https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

বৈদিক ঈশ্বর বনাম সেমেটিক সৃষ্টিকর্তা :পর্ব ৯ -বিজ্ঞান

Tuesday, December 18, 2018


বাইবেলের বিজ্ঞান

এরপর আমি দেখলাম, পৃথিবীর চার কোনে চারজন স্বর্গদূত দাঁড়িয়ে আছেন৷ তাঁরা পৃথিবীর চারটি বাযুপ্রবাহকে আটকে রেখেছেন, যেন পৃথিবীর বা সমুদ্রের বা গাছের ওপর দিয়ে বাতাস না বয়৷ প্রত্যাদেশ :


মন্তব্য পৃথিবীর আবার কোণ হয়? পৃথিবীতো উপবৃত্তাকার

অন্ধকারে আবৃত ছিল জলরাশি আর ঈশ্বরের আত্মা সেই জলরাশির উপর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছিল, তারপর ঈশ্বর বললেন, “আলো ফুটুক!” তখনই আলো ফুটতে শুরু করল। আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন, আলো ভাল। তখন ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন। ঈশ্বর আলোর নাম দিলেন, “দিনএবং অন্ধকারের নাম দিলেনরাত্রি।সন্ধ্যা হল এবং সেখানে সকাল হল। এই হল প্রথম দিন উৎপত্তি :-

তখন ঈশ্বর দুটি মহাজ্যোতি বানালেন। ঈশ্বর বড়টি বানালেন দিনের বেলা রাজত্ব করার জন্য আর ছোটটি বানালেন রাত্রিবেলা রাজত্ব করার জন্য। ঈশ্বর তারকারাজিও সৃষ্টি করলেন। উৎপত্তি :১৬
সন্ধ্যা হল এবং সকাল হল। এভাবে চতুর্থ দিন হল। উৎপত্তি :১৯

মন্তব্য চতুর্থ দিনে চন্দ্র, সূর্য সৃষ্টিকারী ঈশ্বর রাত এবং দিনের নির্মাণ প্রথম দিন কিভাবে করলো?

প্রবল বাতাসে নড়ে গাছ থেকে যেমন কাঁচা ডুমুর পড়ে যায়, তেমনি আকাশ থেকে নক্ষত্ররা পৃথিবীতে খসে পড়তে লাগল৷ প্রত্যাদেশ :১৩
মন্তব্য দুঃখ একটাই, বাইবেলের ঈশ্বর পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্ৰহ, নক্ষত্রের মধ্যস্থিত মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্পর্কেও অনভিজ্ঞ

বুখারী-৭-৭১-৬৩৬:   মুহাম্মদ বলেছেন: বদ নজর লাগা সত্য। আর তিনি উলকী আঁকতে (খোদাই করতে) নিষেধ করেছেন।


মুসলিম-২৩-৫০৪৬:  মুহাম্মদ বলেছেন: শয়তান তোমাদের প্রতিটি কাজে উপস্থিত হয়। এমনকি তোমাদের কারো আহারের সময়ও সে উপস্থিত হয়। সুতরাং তোমাদের কারো যদি লোকমা পড়ে যায়, সে যেন লেগে যাওয়া ময়লা দুর করে তা খেয়ে ফেলে। শয়তানের জন্য যেন তা রেখে না দেয়। অতঃপর সস্পূর্ন আহার শেষ করবে। (আহার শেষে) সে যেন তার আঙ্গুল গুলো চেটে খায়। কেননা সে জানে না, তার খাদ্যের কোন অংশে বরকত আছে।

ইসলামী বিজ্ঞান

মুসলিম-২৪-৫২৭৯:  মুহাম্মদ বলেছেন: ঘন্টা শয়তানের বাঁশি।

বুখারী-৪-৫৪-৪৯২:   মুহাম্মদ-এর নিকট এমন এক ব্যক্তির সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো, যে সারা রাত এমনকি ভোর পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল। তখন তিনি বললেন, সে এমন ব্যক্তি যার উভয় কানে অথবা তিনি বললেন, তার কানে শয়তান পেশাব করেছে।

