https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

ভাগবতে জীব-জড়ের অবৈজ্ঞানিক জন্ম তত্ত্ব

Thursday, March 10, 2022


  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.১:দেবতা ব্রহ্মার অনুরোধে প্রজাপতি দক্ষ তার স্ত্রীর গর্ভে ৬০ টি কন্যার জন্ম দেন। 


শ্ৰীশুক উবাচ—

 ততঃ প্রচেতসোঽসিক্ল্যামনুনীতঃ স্বয়ম্ভুবা ।
ষষ্টিং সঞ্জনয়ামাস দুহিতুঃ পিতৃবৎসলাঃ ॥১

শ্রীশুকদেব বলিলেন ,— রাজন , অনন্তর ব্রহ্মার অনুরোধে প্রচেতা ( দক্ষ প্রজাপতি ) অসিক্লী নাম্নী ভাৰ্য্যাতে পিতৃবৎসলা ষষ্টি ( ষাটটি ) কন্যা উৎপাদন করিলেন ৷৷ ১ ৷৷

বুঝুন ঠেলা এক নারীর গর্ভে ৬০ টি সন্তান !! ধরে নিন প্রতি বছর ১ টি করে জন্ম নিলে ৬০ বছরে ৬০ টি । 
তাহলে দক্ষের স্ত্রীর বয়স ছিল কত ১ম সন্তানের জন্মদানের সময় ? আর ৬০ নম্বর সন্তানের জন্মের সময়ই বা তার বয়স কত ছিল ? 
 
 ধরে নিলাম আগের যুগের মানুষের আয়ু বেশী ছিল কিন্তু কত ? ধরলাম ১০০ বছর না হয় ১৫০ বছর কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন থেকেই যায় প্রতি বছর একটি করে পরপর ৬০ বছর ধরে সন্তান জন্ম দেয়া অদৌ সম্ভব ? আচ্ছা গোঁজামিল দিয়ে যদি বুঝাতে চান যে আগের যুগের মানুষের আয়ু শারীরিক ক্ষমতা অনেক বেশী ছিল তাহলে আরো সামনে এগোই চলুন.......


  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.৩৩-৩৪ :কশ্যপের স্ত্রী ৬০ হাজার পুত্রের জন্ম দেয় !! এটাকে কি বলবেন তাহলে??

বৈশ্বানরসুতায়াশ্চ চতস্রশ্চারুদর্শনাঃ । 
উপদানবী হয়শিরা পুলোমা কালকা তথা ॥ ৩৩ ॥

উপদানবীং হিরণ্যাক্ষঃ ক্রতুহয়শিরাং নৃপ ।
 পুলোমাং কালকাঞ্চ দ্বে বৈশ্বানরসুতে তু কঃ ॥৩৪ ॥

উপযেমেহথ ভগবান্ কশ্যপো ব্ৰহ্মচোদিতঃ । 
পৌলোমাঃ কালকেয়াশ্চ দানবা যুদ্ধশালিনঃ ॥৩৫॥ 

অনুবাদ — দনুর পুত্র বৈশ্বানরের উপদানবী , হয় শিরা , পুলোমা এবং কালকা নামে সৌম্যদর্শনা চারিটী কন্যা ছিল , তন্মধ্যে হিরণ্যাক্ষ উপদানবীকে এবং ঐতু হয়শিরাকে বিবাহ করেন । অনন্তর ব্রহ্মার অনুরোধে প্রজাপতি কশ্যপ বৈশ্বানরের পুলোমা ও কালকা নাম্নী দুইটী কন্যাকে ভার্য্যারূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন । তাঁহাদের গর্ভে নিবাতকবচ প্রভৃতি ষষ্টিসহস্র সন্তানের জন্ম হয় , উহারা পৌলোমা ও কালকেয় নামে প্রসিদ্ধ ।

  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.২: দক্ষ রাজা যম দেবকে ১০ কন্যা দান করেন,১৪ জন ঋষি কশ্যপকে ২৭ জন চন্দ্র দেবকে এবং আরো ৩ জনেকে ২ জন করে কন্যা দান করেন।

দশ ধৰ্ম্মায় কয়াদাদ্দিষট্ ত্রিনব চেন্দবে। 
ভূতাঙ্গিরঃ কুশাম্বেভ্যো দ্বে দ্বে তাক্ষ্যায় চাপরাঃ ॥২॥

