https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

অলংকার কাকে বলে ? বৈদিক প্র‍য়োগ কী ?

Friday, June 14, 2024



অলংকার

কাব্যশাস্ত্রীগণ অনুপ্রাস, যমক আদি শব্দালংকার তথা উপমা, রূপক, উৎপ্রেক্ষা, অর্থান্তরন্যাস আদি অর্থালংকার কল্পনা করেছেন, যার মধ্য থেকে শব্দালংকার ভাষাকে তথা অর্থালংকার অর্থকে অলংকৃত করে। কিন্তু এরূপ নয় যে কাব্যশাস্ত্রীগণ অলংকার প্রথমে নিশ্চিত করেন এবং তা দেখে কবিগণ নিজের কাব্যে তার প্রয়োগ করেন। বাল্মীকি, ব্যাস, ভাস কালিদাস, ভবভূতি আদি কবিগণের কাব্যের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ করে তাতে শব্দার্থের সুষ্ঠুতা দেখেই ভামহ, দণ্ডী, রুদ্রট, মম্মট আদি আচার্যগণ নামোল্লেখপূর্বক অলংকারের উদ্ভাবন করেছেন।

আদ্য কাব্যশাস্ত্রী ভরতমুনি কেবল যমক, উপমা, রূপক এবং দীপক এই চার অলংকারেরই নির্দেশ করেছিলেন। ক্রমে ক্রমে এর সংখ্যা বাড়তে থাকলো এবং এর সংখ্যা ১২৫ পর্যন্ত পৌঁছল। আজও প্রায় ৬৫ অলংকার মানা হয়। অলংকারের নামকরণ তো পরবর্তীতে হয়েছে, কিন্তু এর প্রয়োগ লৌকিক কাব্যের পূর্বে বেদ সংহিতাতে অতি উৎকৃষ্টরূপে বিদ্যমান ছিলো। রাজশেখর নিজের 'কাব্যমীমাংসা' তে লিখেছেন যে শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ এবং জ্যোতিষ এই ছয় বেদাঙ্গ ছাড়াও সপ্তম বেদাঙ্গ অলংকার, কারণ তার স্বরূপ জানা ছাড়া বেদার্থের জ্ঞান হয় না, এটিই যাযাবরীয় আচার্যের মত। উদাহরণস্বরূপ তিনি 'দ্বা সুপর্ণা সয়ুজা সখায়া' ঋ০ ১।১৬৪।২০ আদি ঋচা প্রস্তুত করে বলেছেন যে, যদি এই মন্ত্রে অলংকারের জ্ঞান না থাকে, তো পাঠক শাব্দিক অর্থ পর্যন্তই থেকে যাবেন, আত্মা-পরমাত্মা আদি পরক রহস্যার্থ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না।

স্বামী দয়ানন্দ ঋগ্বেদাদিভাষ্যভূমিকার অলংকার ভেদ বিষয়ে উপমা, রূপক এবং শ্লেষ অলংকারের ভেদে উদাহরণসহ প্রতিপাদিত করে লিখেছেন যে "এই প্রকারের আরো অনেক বহু অলংকার রয়েছে, সুতরাং বেদ ভাষ্যের যেখানে যেখানে আসবে, সেখানে সেখানে লিখিত হবে।" নিজের ঋগ্বেদ ভাষ্য তথা যজুর্বেদ-ভাষ্যে তিনি শ্লেষ এবং উপমা নানা স্থলে লিখেছেন, কখনো রূপকও লিখেছেন। উপমাতে পূর্ণ উপমা ছাড়াও বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার অনেক স্থলে দেখিয়েছেন। এক মন্ত্রের ভাষ্যে প্রতীপ অলংকার ও দেখিয়েছেন। অন্য অলংকার তিনি দেখাননি, কারণ প্রামাণিক অর্থের প্রদর্শন করাতে মহর্ষির অধিক প্রযত্ন ছিলো।

