সত্যার্থ
প্রকাশে আপদ্কাল ব্যতীত শূদ্রগৃহে ভোজন নিষেধের তাৎপর্য কী ?
চতুর্বর্ণ ব্যবস্থায় শূদ্র শারীরিক শ্রম ও বৃত্তির মাধ্যমে ত্রিবর্ণের সেবা-সুশ্রুষা করে জীবিকা নির্বাহ করে [মনু০ ১।৯১, ৯।৩৩৪-৩৩৫]।
সেবক শূদ্রের সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক দানের বিধি বিদ্যমান [৭।১২৫-২৬, ৮।২১৬]।
মহর্ষি মনুর মতে শূদ্রকে আহার করিয়ে তারপর গৃহস্থ দ্বিজ নিজে আহার করবে [৩।৭২,১১৬]।
এজন্য শূদ্রের আহার থেকে শুরু করে সমগ্র দায়িত্ব দ্বিজগণই বহন করবেন। তাই আপৎকাল ব্যতীত তার গৃহে আহারাদি প্রস্তুতের পীড়া না দেওয়ার লক্ষ্যেই মহর্ষি দয়ানন্দ উক্ত বিধান উল্লেখ করেছেন, কেননা ১০ম সমুল্লাসেই তিনি দ্বিজদের অধ্যক্ষতায় শূদ্রের রন্ধনের দায়িত্ব উল্লেখ করেছেন, অর্থাৎ শূদ্রস্পৃষ্টাদি কুসংস্কার অস্বীকার করেছেন।
কেননা মহর্ষি মনুই বলেছেন [৩।৭২] সেবকাদিকে না ভোজন করিয়ে যে আহার করে সে জীবিত থেকেও মৃত 'ন নির্বপতি পঞ্চানামুচ্ছ্বসন্ন স জীবতি'। এজন্য সেবকের প্রস্তুতকৃত খাদ্য যজ্ঞাদি দেবভোগ্য ও অতিথিকে ভোজন করার পর গৃহী সেবককে আহার করিয়ে তারপর আহার করবে।
মহর্ষি দয়ানন্দের অস্পৃশ্যতা ভেদাভেদ অস্বীকারের দৃষ্টান্ত - https://arsa-parampara.blogspot.com/2023/07/blog-post_31.html
0 মন্তব্য(গুলি)