অনুবাদ — ধৰ্ম্মকে দশটী কন্যা , কশ্যপকে তেরটী কন্যা , চন্দ্রকে সাতাইশটী কন্যা , ভূত , অঙ্গিরা ও কৃশাম্ব এই তিনজনকে দুইটী দুইটী করিয়া ছয়টী কন্যা এবং অবশিষ্ট চারিটী কন্যা ‘ তাক্ষ্য ’ - নামক কশ্যপকে সম্প্রদান করিলেন ॥ ২ 


চিন্তা করুন বেদে যেখানে ১ বিয়ের বেশী করার নিয়মই নেই (ক্ষেত্রবিশেষ বাদে যেমন বিধবা বিয়ে বা
সন্তান না হলে দ্বিতীয় বিয়ে,স্বামী মাদকাসক্ত/জুয়ারী হলে এমন আরো কিছু) সেখানে পুরাণের মিথ্যা গল্প অনুযায়ী সৃষ্টির প্রথমেই বহু বিবাহকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে ।  তারপরেও এতো জন স্ত্রী এক এক
জনের !! এসব ঘটনা সৃষ্টির প্রথমে হলে তখনতো পাপাচার ছিলনা কারন সত্য যুগে এত পাপাচার ছিলনা বলেই সেই যুগকে সত্যযুগ বলা হত । যা হোক তর্ক না করে এটাও মেনে নিলাম যে ঠিক আছে চলুন আরো সামনে এগোই. ..
 
  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.৫ : ( এখান থেকেই শুরু ঠাকুরমার ঝুলির টুইষ্ট ! ) এখানে বর্ণনা আছে লম্বার গর্ভে জন্ম নিল বিদ্যোত । যার থেকে সৃষ্টি হয়েছে মেঘের !!
একটা ক্লাস ৩ এর বাচ্চাও জানে মেঘের সৃষ্টি কিভাবে হয় আর বৈষ্ণবদের মহাপুরাণ ভাগবত বলছে মেঘের সৃষ্ট মানুষের থেকে !!

ভানোস্ত দেবঋষভ ইন্দ্ৰসেনস্ততো নূপ । বিদ্যোত আসীল্লম্বায়াস্ততশ্চ স্তনয়িত্ববঃ ৷৷ ৫ ৷৷

অনুবাদ –হে রাজন্ , ভানুর গর্ভে দেবঋষভের জন্ম , দেবঋষভ হইতে ইন্দ্রসেন জন্ম গ্রহণ করেন । লম্বার গর্ভে বিদ্যোতের জন্ম হয় , বিদ্যোত হইতে মেঘসমূহ জন্ম গ্রহণ করেন ৷৷ ৫ ৷৷

ভাগবত পুরাণ ৬.৬.১০-১১ : সংকল্পার ছেলে সংকল্প ,আর তার পুত্র নাকি কাম !!


সঙ্কল্পায়াস্ত সঙ্কল্পঃ কামঃ সঙ্কল্পজঃ মৃতঃ । 
বসবোহষ্টো বসোঃ পুত্রাস্তেষাং নামানি মে শূণু ॥১০

দ্রোণঃ প্ৰাণো ধ্রুবোহকোহগ্নিদোষো বাস্তুবিভাবসুঃ দ্রোণস্যাভিমতেঃ পত্ন্যা হৰ্ষশোকভয়াদয়ঃ ॥ ১১ ॥

অনুবাদ – সঙ্কল্পার পুত্র সঙ্কল্প এই সঙ্কল্প হইতে কাম উৎপন্ন হয় । বসুর পুত্র অষ্টবসু , তাহাদের নাম আমার নিকট হইতে শ্রবণ কর — দ্রোণ , প্রাণ , ধ্রুব , অর্ক , অগ্নি , দোষ , বাস্তু ও বিভাবসু — ইঁহারাই অষ্টবসু বলিয়া খ্যাত । তন্মধ্যে দ্রোণ- বসুর পত্নী অভিমতির গর্ভে হর্ষ , শোক ও ভয় প্রভৃতি উৎপন্ন হয় ৷৷ ১০-১১ ৷৷


কাম অর্থ কি সেটা সবাই জানি । যৌন কামনা,লালসা-লিপ্সা এগুলোই হচ্ছে কাম !প্রভুপাদের ইংরেজী অনুবাদেও কাম অর্থ Lust করেছেন !
 