প্রস্তুত সামবেদ-ভাষ্যে অপেক্ষাকৃত অধিক প্রদর্শন করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। শব্দালংকারে অনুপ্রাস, যমক, পুনরুক্তবদাভাস এবং শ্লেষের উল্লেখ করা হয়েছে। শব্দালংকার বিশেষ স্থানে দেখানো হয়েছে, সর্বত্র নয়। লৌকিক কাব্যের টীকাকারগণও কখনো কখনো শব্দালঙ্কারের উল্লেখ করেন। অর্থালংকারে প্রমুখতঃ উপমা, অনন্বয়, রূপক, উৎপ্রেক্ষা, অর্থশ্লেষ, অতিশয়োক্তি, প্রতিবস্তুপমা, দৃষ্টান্ত, দীপক, ব্যতিরেক, বিভাবনা, বিশেষোক্তি, অর্থান্তরন্যাস, বিরোধ, স্বভাবোক্তি, কাব্যলিঙ্গ, পরিকর, উল্লেখ, অন্যান্য, সম, বিষম তথা ভাবিক অলংকারসমূহের নির্দেশ করা হয়েছে।

প্রয়োজনীয় স্থানে কাব্যপ্রকাশ অথবা সাহিত্যদর্পণ দ্বারা সেই সেই অলংকারের লক্ষণও দেয়া হয়েছে, যাতে তার স্বরূপ বুঝে বেদমন্ত্রে তার সৌন্দর্য উপভোগ করা যেতে পারে।

অলংকারের বিষয়ে এটি ধ্যানে রাখা আবশ্যক যে লক্ষণ ঘটার পরও সেই উক্ত অলংকার মানা যেতে পারে না, যাতে চমৎকার নেই। অতএব অনেক বেদমন্ত্রে যেখানে কোন অলংকারের অন্বেষণ করা হয়নি, আমরা সেখানে অলংকার লিখিনি। কোন সূক্তে একাধিক অলংকার হওয়ার পর সেই অলংকারসমূহের সংসৃষ্টি বা তাদের সংকরও হয়। এই বিষয়ে বিস্তার বিশ্লেষণে আমরা প্রায়ই যাইনি

বেদে কোনো মন্ত্রের একাধিক অর্থ বের করার পর কোন অর্থ প্রস্তুত আর কোন অর্থ অপ্রস্তুত, তা সাধারণত বোঝা সম্ভব না হওয়ায়, কারণে অপ্রস্তুতপ্রশংসা, সমাসোক্তি আদি অলংকারের উদ্ভাবনা না করে ঐ স্থলকে শ্লেষালংকারে রেখে দেয়াই সঙ্গত বলে মনে হয়। অতএব দয়ানন্দের বেদভাষ্যে শ্লেষালংকারের ব্যবহার অনেক ব্যাপক। এমন স্থিতি প্রস্তুত ভাষ্যেও রয়েছে।

লৌকিক বাক্যে অর্থ নিশ্চিত হওয়ার কারণে অলংকার-দর্শন সবার দ্বারা প্রায় সমানই হয়, যদিও কখনো সেখানে মতভেদের সম্ভাবনা থেকেই যায়। কিন্তু বেদমন্ত্রের ক্ষেত্রে যিনি যে অর্থ ব্যাখ্যা করেন, তার অনুরূপই তিনি তাতে অলংকার প্রদর্শন করেন। দ্বিতীয়ত ব্যাখ্যাকারগণ নিজের অর্থের অনুসারে ভাষ্যে বিভিন্ন অলংকার প্রদর্শন করেন। এই দৃষ্টিতে এই ভাষ্যে প্রদর্শিত অলংকারকে দেখা উচিৎ।

