https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

নিরুক্তে দেবতার আকার প্রসঙ্গে

Thursday, June 11, 2020



বেদ ব্যাখ্যার জন্য নিরুক্ত একটি অত্যুৎকৃষ্ট গ্রন্থ। এই গ্রন্থ আদ্যোপান্ত অধ্যয়ন করলে বেদোক্ত শব্দ গুলোর প্রকৃত অর্থ স্পষ্ট হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু কিছু ব্যক্তি নিরুক্তের ব্যাখ্যাপদ্ধতি সম্পর্কে অবগত না হয়েই নিরুক্ত হতে আংশিক উদ্ধৃতি দিয়ে নানান রকম অপপ্রচার চালায়।

সম্প্রতি দেখতে পেলাম নিরুক্ত ৭।৬ প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে নিরুক্তকার যাস্ক দেবতাদের মানুষের ন্যায় শরীরধারী বলেছেন। অর্থাৎ সেই সব অপপ্রচারকারীদের মতে, নিরুক্ত অনুসারে বেদে "ইন্দ্র" বলতে দধীচী মুনির হাড় (বজ্র) ধারণকারী, ঐরাবত নামক হাতিসওয়ার একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে!

চলুন, তাদের মতটা কতটা যৌক্তিক তা নিরুক্ত থেকেই দেখে নেওয়া যাক। তবে মূল বিষয়ে প্রবেশের আগে একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়া প্রয়োজন বোধ করছি। 


নিরুক্তের বিভিন্ন স্থানে যাস্কাচার্য বিভিন্ন পূর্ববর্তী নিরুক্তকারের মত তুলে ধরে কখনও তা সমর্থন করেছেন আবার কখনও তা খণ্ডন করেছেন। একই ভাবে তিনি বিভিন্ন স্থানে পূর্বপক্ষ হিসেবে ঐতিহাসিক, পরিব্রাজক প্রভৃতি মতও প্রদর্শন করেছেন। এখানে সকলের বোঝা উচিত যে এসব
 মত তিনি শুধু পূর্বপক্ষ হিসেবে তুলে ধরেছেন এগুলোকে সিদ্ধান্ত হিসেবে নেননি। তাই কেউ যদি এই পূর্বপক্ষের মত গুলোকে যাস্কের সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রচার করে, তবে সেটি হবে তার চরম জ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ। 


এই বিষয়টি একটি উদাহরণের মাধ্যমে পরিষ্কার করে নেওয়া যাক।

ঋগ্বেদের ১।৩২।১০ মন্ত্রে "বৃত্র" শব্দটি রয়েছে। 




এই মন্ত্রটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিরুক্তকার যাস্ক নিরুক্ত ২।১৬-তে প্রথমে একটি প্রশ্নের অবতারণা করে বলেছেন, 

"তৎকো বৃত্রঃ। = তাহলে বৃত্র কে?

এর উত্তর তিনি নিজে (নিরুক্তকারের মত হিসেবে) দিয়ে বলেছেন, 

"মেঘ ইতি নৈরুক্তাঃ। = মেঘই বৃত্র, এটি নিরুক্তকারদের মত।" 



এখানে যাস্কাচার্য স্পষ্ট করে দিলেন যে, নিরুক্তকারগণ বৃত্র অর্থ মেঘ মানেন। 



এর প্রমাণ আমরা নিঘণ্টু ১।১০ এ পাবো। সেখানে "বৃত্রঃ"কে মেঘের পর্যায়বাচী শব্দ হিসেবে নির্বচন করা হয়েছে। 



কিন্তু অনেকে (ইতিহাসপ্রিয়গণ) মনে করেন, বৃত্র হচ্ছে ত্বষ্টাসুরের পুত্র। তাই যাস্কাচার্য একটি পূর্বপক্ষ স্থাপন করে বলছেন, 

"ত্বাষ্ট্রোঽসুর ইত্যৈতিহাসিকাঃ।

 =  ঐতিহাসিকদের মতে, বৃত্র ত্বষ্টা অসুরের পুত্র।" 




