প্রসারকারী হবে।
⏩
ইয়ং নারী পতিলোকং বৃণানা নি পদ্দ্যত উপত্বা মর্ত্য প্রেতম্।
ধর্মং পুরাণমনুপালয়ন্তী তস্যৈ প্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।।
(অথর্ববেদ ১৮/৩/১)
ভাবার্থ➨ স্বামীর অকস্মাৎ মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ধনসম্পদ এবং সন্তান এর উত্তরাধিকারী, যদি সে ধর্ম পালনের মাধ্যমে স্বামীর ঘরকে বরণ করে নেয়,পিতার ঘরে ফিরে যায় না এবং অন্য বিবাহ না করে।
⏩
আ রোহ তল্পং সুমনস্যমানেহ প্রজাং জনয় প্রত্যে অস্মৈ।
ইন্দ্রাণীব সুবুধা বুধ্যমানা জ্যোতিরগ্ৰা উষসঃ প্রতি জাগরাসি।।
(অথর্ববেদ ১৪/২/৩১)
ভাবার্থ➨ সন্তানের ভালোর জন্য গৃহিণীকে 'সদা প্রসন্ন মন,জিতেন্দ্রিয় এবং জ্ঞান রুচি, বুদ্ধিমান এবং ঊষাকালে প্রবুদ্ধ হওয়া উচিত। তবেই সে উত্তম সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবে।
⏩
সা বিট্ সুবীরা মরুদভিরস্তু সনাত সহন্তী পুষ্যন্তী নৃম্ণম্।
(ঋকবেদ ৭/৫৬/৫)
ভাবার্থ➨ সেই নারী শ্রেষ্ঠ যে ব্রহ্মচর্যে সমস্ত বিদ্যার পাঠ করেছেন। এবং তিনিই বীর সন্তানদের জন্ম দিতে সক্ষম। তিনি সহনশীল এবং ধনকোশ সমৃদ্ধ হোক।
সম্রাজ্ঞেধি শ্বশুরেষু সম্রাজ্যুত দেবৃষু।
ননান্দুঃ সম্রাজ্ঞেধি সম্রজ্যুত শ্বশ্রবা।।
(অথর্ববেদ ১৪/১/৪৪)
ভাবার্থ➨ নারীদের উচিত ঘরের সমস্তকিছু কর্তব্যের সমুচিতরূপ পালনের মাধ্যমে এবং অপরকেও পালন করানোর মাধ্যমে বড়ো,ছোটো সকলের প্রিয় হয়ে ওঠা।
⏩
মম পুত্রাঃ শত্রুহণোহথোমে দুহিতা বিরাট্।
উতাহমস্মি সঞ্জয়া পতৌ মে শ্লোক উত্তমঃ।।
(ঋকবেদ ১০/১৫৯/৩)
ভাবার্থ➨ আমার পুত্রেরা শত্রু নাশী হউক। আমার কন্যারা তেজস্বিনী হউক। আমি বিজয়ী হইব এবং আমার পতির সুযশ হউক।
⏩
যা দম্পতী সমনসা সুনুত আ চ ধাবতঃ।
দেবাসো নিত্যয়াহশিরা।।
(ঋগ্বেদ ৮।৩১।৫)
ভাবার্থ➨ হে বিদ্বান্ গণ! যে পত্নী ও পতি একসঙ্গে একমনে যজ্ঞ করে। উপাসনা দ্বারা যাহাদের মন পরমাত্মার দিকে ধাবমান হয় তাহারা নিত্য পরমাত্মার আশ্রয়েই সব কার্য্য করে।
⏩
প্রতি প্রাশব্যাঁ ইতঃ সম্যঞ্চা বর্হিরাশাতে।
ন তা বাজেষু বায়তঃ।।
(ঋগ্বেদ ৮।৩১।৬)
ভাবার্থ➨ যে পত্নী ও পতি একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করে তাহারা উভয়েই নানা ভোগ্য পদার্থ উপভোগ করে এবং অন্নের জন্য ইতস্ততঃ ভ্রমন করে না।
⏩
পুত্রিণা তা কুমারিণ বিশ্বমায়ুর্র্যশ্নুতঃ।
উভা হিরণ্য পেশসা।।
(ঋগ্বেদ ৮।৩১।৮)
ভাবার্থ➨ একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করিলে পত্নী ও পতির পুত্র পুত্রী, কুমার কুমারী লাভ হয়। তাঁহার পূর্ণ আয়ু ভোগ করেন এবং উভয়ে নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের স্বর্ণ ভূষণে দীপ্যমান হন।
রাজাকে এমন ব্যবস্থা ক যাতে এই সমস্ত বালক এবং কন্যা ব্রহ্মচর্য যুক্ত হয়ে সমৃদ্ধি প্রাপ্ত করে এবং সত্য, ন্যায়,ধর্মের নিরন্তর সেবা করে। (ঋকবেদ ৬/৪৪/১৮)
রাজাকে নিজের রাজ্যে সমস্ত নারীকে বিদুষী বানানো উচিত। (যজুর্বেদ ১০/৭)
বিদ্বানের এটা কর্তব্য যে সমস্ত কুমার কুমারীকে পন্ডিত তৈরি করা যার দ্বারা সমস্ত বিদ্যার ফল প্রাপ্ত হয়ে তাঁরা সুমতি হোক। (ঋকবেদ ৩/১/২৩)
যত কুমারী আছে সবাই বিদূষীদের কাছ থেকে বিদ্যা অধ্যায়ন করুক এবং সেই কুমারী ব্রহ্মচারিণী সেই বিদূষীদের কাছ থেকে এমনটাই প্রার্থনা করুক— আমাদের সকলকে বিদ্যা এবং সুশিক্ষা দ্বারা যুক্ত করুক।(ঋকবেদ ২/৪১/১৬)
হে বধূ! তোমার সামনে, পিছনে, মধ্যে, অন্তে সর্বত্র বেদ বিষয়ক জ্ঞান থাকুক এবং বেদ জ্ঞানপ্রাপ্ত করে তদনুসারে তুমি নিজের সমস্ত জীবন কাটাও। (অথর্ববেদ ১৪/১/৬৪)
বিদ্বানরা পত্নীর সঙ্গে যজ্ঞে বসেন এবং ঈশ্বরকে নমস্কার করেন। (ঋকবেদ ১/৭২/৫)
আমার পুত্র শত্রু বিনাশী হোক এবং কন্যা তেজস্বিনী হোক। (ঋকবেদ ১০/১৫৯/৩)
প্রত্যেক সময় আমাদের রক্ষাকারী পরমেশ্বর আমাদের কন্যা প্রদান করুন। (ঋকবেদ ৯/৬৭/১০)
0 মন্তব্য(গুলি)