জড় পদার্থকে সম্বোধন

নিরুক্তে ঋচাকে তিন প্রকারের বলা হয়েছে পরোক্ষকৃত, প্রত্যক্ষকৃত এবং আধ্যাত্মিক। পরোক্ষকৃত ঋচাতে ক্রিয়াপদ প্রথম পুরুষের ক্ষেত্রে হয় তথা প্রতিপাদ্য দেবতাবাচক পদে কোনো নাম বিভক্তি প্রযুক্ত হতে পারে। যথা- 'ইন্দ্রো দিব ইন্দ্র ঈশে পৃথিব্যাঃ' ( ঋ০ ১০।৮৯।১০) 'ইন্দ্রমিদ্ গাথিনো বৃহৎ' (ঋ০ ১।৭।১) ইত্যাদি। প্রত্যক্ষকৃত ঋচাতে ক্রিয়াপদ মধ্যম পুরুষের ক্ষেত্রে হয় তথা প্রতিপাদ্য দেবতাকে সম্বোধন করে ত্বম, য়ুবাম বা য়ূয়ম্ সাক্ষাৎ প্রযুক্ত থাকে বা অধ্যাহৃত হয়। যথা 'ত্বমিন্দ্র বলাদধি' (ঋ০ ১০।১৫৩।২), 'বি ন ইন্দ্র মৃধো জহি' (ঋ০ ১০।১৫২।৪), 'অগ্ন আ য়াহি বীতয়ে' (সাম০ ১।১।১।১) আধ্যাত্মিক ঋচাসমূহে সেটিই হয় যাতে ক্রিয়াপদ উত্তম পুরুষরূপে থাকে তথা 'অহম্' সর্বনাম এর প্রয়োগ দ্বারা দেবতা স্বয়ং নিজের বর্ণনা করে। যথা- 'অহং ভুবং বসুনঃ পূর্ব্যস্পতিঃ' (ঋ০ ১০।৪৮।১) মন্ত্রে ইন্দ্র দ্বারা আত্ম-পরিচয় দেয়া হয়েছে।

যে প্রত্যক্ষকৃত ঋচাসমূহ রয়েছে তাতে যখন দেবতাবাচক পদের চেতন পরমেশ্বর, জীবাত্মা, রাজা, সেনাপতি, আচার্য আদি অর্থ করা হয় তখন তা সঙ্গতিপূর্ণ হয়। কিন্তু যখন ভৌতিক অগ্নি, ভৌতিক সূর্য আদি অর্থ করা হয় তখন জড়পূজার আশঙ্কা হতে পারে। যথা- "অগ্ন আ য়াহি বীতয়ে" (সাম০ ১।১।১।১) মন্ত্রে অগ্নির অর্থ যদি যজ্ঞাগ্নি বা শিল্পাগ্নি করা হয় তবে –

হে যজ্ঞাগ্নি! হে শিল্পাগ্নি! তুমি এসো' এই অর্থে জড়তে চেতনবৎ প্রয়োগ হওয়ার কারণে জড়-পূজার ভ্রান্তি হয়।

অতএব স্বামী দয়ানন্দ ঋ০ ভা০ ভূ০ এর বৈদিকপ্রয়োগবিষয়ে নিরুক্তকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন -"ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে প্রথম, মধ্যম এবং উত্তম (পুরুষ) নিজ নিজ স্থানে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ জড় পদার্থের বিষয়ে প্রথম (পুরুষ), চেতনে মধ্যম বা উত্তমে (পুরুষ) যথানিয়মে প্রয়োগ হয়। সুতরাং এটি তো লৌকিক এবং বৈদিক শব্দবিষয়ে সাধারণ নিয়ম। কিন্তু বৈদিক প্রয়োগে এই বিশেষত্ব হচ্ছে, যখন জড় পদার্থও প্রত্যক্ষ হয় তো সেখানে নিরুক্তকারের উক্ত নিয়ম অনুসারে মধ্যম পুরুষের প্রয়োগ হয় এবং এখানে এটিও জানা অবশ্যক যে, ঈশ্বর সংসারী জড় পদার্থকে প্রত্যক্ষ করে তার দ্বারা অনেক উপকার গ্রহণ করা কর্তব্য- এটিই (বেদ দ্বারা) জানিয়েছেন, অন্য প্রয়োগের জন্য তিনি এরূপ করেননি। কিন্তু এই নিয়মকে না জেনে সায়ণাদি বেদের ভাষ্যকারগণ তথা তাদের নির্মিত ভাষ্যের অবলম্বনে ইউরোপদেশবাসী বিদ্বানগণও বেদের অর্থকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন, সুতরাং এটি তাদের ভুল। তারা এরূপ লিখেছেন যে, বেদে জড় পদার্থের পূজা পাওয়া যায়, যার কোন চিহ্নমাত্রও নেই।