এখন যাস্কাচার্য এই মতকে খণ্ডন করে নৈরুক্ত মতকে সিদ্ধান্ত হিসেবে দেওয়ার জন্য বলছেন,

 "অপাং চ জ্যোতিষশ্চ মিশ্রীভাবকর্মণী বর্ষকর্ম জায়তে। তত্রোপমার্থেন যুদ্ধবর্ণা ভবন্তি। 

= জল ও বিদ্যুতের মিলনক্রিয়া হতে বর্ষণ সজাত হয়। 




এরূপ হওয়া ইন্দ্র বৃত্রের যে যুদ্ধ বর্ণনা রয়েছে, তা উপমামাত্র।" অর্থাৎ এখানে যাস্কাচার্য "উপমা" শব্দটির মাধ্যমে ঐতিহাসিক মত খণ্ডন করে বললেন, মেঘস্থ জল (বৃত্র) ও বিদ্যুতের (ইন্দ্রের) মিলনক্রিয়াকেই বেদে উপমা হিসেবে ইন্দ্র বৃত্রের যুদ্ধ বলা হয়েছে, এটি কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা নয়।



এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। নিরুক্তের ৭ম অধ্যায় থেকে দৈবতকাণ্ড শুরু। অর্থাৎ এই ৭ম অধ্যায় থেকে বেদোক্ত দেবতাদের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এজন্য আমাদের প্রথমে বেদ মন্ত্রের দেবতা কাকে বলে সেটি দেখে নিতে হবে। 


নিরুক্তের ৭।১ এ বলা হচ্ছে,

 "যৎকাম ঋষির্যস্যাং দেবতায়ামার্থপত্যমিচ্ছন্স্তুতিং প্রযুক্তে তদ্দৈবতঃ স মন্ত্রো ভবতি। 

= কামনাকারী ঋষিগণ যে দেবতায় পদার্থের বল, কর্ম চেয়ে স্তুতি প্রযুক্ত করেন, সেই মন্ত্র সেই দেবতারই হয়।" 




অর্থাৎ মন্ত্রসমূহ যে পদার্থ বা দেবতার উপর প্রযুক্ত হয়ে স্তুত (আলোচিত) হয়, সেই পদার্থই/দেবতাই সেই মন্ত্রের দেবতা হন। 

এই দেবতা সম্পর্কিত আলোচনা করতে গিয়ে যাস্কাচার্য নিরুক্ত ৭।৬ এর প্রথমে একটি আলোচ্য বিষয় ঠিক করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "অথাকারচিন্তনং দেবতানাম্। = এখন দেবতাদের আকার চিন্তা বিষয়ে বলা হচ্ছে।" 




এটি বলে তিনি একটি পূর্বপক্ষ স্থাপন করে বলছেন, 

"পুরুষবিধাঃ স্যুরিত্যেকম্। চেতনাবদবদ্ধি স্তুতয়ো ভবন্তি। তথাভিধানানি। অথাপি পৌরুষবিধিকৈরঙ্গৈঃ সংস্তূয়ন্তে। 

= দেবতারা পুরুষের (মানুষের) মতো শরীরধারী, এটি একটি মত। (এই মতের স্বপক্ষে পূর্বপক্ষের যুক্তি দিয়ে বলছেন) যেহেতু মন্ত্রে দেবতাদের স্তুতি চেতনাবানের মতো করে করা হয়েছে। দেবতাদের পরস্পর কথোপকথন রয়েছে। আরও যুক্তি হচ্ছে, দেবতারা মানুষের মতো অঙ্গ দ্বারা স্তুত হন।"




 এই তিনটি যুক্তি দেওয়ার পর পূর্বপক্ষ বেদমন্ত্রের মাধ্যমে প্রমাণ দিচ্ছেন,

 "ঋষ্বা ত ইন্দ্র স্থবিরস্য বাহূ [ঋক- ৬।৪৭।৮]। যৎ সংগৃভণা মঘবন্ কাশিরিত্তে [ঋক- ৩।৩০।৫]।" 