বুখারী-৪-৫৪-৫০০:  মুহাম্মদ বলেছেন, ‘সূর্যাস্তের পরপরই যখন রাত শুরু হয় অথবা, যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তান ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যখন রাতের কিছু অংশ চলে যাবে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার আর তুমি তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমাদের ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমার পানি রাখার পাত্রের মুখ বন্ধ রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমার বাসন পত্র ঢেকে রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। সামান্য কিছু হলেও তার উপর দিয়ে রেখে দাও।’

বুখারী-৪-৫৪-৫০৯:  মুহাম্মদ বলেছেন: হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। সুতরায় তোমাদের কারো যখন হাই আসবে তখন যথাসম্ভব দমন করবে। কেননা তোমাদের কেউ হাই তোলার সময় যখন ‘হা’ বলে, তখন শয়তান হাসতে থাকে।

বুখারী-৭-৬৯-৫২৭:   মুহাম্মদ বলেছেন: যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের সন্তানদের ঘরে আটকিয়ে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হলে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার। আর ঘরের দড়জা বন্ধ করবে। কেননা, শয়তান বন্ধ দড়জা খুলতে পারে না। আর তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে (বিসমিল্লাহ বলে) তোমাদের মশকের মুখ বন্ধ করে দেবে এবং আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাদের পাত্রগুলোকে ঢেকে রাখবে কমপক্ষে পাত্রগুলোর উপর কোন জিনিস আড়াআড়িভাবে রেখে হলেও। আর (শয়নকালে) তোমরা তোমাদের চেড়াগগুলো নিভিয়ে দেবে।

বুখারী-৪-৫৪-৫৩৩:  মুহাম্মদ বলেছেন: ‘তোমরা পাত্রগুলো ডেকে রেখো, পান-পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরে দরজাগুলো বন্ধ করে রেখোর সাঝের বেলায় তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকিয়ে রেখো। কেননা এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দিবে। কেননা অনেক সময় ছোট ছোট অনিষ্টকারী ইঁদুর প্রজ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।’

বুখারী-৫-৫৮-১৯৯:   আবদুর রাহমান বলেন: আমি মাসরূক-কে জিজ্ঞাসা করলাম; যে রাতে জ্বিনরা মনোযোগের সাথে কুরআন শ্রবণ করেছিলো, ঐ রাতে নবী করীম-কে তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে সংবাদটি কে দিয়েছিল? তিনি বলেন, তোমার পিতা আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আমাকে বলেছেন যে, তাদের উপস্থিতির সংবাদ একটি বৃক্ষ দিয়েছিল।

বুখারী-৫-৫৮-২০০:  মুহাম্মদ অজু ও ইস্তিনজার (মলত্যাগের পর পায়ুপথ পরিস্কার) কাজে ব্যবহারের জন্য পানি ভর্তি একটি পাত্র বহন করে পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ তাকিয়ে বললেন, কে? আমি বললাম: আমি আবু হুরায়রা। তিনি বললেন, আমাকে কয়েকটি পাথর তালাশ করে দাও। আমি উহা দ্বারা ইস্তিনজা করবো। তবে, হাঁড় এবং গোবর আনবে না। আমি আমার কাপড়ের কিনারায় করে কয়েকটি পাথর এনে তাঁর নিকটে রেখে দিলাম এবং আমি তথা হতে কিছুটা দূরে সরে গেলাম। তিনি যখন ইস্তিনজা থেকে অবসর হলেন, তখন আমি অগ্রসর হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, হাঁড় ও গোবর এর বিষয় কি? তিনি বললেন এগুলো জ্বিনের খাদ্য। আমার নিকট নাসীবীন নামক জায়গা থেকে জ্বিনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিলো, তারা উত্তম জ্বিন ছিল। তারা আমার কাছে খাদ্যদ্রব্যের প্রার্থনা জানালো; তখন আমি আল্লাহর নিকট দুআ করলাম যে, যখন কোন হাঁড় বা গোবর (তাদের) হস্তগত হয় তখন যেন উহাতে তাদের খাদ্যদ্রব্য পায়।


