আক্ষেপঃ
আর্যরা চরণামৃতকে সর্বরোগ বিনাশক মানে না অথচ গায়েত্রীকে সর্বপাপনাশক,রক্ষাকবচ বলেন কেন ? ডাক্তার,নাবিকরা কি এটা জপ করে রক্ষা করে ?
চপেটাঘাতঃ
কোথায় গায়েত্রী কোথায় চরণামৃত ! কোথায় আগরতলা আর কোথায় খাটের তলা !! চরণামৃতে কত প্রকার ফুল-পাতা থাকে ? কতদিন পর্যন্ত তা পান করা যায় বা পান করলে ঠিক ধরনের রোগব্যাধি সারে মহাশয় ?
কোথায় গায়েত্রী কোথায় চরণামৃত ! কোথায় আগরতলা আর কোথায় খাটের তলা !! চরণামৃতে কত প্রকার ফুল-পাতা থাকে ? কতদিন পর্যন্ত তা পান করা যায় বা পান করলে ঠিক ধরনের রোগব্যাধি সারে মহাশয় ?
আর্যরা বা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী কবে বলেছেন গায়েত্রী জপ করলে সর্ববাধা পালিয়ে যাবে বা যেকোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ?
গায়েত্রীর মূল প্রতিপাদ্যই হল অন্তঃকরণে সদ্ বুদ্ধি ও সন্মার্গে প্রেরণ করা , যদি গায়েত্রী মন্ত্র একবারও হৃদয় দ্বারা অনুধাবন করতেন তবে পরমেশ্বরের নিকট ভক্তের সেই আকুল আবেদন বুঝতে পারতেন সেই পরমেশ্বর সেই গায়েত্রী মহামন্ত্র দ্বারা স্বয়ং ভক্তকে প্রার্থনা জ্ঞান দান করে বলাচ্ছেন - https://www.agniveerbangla.com/2019/05/blog-post_22.html
গায়েত্রীর মূল প্রতিপাদ্যই হল অন্তঃকরণে সদ্ বুদ্ধি ও সন্মার্গে প্রেরণ করা , যদি গায়েত্রী মন্ত্র একবারও হৃদয় দ্বারা অনুধাবন করতেন তবে পরমেশ্বরের নিকট ভক্তের সেই আকুল আবেদন বুঝতে পারতেন সেই পরমেশ্বর সেই গায়েত্রী মহামন্ত্র দ্বারা স্বয়ং ভক্তকে প্রার্থনা জ্ঞান দান করে বলাচ্ছেন - https://www.agniveerbangla.com/2019/05/blog-post_22.html
অবশ্য আপনার পৌরাণিক তথাকথিত মন্ত্র অতি সুন্দর । পুরাণ তো গ্যারান্টি দিচ্ছে বিষ দূর করার শতভাগ নিশ্চয়তা । বিশ্বাস না হলে পড়ুন -
¤¤গরুড় পুরাণ - পূর্ব ২৭.১,২
আক্ষেপঃ সংস্কার বিধিতে ২৪ আঙুল গামছার কথা আছে । এটা থাকতে সত্যনারায়ণ পুজোতে সওয়া সের চাল নিয়ে কটাক্ষ কেন ?
চপেটাঘাতঃ
ঠিক কে সওয়া সের নিয়ে চিন্তিত বুঝলাম না । আর সংস্কার বিধিতে এটা একটি সাধারণ মাপ হিসাবে বলা । দয়ানন্দ সরস্বতী কি কোথাও বলেছেন যে এই ২৪ আঙুল গামছা না পাওয়া গেলে বা অন্য গামছায় যজ্ঞ বিফল ?
ঠিক কে সওয়া সের নিয়ে চিন্তিত বুঝলাম না । আর সংস্কার বিধিতে এটা একটি সাধারণ মাপ হিসাবে বলা । দয়ানন্দ সরস্বতী কি কোথাও বলেছেন যে এই ২৪ আঙুল গামছা না পাওয়া গেলে বা অন্য গামছায় যজ্ঞ বিফল ?