এই লেখা দ্বারা এটি স্পষ্ট যে জড় পদার্থে সম্বোধন তখন হবে যখন স্তোতা তাদের হস্তামলকবৎ স্পষ্ট দেখতে পারে। এজন্য স্বামী দয়ানন্দের বক্তব্য হচ্ছে 'যেখানে কোথাও পদার্থ বিদ্যার উপদেশের জন্য জড়বস্তুতে চেতনভাবের কল্পনা করা হয়েছে, সেখানে ঐ কথাতে দোষ আসে না।

পুনরায় কোন প্রকারের ভ্রান্তি যেন এই বিষয়ে কারো না থাকে তথা বেদে জড় পদার্থের পূজার মিথ্যা কল্পনা পাঠক না করে, এই বিচারে মন্ত্রে যেখানে জড় পদার্থকে সম্বোধন করা হয় সেখানে স্বামীজী ব্যত্যয় মেনে অর্থ করেছেন। কোন মন্ত্রের চেতনপরক এবং অচেতনপরক দুই অর্থ করেছেন। তিনি চেতনপরকে ব্যত্যয় করেননি, কিন্তু অচেতনপরকে ব্যত্যয় করেছেন। যথা-

"বায়বা য়াহি দর্শত (ঋ০ ১।২।১) -(বায়ো) অনন্তবল সর্বপ্রাণান্তর্য়ামিন্নীশ্বর তথা সর্ব মূর্তদ্রব্যাধারো জীবনহেতুঃ ভৌতিকো বা, (আয়াহি) আগচ্ছ, আগচ্ছতি বা। অত্র পক্ষে ব্যত্যয়ঃ।"

আমার সামবেদের প্রস্তুত ভাষ্যে সম্বোধনান্ত পদের জড়পক্ষে ব্যাখ্যা প্রায় করাই হয়নি। যদি কোথাও জড়বস্তুপরক অর্থ দেখানো হয়েছে তো সেখানে সেভাবেই অর্থ করা হয়েছে যেন তার দ্বারা পাঠকদের জড়-পূজার ভ্রম না হয়। আসলে অচেতনে চেতনবৎ ব্যবহার ভাষার এক আলংকারিক শৈলী, যা সকল ভাষাতে পাওয়া যায়। অতএব, এতে কোনরূপ শঙ্কিত হওয়ার আবশ্যকতা নেই।

টীকাঃ

১. 'শিক্ষা, কল্পো, ব্যাকরণং, নিরুক্তং, ছন্দোবিচিতি, জ্যোতিষং চ ষড়ঙ্গানি ইত্যাচার্য়াঃ। 'উপকারকত্বাদলঙ্কারঃ সপ্তমমঙ্গম্' ইতি য়ায়াবরীয়ঃ। ঋতে চ তৎস্বরূপম্পরিজ্ঞানাদ্ বেদার্থানবগতিঃ।- কা০ মী০, অধ্যায় ২।

২. এবংবিধা অন্যেঽপি বহবোঽলঙ্কারাঃ সন্তি। তে সর্বে নাত্র লিখ্যন্তে। ত্র ত্র ত আগমিষ্যন্তি তত্র তত্র ব্যাখ্যায়িষ্যন্তে। -ভা০ ভূ০, অলঙ্কারভেদ বিষয়ঃ।

