আজকাল পশ্চিমবঙ্গীয় অনেক কুজ্ঞানী বাম নাস্তিকদের অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে শ্রীরামচন্দ্র নাকি মধু দিয়ে তৈরী মদ এবং গোমাংস আহার করতেন!এর ভিত্তিতে তারা দাবী করছেন যে হিন্দুধর্মে গোমাংস ভক্ষন নিষিদ্ধ নয়।
এই দাবীটি সম্ভাব্য সকল দৃষ্টিকোন থেকেই অগ্রহনীয়।একটু ব্যখ্যা করা যাক-
প্রথমত,আপাতত তর্কের খাতিরে যদি আমরা ধরেও নেই শ্রীরামচন্দ্রের খাদ্য তালিকায় গোমাংস ছিল তাহলেও গোমাংস বৈদিক ধর্মে অনুমোদিত হয়ে যাবেনা।কেননা যেমন ইসলামের সম্পূর্ন ভিত্তি মোহাম্মদের উপর বা ক্রিশ্চিয়ানিটির সম্পূর্ন ভিত্তি যীশুতে স্থিত,এরা যদি ভূল হন তাহলে ইসলাম বা খ্রিষ্টানভিত্তি ধ্বসে পড়ে বৈদিক ধর্মে তেমনটি নয়।কেননা মুসলিমদের সাহাদা পড়ার সময় যেমন আল্লাহের অস্তিত্ব স্বীকারের সাথে সাথে মোহাম্মদকে নবী হিসেবে স্বীকার করতে হয়,বৈদিক ধর্মে সেরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই।একজন হিন্দু যদি শ্রীকৃষ্ণ বা শ্রীরামচন্দ্রকে না মেনেও যদি শুধু বেদ মেনে চলেন,মানবতায় বিশ্বাসী হন তাহলেও তার হিন্দুত্ব অব্যাহত ই থাকবে।অর্থাত্ হিন্দুধর্ম কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিনির্ভর নয়।তবে শ্রীরামচন্দ্র এবং শ্রীকৃষ্ণসহ মহাপুরুষ আর্যব্যক্তিগনের পদাঙ্ক অনুসরন প্রত্যেক হিন্দুধর্মালম্বীদের জন্য ই উত্তম বটে।
দ্বিতীয়ত শ্রীরামচন্দ্র আসলে খাদ্য হিসেবে কি গ্রহন করতেন?
বাল্মীকি রামায়নের সুন্দরকান্ড, স্কন্দ ৩৬ এর ৪১ নং শ্লোকে শ্রীরামচন্দ্রের খাদ্যবিধি বর্ননা করা হয়েছে এভাবে-
ন মাংসম রাঘব ভুংক্তে।
ন চৈব মধু সেবতে। বন্যম সুবিহিতম নিত্যম ভক্তমস্নতি পঞ্চমম।।
অনুবাদ-"শ্রীরাম কোনপ্রকার মাংস ও মধু খেতেন না।তিনি প্রতিদিন ফল এবং স্বিদ্ধ ভাত খেতেন যা একজন ব্রহ্মচারীর জন্য অনুমোদিত।"
কিষ্কিন্ধ্যা কান্ডের প্রথম অধ্যয়ে শ্রীরামের বনবাস যাত্রাকালে পথিমধ্যে রাজা কবন্ধের সাথে দেখা হলে কোনদিকে গেলে তিনি তার জীবনধারনের জন্য তিনি যে নিরামিষ আহার করেন তা পাওয়া সুবিধাজনক হবে জানতে চাইলে কবন্ধ তাঁকে বলেন-
"হে রাম,তুমি এখান থেকে পশ্চিমদিকে যাও,সেখানে তুমি তোমার প্রয়োজনীয় ফল আম,কাঠাল,কলাসহ অন্যান্য ফলগুলো এবং নাগ,ধন্ব,তিলক,নক্তমালাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সবজিগুলো পাবে।"
বনবাসের জন্য অযোধ্যা ত্যগকালে মাতা কৌশল্যার প্রতি শ্রীরামচন্দ্রের প্রতিশ্রুতি-
ফলমুলাসন নিত্যম ভবিষ্যামি নসংশয়।
ন তু দুখং কৈশ্যামি নিবসন্তি ত্বয় সদা।।
(অযোধ্যা কান্ড ২.২৭.১৬)
অনুবাদ-"মা তোমাকে আমি কথা দিচ্ছি আমি ফলমূলাদি ছাড়া কখনো মাংসাদি গ্রহন করবনা।তোমাকে ছেড়ে থাকলেও আমি কখনো এরুপ বিপথগামী হবনা।"
অথচ এই জ্ঞানপাপী কূপমুন্ডকরা শ্রীরামচন্দ্রের নামে কি অপপ্রচারটাই না চালাচ্ছে!এইসব কুচক্রীদের থেকে সতর্ক থাকুন।
অগ্নিবীর
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি
বাল্মীকি রামায়নের সুন্দরকান্ড, স্কন্দ ৩৬ এর ৪১ নং শ্লোকে শ্রীরামচন্দ্রের খাদ্যবিধি বর্ননা করা হয়েছে এভাবে-
ন মাংসম রাঘব ভুংক্তে।
ন চৈব মধু সেবতে। বন্যম সুবিহিতম নিত্যম ভক্তমস্নতি পঞ্চমম।।
অনুবাদ-"শ্রীরাম কোনপ্রকার মাংস ও মধু খেতেন না।তিনি প্রতিদিন ফল এবং স্বিদ্ধ ভাত খেতেন যা একজন ব্রহ্মচারীর জন্য অনুমোদিত।"
কিষ্কিন্ধ্যা কান্ডের প্রথম অধ্যয়ে শ্রীরামের বনবাস যাত্রাকালে পথিমধ্যে রাজা কবন্ধের সাথে দেখা হলে কোনদিকে গেলে তিনি তার জীবনধারনের জন্য তিনি যে নিরামিষ আহার করেন তা পাওয়া সুবিধাজনক হবে জানতে চাইলে কবন্ধ তাঁকে বলেন-
"হে রাম,তুমি এখান থেকে পশ্চিমদিকে যাও,সেখানে তুমি তোমার প্রয়োজনীয় ফল আম,কাঠাল,কলাসহ অন্যান্য ফলগুলো এবং নাগ,ধন্ব,তিলক,নক্তমালাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সবজিগুলো পাবে।"
বনবাসের জন্য অযোধ্যা ত্যগকালে মাতা কৌশল্যার প্রতি শ্রীরামচন্দ্রের প্রতিশ্রুতি-
ফলমুলাসন নিত্যম ভবিষ্যামি নসংশয়।
ন তু দুখং কৈশ্যামি নিবসন্তি ত্বয় সদা।।
(অযোধ্যা কান্ড ২.২৭.১৬)
অনুবাদ-"মা তোমাকে আমি কথা দিচ্ছি আমি ফলমূলাদি ছাড়া কখনো মাংসাদি গ্রহন করবনা।তোমাকে ছেড়ে থাকলেও আমি কখনো এরুপ বিপথগামী হবনা।"
অথচ এই জ্ঞানপাপী কূপমুন্ডকরা শ্রীরামচন্দ্রের নামে কি অপপ্রচারটাই না চালাচ্ছে!এইসব কুচক্রীদের থেকে সতর্ক থাকুন।
অগ্নিবীর
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি
Thank you ,sir.we highly admire your activities.... Love all of you from my inner heart
ReplyDelete