https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

অথর্ববেদে 'পুরাণ' বলতে কি বুঝানো হয়েছে ?

Monday, September 7, 2020


নমস্কার, 

বর্তমানে অনেকে দাবী করে যে, বর্তমান সমাজে প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণ বেদ সিদ্ধ এবং বেদে নাকি এদের উল্লেখ আছে৷ এজন্য তারা তিনটি দাবী করে–

১. বেদে পুরাণ শব্দটি দ্বারা অষ্টাদশ পুরাণকে বোঝায়, 
২. বেদে পুরাণকে ঈশ্বর হতে উদ্ভুত বলা হয়েছে,
৩. উপনিষদে পুরাণকে পঞ্চম বেদ বলা হয়েছে।

আমাদের প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেছেন, অথর্ববেদের একাদশ (১১) কাণ্ডের ৭ম সূক্তের ২৪ তম মন্ত্রে, "পুরাণ" শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? এই মন্ত্রটি দেখে অনেকে ধারণা করেন যে, এই মন্ত্রে অন্যান্য বেদের সাথে অষ্টাদশ পুরাণকেও ঈশ্বর কর্তৃক উদ্ভুত বলা হয়েছে।

এই প্রশ্নটির যথার্থ উত্তর দিতে হলে প্রথমে আমাদের ১ম প্রশ্নটির উত্তর দিতে হবে। তারপরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২য় প্রশ্নটির উত্তর এসে যাবে।  

প্রথম পক্ষ দাবী করে যে, বেদে ব্যবহৃত পুরাণ শব্দটি দ্বারা বর্তমান সমাজে প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণকেই বুঝায়৷ কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে—ঋগ্বেদ ১০ম মণ্ডলের ১৯০ তম সুক্ত অনুসারে, বেদের জ্ঞান নিত্য এবং বেদ প্রত্যেক কল্পে সৃষ্টির প্রারম্ভে ঈশ্বর কর্তৃক প্রকাশিত হয়। অপর দিকে পৌরাণিক মান্যতা অনুসারে, পরশর মুনি ও সত্যবতীর পুত্র, মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব দ্বাপর যুগের শেষের দিকে পুরাণসমূহ রচনা করেন৷ 

এই বিষয়ে মৎস্যপুরাণের ৫৩ অধ্যায়ের ৭০ শ্লোকের প্রথমার্ধে বলা হয়েছে, অষ্টাদশ পুরাণ সত্যবতী সুত অর্থাৎ ব্যাসদেব রচনা করেছেন–

অষ্টাদশপুরাণানি কৃত্বা সত্যবতীসুতঃ। 
ভারতাখ্যানমখিলং চক্রে তদুবৃংহিতম্।।





আবার শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের ১ম স্কন্ধের ৪র্থ অধ্যায়ের ১৪তম শ্লোকে বলেছে, চতুর্যুগের তৃতীয় যুগ অর্থাৎ দ্বাপরযুগে পরাশরের ঔরসে সত্যবতীর গর্ভে কলাবতার যোগী ব্যাসদেবের জন্ম হয়–

দ্বাপরে সমনুপ্রাপ্তে তৃতীয় যুগপর্যয়ে। 
জাতঃ পরাশরাদ্ যোগী ব্যাসব্যাং কলয়ো হরে।।


তাহলে এখানে একটি বিষয় সকলে চিন্তা করুন, সৃষ্টির আদিতে যে গ্রন্থ ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত, সেই গ্রন্থে দ্বাপরের শেষে লেখা "পুরাণ" নামক গ্রন্থের নাম কিভাবে থাকবে??? আর যদি আপনারা বলেন বেদে ভবিষ্যৎবাণী বা ইতিহাস রয়েছে, সেটিও সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দর্শন শাস্ত্র মতে বেদ নিত্য এবং এতে কোনো লৌকিক ইতিহাস নেই। আপনারা চাইলে "বেদের নিত্যতা" প্রসঙ্গে ভবিষ্যতে শাস্ত্রীয় প্রমাণাদি সহ বিস্তারিত ভিডিও বানানো হবে৷ 

এবার আসি মূল বিষয়ে। অথর্ববেদের ১৫তম কাণ্ডের ৬ষ্ঠ সূক্তের ১১ ও ১২ তম মন্ত্রে "পুরাণ" শব্দটি নিয়ে তারা দাবী করে যে, এই স্থলে পুরাণ শব্দটি দ্বারা "পুরাণ" নামক গ্রন্থকে বুঝাচ্ছে৷ 

তমিতিহাসশ্চ পুরাণং চ গাথাশ্চ নারাশংসীশ্চানুব্য চল।
ইতিহাসস্য চ বৈ পুরাণস্য চ গাথানং চ
নারশংসীনাং চ প্রিয় ধাম ভবতি য এবং বেদ।।
(অথর্ববেদ ১৫।৬।১১-১২)

কিন্তু মন্ত্রদ্বয় ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন, পুরাণ নামটির সাথে সাথে ইতিহাস, গাথা, নারাশংসী এসব শব্দও রয়েছে। যদি এখানে পুরাণ দ্বারা বর্তমান প্রচলিত অষ্টাদশ পুরাণকেই বুঝায়, তাহলে প্রশ্ন হল, এই মক্নত্রে "ইতিহাস, গাথা, নারাশংসী" এসব শব্দ দ্বারা কোন গ্রন্থকে বুঝাবে??? 