বেদে বিজ্ঞান
ইদং বিষ্ণুর্বি চক্রমে ত্রেধা নি দধে পদম্।
সমুল্লহমস্য পাংসুরে।। 
(ঋকবেদ /২২/১৭)
ভাবার্থ সর্বব্যাপক ঈশ্বর তিন প্রকারের জগত নির্মাণ করেছেন অর্থাৎ এক পৃথিবীরুপ, দ্বিতীয় অন্তরীক্ষ আকাশে অবস্থানকারী পরমাণুময় জগত এবং তৃতীয় প্রকাশময় সূর্য এবং অন্যান্য গ্ৰহের অবস্থানকারী জগত। এর মধ্যে আকাশে বায়ুরূপে যা থাকে তা পৃথিবী এবং সূর্যাদি লোকের বৃদ্ধি করে।

পূর্বে অর্দ্ধে রজসো অপ্ত্যস্য গবাং জনিত্র্যকৃত প্র কেতুম্। 
ব্যু প্রথতে বিতরং বরীয় ওভা পৃণন্তী পিত্রোরুপস্থা।। 
(ঋকবেদ /১২৪/)
ভাবার্থ এই অন্তরিক্ষের পূর্ব ভাগে নিজের রশ্মির প্রকাশের মাধ্যমে সূর্য উদিত হয়,যা জ্ঞানের প্রকাশ করে।প্রথমে এই আলো কেবলমাত্র ওই স্থানকেই আলোকিত করে, এবং পরে তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রকাশ অধিক থেকে অধিকতর বিস্তারিত হয়। এবং কিছু সময় পরেই পিতা-মাতার সমান বিদ্যমান দ্দ্যাবাপৃথিবীর কোল ভরিয়ে দেয়। দ্যুলোক এবং পৃথিবীকে নিজের প্রকাশের দ্বারা পূর্ণ করে।

অনেহো দাত্রমদিতেরনর্বং হুবে স্বর্বদবধং নমস্বত্। 
তদ্রোদসী জনয়তং জরিত্রে দ্দ্যাবা রক্ষতং পৃথিবী নো অভ্বাত্।। 
(ঋকবেদ /১৮৫/)
ভাবার্থ আমি বিনাশরহিত সূর্য, পৃথিবীর‌, যার মধ্যে প্রশংসিত অন্ন বিদ্যমান সেই দানপাত্রকে স্বীকার করছি। হে দিন রাত্রির সমান পিতা মাতা! সেই দান কর্মের স্তুতি করে আমার জন্য উৎপন্ন করো। হে দ্দ্যাবাপৃথিবীর সমান বর্তমান মাতা-পিতা! আমাদের অধর্মের হাত থেকে রক্ষা করো।
আয়ং গৌঃ পৃশ্নীরক্রমীদসদন্ মাতরং পুনঃ। 
পিতরং প্রয়ন্ত্স্বঃ।। 
(যজুর্বেদ /)
ভাবার্থ এই প্রতক্ষ্য পৃথিবী অন্তরীক্ষে অর্থাৎ আকাশে সূর্যের চারদিকে আবর্তন করে।
ইন্দ্রো দীর্ঘায় চক্ষস সূর্য়ং রোহয়দ্দিবি। 
বিগোভিরদ্রিমৈরয়ত্।। 
(ঋকবেদ //)
ভাবার্থ পরমেশ্বর সমস্ত লোকে দর্শনের জন্য সমস্ত পদার্থের প্রকাশের জন্য সূর্যলোককে সমস্ত লোকের মাঝে স্থাপন করেছেন। সেই সূর্য যে নিজের কিরণের দ্বারা ক্ষণে ক্ষণে মেঘকে বর্ষণ করে।

ক্ব ত্রী চক্রা ত্রিবৃতো রথস্য ক্ব ত্রয়ো বন্ধুরো য়ে সনীল্লাঃ। 
কদা য়োগো বাজিনো রাসভস্য য়েন য়জ্ঞং নাসত্যোপয়াথঃ।। 
(ঋকবেদ /৩৪/)
ভাবার্থ বিভূতির ইচ্ছা যারা করে তাদের উচিৎ রথের আদি,মধ্য এবং অন্তে সমস্ত শিল্পের বন্ধনের আধারের জন্য এই তিনটি বন্ধন সম্পাদন করা তথা ঘোরার এবং ঘোরানোর জন্য সম্পাদন করা। মন এবং বুদ্ধি শরীরের রথ চক্র যা ঠিক হলেই রথ চলবে।