টীকাতে স্পষ্ট লেখাই আছে এখানে ২৪ সামান্য বা সাধারণ পরিমাপসূচক-
অবশ্য আপনাদের প্রিয় পুরাণে বলির ছাগ যদি ত্রুটিমুক্ত না হয় তবে ঘোরতর অমঙ্গল বর্ণিত হয়েছে । বিশ্বাস না হলে নিজেই পড়ে নিন -
অবশ্য আপনাদের প্রিয় পুরাণে বলির ছাগ যদি ত্রুটিমুক্ত না হয় তবে ঘোরতর অমঙ্গল বর্ণিত হয়েছে । বিশ্বাস না হলে নিজেই পড়ে নিন -
¤¤ব্রহ্মবৈবর্ত প্রকৃতি ৬৪ম অধ্যায়
আক্ষেপঃ
তোমরা বল প্রতিমা শুনতে পায়না অথচ দয়ানন্দ তার সংস্কার বিধিতে গর্ভের ওপর হাত বুলিয়ে গল্পগুজব,৬ মাসের শিশুর সাথে নামকরণের সময় ফিসফিস , মুণ্ডনে নাপিতের যন্ত্রের সাথে গপ্পো তামাশা কর কেন ?
তোমরা বল প্রতিমা শুনতে পায়না অথচ দয়ানন্দ তার সংস্কার বিধিতে গর্ভের ওপর হাত বুলিয়ে গল্পগুজব,৬ মাসের শিশুর সাথে নামকরণের সময় ফিসফিস , মুণ্ডনে নাপিতের যন্ত্রের সাথে গপ্পো তামাশা কর কেন ?
চপেটাঘাতঃ
বেদপাঠ না করে পণ্ডিতি প্রদর্শন করলে যা হয় আর কি ! মহর্ষি তো কোথাও ঐ মন্ত্রের অর্থ লিখেননি । তাহলে এই সব গল্পের কথা কি আপনার নিজ মস্তিষ্কপ্রসূত ?
- ১. প্রসবের সময় ধাই গর্ভের ওপর হাত শুধু রেখে প্রার্থনা করেন তা নয় বরং মার্জনও করতে থাকেন অর্থাত তার কার্য তিনি করার পাশাপাশিই মন্ত্র পাঠ করেন । তার অর্থ -
যজুর্বেদ ৮.২৮- দশ মাসের গর্ভ জরায়ুর সহিত গর্ভে কম্পিত হোক এবং যেভাবে বায়ু বাহিত হয়, যেভাবে সমুদ্রে ঢেউ ওঠে সেইভাবে এই দশমাসের শিশু জরায়ুর বাইরের পথে আসুক ।
পারস্কর ১.১৬.২- তোমার গর্ভের ওপরের চর্ম যা কিনা অনেক রং যুক্ত তথা হালকা সেই কুকুরাদি পশুর ভক্ষণীয় নিচে অবনমিত তোমার গর্ভাশয়ের মোটা থলি যাতে শিশু অবস্থান করে সেই থলি (জরায়ু) থেকে নিচে আসুক ।
যে ব্যক্তি এসবকে গালগল্প মনে করে তার বুদ্ধি ও শাস্ত্রের দৌড় কতটুকু তা বোঝাই যাচ্ছে ।
- ২. নাপিতের সাথে ক্ষুর নিয়ে গালগল্পের প্রশ্নই ওঠে না কর্মকর্তা প্রথমে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নাপিতকে আহবান করেন । এর মাধ্যমে বেদ আমাদের নাপিতকে সম্মান, নাপিতকে তার কর্তব্য এবং মুণ্ডন সংস্কার এই ত্রিবিধ শিক্ষা দিচ্ছে । প্রথম মন্ত্রার্থ নিম্নলিখিত রূপ -
অথর্ববেদ ৬.৬৮.১ - এই পুরাতনের স্থানে নতুন কেশ সৃষ্টিকারি নাপিত ক্ষুর সহিত এসেছেন , বায়ুর ন্যায় জল আনয়নকারি নাপিত গরম জলের সাথে এসো জ্ঞানী চৈতন্য আদিত্য, রুদ্র ও বসু ( এরা ব্রহ্মচারী, বিশদ বিবরণ ছান্দোগ্যোপনিষদে ) আশির্বাদের বর্ষা এই বালকের ওপর করো এই দীপ্তিমান শান্ত বালকের মুণ্ডন সংস্কার জ্ঞানীগণ করুন
পরবর্তী মন্ত্র ও কল্পবাক্য নাপিতকে তার কর্মের পথপ্রদর্শন করে ।
আক্ষেপঃ যজ্ঞাগ্নিতে শূদ্রের কথা নেই । এটা কি অস্পৃশ্যতা নয় ?