অনেকে বলবেন ইতিহাস দ্বারা মহাভারত ও রামায়ণকে বুঝাবে। কিন্তু রামায়ণ ও মহাভারত অপেক্ষা বেদ বহু প্রাচীন ও মানব সৃষ্টির প্রারম্ভকালে প্রকাশিত, তাই রামায়ণ মহাভারতে বেদের নাম থাকলেও, বেদে এদের উল্লেখ থাকা অসম্ভব। যেহেতু পুরাণের সাথে ব্যবহৃত গাথা, নারাসংশী নামক আলাদাভাবে কোনো গ্রন্থ নেই, তাই সহজে অনুমান করা যায় যে, এই স্থলে "পুরাণ" শব্দটি দ্বারা আলাদা কোনো গ্রন্থকেই বোঝানো হয়নি। 

তাহলে এবার প্রশ্ন আসতে পারে, এখানে পুরাণ দ্বারা কি বুঝাচ্ছে? এর উত্তরের জন্য আমাদেরকে বেদের শব্দ গুলোর ব্যাখ্যান গ্রন্থ, ষড় বেদাঙ্গের অন্যতম, মহর্ষি যাস্কাচার্য প্রণীত "নিরুক্ত" শাস্ত্র দেখতে হবে।

নিরুক্তের ৩য় অধ্যায়ের ১৯ তম খণ্ডে বলা হয়েছে, 
"পুরাণামান্যুত্তারাণি­­ ষট্। পুরাণং কসম্মাৎ? পুরা নবং ভবতি।"

অর্থাৎ এই ছয়টি নাম পুরাণের। পুরাণ কিভাবে? যা আগে নবীন ছিলো, কিন্তু বর্তমানে নবীন নাই৷ এভাবেই পুরাণ।
 



অর্থাৎ বেদে "পুরাণ" কোনো গ্রন্থবাচক শব্দ নয়, বরং এমন একটি অবস্থাকে নির্দেশ করছে যা পূর্বে নবীন ছিলো, কিন্তু বর্তমানে নবীন না হওয়ায় প্রাচীন তথা পুরাতন। সেটি কোন প্রাচীন অবস্থা? সেটি হচ্ছে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির প্রারম্ভিক অবস্থা। এই মহাবিশ্ব যখন অব্যক্ত থেকে ব্যক্ত রূপে প্রকাশিত হচ্ছিলো, তখন সেটিই ছিলো একটি নবীন অবস্থা। কিন্তু পৃথিবীতে মানব সৃষ্টি হওয়ার পর সেই ঘটনাটি আর নবীন থাকলো না। ফলে সেই সৃষ্টিতত্ত্বই হচ্ছে বেদে বর্ণিত "পুরাণ"। 

এখন অনেকে আমাদের এই ব্যাখ্যার পক্ষে প্রমাণ চাইবেন। তাই প্রমাণ হিসেবে আমরা পৌরাণিকদের প্রিয় বেদভাষ্যকার সায়ণাচার্যের উদ্ধৃতি দিচ্ছি। তৈত্তিরীয় আরণ্যক, ২য় প্রপাঠক, ৯ম অনুবাকের ভাষ্যে সায়ণাচার্য "পুরাণ" এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে লিখেছেন— 

"সৃষ্টাদিপ্রতিপাদকাননি পুরাণানি"। 

অর্থাৎ সৃষ্টি প্রতিপাদিত মন্ত্রকে "পুরাণ" বলে৷ 







সায়ণাচার্য আবারও ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ভাষ্যের ভূমিকায় লিখেছেন— 

"ইদং বা অগ্রে নৈব কিঞ্চনাসীন্ন দৌরাসীৎ ইত্যাদিকং জগতঃ প্রাগনবস্থানমুপক্রম সর্গপ্রতিপাদকং বাক্যজাতং পুরাণম্ কল্পস্তু।"

অর্থাৎ প্রথমে কিছুই ছিল না, দ্যৌ (দ্যুলোক) ছিল না, ইত্যাদি কথায় যেখানে জগতের প্রথম অসত্তা নির্দেশ করে, অতঃপর "কল্পের প্রারম্ভিক সৃষ্টিতত্ত্ব" প্রতিপাদন করা হয়েছে, সেই সকল সৃষ্টিতত্ত্ব প্রতিপাদক বাক্যই "পুরাণ" পদবাচ্য।



