https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

যজুর্বেদ রুদ্রাধ্যায়ঃ পৌরাণিক আক্ষেপ নিবারণ

Thursday, May 24, 2018

বেদের রুদ্রাধ্যায় ১৬ অধ্যায় সমন্ধ্যে পৌরাণিকগণের এই আক্ষেপ যে, দয়ানন্দ জী রুদ্র অর্থ ঈশ্বর কেন মানেন নি।  বিষয়টি বিশ্লেষনের পৃুর্বে আমাদের অনান্য ভাষ্যকারদের মত পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। যজুর্বেদের পৌরাণিক খ্যাতনামা দুই ভাষ্যকার প্রসিদ্ধ - উব্বট এবং মহিধর। রুদ্র শব্দে এই দুই ভাষ্যকার এর মত এবং এ অধ্যায়ের ক্রমান্বয়ে মন্ত্রগুলো পর্যালোচনা করলে বিষয় টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
back2thevedas.blogspot.com/2018/11/blog-post_27.html#more


যজুর্বেদ ১৬।৫৯ "যে ভূতানামধিপতয়" মন্ত্রে উব্বট মহিধর রুদ্রশব্দ কে ঈশ্বর পক্ষে লাগান নি বরং ভূতের রক্ষক পক্ষে লাগিয়েছেন যাহাতে ক্ষত্রিয় রাজার আশয় সিদ্ধ হয়।

শুধু এই নয় দেখুন
"যেতীর্থানি প্রচরন্তিমৃকাহস্তানিষঙ্গিণঃ " যজু ১৬। ৬১

এই মন্ত্রের ভাষ্য মহিধর লিখেছেন -

  "যে রুদ্রা তীর্থানি প্রয়াগকাশ্যাদীনি  প্রচরন্তি গচ্ছতি। কীদৃশাঃ। সৃকাহস্তা সৃকা ইত্যায়ুধনাম সৃকা আয়ুধানি হস্তে যেসাং তে "

অর্থঃ
যে রুদ্র প্রয়াগাদি তীর্থে শস্ত্র হাতে নিয়ে বিচরন করেন (নিষঙ্গিণঃ) খড়গ ধারণ করে।


এই বিষয়ে উব্বটও একই অর্থ করেছেন।  এই অর্থ দ্বারা সিদ্ধ হয় হয় যে,  আপনারও ভাষ্যকার রুদ্র শব্দের অর্থ সব জায়গায় ঈশ্বর মানেন নি।
back2thevedas.blogspot.com/2018/11/blog-post_27.html#more
এই ভাষ্যকারদের মতে রুদ্র শব্দ ক্ষত্রিয় বিশেষ বা দেব বিশেষের বাচকই নয় বরং কোথাও কোথাও চোর ডাকুর বাচক হিসেবে রুদ্র শব্দ ব্যবহার করেছেন।  এই অধ্যায়ের ৬০ নং মন্ত্রে উব্বট লিখেছেন " চোরাদয়ো বা রুদ্রা " অর্থ- রুদ্র শব্দের অর্থ চোর আদি।  



এরূপে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী উক্ত অধ্যায়  রাজপক্ষে ব্যাখ্যা করেছেন। অধ্যায়ের প্রারম্ভে তিনি বলেছেন - "অথ রাজধর্ম উপদিশ্যতে" অর্থাৎ ষোড়শ অধ্যায় আরম্ভ হলো।  এই অধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রে রাজধর্মের উপদেশ করা হয়েছে - 

নমস্তে রুদ্র মন্যব উতো ত ইষুবে নমঃ
বাহুভ্যাভূত তে নমঃ।।১।।

ভাষার্থঃ
হে (রুদ্র) দুষ্ট শত্রু কে রোদনকারী রাজন! তোমার (মন্যবে) ক্রোধযুক্ত বীর পুরুষের জন্য (নমঃ) বজ্র প্রাপ্ত হোক (উতো) এবং (ইষবে) শত্রুকে নাশকারী (তে) তোমার জন্য (নমঃ) অন্ন প্রাপ্ত হোক (উত) এবং (তে) তোমার (বাহুভ্যাম্) ভুজা দ্বারা (নমঃ) বজ্র শত্রুকে প্রাপ্ত হোক।। ১।।