Texts 10-11:
The son of Saṅkalpā was known as Saṅkalpa, and from him lust was born. The sons of Vasu were known as the eight Vasus. Just hear their names from me: Droṇa, Prāṇa, Dhruva, Arka, Agni, Doṣa, Vāstu and Vibhāvasu. From Abhimati, the wife of the Vasu named Droṇa, were generated the sons named Harṣa, Śoka, Bhaya and so on.
 এখানে কেউ আবার রূপক দেখাতে আসবেন না । শ্রীধর থেকে বিশ্বনাথ কেউ এখানে রূপক মানেন নাই ।

চিন্তা করুন সংকল্প থেকেই নাকি কামের উৎপত্তি বিজ্ঞান এখানেই অজ্ঞান ! আর ওই গল্পই যদি সত্যি হয় তাহলে আগে যারা বংশবিস্তার করল তারা কাম ছাড়া কিভাবে জন্মালো ? আর তার মানে ভাগবতের রচয়িতা কি বলতে চায় প্রজাপতি দক্ষ তার স্ত্রী তার কন্যা সবাই Impotent ছিল  ? হায় হায় এরপরেও কি বৈষ্ণবরা বলবে ভাগবত মহান গ্রন্থ !

  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.১২ : (এটা যা বলছে সেটা পড়ার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না যা হোক নিজেরাই বিচার করুন কি করবেন) ধ্রুবর স্ত্রী ধরণীর গর্ভ হতে বিভিন্ন শহরের সৃষ্টি হয়।

প্রাণস্যোজ্জস্বতী ভার্য্যা সহ আয়ুঃ পুরোজবঃ। ধ্রুবস্য ভাষা ধরণিরসূত বিবিধাঃ পুরঃ ॥ ১২

অনুবাদ—প্রাণের ভাৰ্য্যা উজ্জ্বস্বতী সহ, আয়ু ও পুরোজব—এই তিনটী পুত্র প্রসব করেন। ধ্রুবের পত্নী ধরণী; তাঁহার গর্ভে বিবিধপুরসমূহ উৎপন্ন হয় ৷৷ ১২ ৷৷

Text 12:
Ūrjasvatī, the wife of Prāṇa, gave birth to three sons, named Saha, Āyus and Purojava. The wife of Dhruva was known as Dharaṇi, and from her womb various cities took birth.

  • চিন্তা করুন ভাগবত পুরাণ ৬.৬.১৬ মানুষের গর্ভ হতে দিনের পরিব্যপ্তির জন্ম ! 
 
Text 16:
Ūṣā, the wife of Vibhāvasu, gave birth to three sons — Vyuṣṭa, Rociṣa and Ātapa. From Ātapa came Pañcayāma, the span of day, who awakens all living entities to material activities.
 
 
  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.১৭-১৮ : সরুপা ১০ মিলিয়ন রুদ্রের জন্ম দেয় আর তার সতীন ভূত এবং অপদেবতার জন্ম দেয় ।

সরূপাসূত ভূতত্স্য ভার্য্যা রুদ্রাংশ্চ কোটিশঃ । বৈরতোঽজো ভবো ভীমো বাম উগ্রো বৃষাকপিঃ ॥ অজৈকপাদহির ধো বহুরূপো মহানিতি । রুদ্রস্য পার্ষদাশ্চান্যে ঘোরাঃ প্রেতবিনায়কাঃ ॥ ১৮ ৷৷

অনুবাদ – ভূতের ভার্য্যা সরূপা যে কোটিসংখ্যক রুদ্রগণকে প্রসব করেন , তাহাদের নাম শ্রবণ কর , রৈবত , অজ , ভব , ভীম , বাম , উগ্র , বৃষাকপি , অজৈক পাদ্ , অহিব্রধ , বহুরূপ ও মহান্ ৷ এই ভূতের অপর ভার্য্যা একাদশ রুদ্রের সহচর ঘোর , প্রেত , বিনায়ক প্রভৃতিকে প্রসব করেন ৷৷ ১৭-১৮ ৷৷

দুনিয়া জোড়া মানুষ জানে মানুষ অপঘাতে মরলে ভূত হয় (যদিও সেটা অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার) কিন্তু এখানে দেখছি উলটো।ভূতের জন্ম মানুষের গর্ভে !!

