https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

নিরুক্তের বরুণ রাজা ও নদী - মূর্খ মত বিদ্রাবণ

Friday, March 11, 2022


সম্প্রতি শাস্ত্রে অনভিজ্ঞতার পাশাপাশি নব্য কার্ষ্ণদের মধ্যে মিথ্যাচারের পরিমাণ এতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে যা অবর্ণনীয় । মিথ্যুকের সঙ্গী যেমন মিথ্যুকই হয় তেমনই নব্য কার্ষ্ণদের প্রোৎসাহিত করছে কিছু শিশুশাবক মায়াবাদীগণ । যারা কিনা ক্ষণে ক্ষণে আশ্রয় পালটে চায় আর্যসমাজের খণ্ডন । যদিও তাদের নিজস্ব কোন সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেই তারপরেও 'গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল' সেজে সনাতনের প্রতিনিধি হতে চায় । আদৌ তাদের নিকট কোন মূল তত্ত্ব নিয়েই সুস্পষ্ট একক সিদ্ধান্ত নেই। যাই হোক নব্য কার্ষ্ণদের এক মহাভণ্ড দাবি করেছে আর্যসমাজের প্রথিতযশা বিদ্বান পণ্ডিত ভগবদ্দত্তজী তার নিরুক্তে বেদে ইতিহাস স্বীকার করেছে ও আকাশে নদী আছে এমন বলেছেন ।

আগে প্রাণ খুলে হেসে নিন । কেননা নিতান্ত সদ্যযুক্ত আর্যসমাজীগণও জানে যে ভগবদত্ত কিংবা স্বামী ব্রহ্মমুনির ন্যায় মান্য বিদ্বানগণ কখনোই বেদে বা নিরুক্তে ইতিহাস স্বীকার করেননি বরং খণ্ডন করেছেন । সেখানে ভগবদ্দত্তজী ইতিহাস মেনেছেন বা আকাশে নদীর কথা বলেছেন এসব বালখিল্য আলাপন মাত্র । 

প্রকৃতপক্ষে নিরুক্ত ৯।১০ এ ভগবদ্দত্তজী বলেছেন - 

विश्वामित्र उशिक और कक्षीवान् धादि का वर्णन वेद में बहुधा मिलता है। विश्वामित्र सूर्य में होने वाले ऋषियों में से कोई एक है। ऋषि अथवा कवि सूर्य की रक्षा करते हैं। वेद स्वयं कहता है -
सहस्रणीथाः कवयो ये गोपायन्ति सूर्यम् । ऋऋ० १० | १५४ | २ ||
उशिक और कक्षीवान् का ज्ञान करना चाहिए। राजा वरुण की अनेक नदियां यो और अन्तरिक्ष में है। उन में सिन्धु भी है। उस सिन्धु पर कोई दैवी सोमयाग हुए। उन का ज्ञान करना चाहिए।
इन दिव्य राजाओं की स्तुति में जो मन्त्र हैं, वे नाराशंस कहाते हैं। भाग्य भी एक ऐसा राजा है। संभव है उसी के नाम पर किसी पार्थिव राजा ने भी अपना नाम भावयव्य रखा |
অর্থাৎ বিশ্বামিত্র , উশিক্ ও কক্ষীবান আদির বর্ণনা বেদে বহু পাওয়া যায় । বিশ্বামিত্র সূর্যে অবস্থিত ঋষিদের মধ্যে কোন এক । ঋষি অথবা কবি সূর্যের রক্ষক । বেদ স্বয়ং বলে - 
সহস্রনীথাঃ কবয়ো যে গোপায়ন্তি সূর্যম্ । ঋ০ ১০।১৫৪।৫
উশিক্ ও কক্ষীবানের জ্ঞান করা উচিৎ । রাজা বরুণের অনেক নদী দ্যৌ ও অন্তরিক্ষে আছে । তার মধ্যে সিন্ধুও আছে । সেই সিন্ধুতে বেশকিছু দৈবী সোমযাগ হয়েছে । তার জ্ঞান করা উচিৎ । 