চপেটাঘাতঃ
বাহরে বাহ ! এতো মামদো ভুতের মুখে হরে কৃষ্ণ । নিজেরা মানেন জন্মভেদে বর্ণ, জীবনে শূদ্রের বেদাধিকার. নারীর মন্ত্রাধিকারের পক্ষে টুঁশব্দ করলেন না এখন প্রেম যেন আর ধরছে না!
বাহরে বাহ ! এতো মামদো ভুতের মুখে হরে কৃষ্ণ । নিজেরা মানেন জন্মভেদে বর্ণ, জীবনে শূদ্রের বেদাধিকার. নারীর মন্ত্রাধিকারের পক্ষে টুঁশব্দ করলেন না এখন প্রেম যেন আর ধরছে না!
শূদ্র ঐ যজ্ঞ বাড়তেই কর্মে নিরত থাকে তাই তার যজ্ঞাধিকার আছে । নিজের বাড়িতে সে কমই থাকে । তাই তার বাড়িতে অগ্নি সর্বদা প্রজ্জ্বলিত নাও থাকতে পারে । মহর্ষি কোথাও বলেছেন তাদের বাড়ির অগ্নি আনা নিষেধ ? মহর্ষি তো তার যজ্ঞাধিকারও দিয়েছেন যেখানে আপনারা বেদাধিকার দিতেই কুণ্ঠিত । দেখুন -
আক্ষেপঃ
আচমনে অমৃতোপন্ত... কবে কার বিধি?
আচমনে অমৃতোপন্ত... কবে কার বিধি?
চপেটাঘাতঃ
ওহে শাস্ত্র অনভিজ্ঞ ও অশিক্ষিত ডিজিটাল চ্যালাবৃন্দ একটু আশ্বলায়ণ গৃহ্যসূত্রের ১.২৪.১২,২১,২২ পাতাটা ওল্টান -
আক্ষেপঃ
একাদশী নিয়ে আক্ষেপ তো স্ত্রীসহবাসে দিন ইতরবিশেষ কেন ?
চপেটাঘাতঃ
ওটা মনুস্মৃতির নিয়ম । মহর্ষির কপোলকল্পিত নয় । শাস্ত্রে শারীরিক সম্পর্ক কেমন বিহিত সন্তান তথা প্রজা নির্মাণে । তারই দিনাতিকাল সংক্ষিপ্ত করার জন্য এই বার প্রবর্তন ।
একাদশী নিয়ে আক্ষেপ তো স্ত্রীসহবাসে দিন ইতরবিশেষ কেন ?
চপেটাঘাতঃ
ওটা মনুস্মৃতির নিয়ম । মহর্ষির কপোলকল্পিত নয় । শাস্ত্রে শারীরিক সম্পর্ক কেমন বিহিত সন্তান তথা প্রজা নির্মাণে । তারই দিনাতিকাল সংক্ষিপ্ত করার জন্য এই বার প্রবর্তন ।
আপনার একাদশী কি ? সারাদিন তো বেদ অপরা বলে গলা ফাটান । নিজের একাদশী দেখুন গিয়ে । নামেই বলে ধনদা,কামদা,মোক্ষদা,পুত্রদা ইত্যাদি একাদশী । এগুলো কি কাম্যকর্ম নয় ? যদি বলেন নিষ্কাম ভাবে তাহলে এই একই যুক্তি বেদের বেলায় কোথায় লুকিয়ে ফেলেন ? আপনার মতে অপরা=অশ্রেষ্ঠ । অপরা একাদশী বলে যে একাদশী রয়েছে তা কি অশ্রেষ্ঠ একাদশী ? রাম রাম !!