নোটঃ মন্ত্রে দয়ানন্দ জী রুদ্র শব্দের অর্থ রাজন করেছেন। রুদ্র কে  জীব পক্ষে করার পক্ষে তিনি শতপথ এবং উণাদি কোষ থেকে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।  যথাঃ

 "কতমে রুদ্র ইতি দশমে পুরুষ প্রাণা একদশ আত্মা।  একাদশ রুদ্রাঃ কস্মাদেতে রুদ্রা যদসম্মান্ মর্তাচ্ছরীরদুৎক্রামন্ত্যথ রোদয়ন্তি যত্তদ্রোদয়ন্তি তস্মাদ্ রুদ্রা।।  ইতি শতপথ ব্রাহ্মণে [বৃহঃ উপঃ ৩।৯।৪ ] 





রোদের্ণিলুক্ চ [উণা০ ২.২৪] অনেনেণাদিগণসুত্রেণ রোদিধাতো রক্ প্রত্যয়ো  ণিলুক্ চ। " 

অর্থাৎ রুদ্র কয়টি?  অর্থাৎ পঞ্চ প্রাণ এবং পঞ্চ উপপ্রাণ এই দশ প্রাণ  এবং জীবাত্মা মিলে একাদশ রুদ্র। এই এগারো দেহান্তকালে রোদন করায় বলিয়া রুদ্র বলা হয়।




এই প্রকার  পরবর্তী মন্ত্রগুলো বিচার করলে অধ্যায় টির আশয় পরিষ্কার হয়ে যাবে -



যা তে রুদ্র শিবা তনুরঘোরাহপাপকাশিনী।
তয়া নস্তন্বা শান্তময়া গিরিসন্তাভি চাকশীহি।।২।।

ভাষার্থঃ
হে (গিরিশন্ত) মেঘ বা সত্য উপদেশ দ্বারা সুখ পৌছানো (রুদ্র) দুষ্ট কে ভয় এবং শ্রেষ্ঠ এর জন্য সুখকারী শিক্ষক বিদ্বান! (যা) যে (তে) আপনার (অঘোরা) ঘোর উপদ্রব রহিত (অপাপকাশিনী) সত্য ধর্মের প্রকাশিত কারক (শিবা) কল্যাণকারিণী (তনুঃ) দেহ বা বিস্তৃত উপদেশ রূপ নীতি (তয়া) সেই (শান্তময়া) অত্যন্ত সুখ প্রাপ্ত করানো (তন্বা) দেহ বা বিস্তৃত উপদেশ কে নীতি দ্বারা (নঃ) আমাদের কে আপনি (অভি চাকশীহি) সব প্রকারে শীঘ্র শিক্ষা করুন।



নোটঃ
এই মন্ত্রে সাকারবাদীরা কৈলাসবাসী শিব অর্থে লাগানোর জন্য (গিরিশন্ত)  এর অর্থ "গিরিকৈলাসে স্থিতঃ শং সুখং তনোনীতি গিরিশন্ত" গিরি কৈলাশে বসে সুখের বিস্তার করে তাকে "গিরিশন্ত" বলে এরূপ অর্থ করে।  উব্বট আদি আচার্য্য  গিরিশন্ত এর তিন প্রকার অর্থ করেছেন - এক  যিনি (গিরি) বাণী দ্বারা সুখের বিস্তার করে,দুই যিনি (গিরি) মেঘের বৃষ্টি দ্বারা সুখের বিস্তার করে,  তিন যিনি (গিরি) কৈলাশে স্থিত হয়ে সুখের বিস্তার করে।


 কিন্তু সাকার প্রেমী পৌরাণিকদের কৈলাশবাসী শিব অর্থে অধিক প্রেম। কারন এতে করে শিবের সাকারত্ব সিদ্ধ হবে।