পঞ্চপাদং পিতরং দ্বাদশাকৃতিং দিব আহুঃ পরে অর্ধে পুরীষিণম্। 
অথেমে অন্য উপরে বিচক্ষণে সপ্তচক্রে ষডর আহুরর্পিতম্।। 
(অথর্ববেদ //১২)
ভাবার্থ জ্ঞানী লোকেরা সময় চক্রকে পাঁচ পা ওয়ালা বলে এই পাঁচ কর্মই ইহার গতির দ্দ্যোত্তক। আর সেই ক্রিয়ার গতিই সময়ের রূপে মাপা হয়। সময়কে তাঁরা পিতা বলে। সময়ই দ্দ্যুলোক এবং পৃথিবী লোকের জন্ম দেয়। অতএব তাদের পিতা ইহাকে বারোআকৃতিওয়ালা বলে। বারোটা মাসই এর বারোটা আকৃতি। অতএব ইহা তাহাদের পিতা। এই কাল বা সময়কেই দ্দ্যুলোকের উৎকৃষ্ট স্থানের জল বলা হয়। সময় বিশেষে সূর্যের তীব্র কিরণে পৃথিবীর সমুদ্রের জল বাষ্পীভূত হয়ে মেঘে পরিণত হয় এবং এই মেঘ জলপূর্ণ হলে তা বৃষ্টি রূপে পৃথিবী পৃষ্ঠে ঝরে পড়ে।

দ্বাদশ প্রধয়শ্চক্রমেকং ত্রীণি নভ্যানি তচ্চিকেত। 
তত্রাহতাস্ত্রীণি শতানি শঙকবঃ ষষ্টিশ্চ খীলা অবিচাচলা য়ে।। 
(অথর্ববেদ ১০//)
ভাবার্থ ঈশ্বর নির্মিত কালচক্রের সংবত্সররূপ একটা চক্র। ইহার বারোমাস রুপী বারোটা প্রধি আছে। শীত,গ্ৰীষ্ম বর্ষা এই তিনটি ঋতু এই চক্রের তিনটি নাভি। ঈশ্বর একবছরকে বারো মাস,ঋতু এবং দিনে বিভাজন করেছেন।

গ্ৰীষ্মস্তে ভূমে বর্ষাণি শরদ্ধেমন্তঃ শিশিরো বসন্তঃ। 
ঋতবস্তে বিহিতা হায়নীরহোরাত্রে পৃথিবি নো দুহাতাম্।। 
(অথর্ববেদ ১২//৩৬)
ভাবার্থ হে ভূমিমাতা! গ্ৰীষ্ম এবং অন্যান্য ঋতু তোমারই। এই ঋতুগুলো প্রতি বছরই হয় এবং বছর পূর্ণ হয়। দিন এবং রাত আমাদের জন্য এই ঋতুচক্র থেকে উত্তম ঔষধি-বনস্পতির দোহন করে।

য়স্যা কৃষ্ণমরুণং সংহিতে অহোরাত্রে বিহিতে ভূম্যামধি। 
বর্ষেণ ভূমিঃ পৃথিবী বৃতাবৃতা সা নো দধাতু ভদ্রয়া প্রিয়ে ধামনিধামনি।। (
অথর্ববেদ ১২//৫২)
ভাবার্থ এই জগতে এক দিকে অন্ধকারময়, অপরদিকে প্রকাশময় রাত্রি এবং দিন পরস্পর মিলিত হয়ে রাখা হয়েছে। দিনের পর রাত আসে এবং রাতের পর দিন। এই ভাবে দিন রাত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। এই পৃথিবীতে সময়ে সময়ে বৃষ্টির জল আচ্ছাদিত হতে থাকে। বৃষ্টির ফলে শস্যের ঘাটতি থাকে না। এই বৃষ্টি এবং গোমাতা দের দ্বারা আচ্ছাদিত ভূমি আমাদেরকে প্রীতিকারী প্রত্যেক তেজে স্থাপিত করে।
সমুদ্রাদর্ণবাদধি সংবত্সরো অজায়ত। 
অহোরাত্রাণি বিদধাদ্বিশ্বস্য মিষতো বশী।। 
(ঋকবেদ ১০/১৯০/)
ভাবার্থ ক্রিয়ার সাথে সাথে কাল বা সময় এর আবির্ভাব হয়। কালের মধ্যেই প্রত্যেক ক্রিয়া হয়। প্রকৃতির অণু সমুদ্রের মতো গতিশীল ফলে কাল বা সময়ের প্রাদুর্ভাব হয়। ঈশ্বর সময় পরিমাপের জন্য দিন এবং রাত্রির সৃষ্টি করেছেন।

