অপপ্রচারকারীরা মুণ্ডকোপনিষদ (২.১.৪-৫) এর শঙ্করভাষ্য তুলে ধরে বলেছে - চাঁদ থেকে কিভাবে মেঘ উৎপন্ন হয়
এটা তো বৈজ্ঞানিক ভুল



মুণ্ডক-২, খণ্ড-১, শ্লোক-৪ দেখি তাহলে দেখবো সেখানে পরমাত্মার বিরাট স্বরূপের বর্ণনা রয়েছে।
অগ্নির্মূর্ধা চক্ষুষী চন্দ্রসূর্য়ৌ দিশঃ শ্রোত্রে বাগ্ বিবৃতাশ্চ বেদাঃ।
বায়ুঃ প্রাণো হৃদয়ং বিশ্বমস্য পদ্ভ্যাং পৃথিবী হ্যেষ সর্বভূতান্তরাত্মা ||৪||
পদার্থ: (অস্য) এই পরমাত্মার (অগ্নিঃ) দ্যুলোকরূপ অগ্নি (মূর্ধা) মস্তক (চন্দ্রসূর্য়ৌ) চন্দ্র ও সূর্য (চক্ষুষী) চক্ষু (দিশঃ) সমস্ত দিক (শ্রোত্রে) শ্রোত্র (বেদাঃ,বিবৃতাঃ) প্রসিদ্ধ ঋগাদি চতুর্বেদ (বাক্) বাণী (চ) এবং (বায়ুঃ) সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডগত বায়ু (প্রাণঃ) প্রাণ (বিশ্বম্) নিখিল জগৎ (হৃদয়ম্) হৃদয়-স্থানীয় (পৃথিবী) পৃথিবী (পদ্ভ্যাম) পাদ-স্থানীয় (এষঃ হি) ইনিই (সর্বভূতান্তরাত্মা) সর্বভূতের অন্তর্যামী পরমাত্মা ।।৪।।



ন তত্র সূর্যো ভাতি ন চন্দ্র তারকংনেমা বিদ্যুতো ভান্তি কুতোহয়মগ্নিঃ। ....
[শ্বেতাশ্বতর - ৬|১৪ ]
অর্থাৎ, সেই পরমব্রহ্মকে চন্দ্র,সূর্যাদি তারকা, বিদ্যুৎ , অগ্নি কোনোকিছুই প্রকাশ করতে পারে না।


তস্মাদাগ্নিঃ সমিধো য়স্য সূর্য়ঃ সোমাৎ পর্জন্য ওষধয়ঃ পৃথিব্যাম্ ।
পুমান্ রেতঃ সিঞ্চতি য়োষিতায়াং বহ্বীঃ প্রজাঃ পুরুষাৎ সম্প্রসূতাঃ ||৫||
পদার্থ: (তস্মাৎ) সেই পরমাত্মা থেকে (অগ্নিঃ) দ্যুলোকরূপ অগ্নি উৎপন্ন হয় (য়স্য,সূর্য়) সূর্য যার (সমিধঃ) ইন্ধন-স্থানীয় (সোমাৎ) যজ্ঞে আহুত হবি থেকে (পর্জন্য) [জলরূপ] মেঘ উৎপন্ন হয়, মেঘের বর্ষণ দ্বারা (পৃথিব্যাম্) পৃথিবীতে (ওষধয়ঃ) অন্নাদি ওষধি [শস্যাদি] উৎপন্ন হয়, ওষধি ভক্ষণ দ্বারা (রেতঃ) বীর্য উৎপন্ন হয় এবং এই বীর্যকে (পুমান্) পুরুষ
(য়োষিতায়াম) স্ত্রীতে (সিঞ্চতি) সিঞ্চন করে।
[এভাবে] (বহ্বীঃ, প্রজাঃ) বহুবিধ প্রজা [মনুষ্যাদি প্রাণিগণ] (পুরুষাৎ) পূর্ণ পরমাত্মা থেকে উৎপন্ন হয়।

[ যজ্ঞের দ্বারা পরিবেশে মেঘ উৎপন্ন হয়ে বৃষ্টি হওয়ার এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার সকল বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদির রেফারেন্স
❐ This data for a period of 39 years (from 1981 to 2019) clearly indicates that Yajna gives more rainfall and the quality ---
[ REFERENCE : Venkata R Chaganti, "Yajna a Solution to Air Pollution", JIRSE (2020) Volume 8, Issue 1. pages (1-11).