কিন্তু উক্ত তিন অর্থ দ্বারা কৈলাশবাসী ঈশ্বর কদাপি সিদ্ধ হয় না।  কারন গিরি শব্দের অর্থ পর্বতমাত্র।  তাহাতে অবস্থান করে সুখের বিস্তার করার আশয় হচ্ছে - যে রাজ পুরুষ হিমালয়ের উচ্চ শিখরে থাকে তিনিই "গিরিশন্ত" শব্দের বাচ্য (গিরি) শব্দের অর্থ কৈলাশ নেবার কোন প্রমাণ নেই। বাণী দ্বারা সুখের বিস্তার করে সত্যপদেশক এবং রাজ পুরুষই এখানে অভিপ্রেত।  এবং মেঘ দ্বারা আশয় এই যে মেঘের বৃষ্টির সমান অনবরত সত্যোপদেশ করেন তাকে "গিরিশন্ত" বলে। 

এই কথাগুলো স্পষ্ট করে দেয় যে এই অধ্যায়ে সাকার ঈশ্বরের বর্ণনা নয়,  বরং শস্ত্রধারী ক্ষাত্র ধর্মের যোদ্ধার বর্ণনা।  কৈলাসবাসী পৌরাণিক শিব এই অধ্যায়ের বিষয় নয়।





যামিষু গিরিশন্ত হস্তে বিভর্ষ্যস্তবে।
শিবাং গিরিত্র তাং কুরু হিংসীঃ পুরুষ জগৎ।।৩।।

ভাষার্থঃ
হে (গিরিশন্ত) মেঘের দ্বারা সুখ পৌছানোকারী সেনাপতি! যেই কারণে তুমি (অস্তবে) নিক্ষেপের জন্য (যাম্) যেই (ইষুম্) বাণ কে (হস্তে) হাতে (বিভর্ষি) ধারন করেছো,  এই জন্য (তাম্) তাকে (শিবাম্) মঙ্গলকারী (কুরু) করো। হে (গিরিত্র) বিদ্যার উপদেশক বা মেঘের রক্ষাকারী রাজপুরুষ! তুমি (পুরুষম্) পুরুষার্থযুক্ত মনুষ্যাদি (জগৎ) সংসার কে (মা) না (হিংসী) মার।।




নোটঃ
এখানে বৈদিক ধর্মের মর্যাদায় স্থিত ক্ষত্রিয় কে পাওয়া গেলো।  তাহার নিকট প্রার্থনা করা হয়েছে যে, "গিরিত্র" সেই বাণ কে আপনি মঙ্গল ময়করুণ যাতে এই বাণ ধর্মার্থ কাম মোক্ষ এই ফল চতুষ্টয়সম্পন্ন জগৎ কে হিংসা না করে। অর্থাৎ রাজপুরুষের উচিৎ যে যুদ্ধবিদ্যাকে জেনে এবং অস্ত্র শস্ত্রের ধারণ করে মনুষ্যাদি শ্রেষ্ঠ প্রাণী কে কষ্ট দেবে না কিংবা মারবে না,  বরং মঙ্গলময় আচরন দ্বারা সবার রক্ষা করবে। 

শিবেন বচসাত্বা গিরি শাচ্ছাবদামসি।
যথা নঃ সর্ব মিজ্জগদ যক্ষ্মং সুমনা অসত্।।৪।।

ভাষ্যার্থঃ 
হে (গিরিশ) পর্বত বা মেঘে রমণ কারী রোগনাশক বৈদ্যরাজ! তুমি (সুমনাঃ) প্রসন্নচিত্র হয়ে আপনি (যথা) যেমন (নঃ) আমাদের (সর্বম্) সমস্ত মনুষ্যাদি জঙ্গম এবং স্থাবর রাজ্য (অযক্ষ্মম্) ক্ষয় আদি রাজরোগ থেকে রহিত (অসত্) হয় ওইরূপ (ইত্)(শিবেন) কল্যাণকারী (বচসা) বচন দ্বারা (ত্বা) তোমাকে আমরা (অচ্ছ বদামসি) উত্তম বলি।