অত্রাহ গোরমন্বত নাম ত্বষ্টুরপীচ্যম্। 
ইথ্যা চন্দ্রমসো গৃহে।। 
(ঋকবেদ /৮৪/১৫)
ভাবার্থ হে মনুষ্য! সূর্য যেভাবে পৃথিবী এবং চন্দ্রকে আলোকিত করে, তোমরাও সেইভাবে ঘরে ঘরে ন্যায়ের প্রকাশ করো।

কৃষ্ণেন রজসা বর্তমানো নিবেশয়ন্নমৃতং মর্ত্যং চ। 
হিরণ্যয়েন সবিতা রথেনা দেবো য়াতি ভুবনানি পশ্যন্।। 
(ঋকবেদ /৩৫/)
ভাবার্থ সমস্ত জগতের সৃষ্টিকর্তা অধিক প্রকাশ যুক্ত পরমেশ্বর নিজের আকর্ষণ শক্তি দ্বারা সূর্যাদি লোকের সঙ্গে ব্যাপক হয়ে অন্তর্যামীরূপ বা বেদ দ্বারা মোক্ষসাধক সত্য জ্ঞান, কর্ম এবং প্রলয়ের ব্যবস্থা দ্বারা মরণ যুক্ত জীবকে ভালোভাবে স্থাপন করেছেন। যশোময় জ্ঞান স্বরূপ রথে যুক্ত লোককে দেখেন এবং সমস্ত পদার্থ প্রাপ্ত করেন।
বি সুপর্ণো অন্তরিক্ষাণ্যখ্যদ্গভীরবেপা অসুরঃ সুনীথঃ। 
ক্বেদানী সূর্যঃ কশ্চিকেত কতমাং দ্দ্যাং রশ্মিরস্যা ততান।। 
(ঋকবেদ /৩৫/)
ভাবার্থ হে বিদ্বানগণ! সূর্যালোক সকলের প্রাণ দাতা, যার কম্পন গভীর অর্থাৎ সূক্ষ্ম হওয়ায় বোঝা যায় না উত্তম প্রকারে পদার্থের প্রাপ্তির জন্য এবং উত্তম পতন স্বভাব কিরণ যুক্ত সূর্য অন্তরীক্ষে স্থির রয়েছে সমস্ত লোককে প্রকাশিত করে এবং রাতের বেলায় পৃথিবীর বিপরীত পৃষ্ঠে চলে যায়,ফলে অন্ধকার হয়ে যায়।

ভুরিং দ্বে অচরন্তী চরন্তং পদ্বন্তং গর্ভমপদী দধাতে। 
নিত্যং সূনুং পিত্রোরুপস্থে দ্দ্যাবা রক্ষতং পৃথিবী নো অভ্বাত্।। 
(ঋকবেদ /১৮৫/)
ভাবার্থ এই দ্দ্যুলোকস্থ পিণ্ড এবং পৃথিবীলোক অত্যন্ত তীব্র গতিশীল হয়েও স্থির দেখায়। এই দ্দ্যুলোক এবং পৃথিবী লোকের কোন পা নেই। পা রহিত এই দুই দ্দ্যাবাপৃথিবী অনেক গতিশীল পাওয়ালা প্রাণীকে ধারণ করে রেখেছে। অবিচলিত হয়ে গমনকারী কেও ধারন করে এবং বিনা পাওয়ালা কেউ ধারণ করে রেখেছে।সেভাবেই ধারণ করে রেখেছে যেভাবে পিতা মাতা তাঁর সন্তানকে কোলে ধারণ করেন। পিতা-মাতা যেভাবে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখেন, সেই ভাবে দ্দ্যুলোক এবং পৃথিবীলোক আমাদের সুরক্ষিত করে রেখেছে