এখন যদি আপনারা বেদ হতে ঋগ্বেদের ১০ম মণ্ডলের—

৭২ তম অদিতি সূক্ত, 
৮১ ও ৮২ তম বিশ্বকর্মা সূক্ত, 
৯০ তম পুরুষ সূক্ত, 
১২১ তম হিরণ্যগর্ভ সূক্ত, 
১২৯ তম নাসাদীয় সূক্ত,
১৯০ তম অঘমর্ষণ সূক্ত

ইত্যাদি সুক্ত পড়েন, তবে সেখানে সুন্দর বর্ণনা দেখতে পারবেন। অর্থাৎ উপর্যুক্ত প্রমাণ সমূহ থেকে সহজেই বোঝা যায়, বেদে মূলত সৃষ্টিতত্ত্বকে "পুরাণ" নামে অবিহিত করা হয়েছে।
এবার অথর্ববেদের উক্ত মন্ত্রগুলোর সঠিক অর্থ দেখে নেয়া যাক—

স বৃহতীং দিশমনুব্য চলন্ ।। ১০
তমিতিহাসশ্চ পুরাণং চ গাথাশ্চ নারাশংসীশ্চানুব্য চলন্ ।। ১১
ইতিহাসস্য চ বৈ পুরাণস্য চ গাথানং চ
নারশংসীনাং চ প্রিয়ং ধাম ভবতি য় এবং বেদ ।। ১২

(অথর্ববেদ ১৫। ৬। ১০–১২)

পদার্থঃ (সঃ) সেই ব্রাত্য [ব্রত পরায়ণ পুরুষ] (বৃহতীং দিশং অনুব্যচলৎ) বৃহৎ দিশা অর্থাৎ বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য করে চলেন। (তম্) সেই বৃহৎ দিশার পথিক ব্রাত্যকে (ইতিহাসঃ) সৃষ্টি–উৎপত্তির নিত্য ইতিহাস (চ) তথা (পুরাণং) জগদুৎপত্তির প্রাচীন বর্ণনারূপ পুরাণ (চ) এবং (গাথাঃ) গাথা [কোন মহান দৃষ্টান্তরূপ কথাপ্রসঙ্গ] (চ) তথা (নারাশংসীঃ) নারাশংসী [কীর্তিমান মনুষ্যগণের প্রশংসনীয় কর্মসমূহের গুণ কথা] (অনুব্যচলন্) অনুকূলতা দ্বারা প্রাপ্ত হয়। বস্তুতঃ এদের দ্বারা সেই ব্রাত্য, যথার্থরূপে বেদের ব্যাখ্যা করতে পারেন। (য়ঃ) যিনি এইপ্রকার (এবং) ইতিহাস, গাথা ইত্যাদির মহত্বকে (বেদ) জানতে পারেন, (সঃ) সেই ব্রাত্য (বৈ) নিশ্চিতরূপে (ইতিহাসস্য) ইতিহাসের (চ) তথা (পুরাণস্য) পুরাণের (চ) এবং (গাথানাং) গাথাসমূহের (চ) তথা (নারাশংসীনাং) নারাশংসীর (প্রিয়ং ধাম) প্রিয় ধাম (ভবতি) হয়। সেই ব্রত পরায়ণ পুরুষ, এগুলোর দ্বারা বেদসমূহের যথাবৎ ব্যাখ্যা করতে পারেন।

ভাবার্থঃ একজন ব্রাত্য বিদ্বান, "ইতিহাস, পুরাণ, গাথা, এবং নারাশংসী" দ্বারা বেদবিদ্যার বর্ধন (ব্যাখ্যা) করার মাধ্যমে "বৃহৎ দিশায়" চলতে থাকেন—বৃদ্ধির (উন্নতির) পথে অগ্রসর হয়।

আশাকরি প্রথম প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে গেছেন৷ এবার আসি দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে। 


অথর্ববেদের ১১ কাণ্ডের ৭ম সূক্তের ২৪ তম মন্ত্রটি দেখলে মনে হয় মন্ত্রটিতে ঋক, সাম, যজুর সাথে ছন্দ ও পুরাণকে "ঈশ্বর" হতে উদ্ভুত বলা হয়েছে।

ঋচঃ সামানি ছন্দাংসি পুরাণং যজুষা সহ ।
উচ্ছিষ্টাজ্জজ্ঞিরে সর্বে দিবি দেবা দিবিশ্রিতঃ ॥
(অথর্ববেদ ১১।৭।২৪)