নোটঃ
এই মন্ত্রে কেবল এক গিরিষ শব্দ এসেছে যার অর্থ পৌরাণিকরা কৈলাশবাসী শিব করে।  বাস্তবে অর্থ এই যে গিরৌপর্বতে ঔষধার্থ শেতে রমতে, ইতি গিরিশ।  অর্থাৎ যে পর্বতে ঔষুধ খোজার জন্য শেতে অর্থাৎ অত্যন্ত দক্ষচিত্ত হয়ে রমন করেন। আর এক পদ ধ্যান দেবার যোগ্য যে মন্ত্রে শিব মঙ্গল বাচক শব্দ। যেমন বলা হয় শিবং ভবতু অর্থাৎ তোমার কল্যাণ হোক।  এই প্রকার কেবল শিব শব্দ আসাতে ঈশ্বর গ্রহন হয় না।  সামনের মন্ত্রে ভিষক শব্দ স্পষ্ট ভাবে পাঠ রয়েছে যাহাতে মন্ত্র বৈদ্যের অভিপ্রায় সিদ্ধ হয়। 





অধ্যবোচদধিবক্তা প্রথমো দৈব্যোভিষক্।
অহিংশ্চ সর্বাঞ্জম্ভয়ন্ত্সর্ব্বাশ্চ যাতুধান্যোহধরাচীঃ পরা সুব।।৫।।

ভাষার্থঃ
 হে রোগনাশক বৈদ্য! যে (প্রথমঃ) মুখ্য (দৈব্যঃ) বিদ্বানদের মধ্যে প্রসিদ্ধ (অধিবক্তা) সব থেকে উত্তম কক্ষের বৈদ্যকশাস্ত্র কে পাঠ করানো তথা (ভিষক্) নিদান আদি কে জানা রোগ কে নিবৃত্ত করানোকারী আপনি (সর্বান্) সমস্ত (অহীন্) সর্পের তুল্য প্রাণান্ত করানোকারী রোগ কে (চ) নিশ্চয় রূপে (জম্ভয়ন্) ঔষধি দ্বারা দূর করে (অধ্যবোচৎ) অধিক উপদেশ করেন, তো আপনি (সর্বাঃ) সমস্ত (অধরাচীঃ) নিচ গতি কে পৌছানোকারী (যাতুধান্যঃ) রোগকারিণী ঔষধি বা ব্যভিচারিণী স্ত্রী, তাহাকে (পরা) দূর (সুব) করুন।




নোটঃ
উব্বট এবং মহিধর এই মন্ত্রের অর্থে বিশেষ ভেদ নেই,  নিজ মনোর্থে রুদ্র কে বৈদ্য মেনে মন্ত্রার্থ করেছেন।  মন্ত্রের বিষয়ে যে বৈদ্যের উপদেশ রয়েছে তাহা তারাও ছাড়তে পারে নি।  একটু ভেদ রয়েছেন তা হলো - (যাতুধান্যঃ) এর অর্থ রাক্ষসী করেছেন।  অমরকোষের রীতি অনুসারে যাতুধান নাম রাক্ষসের এই কারণে বেদার্থে ভূত প্রেতাদির সন্দেহ প্রদর্শন করেছেন। বাস্তবে "যাতুনি দুখানি প্রাণিষু ধারয়ন্তীতি যাতুধান্যঃ" যে প্রাণীদের দুঃখ উৎপন্ন করে তাকে যাতুধান্য বলে। 





অসৌ যস্তাম্রোহঅরুণহউত বভ্রুঃ সুমঙ্গলঃ।
যে চৈনং রুদ্রাহভিতো দিক্ষু শ্রিতাঃ সহস্রশোহবৈষাং হেডহইমহে।।৬।।

ভাষ্যার্থঃ
হে প্রজাস্থ মনুষ্যো! (যঃ) যে (অসৌ) তিনি (তাপ্রঃ) তাম্রবৎ দৃঢাঙ্গ যুক্ত (হেডঃ)শত্রুর অনাদর কারী (অরুণঃ) সুন্দর গৌরাঙ্গ (বভূঃ) কিঞ্চিত হলুদ বা ধূমেলা বর্ণযুক্ত (উত) এবং (সুমঙ্গলঃ) সুন্দর কল্যাণকারী রাজা হও (চ) এবং (যে) যে (সহস্রশঃ) হাজার (রুদ্রাঃ) দুষ্ট কর্ম কারী কে রোদনকারী (অভিতঃ) চোর এবং (দিক্ষু) পূর্বাদি দিশাতে (এনম্) এই রাজার (শ্রিতাঃ) আশ্রয়ে অবস্থান করো (এষাম্) এই বীরের আশ্রয় নিয়ে আমরা (অবেমহে) বিরুদ্ধাচরণের ইচ্ছা করি না।