৩. দ্রষ্টব্য-ঋ০ ১।১৬৪।২০,২৬,৩০ এর দয়ানন্দ-ভাষ্য ।

৪. দ্রষ্টব্য-ঋ০ ১।৩০।১৪ এর দয়ানন্দ-ভাষ্য।

৫. তাস্ত্রিবিধা ঋচঃ -পরোক্ষকৃতাঃ, প্রত্যক্ষ কৃতাঃ আধ্যাত্মিক্যশ্চ। তত্র পরোক্ষকৃতাঃ সর্বাভির্নামবিভক্তিভির্য়ুজ্যন্তে প্রথমপুরুষৈশ্চাখ্যাতস্য। 'ইন্দ্রো দিব ইন্দ্র ঈশে পৃথিব্যাঃ -ঋ০০।৮৯১০', 'ইন্দ্রমিদ্ গাথিনো বৃহৎ- ঋ০ ১৭।১' 'ইন্দ্রেণৈতে তৃৎসবো বেবিষাণা-০ ৭।১৮।১৫', 'ইন্দ্রায় সাম গায়ত-ঋ০ ৮।৯৮।১', 'নেন্দ্রাদৃতে পবতে ধাম কিঞ্চন-ঋ০ ৯।৬৯৬', 'ইন্দ্রস্য নু বীর্য়াণি প্রবোচম্-ঋ০ ১৩২।১', 'ইন্দ্রে কামা অয়ংসত' ইতি ॥ অথ প্রত্যক্ষকৃতা মধ্যমপুরুয়োগাস্ত্যমিতি চৈতেন সর্বনাম্না। 'ত্বমিন্দ্র বলাদধি-ঋ০ ১০১৫৩।২ ' 'বি ন ইন্দ্র মৃধো জহি-ঋ০ ১০।১৫২।৪' ইতি। অথাধ্যাত্মিক্য উত্তমপুরুষয়োগা অহমিতি চৈতেন সর্বনাম্না। 'থৈতদিন্দ্রো বৈকুণ্ঠো-ঋ০ ১০।৪৮', লবসুক্তং-ঋ০ ১০১১, বাগাম্ভণীয়স্-ঋ০ ১০১২৫ ইতি।

৬. অথাপি প্রত্যক্ষকৃতাঃ স্তোতারো ভবন্তি পরোক্ষকৃতানি স্তোতব্যানি।-নিরু০ ৭।২, দুর্গাচার্য় আদি এর ব্যাখ্যা অন্যভাবে করেছেন।

৭. ব্যাকরণরীত্যা প্রথমমধ্যনোত্তমপুরুষাঃ ক্রমেণ ভবন্তি। তত্র জড়পদার্থেষু প্রথমপুরুষ এব, চেতনেষু মধ্যমোত্তমৌ চ। অয়ং লৌকিকবৈদিকশব্দয়োঃ সার্বত্রিকো নিয়মঃ। পরম্তু বৈদিকব্যবহারে জড়েঽপি প্রত্যক্ষে মধ্যমপুরুষপ্রয়োগাস্সন্তি ।তত্রেদং বোধ্যং, জড়ানাং পদার্থানাভুপকারার্থ প্রত্যক্ষকরণমাত্রমেব প্রয়োজনমিতি। ইম নিয়মম্ অবুদ্ধ্বা বেদ-ভাষ্যকারৈঃ সায়ণাচার্য্যাদিভিস্তদনুসারতয়া স্বদেশভাষয়াঽনুবাদকারকৈর্য়ুরোপাস্যদেশনিবাস্যাদিভির্মনুষ্যৈ-র্বেদেষু জড়পদার্থানাং পূজাস্তীতি বেদার্থোঽন্যথৈব বর্ণিতঃ-ঋ০ ভা০ ভূ০, বৈদিকপ্রয়োগবিষয়।