https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

পুরাণ- স্মৃতিতে বেদ বিরুদ্ধ জন্মভিত্তিক বর্ণবাদ

Saturday, April 2, 2022
 

বর্ণ - জাতির প্রকৃত সংজ্ঞা এবং কিভাবে তা গুণ - কর্ম ও স্বভাবের সাথে সম্পৃক্ত তা দেখুন এখানে - 
বৈদিক বর্ণ ব্যবস্থা
বর্ণ - জাতি ও জন্মভিত্তিক ব্যবস্থা বেদ বিরোধী প্রমাণ  [ অনেকে জাতিমাত্র ব্রাহ্মণ ইত্যাদি বলে আড়াল করার চেষ্টা করে  । জাতি অর্থ দেখুন এখানে]
 
 
 
 
 
 
 
  • আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১।১।১।৪- ৫ =
চত্বারো বর্ণো ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়বৈশ্যশূদ্রাঃ । তেষাং পূর্বস্পূর্বো জন্মতঃ শ্রেয়ান্ = ব্রাহ্মণ - ক্ষত্রিয় , বৈশ্য শূদ্র জন্মানুসারে উর্ধ্বক্রমে শ্রেষ্ঠ । 

 

  • মহাভারত,অনুশাসন পর্ব ৩৯।২৮ =  
ব্রাহ্মণ্যাং ব্রাহ্মণাজ্জাতো ব্রাহ্মণঃ স্যান্ন সংশয়ঃ
অনুবাদঃ ব্রাহ্মণ হইতে ব্রাহ্মণী গর্ভে উৎপন্ন পুত্র ব্রাহ্মণই হয়,এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। [ মূলতঃ এখানে ক্ষেত্র অপেক্ষা বীজের উৎকৃষ্টতা দেখানো হচ্ছে ]
 
 


[ মহাভারতের সকল জন্মগত বর্ণমূলক শ্লোক আমরা অবৈদিক ও অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করি । কেননা মহাভারতের অন্যত্রই গুণ অনুযায়ী বর্ণ কথিত আছে । পড়ুন এখানে - https://www.agniveerbangla.org/2019/06/blog-post_76.html ]
 
 
  • মহাভারত,অনুশাসনপৰ্ব্ব ৩২।৫৯ =
জন্মনৈব মহাভাগো ব্রাহ্মণো নাম জায়তে । 
নমস্যঃ সৰ্ব্বভূতানামতিথিঃ প্ৰসৃতাগ্রভুক্।।
অনুবাদঃ ব্রাহ্মণবংশে জন্মদ্বারাই মহাভাগ্যধর ব্রাহ্মণ হয়; সুতরাং তিনি সমস্ত প্রাণীর নমস্য এবং অতিথি হইয়া প্রস্তুত অন্নপ্রভৃতির অগ্রভাগ গ্রহণের যোগ্য হইয়া থাকেন ।
 




  • হারীত সংহিতা-১।১৫ = 
 
ব্রাহ্মণ্যাং ব্রাহ্মণেনৈবমুৎপন্নো ব্রাহ্মণঃ স্মৃত 
অনুবাদঃ ব্রাহ্মণীগর্ভে ব্রাহ্মণ ঔরসে উৎপন্ন ব্যক্তিই ব্রাহ্মণ বলিয়া স্মৃত।
 



  • কণ্ব সংহিতা ৪৫০ = 
ব্রাহ্মণ্যং ব্রাহ্মণে জাতো ন্যায়োঽথায়ং ক্রিয়ামুখৈঃ ।
উচ্যতে ব্রাহ্মণশ্চেতি স তু জাতো মহাঋণী।।
অনুবাদঃ ব্রাহ্মণের ঔরসে জন্মগ্রহণ করিলেই ব্রাহ্মণ হইবে। উহার পূর্ণতার জন্য বৈদিক কর্ম্ম বিহিত; ব্রাহ্মণ জন্মের সহিতই দেবগণ ও পিতৃগণ ঋণে আবদ্ধ হন। 
 