  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.২১-২২ :পতঙ্গীর গর্ভ হতে নাকি জন্ম হয়েছে পাখীর । আর যামিনীর  গর্ভ হতে জন্ম হয়েছে পঙ্গপালের । বিনতার গর্ভে অরুণ ও গরুড়ের জন্ম | কদ্রু প্রসব করেন বহু নাগকে।


তার্ক্ষ্যস্য বিনতা কদ্রূ: পতঙ্গী যামিনীতি চ ।
পতঙ্গয়সূত পতগান্যামিনী শলভানথ ॥ ২১ ॥
সুপর্ণাসূত গরুডং সাক্ষাদ্ যজ্ঞেশবাহনম্ ।
সূর্যসূতমনূরুং চ কদ্রূর্নাগাননেকশ: ॥ ২২ ॥

অনুবাদ — তার্ক্ষ্য - নামক কশ্যপের বিনতা , কদ্রু , পতঙ্গী ও যামিনী ―— এই চারিটী পত্নী । তন্মধ্যে পতঙ্গী - নাম্নী ভাৰ্য্যা পতগ ( পক্ষি ) গণকে এবং যামিনী শলভগণকে প্রসব করেন । সুপর্ণা ( বিনতা ) সাক্ষাৎ বিষ্ণুর বাহন গরুড় ও সূর্য্যের সারথি অনূরু ( অরুণ ) এই দুইটী পুত্র প্রসব করেন , এবং কদ্রুর গর্ভে নাগসমূহ উৎপন্ন হয় ৷৷ ২১-২২ ৷৷
Texts 21-22:
Kaśyapa, who is also named Tārkṣya, had four wives — Vinatā [Suparṇā], Kadrū, Pataṅgī and Yāminī. Pataṅgī gave birth to many kinds of birds, and Yāminī gave birth to locusts. Vinatā [Suparṇā] gave birth to Garuḍa, the carrier of Lord Viṣṇu, and to Anūru, or Aruṇa, the chariot driver of the sun-god. Kadrū gave birth to different varieties of serpents.
হায় হায় পাখী আর পঙ্গপালের মতন পোকামাকড়ের জন্ম মানুষের গর্ভ হতে!!বিজ্ঞান আজ আসলেই অজ্ঞান ! তারপরে উক্ত শ্লোকে আরো আছে বিনতার গর্ভ হতে গরুড়ের জন্ম । পুরাণ অনুযায়ী এটা বিষ্ণুর বাহন সে যা হোক মন অদ্ভুত বড় পৌরাণিক প্রাণীর জন্ম এটা মানুষের গর্ভে!!এই শেষ নয় মাথা এখানেই ঘুরে যাবার মতন অবস্থা হয় আবার তার উপরে উক্ত শ্লোকে বলা আছে যে কদ্রু জন্ম দেন
বিভিন্ন ধরনের সাপকে । চিন্তা করুন মানুষের গর্ভে শহর,পাখি,পোকা জন্ম দিয়েওে ভাগবতের লেখকের মনে শান্তি হয় নি সে এবার লিখেছে মানুষের গর্ভে সাপের জন্ম হয়েছে !
 
 
ভাগবত পুরাণ ৬.৬.২৬ :(রাজা পরীক্ষিতকে বক্তা বলছে) ও রাজা পরীক্ষিত এবার শুনুন কাদের গর্ভ থেকে এই মহাবিশ্ব পরির্পূণ হয়েছে।

মুনিঃ ক্রোধবশা তাম্রা সুরভিঃ সরমা তিমিঃ । 
তিমের্যাদোগণা আসন্ শ্বাপদাঃ সরমাসুতাঃ ॥২৬ ৷৷

অনুবাদ — তিমির গর্ভে জলজ প্রাণীর ( জলজন্তুগণ ) এবং সরমার গর্ভে শ্বাপদ- ( সিংহ ব্যাঘ্র প্রভৃতি জন্তু ) গণ উৎপন্ন হয় ৷৷ ২৬

এরপর বক্তা একে একে ১২ জনের নাম বলল বক্তা এরপর বর্ণনা করল কাদের থেকে কি
জন্মেছে !
 
