অপদাবি: বেদে সর্বোচ্চ দশ সন্তানের কথা বলা হয়েছে, মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছেন, দশের অধিক সন্তান হলে তারা দুর্বল,স্বল্পায়ু ও নির্বুদ্ধি হয়। অথচ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ১৪ তম সন্তান, তিনি দীর্ঘায়ু ও সফল হয়েছেন। অতএব, মহর্ষি দয়ানন্দ ও বৈদিক সিদ্ধান্ত ভুল!
- দেবেন্দ্রনাথের বড় মেয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাইবোনদের মধ্যে যিনি প্রথম তিনি জন্মের পরপরই মারা যান। তাই দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ১৪ সন্তানের জনক বলা হয়- রবীন্দ্র গবেষকদের মতেই। এখন রবীন্দ্র গবেষকদের চেয়েও চার আঙ্গুল এগিয়ে থাকা সেইসকল "মহাজ্ঞানী"রা যদি মনে করে তারা বেশি বুদ্ধিমান এবং সংখ্যাটা ১৫ হিসেবে অপপ্রচারের জন্য সুবিধাজনক তাহলে তারা তা করতেই পারে।
- রবীন্দ্রনাথের ভাইবোনদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ( "মহাজ্ঞানী"দের মতে পঞ্চদশ এবং রবীন্দ্র গবেষকদের মতে চতুর্দশ) বুধেন্দ্রনাথ ঠাকুর শিশুকালেই মারা যান (১৮৬৩-১৮৬৪)
- রবীন্দ্রনাথের বোন সুকুমারী দেবী (১৮৫০-১৮৬৪) মাত্র ১৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
- রবীন্দ্রনাথের বড় পূর্ণেনন্দ্রনাথ ঠাকুর মাত্র ছয় বছর বয়সে মারা যান (১৮৫১-১৮৫৭)
- দ্বাদশ সন্তান সোমেন্দ্রনাথ অতি অল্প বয়স থেকেই বায়ুরোগগ্রস্ত ।

—"স্ত্রী-পুরুষও অল্পায়ু ও রুগ্ন হইয়া বৃদ্ধাবস্থায় বহু দুঃখ ভোগ করে" রবীন্দ্রনাথের পিতা-মাতা তাদের জীবদ্দশাতেই চার সন্তানের (শৈশব থেকে কৈশোরে) মৃত্যু এবং এক সন্তানকে আমৃত্যুকাল বায়ুরোগগ্রস্ত (নির্বুদ্ধিবান) দেখেছেন।

সূত্র: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়: রবীন্দ্র জীবনী: ১-৪ খণ্ড : বিশ্বভারতী, কলকাতা।
0 মন্তব্য(গুলি)