 
শিব পুরাণ, সনৎকুমার সংহিতা ৫৫।১৩=
ব্রাহ্মণস্তু ভবেজ্জাত্যা সংস্কারাদ্বিজ উচ্চতে।
অনুবাদঃ জন্মই ব্রাহ্মণ- সংজ্ঞার হেতু; সংস্কার (উপনয়ন) দ্বিজ-সংজ্ঞার কারণ।
 



  • কপিলস্মৃতি ৩৫৬ = 
ব্ৰহ্মাদ্যৈঃ প্ৰাৰ্থনীয়ঞ্চ বহুজন্মতপঃশতৈঃ। 
সম্প্ৰাপ্তং শ্রুতিভিৰ্গীতং সর্ববেদকৃতাশ্ৰয়াঃ ।।
অনুবাদঃ ব্রহ্মাদি দেববৃন্দও ব্রাহ্মণের সাম্য প্রার্থনা করিয়া থাকেন; বহুজন্মের তপস্যা থাকিলে সকল বৈদিক কর্ম্মের আশ্রয়ীভূত এই ব্রাহ্মণযোনি লাভ হয়- ইহা শ্ৰুতি বলিয়াছেন। 
 
 


  • বৃদ্ধহারীত স্মৃতি ৪।১৪৩ = 
সবর্ণেভঃ সবর্ণাসু জায়ন্তে হি সজাতয়ঃ 
অনুবাদঃ তুল্যবর্ণ ব্যক্তির ঔরসে তুল্যবর্ণ স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তাহাকে সজাতীয় বলে। 
 
 


  • অত্রি সংহিতা ১৪০
জন্মনা ব্রাহ্মণো জ্ঞেয়ঃ সংস্কারৈর্দ্বিজ উচ্যতে। 
বিদ্যয়া যাতি বিপ্ৰত্বং শ্রোত্রিয়ন্ত্রিভেরেব চ।। 
অনুবাদঃ ব্রাহ্মণবংশে জন্ম হইলে ব্রাহ্মণ হয়; সংস্কার (উপনয়ন) হইলে উহাকে দ্বিজ বলা গিয়া থাকে,বিদ্যা দ্বারা বিপ্রত্ব লাভ এবং উক্ত জন্ম,সংস্কার ও বিদ্যা এই তিন দ্বারা ‘শ্রোত্রিয়' পদবাচ্য হয় । 




  • পুরাণের লোকপিতামহ ভগবান ব্রহ্মাও প্রায় একই কথা বলেছেন 
পদ্ম পুরাণ,সৃষ্টিখণ্ড-৪৬।১৩০ = 
জন্মনা ব্রাহ্মণো জ্ঞেয়ঃ সংস্কারৈর্দ্বিজ উচ্যতে। বিদ্যয়া যাতি বিপ্ৰত্বং ত্রিভিঃ শ্রোত্রিয়লক্ষণম্।।
অনুবাদঃ   জন্মদ্বারা ব্রাহ্মণ, সংস্কারফলে দ্বিজ, বিদ্যাদ্বারা বিপ্র বলিয়া উক্ত হয় । এই ত্রিগুণ সমবায়ই শ্রোত্রিয়ের লক্ষণ জানিবে । 
 

 


  • স্কন্দপুরাণ ৫।৩।১২২।১৬ = যে যে বর্ণে জন্মগ্রহণ করেছে আমৃত্যু সেই বর্ণেই থাকতে হবে । 
 

 

  • ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,শ্রীকৃষ্ণের জন্মখণ্ড -৭৩।৬-৭

 

কর্ম্মানুসারজ্জন্তুশ্চ জায়তে স্থানভেদতঃ।  
কৰ্ম্মণা কোঽপি ধাতুশ্চ কোহপীন্দ্ৰাণাং নৃপস্ত্রিয়াম্‌ ।।  
দ্বিজপত্ন্যাং ক্ষত্রিয়ায়াং বৈশ্যায়াং শূদ্ৰযোনিষু ।
তিৰ্য্যগ্ যোনিষু কশ্চিচ্চ কশ্চিৎ পশ্বাদিযোনিষু।।
অনুবাদঃ জীবগণ কর্মানুসারে স্থানবিশেষে জন্ম লাভ করে এবং নিজ নিজ কৰ্ম্মবলেই কেহ বিধাতার পত্নীতে, কেহ ইন্দ্ৰপত্নীতে, কেহ নৃপ স্ত্রীতে, কেহ দ্বিজপত্নীতে, কেহ ক্ষত্রিয়ার গর্ভে, কেহ বৈশ্যার গর্ভে, কেহ শূদ্রযোনিতে, কেহ তির্য্যগ্ যোনিতে ও কেহ বা পশ্বাদিযোনিতে সমুৎপন্ন হয়।


  • ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,শ্রীকৃষ্ণের জন্মখণ্ড-৩২।৪৯


কেচিচ্চ কৰ্ম্মণা বিপ্ৰা বর্ণশ্রেষ্ঠা মহীতলে ।

কেচিভূপ-বৈশ্য-শূদ্রাঃ কেচিচ্চ ম্লেচ্ছজাতয়ঃ।।
অনুবাদঃ মহীতলে এই কৰ্ম্মফলে কেহ বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণংকেহ বা ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র এবং কেহ বা ম্লেচ্ছজাতি প্রাপ্ত হয়।



  • ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,শ্রীকৃষ্ণের জন্মখখণ্ড -৭৪।৯-১০=

কৰ্ম্মণা জায়তে জন্তুঃ কৰ্ম্মণৈর বিলীয়তে।

সুখং দুঃখং ভয়ং শোকং কৰ্ম্মণৈব প্রপদ্যতে।।
কেষাং বা জন্ম স্বর্গেষু কেষাং বা ব্রাহ্মণো গৃহে। 
কেষাং বিপ্রেষু ক্ষত্রেষু কেষাং বা বৈশ্য শূদ্রয়োঃ।।  
অনুবাদঃ কর্ম্মানুসারে কেহ কেহ স্বর্গে, কেহ কেহ ব্রাহ্মণ গৃহে, কেহ কেহ বিপ্র-গৃহে জাতি মাত্র ব্রাহ্মণ ও বেদাভ্যাসরত, কেহ কেহ ক্ষত্রিয় যোনিতে, কেহ কেহ বৈশ্য জাতিতে ও কেহ কেহ শূদ্রজাতিতে উৎপন্ন হয়।



  • শিব পুরাণ,বিদ্যেশ্বর সংহিতা-৯।৬১= শিব পুরাণ বচন-


স্ববর্ণানুগণং লোকে স্বাচারাৎ প্রাপ্লুতে নরঃ
অনুবাদঃ
মানবগণ বিশুদ্ধ আচার ও ভক্তিবলে ক্রমে উচ্চোচ্চতর বর্ণে জন্মগ্রহণ করত স্ববর্ণানুরূপ ফলাতিশয্য লাভ করে।

 


  • বরাহ পুরাণ-২০০।৬৫-৬৬= নচিকেতার বক্তব্য-

মানুষে শূদ্রতাং যাতি লব্ধা যদি তু তুষ্যতি ।
ততো বিশত্বং গচ্ছেত কৰ্ম্মণানেন বেষ্টিতঃ।।
বৈশ্যাৎ ক্ষত্রিয়তাং যাতি তস্মাচ্চ ব্রাহ্মণো ভবেৎ।
ব্রাহ্মণত্বামপি প্রাপ্তঃ পাপকর্ম্মা দুরাত্মবান।।

অনুবাদঃ মনুষ্যযোনি লাভ করিয়া যদি তুষ্ট হয়, তবে প্রথমে শূদ্রযোনি পায়। পরে পূর্ব্বকৃতকৰ্ম্মফলে বৈশ্য, বৈশ্য হইতে ক্ষত্রিয় এবং তাঁহার পর ব্রাহ্মণ হইয়া জন্মগ্রহণ করে।

  • ব্রহ্ম পুরাণ-৪৩।৭৩= ব্রহ্মা বলেছেন-

পুণ্যক্ষয়াদিহায়তঃ প্রবরে ব্রাহ্মণে কুলে
অনুবাদঃ
পুণ্য ক্ষয় হইলে স্বৰ্গাদি হইতে তাহাকে এই মর্ত্যধামে আসিয়া শ্ৰেষ্ঠ ব্রাহ্মণকুলে জন্ম লইতে হয়।