তিমি (এই তিমি কিন্তু জলের তিমি নয় , দক্ষ রাজার কন্যার বংশধরদের একজন) থেকে জন্ম হয়েছে সমস্ত জলজ প্রাণীর ! সরমা থেকে জন্ম হয়েছে সমস্ত হিংস্র পশুর যেমন বাঘ সিংহ !!

  • ভাগবত পুরাণ ৬.৬.২৭, ২৮,২৯ : সুরভীর গর্ভ থেকে মহিষ,গরু এবং অন্যান্য দ্বিখুর বিশিষ্ট পশুর জন্ম হয়েছে ! তাম্রার গর্ভ হতে শ্যেন ও গৃধ্র ও অন্যান্য শিকারী পাখির জন্ম হয় ! আবার কশ্যপমুনির স্ত্রী মুনির গর্ভ হতে অপ্সরার জন্ম হয় ! ক্রোধবশার গর্ভে সাপ, বিচ্ছু বিষধর প্রাণী ও ইলার গর্ভে লতা - বৃক্ষ বনস্পতির জন্ম হয় । সুরসার গর্ভে যাতুধান ( রাক্ষস) এর জন্ম | অরিষ্টার গর্ভে গন্ধর্বগণ এবং কাষ্ঠার গর্ভে একখুর বিশিষ্ট জন্তুদের।

ভ হ সুরভেমহিষাঃ গাবো যে চান্যে দ্বিশফা নূপ । 
তাম্রীয়াঃ শ্যেনগুধাদ্যা মুনেরপ্সরসাং গণাঃ ॥ ২৭ ॥ 

অনুবাদ – হে মহারাজ , সুরভির সন্তান মহিষ , গো এবং দুইটী খুরবিশিষ্ট অন্যান্য জন্তু ; তাম্রার পুত্র শ্যেন , গৃধ্র প্রভৃতি বিহঙ্গমগণ এবং মুনির সন্তান অপ্সরাসমূহ। ২৭ ৷৷

দন্দশূকাদয়ঃ সর্পা রাজন ক্রোধবশাত্মজাঃ । 
ইলায়া ভূরুহাঃ সর্ব্বে যাতুধানাশ্চ সৌরসাঃ ॥২৮ ॥

অনুবাদ — ক্রোধবশার আত্মজ সন্তান- দন্দশূক ( মশক ) এবং সর্প প্রভৃতি । ইলার গর্ভে বৃক্ষসমূহ এবং সুরসার উদরে রাক্ষসগণ জন্মগ্রহণ করে ৷৷২৮ ৷৷

অরিষ্টায়াস্তু গন্ধৰ্ব্বাঃ কাঠায়াঃ দ্বিশফেতরাঃ । 

সুতা দনোরে ষষ্টিস্তেষাং প্রাধানিকান্ শূণু ॥ ২৯ ॥

দ্বিমূদ্ধা শম্বরোহরিষ্টো হয়গ্রীবো বিভাবসুঃ । 
অয়োমুখঃ শঙ্কুশিরাঃ স্বর্ভানুঃ কপিলোহরুণঃ ॥৩০ 

পুলোমা বৃষপৰ্ব্বা চ একচক্ৰোহনুতাপনঃ ।
ধূম্রকেশো বিরূপাক্ষো বিচিত্তিশ্চ দুৰ্জ্জয়ঃ ৷৷ ৩১ ৷৷

অনুবাদ — অরিষ্টার গর্ভে গন্ধর্ব্বগণ এবং কাঠার গর্ভে একখুরবিশিষ্ট অশ্ব প্রভৃতি পশুগণের জন্ম হয় । হে রাজন , দনুর গর্ভে একষষ্টিটী সন্তান হয় । তন্মধ্যে অষ্টাদশটী প্রধান পুত্রের নাম যথা — দ্বিমুদ্ধা , শম্বর , অরিষ্ট , হয়গ্রীব , বিভাবসু , অয়োমুখ , শঙ্কুশিরা , স্বর্ভানু , কপিল , অরুণ , পুলোমা , বৃষপৰ্ব্বা , একচক্র , অনুতাপন , ধূম্রকেশ , বিরুপাক্ষ , বিপ্রচিত্তি ও দুর্জ্জয় ( এই অষ্টাদশটী ) ৷৷ ২৯-৩১ ৷৷


অতঃ এই বস্তাপচা অবৈজ্ঞানিক ভাগবত পরিত্যাগ করুন নির্দ্বিধায় ও বেদমাতার শরণে আসুন ।