এখানে অপপ্রচারকারী মূর্খ /// উশিক্ ও কক্ষীবানের জ্ঞান করা উচিৎ । রাজা বরুণের অনেক নদী দ্যৌ ও অন্তরিক্ষে আছে । তার মধ্যে সিন্ধুও আছে । সেই সিন্ধুতে বেশকিছু সোমযাগ হয়েছে । /// এই অংশ দেখিয়ে প্রমাণ করতে চায় যে ভগবদ্দত্তজী আকাশে নদী ও বরুণ রাজার কথা মেনেছেন ।
প্রকৃতপক্ষে সাধুর বেশধারী এসব ভণ্ড ইতরদের চিনে রাখা উচিত । কেননা এদের কাজই বিকৃত করা । এর ঠিক নিচেই নিরুক্তে উল্লেখিত উক্ত ভাব্য - রাজাকে ইতিহাস না মেনে রূপক ধরে স্পষ্ট বলেছেন - 

সম্ভবতঃ এই নামে কোন পার্থিব রাজাও নিজের নাম ভাবয়ব্য রেখেছিলো । 


অর্থাৎ তার মন্তব্য হচ্ছে বেদ থেকেই সব নাম নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্নজন নাম রেখেছেন যা পরিপূর্ণ সঠিক । কারো নাম যদি কুমার হয় আর বেদে যদি সে কুমার দেখিয়ে বলে এখানে তার নাম আছে তবে সে হাস্যাস্পদই হবে । 

 ভগবদ্দত্তজী এখানে ' দিব্য ' শব্দটি প্রয়োগ করেছেন যা দ্বারা রূপক অর্থই বোঝায় । যেমন ঠিক তার পরেই নিরুক্ত ৯।১১তে তিনি বলেছেন - 

দিব্য রথের সাহায্যে পার্থিব রথের বর্ণনাও আগে করা হচ্ছে । 


অর্থাৎ তিনি স্পষ্টতই দিব্য শব্দটি ইতিহাস খণ্ডনেই ব্যবহার করেছেন । নিরুক্ত ভাষ্যের শুরুতেও তিনি বলেছেন - 

আমি আধিভৌতিক অথবা আধিদৈবিক অর্থের মার্গ প্রদর্শন করেছি । 



আধিদৈবিক পক্ষ যে বৈজ্ঞানিক সেটিও তিনি ভূমিকায় [ পৃষ্ঠা ৩৫ ] উল্লেখ করেছেন -




নিরুক্ত ২।২৪ ভাষ্য তিনি স্পষ্ট বলেছেন -

প্রধান সিন্ধু নদ এক । ইরাবতী ও সরস্বতীও এক । কিন্তু এদের বহুবচনে কেন বলা হয়েছে ? নিঃসন্দেহে এরা পৃথিবীর নদী নয় । এদের যৌগিক বা যোগরূঢ় অর্থ ব্যতীত বেদার্থ সম্ভব নয় । এরা সবাই অন্তরিক্ষস্থ নদীসমূহ । 


উক্ত ২।২৪ এর ভাষ্যেই বিশ্বামিত্র [ যা নিয়েও অনেকের আপত্তি ৯।১০ ভাষ্যে ] বলেছেন - 

বিশ্বামিত্র নাম বেদ থেকে নেওয়া হয়েছে । বেদের বিশ্বামিত্র পৃথিবীর মানব বিশ্বামিত্র নয় । অনেক দিব্য ঋষি সূর্যে রশ্মিতে আছে । 


এরা মানব দেহধারী নন, দিব্য । তারা প্রাণ আদি রূপ । 


টীকায় উল্লেখিত বেদবিদ্যানিদর্শন গ্রন্থের ১৫৭ পৃষ্ঠায় অপপ্রচারকারী মূর্খ কার্ষ্ণ যে ইতিহাস মান্য নিয়ে দাবি তুলেছে তাকেই প্রবলরূপে খণ্ডন করে বলেছেন - 

লৌকিক ঋষিদের বর্ণনা বেদে নেই..... প্রাণরূপ ঋষিদের বর্ণনা রয়েছে । অতঃ এই দিব্য ঋষিদের লৌকিক মানা ও তার অনুকূলে বেদমন্ত্রসমূহে ইতিহাস অন্বেষণ করা রাথ প্রভৃতি বর্তমান পাশ্চাত্য লেখকগণ ও তদানুযায়ী এদ্দেশীয় অল্পবুদ্ধি অধ্যাপকগণের কল্পনা । 


নিরুক্ত ২।২৪ এ যে দিব্য ঋষি আসলে সূর্যকিরণ তা তালিকা করেই এখানে দেওয়া আছে - 




ভূমিকাতে আমরা আগেই দেখেছি ওনার ব্যাখ্যা সংক্ষিপ্ত ও আধিভৌতিক - আধিদৈবিক । তাই স্বাভাবিক ভাবেই যেই শব্দগুচ্ছ পূর্বে ভাষ্যে ব্যাখ্যা হয়েছে তা পুনরায় ব্যবহার করে তিনি চর্বিত চর্বণ না করে ' দিব্য ' প্রয়োগ করেছেন এটা সাধারণ পাঠকমাত্রেই বুঝতে পারলেও মূর্খ ও তার ততোধিক মূর্খ বৃথা আস্ফালনকারীদের নিরেট মগজে প্রবেশ করেনি । 

