আমরা কিন্তু এখানে পৌরাণিকদেরই মান্য অনুবাদ থেকে দিচ্ছি । চাইলে গৌড়ীয়
থেকে শ্রীধর স্বামী সব টীকা ভাষ্যানুবাদই আমরা দিতে পারবো । এরপরেও কিছু
স্বঘোষিত মায়ে খেদানো বাপে তাড়ানো ফিলোসফার কেবল শ্লোক উলে দিয়ে, কিছু
ভিভিও আর টেক্সট কপি করে ভাববে কি খণ্ডন করলাম রে । মজার ব্যাপার হলো সারাদিন পরম্পরার নামে চিৎকার করা পণ্ডিতদের নিকট জিজ্ঞাস্য , তোমরা নিজেরা নাকি আচার্য আর পরম্পরার বাইরে যাও না । তা এখন তাদেরই বাইরে পণ্ডিতি করতে লজ্জা করে না ? প্রকৃতপক্ষে এরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের জন্মনিবন্ধনে পিতার নামও শতাধিকবার পাল্টাতে পারে । আশার বিষয় হলো পৌরাণিকদের কিছু গৃহপালিত বোকা ব্যক্তিবাদে কেউ এসব ব্যাখ্যা মানে না কেননা সবাই জানে কাদের ভাষ্যে কি বিদ্যমান । বরং তাঁরা যত এসব করবে আমাদের লেখা ও পুরাণের আসল চেহারা সবার কাছেব তত দ্রুত পৌঁছে যাবে ।
- ভাগবত পুরাণ ৫.২১.১২-১৯ - সূর্যের রথের [ এখানে মাস দিয়ে কেউরূপক দেখাতে আছে তাঁর জন্য শ্রীধর টীকা বোনাস দেওয়া হবে ] এক চাকা মানস পর্বতে রাখা আরেক চাকায় সে প্রদক্ষিণ করে । রথে বসার স্থান ৩৬ যোজন লম্বা ও ৯ লক্ষ যোজন প্রস্থে । ৭ ঘোড়া আছে । এই অশ্ব যে বৈদিক রশ্মি না তা পরম্পরার টীকায় প্রমাণিত । পারলে এগুলোকে স্পষ্টভাষায় ভুল বলুক । তাঁর তো মুরোদ নেই । কিন্তু ছলবাক্যে পারদর্শী ।
- লিঙ্গ পুরাণ পূর্বভাগ ৫৫.৮১-৮২ - সূর্য একচক্র ও হরিত অশ্বযুক্ত রথে সপ্ত সমুদ্র ও দ্বীপ পরিভ্রমণ করেন । সপ্তদ্বীপ যারা ডাইমেশন বলে তারা একটু জল আর ঐ দ্বীপের গাছের বর্ণনা নিয়ে কথা বলুক ।
দেবীভাগবত ৮.১৫.৩৮-৪২ - সূর্যের বসার স্থান ৩৬ যোজন বড় । সূর্য মানুষ আকারের না হলে নিশ্চইয়ইপুরাণ তা বলতো না । ৭ অশ্বকে নিরুক্ত টেনে বেদের মত রশ্মি বানাবেন তাও হবে না কেননা বলাই আছে এদের নাম ছন্দ অনুযায়ী ও অরুণ তাঁর সারথি । পুরাণকার যে এখানে বিজ্ঞান না বরং পিওর গালগল্প ফেঁদেছেন তাঁর আরও পোক্ত প্রমাণ হল রথের সামনে ৬০ হাজার বালখিল্য মুনির স্তব করা । এটাও আবার বলা অরুণ সামনে বসে উলটো দিকে তাকিয়ে আছে ।
বায়ু পুরাণ ৫২.৫১-৫৩ - এখানে তো রূপকও হার মেনেছে । চাঁদের রথের এখানে ১০ অশ্বের কথা বলা । সেই রথে আবার ১০০ টা অর । আরো মজার ব্যাপার হল , সাদা সাপ দিয়ে নাকি সেই অশ্ব রথের সাথে যুক্ত । আহারে । রুমালের বিড়াল ব্যাখ্যা করা পৌরাণিকদের কি নির্লজ্জ পরাজয় ।
0 মন্তব্য(গুলি)