আক্ষেপঃ
আমি দয়ানন্দের সংস্কৃত বাক্যাপ্রবোধ পুস্তকের ব্যাকরণগত ভুল ধরে বই প্রকাশ করি যার জবাব এখনও দয়ানন্দ দিতে পারেনি ।
চপেটাঘাতঃ
আহারে! কি দুঃখ । ঐ যা লিখেছেন তাতে আপনার ব্যাকরণের দৌড়ই বোঝা যায় । আপনার মত চুনোপুটি যারা কিনা সমালোচনা করে সুনজরে পড়তে চান ।
আমি দয়ানন্দের সংস্কৃত বাক্যাপ্রবোধ পুস্তকের ব্যাকরণগত ভুল ধরে বই প্রকাশ করি যার জবাব এখনও দয়ানন্দ দিতে পারেনি ।
চপেটাঘাতঃ
আহারে! কি দুঃখ । ঐ যা লিখেছেন তাতে আপনার ব্যাকরণের দৌড়ই বোঝা যায় । আপনার মত চুনোপুটি যারা কিনা সমালোচনা করে সুনজরে পড়তে চান ।
পাঠকগণ , মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর সুযোগ্য শিষ্য মহামহোপাধ্যায় দর্শনাচার্য্য পণ্ডিত যুধিষ্ঠির মীমাংসক যে জবাব দিয়েছেন তা পড়ুন এই লিংকে - https://back2thevedas.blogspot.com/2017/08/blog-post.html
আক্ষেপঃ রাজা শিবপ্রসাদ নিবেদন ও দ্বিতীয় নিবেদন নামক পুস্তক লেখেন । দয়ানন্দ বাগাম্বরযুক্ত গালিগালাজ করে বই লিখে । ডাঃ টিবো বলেন দয়ানন্দকে মনুষ্যাধম বলতে ঘৃণা হয় ।
চপেটাঘাতঃ
চোরের সাক্ষী বাটপাড় । ডাক্তার টিবো কে মহাশয়? তার কি যোগ্যতা কোন শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্ত দেবার ? তার লেখার শাস্ত্রীয় যুক্তি কি ? এই তো সারাদিন বিদেশী নিন্দা করেন এখন আবার তাদেরই হুজুর হুজুর করছেন ? অবশ্য আপনার চরিত্রই তাই । নাহলে গীতা-কোরান পাশাপাশি আপনি বাদে কে কার রাখা সাধ্য ?
চোরের সাক্ষী বাটপাড় । ডাক্তার টিবো কে মহাশয়? তার কি যোগ্যতা কোন শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্ত দেবার ? তার লেখার শাস্ত্রীয় যুক্তি কি ? এই তো সারাদিন বিদেশী নিন্দা করেন এখন আবার তাদেরই হুজুর হুজুর করছেন ? অবশ্য আপনার চরিত্রই তাই । নাহলে গীতা-কোরান পাশাপাশি আপনি বাদে কে কার রাখা সাধ্য ?
আর আপনি এতো পণ্ডিত তা চ্যালেঞ্জ করতেন সরাসরি বিতর্কের । তা করেননি কেন ? নাকি ধুতি থাকবে না বলে এগোননি ।
পাঠকগণ, রাজাবাহাদুর ধরাশায়ী হওয়ার পর এবং এক বইয়ের জবাবের পর এই অম্বিকা দত্ত মুখ দেখাতেই লজ্জা পেত । এর অন্যতম শিষ্য শিবশঙ্কর শর্ম্মার কাছে ইনি নিজেই বেদে প্রতিমা নেই এবং মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী সঠিক স্বীকার করেন । এই শিবশঙ্কর পরবর্তীতে আর্যসমাজে যোগদান করেন এবং "বেদতত্ত্ব প্রকাশ" নামে সুবিস্তৃত গ্রন্থ রচনা করেন যা বেদের আধিদৈবিক ভাষ্যের এক রত্ন ।
রাজা বাহুদুরের আর কুলোয়নি এই বাঁশ । তাই এরপর তিনি চুপ মেরে গিয়েছেন ।
তাই আশা করি অম্বিকা দত্তের ডিজিটাল শিষ্যগণ চুপ থেকে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবেন ।
কারণ-
দূরতঃ শোভতে মূর্খো লম্বশাটপটাবৃতঃ।
তাবচ্চ শোভতে মূর্খো যাবৎ কিঞ্চি ন্ন ভাষতে।।
👉অর্থাৎ : মূর্খ ব্যক্তি দীর্ঘ পোশাক পরিচ্ছদে ভূষিত হয়ে দূর থেকেই শোভা পায়, যতক্ষণ পর্যন্ত মূর্খ কোন কথা না বলে ততক্ষণই শোভা পায়, (কথা বললেই তার প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশিত হয়ে পড়ে)।
কারণ-
দূরতঃ শোভতে মূর্খো লম্বশাটপটাবৃতঃ।
তাবচ্চ শোভতে মূর্খো যাবৎ কিঞ্চি ন্ন ভাষতে।।
👉অর্থাৎ : মূর্খ ব্যক্তি দীর্ঘ পোশাক পরিচ্ছদে ভূষিত হয়ে দূর থেকেই শোভা পায়, যতক্ষণ পর্যন্ত মূর্খ কোন কথা না বলে ততক্ষণই শোভা পায়, (কথা বললেই তার প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশিত হয়ে পড়ে)।
0 মন্তব্য(গুলি)