কিন্তু এখানে মূলত পরমেশ্বর একটি সুন্দর শঙ্কার সমাধান দিয়েছেন। আমরা বেদের যে মন্ত্র গুলো দেখতে পাই—তার মধ্যে কোনোটি পদ্যরূপে ছন্দ বদ্ধ, কোনটি গানরূপে, আবার কোনোটি গদ্যরূপে। কোনোটি যজ্ঞে প্রযুক্ত হয়, আবার কোনোটি সৃষ্টি বৃত্তান্ত বর্ণনা করে৷ এখন অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে— এই যে বেদ মন্ত্র গুলো কোনটি ছন্দবদ্ধ, আবার কোনটি গদ্যাকার, কোনোটি গানরূপে, কোনটি যজ্ঞে প্রযুক্ত হয়, আবার কোনটি সৃষ্টির নির্মাণ ও প্রলয়াদি প্রতিপাদক মন্ত্র। তবে কি পরমেশ্বরই এভাবে মন্ত্র গুলো প্রেরণ করেছেন? নাকি ঋষিগণ এগুলোকে এভাবে সাজিয়েছেন? 

এই প্রশ্নের উত্তর, মূলত এই মন্ত্রেই রয়েছে।

কারণ, মহর্ষি জৈমিনিকৃত মীমাংসা দর্শনের ২য় অধ্যায়ের, ১ম পাদের, ৩৫ থেকে ৩৭ সূত্র অনুসারে, "ঋক" দ্বারা এখানে পাদবদ্ধ পদ্য মন্ত্র, "সাম" দ্বারা গায়ন করার উপযোগী মন্ত্র এবং "যজুঃ" দ্বারা বাকি গদ্যাত্মক মন্ত্র বোঝায়।

তেষাং ঋগ্ য়ত্রার্থবশেন পাদব্যবস্থা।৩৫
গীতিষু সামাখ্যা।৩৬
শেষে যজুঃ শব্দ।৩৭
(পূর্বমীমাংসা ২। ১। ৩৫–৩৭)

অর্থঃ যেসব মন্ত্রের মধ্যে অর্থবশত পাদব্যবস্থা (পদ্যের ন্যায়) দেখা যায়, সেগুলোকে "ঋক" বলা হয়। যে মন্ত্র গায়ন করে উচ্চারণ করা হয়, সেগুলোকে "সাম" বলা হয়। এই দুই প্রাকার মন্ত্র ব্যতীত অবশিষ্ট সকল মন্ত্রই "যজুঃ" শব্দ দ্বারা সংজ্ঞায়িত ।




আর উক্ত মন্ত্রে "ছন্দ" শব্দটি দ্বারা বেদে প্রযুক্ত অনুষ্টুপ, ত্রিষ্টুভ, গায়ত্রী প্রভৃতি ছন্দকে নির্দেশ করে। আর "পুরাণ" শব্দটি দ্বারা, পবিত্র বেদে বর্ণিত "জগদুৎপত্তির প্রাচীন বৃত্তান্তকে" নির্দেশ করে। আর মন্ত্রে বলা হচ্ছে, এই সবকিছু এভাবে পরমেশ্বর থেকেই উদ্ভুত হয়েছে। 
তাই অথর্ববেদের (১১।৭।২৪) মন্ত্রটির প্রকৃত অর্থটি হলো—

পাদবদ্ধ মন্ত্র, গীতবিশিষ্ট মন্ত্র, গায়ত্র‍্যাদি সপ্তছন্দ, যজ্ঞ প্রতিপাদক বা গদ্যাত্মক মন্ত্র সহ সৃষ্টি–প্রলয়াদি প্রতিপাদক মন্ত্র এবং আকাশে বর্তমান সূর্যের আকর্ষণে গতিমান সকল গ্রহাদি—এই সকলই উচ্ছিষ্যমান পরমেশ্বরে আশ্রিত বা পরমেশ্বর থেকে উদ্ভুত। 


সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, অথর্ববেদে বর্ণিত "পুরাণ" শব্দটি দ্বারা, বেদেরই  এক ধরণের বিশেষ মন্ত্রের ইঙ্গিত করা হয়েছে, অন্য কোন গ্রন্থ বিশেষকে নয়। আর তা হল, আদি সৃষ্টির প্রাচীন বৃত্তান্ত বর্ণনাকারী বেদমন্ত্র।

  1. বেদ পূর্বে নাকি পুরান? যদি বেদ পূর্বে হয় তবে পুরানের উল্লেখ বেদে আসলো কিরুপে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. কারণ পুরাণ হলো মন্ত্রশৈলী। অর্থাৎ বেদের সৃষ্টিরহস্য বিষয়ক মন্ত্র। পৃথক কোনো গ্রন্থ নয়। এটাই এখানে প্রমাণ করা হয়েছে। বেদে তো বেদের বিষয়ই থাকবে।

      Delete