পূর্বপক্ষ আরও প্রমাণ দিতে গিয়ে বলছেন, 

"অথাপি পৌরুষবিধিকৈর্দ্রব্যসংযোগৈঃ। 

= আরও যেখা যায়, মানুষেরা যেমন বিবিধ দ্রব্যসংযোগ দ্বারা বিশিষ্ট হয়, দেবতারাও তেমনি। (যেমন–)" "আ দ্বাভ্যাং হরিভ্যামিন্দ্র যাহি [ঋক- ২।১৮।৪]। কল্যাণীর্জায়া সুরণং গৃহতে [ঋক- ৩।৫৩।৬]।" 

"অথাপি পৌরুষবিধিকৈঃ কর্মভিঃ। 

= আরও দেখা যায়, দেবতারা মানুষের মতো কর্ম করেন। (যেমন–)" "অদ্ধীন্দ্র পিব চ প্রস্থিতস্য [ঋক- ১০।১১৬।৭]। আশ্রুৎকর্ণ শ্রুধী হবম্ [ঋক- ১।১০।৬]।।"




অর্থাৎ ১ম পূর্বপক্ষ দেবতাদের মানবের ন্যায় প্রমাণ করার জন্য যে কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো–


i. দেবতাদের চেতনের মতো স্তুতি করা হয়,
ii. বেদে দেবতাদের পারস্পারিক  কথোপকথন দেখা যায়,
iii. দেবতারা অঙ্গ দ্বারা স্তুত, 
iv. দেবতারা বিভিন্ন দ্রব্য বিশিষ্ট্য ও 
v. দেবতাদের মানুষের ন্যায় কর্ম করতে দেখা যায়।


এবার উপর্যুক্ত ১ম পূর্বপক্ষের যুক্তিকে খণ্ডন করার জন্য যাস্কাচার্য নিরুক্তের ৭।৭ এ আরেকটি পূর্বপক্ষ স্থাপন করে বলছেন, 

"অপুরুষবিধাঃ স্যুরিত্যপরম্। 

= দেবতারা মানুষের মতো নয়, এটি আরেকটি মত।" 



এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেবতারা যদি মানুষের মতো না হয়, তবে দেবতারা কেমন? এর উত্তরে দ্বিতীয় পূর্বপক্ষ বলছে, 

"অপি তু যদ্ দৃশ্যতেঽপুরুষবিধং তদ্ যথাগ্নির্বায়ুরাদিত্যঃ পৃথিবী চন্দ্রমা ইতি। 

= অধিকন্তু দেবতাদের যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা অপুরুষবিধ। যেমন- অগ্নি, বায়ু, আদিত্য, পৃথিবী, চন্দ্রমা।" 




অর্থাৎ দ্বিতীয় পূর্বপক্ষের মতে এই দেবতারা জড় বস্তু। 


এরপর ১ম পূর্বপক্ষের ১ম যুক্তি তুলে ধরে তা খণ্ডন করে বলছেন,

"যথো এতচ্চেতনাবদ্ বদ্ধিস্তুতয়ো ভবন্তীত্যচেতনান্যপেব্যং স্তূয়ন্তে যথাক্ষপ্রভৃতীন্যোষধিপর্যন্তানি। 

= পূর্বপক্ষ যে বলে দেবতাদের চেতনের মতো করে স্তুতি করা হয়েছে জন্য দেবতা মানুষের ন্যায় চেতন, তা ঠিক নয়। কেননা 'অক্ষ' থেকে শুরু করে 'ওষুধী' পর্যন্ত জড় বস্তুর স্তুতি (আলোচনা) বেদে পাওয়া যায়।" 