IJISET
- International Journal of Innovative Science, Engineering &
Technology, Vol. 7 Issue 2, February 2020। [ Venkata Chaganti ] - https://drive.google.com/file/d/1ZGtAn1g33kgdZ_tFFd9Y-TVnJNsTtW2X/view?usp=sharing
❐
The Yajna fire generally is between 200 to 1000 degrees Celsius and
above. At this temperature generally all materials (eatables, and herbs
etc.) are vaporized and the molecules or atoms or ions or nanoparticles
rise high into the atmosphere. These molecules have
high kinetic energy and travel long distances and climb great heights
as the density of these vapors are lesser than the surrounding air.
These minute particles have the capacity to interact with the
atmospheric gases/particles and cause reduction in the pollution. For
example, Sulphur dioxide can be removed using Carbon (Sappok and
Walker)".
[ REFERENCE : R.J. Sappok, P.L. Walker Jr, Journal of Air Pollution Control Association, 16th March 2012. ]
সেই অন্নাদি ওষধি ভক্ষণের ফলে পুরুষরূপ চতুর্থ অগ্নিতে বীর্য উৎপন্ন হয়। পুরুষরূপ চতুর্থাগ্নি দ্বারা স্ত্রীরূপ পঞ্চমাগ্নিতে বীর্য সিঞ্চন করায় অনেক প্রকার প্রজা (মনুষ্যাদি প্রাণিগণ) উৎপন্ন হয়।



[৩।৫।৩।২] এ বলা হয়েছে - "হবির্বৈ দেবানাং সোমঃ" অর্থাৎ দেবগণের উদ্দেশ্যে আহুত হবিকে এখানে সোম বলা হয়েছে। অর্থাৎ যজ্ঞে প্রদত্ত হবি তথা অগ্নিহোত্র থেকেই মেঘ উৎপন্ন হয় চাঁদ থেকে নয়।

"য়জ্ঞাদ্ ভবতি পর্জন্যো" অর্থাৎ যজ্ঞ থেকে মেঘ উৎপন্ন হয় যা থেকে বৃষ্টি হয়।

"অগ্নৌ প্রাস্তাহুতিঃ সম্যদগাদিত্যমুপতিষ্ঠতে। আদিত্যাজ্জায়তে বৃষ্টির্বৃষ্টেরন্নং ততঃ প্রজাঃ।।"
অর্থাৎ, অগ্নিতে প্রদত্ত ঘৃতাদি পদার্থের আহুতি রসরূপে সূর্যরশ্মির আকর্ষণে মেঘে পরিণত হয় এবং তা বৃষ্টিরূপে পৃথিবীতে পতিত হয় ।

"অগ্নর্বৈ ধূমো জায়তে ধূমাদভ্রমভ্রাদ্ বৃষ্টিঃ"
অর্থাৎ, যজ্ঞের অগ্নি থেকে ধূম তথা ধোঁয়া, ধূম থেকে মেঘ, অতঃপর মেঘ থেকে বৃষ্টি উৎপন্ন হয়।



স্বাধ্যায় প্রকাশনী হতে প্রকাশিত "উপনিষদ সংগ্রহ-১ম খণ্ড" (৯টি উপনিষদ একত্রে) যতো দ্রুত সম্ভব সংগ্রহ করুন। এই লেখার সকল তথ্য ও ব্যাখ্যা উক্ত গ্রন্থ থেকেই নেওয়া হয়েছে। 



0 মন্তব্য(গুলি)