বাকি রইলো রাজা বরুণ । ঋগ্বেদ ৭।৮৭।১ এ পরমেশ্বরকে বরুণ বলা হয়েছে । যেখানে সমুদ্র বলতে অন্তরিক্ষস্থ জল ও তাতে অবস্থিত নদীর কথা আছে । 



নিঘণ্টু ১।৩ অনুযায়ী অন্তরিক্ষকেই সমুদ্র বলা হয় । 


এ বিষয়ে একটি অপপ্রচারের জবাব - http://back2thevedas.blogspot.com/2018/11/blog-post_18.html?m=1

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীও মেঘসমূহকে সমুদ্র বলেছেন যা সম্পূর্ণ নিরুক্ত সমর্থিত । 




আর //দৈবী সোমযাগ // ভগবদ্দত্তজী এখানে পুনরায় ' দৈবী ' বলে ঐতিহাসিকতার নাম গন্ধ রাখেননি । কিন্তু তিনি তো আর জানতেন না যে অনলাইন মূর্খ বৈষ্ণব স্বীয় অজ্ঞতার পরিচয় তার ভাষ্য পড়তে গিয়ে দেবে ।


শতপথ ব্রাহ্মণেও [ ৭।১।১।২২ ]  আছে ' আপঃ সোমঃ ' = জলই সোম । 




আর বরুণ সূর্যও হয় । [ http://back2thevedas.blogspot.com/2018/11/blog-post_18.html?m=1 ] । এখানে বরুণ অর্থ পরমেশ্বর বা সূর্য যাইই ধরিনা কেন তিনি মেঘমণ্ডলস্থ নদীর অধিপতি । ঋগ্বেদ ৭।৬৪।২ তেও ' সিন্ধুপতি ' বলা হয়েছে । 




খণ্ড খণ্ড মেঘসমূহকে নদী ও সমষ্টি মেঘসমূহকে সমুদ্র ধরাই এখানে লক্ষ্য । আর নিঘণ্টুতে সিন্ধু নদী বাচক । অন্তরিক্ষস্থ জলকণাপূর্ণ মেঘপুঞ্জই এখানে নদী । আর দৈবী সোমযাগ এখানে মূলতঃ জলচক্রের বাষ্পীভবন প্রক্রিয়া যা সামবেদের ১৮৭ নং মন্ত্রেও উল্লেখিত আছে -





যদিও ভাগবতপাঠীদের নিকট ভগবদ্দত্তজীর ন্যায় মহান বিদ্বানের ভাষ্য বোঝার সক্ষমতা নেই । তারা বিকৃত কিভাবে করে উপস্থাপন করেছে তা পাঠক স্বয়ং উপলব্ধি করেছেন । শীঘ্রই তাদের এই তাসের ঘর ভেঙে পড়ছে দেখে আজ তারা বিকৃতি ও মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহণ করেছে । পাঠক , আপনারা এবার দেখুন ভাগবতের কিছু বিজ্ঞান -

১। ভাগবতের ভূগোল ও গ্রহবিজ্ঞান - https://back2thevedas.blogspot.com/2022/03/blog-post_10.html


২। ভাগবতের জীব ও জড় সৃষ্টি অপবিজ্ঞান - https://back2thevedas.blogspot.com/2022/03/blog-post_63.html


৩। আর যে মন্ত্র নিয়ে এতো কাহিনী তার এহেন নিকৃষ্ট অর্থ  সায়ণ করেছেন যে এক রাজার স্ত্রী ইন্দ্রকে বলছেন নিম্নাঙ্গের কেশ স্পর্শ করতে ।ছি ছি । আর কার্ষ্ণরা কিনা আসে ভগবদ্দত্তীর ভুল ধরতে । সদর্থ সহ পড়ুন এখানে - http://back2thevedas.blogspot.com/2017/11/blog-post_95.html?m=1



আমাদের চ্যালেঞ্জ রইলো যেন অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করার আগে নিজেদের গ্রন্থের এসব যেন সমাধান করে তারপর মুখ দেখাতে আসে । 
নমস্কার ।