এরপর দ্বিতীয় পক্ষ আবারও ১ম পক্ষের অপর যুক্তি খণ্ডন করে বলছেন,


 "যথো এতৎপৌরুষবিধিকৈরঙ্গৈঃ সংস্তূয়ন্তইত্যচেতনেষপ্যেতদ্ ভবত্যভিক্রন্দতি হরিতেভিরাসভিঃ ইতি গ্রাবস্তুতিঃ। 

= মানুষের ন্যায় অঙ্গযুক্ত দেবতার স্তুতি করা হয় জন্য পূর্বপক্ষ যে দেবতাদের মানুষের ন্যায় বলেছে, তাও ঠিক নয়। কারণ জড় পদার্থের ক্ষেত্রেও এরূপ দেখা যায়। যেমন- 'অভিক্রন্দতি হরিতেভিরাসভিঃ' [ঋক- ১০।৯৪।২], এই মন্ত্রে পাথরের স্তুতি।"



 এরপর আরও একটি যুক্তি খণ্ডন করে বলছেন,

 "যথো এতৎ পৌরুষবিধিকৈর্দ্রব্যসংযোগৈরিত্যতদপি তাদৃশমেব সুখং রথং যুযুজে সিন্ধুরশ্বিনম্ ইতি নদীস্তুতিঃ। 

= পূর্বপক্ষ যে বলেছে, দেবতাদের মানুষের মতো দ্রব্যসংযোজিত হতে দেখা যায়, ফলে দেবতারা মানুষের ন্যায়, এটিও ঠিক নয়। কারণ এগুলো রূপকমাত্র। যেমন- 'সুখং রথং যুযুজে সিন্ধুরশ্বিনম্' [ঋক- ১০।৭৫।৯৫] মন্ত্রে এভাবে (দ্রব্যসংযোগে রূপক) নদীর স্তুতি করা হয়েছে।" 




এরপর দ্বিতীয় পক্ষ আরও যুক্তি খণ্ডনের জন্য বলছেন, 

"যথো এতৎ পৌরুষবিধিকৈঃ কর্মভিরিত্যেতদপি তাদৃশমেব হোতুশ্চিৎ পূর্বে হবিরদ্যমাশত ইতি গ্রাবস্তূতিরেব। 

=  দেবতারা পুরুষবিধ দাবিকারীগণ বলেছিলেন, মানুষের মতো কর্ম করতে দেখা যাওয়ার কারণে দেবতারা পুরুষের ন্যায়। তাদের এই মতও ঠিক নয়। কারণ এটিও রূপকমাত্র। যেমন- 'হোতুশ্চিৎ পূর্বে হবিরদ্যমাশত' [ঋক- ১০।৯৪।২] মন্ত্রে এভাবে পাথরের স্তুতি করা হয়েছে।" 



এভাবে উদাহরণ ও যুক্তি দিয়ে ২য় পক্ষ অর্থাৎ অপুরুষবিধ পক্ষ ১ম পূর্বপক্ষ অর্থাৎ দেবতা পুরুষবিধ এই মতবাদীদের খণ্ডন করলেন।


এরপর নিরুক্তের এই খণ্ডেই যাস্কাচার্য ৩য় একটি পূর্বপক্ষ স্থাপন করেছেন। এই পক্ষটি বর্তমান সনাতন সমাজের কিছু সংগঠনের মতো, যারা প্রমাণ ও যুক্তির ধার না ধেরে উভয়দিক রক্ষা করে লাভবান হতে চায়। এই ৩য় পক্ষটিও তেমন। 

এই পূর্বপক্ষ বলছেন, 

"অপি বোভয়বিধাঃ স্যুঃ। 

= দেবতারা উভয় প্রকার হতে পারেন।" 



উপর্যুক্ত সকল মত ও যুক্তিকে বিশ্লেষণ করে এবার সিদ্ধান্তরূপ চতুর্থপক্ষ স্থাপন করছেন। এই চতুর্থপক্ষকে সিদ্ধান্ত বলার কারণ একটুপর ব্যাখ্যা করা হবে। তার আগে এই পক্ষের বক্তব্য দেখে নেওয়া যাক। তিনি বলছেন, 

"অপি বা পুরুষবিধিনামেব সতাং কর্মাত্মান এতে স্যূর্যথা যজ্ঞো যজমানস্য। এষ চাখ্যানসময়ঃ।। 

= অথবা পুরুষবিধ হতে থেকে কর্মই শরীর হয়। যেমন- যজ্ঞ যজমানের কর্মশরীর। এটিই সিদ্ধান্ত।।"



এখানে মনোযোগ দেওয়ার বিষয় হচ্ছে, সিদ্ধান্তরূপে যাস্কাচার্য দেবতাদের পুরুষবিধ মানলেও তিনি কর্ম শরীরের মাধ্যমে পুরুষবিধ মেনেছেন, পার্থিব শরীরে নয়। এই কর্ম শরীরের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যায় তাঁর দেওয়া উদাহরণের মাধ্যমে। উদাহরণে তিনি যজ্ঞ ও যজমানের প্রসঙ্গ টেনেছেন। বেদে অনেক মন্ত্রে দেখা যায় মন্ত্রের দেবতা হচ্ছেন "যজ্ঞ"। 

কিন্তু এই যজ্ঞ দেবতা কিভাবে পুরহষবিধ হবেন? এর উত্তর হচ্ছে, যেহেতু এই যজ্ঞ সম্পাদনকারী যজমানের মাধ্যমে যজ্ঞ কর্ম সম্পাদন হয়, তাই সেই যজমানই পুরুষবিধ দেবতা, যজ্ঞ নামধারী অদ্ভুত কোনো ব্যক্তিবিশেষ দেবতা নয়৷ 


একইভাবে অগ্নি দ্বারা কোনো ছাগবাহন ব্যক্তিকে বুঝায় না, বরং অগ্নির ন্যায় তেজস্বী বিদ্বানকে বুঝায়৷ আবার ইন্দ্র দ্বারা ঐরাবতবাহী কাউকে নয়, বরং ঐশ্বর্যবান রাজাকেও বুঝায়৷ 



আর এটি যে সিদ্ধান্ত, তার পক্ষে প্রমাণ হচ্ছে "এষ চাখ্যানসময়ঃ" বাক্যের "আখ্যান" শব্দটি। পাণিনিকৃত অষ্টাধ্যায়ীর ৮।২।১০৫ এর "অনন্ত্যস্যাপি প্রশ্নাখ্যানয়োঃ।" সূত্র অনুসারে "আখ্যান" শব্দটি "প্রশ্নের উত্তর" বাচক। 




পরিশেষে, এরপরও যদি মনে করেন বেদ মন্ত্রের দেবতাগণ অদ্ভুত আকারে (যেমন চার হাত, দুই মাথা বিশিষ্ট) কোনো ব্যক্তি বিশেষ, তাহলে আপনাদের সামনে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই৷ 


আপনাদের কি মনে হয়, বেদে ইন্দ্র বলতে সেই ঐরাবত নামক হাতি সওয়ার একজনকে নির্দেশ করছে, যে নিজের গুরুর গুরুর পত্নীর সাথে অপকর্ম করেছিলে এবং এরফল স্বরূপ নিজের অণ্ডকোষ হারাতে হয়েছিলো! পরে অবশ্য মেষের অণ্ডকোষ তার অণ্ডকোষের জায়গায় লাগানো হয়েছিলো। 


[দ্রষ্টব্য- স্কন্দ পুরাণ নাগর খণ্ড অধ্যায় ২০৭-২০৮, 



স্কন্দ পুরাণ আবন্ত্য খণ্ড অধ্যায় ১৩৬, 



লিঙ্গ পুরাণ পূর্ব্ব ভাগ  ২৯.২৭, 



বাল্মিকী রামায়ণ আদি পর্ব অধ্যায় ৪৮.২৭-২৮




বাল্মিকী রামায়ণ আদি পর্ব অধ্যায় ৪৯.৬-৮




]