নোটঃ 

উব্বট মহিধর মন্ত্র কে সূর্যপক্ষে লাগিয়েছেন এবং অর্থ করেছেন - "আদিত্যরূপেন রুদ্রঃ স্তুয়তে....কিরণরূপেন সহস্রসংখ্যাঃ এষাং হেডঃ ক্রোধমস্পদপরাধজং বয়মেব ঈমহে নিবারয়ামঃ ভক্ত্যা নিরাকুর্ম্মঃ।" অর্থাৎ রুদ্ররূপ সূর্য্য কে স্তুতি করি।  সহস্রসংখ্যক যে কীরণ রয়েছে তাহাকে স্তুতি করি এবং তাহার ক্রোধ আমরা ভক্তি দিয়ে করি। এখানে মহিধর  জড় সূ্র্যাদির উপাসনার  তথা ভক্তির ঈঙ্গিত করেছেন নিজ কল্পনা বশতঃ।






অসৌ যোহবসর্পতি নীলগ্রীব বিলোহিত।
উতৈনং গোপাহঅদশ্রন্নুদাহর্য্যঃ স দৃষ্ট মৃডয়াতি নঃ।। ৭।।

পদার্থঃ
(যঃ) যে (অসৌ) তিনি (নীলগ্রীবঃ) নীলমণির মালা পরিহিতা (বিলোহিতঃ) বিবিধ প্রকারের শুভ, গুণ, কর্ম এবং স্বভাব দ্বারা যুক্ত (রুদ্রঃ) শত্রুর হিংসক সেনাপতি (অবসর্পতি) দুষ্ট থেকে বিরুদ্ধ চলেন।  যেই (এনম্) ইহাকে (গোপাঃ) রক্ষক ভৃত্য (অদৃশ্রন্) দেখে (উত) এবং (উদহার্য্যঃ) জল আনয়নকারী স্ত্রী (অদৃশ্রন্) দেখে (সঃ) সেই সেনাপতি (দৃষ্টঃ) দৃষ্টি দিয়ে (নঃ) আমাদের সব ধার্মিক কে (মৃডয়াতি) সুখি করেন

back2thevedas.blogspot.com/2018/11/blog-post_28.html#more


নোটঃ 
পৌরাণিকরা এই মন্ত্রে নীল কন্ঠের সহায়তা নিয়ে সমুদ্র মন্থন এবং শিবের বিষভক্ষনের কাহিনীর বেদে দেখানোর চেষ্টা করে।  কিন্তু এর খন্ডন করে উব্বটাচার্য্য লিখেছেন "নীলগ্রীব ইবাস্তং গচ্ছন্ লক্ষতে" অর্থাৎ সূর্য অস্ত হওয়ার সময় নীল কন্ঠের সমান প্রতীত হয়।  সমুদ্র মন্থনের কারণে উত্থিত বিষ পানে যদি শিবের কন্ঠ নীল হয়েছে এরূপ তত্ত্ব হতো তাহলে উব্বট কেন সূর্যের নীল গ্রীব বললেন? পৌরাণিকদের একটা চিরন্তর অভ্যাস এই যে বেদে যদি তারা পুরাণের একটুও ইঙ্গিত পান সেটাকে একদম পৌরাণিক কাহিনী বানিয়ে ছাড়বে।







নমস্তে নীলগ্রীবায় সহস্রাক্ষায় মীঢুষে।
অথৌ যেহঅস্য সত্বানোহহং তেভ্যহকরং নমঃ।।৮।।

ভাষ্যার্থঃ
(নীলগ্রীবায়) যাহার কন্ঠ এবং স্বর শুদ্ধ সেই (সহস্রাক্ষায়) হাজার ভৃত্যের কার্য দর্শনশীল (মীঢুষে) পরাক্রমযুক্ত সেনাপতির জন্য আমার দানকৃত (নমঃ) অন্ন (অস্তু) প্রাপ্ত হোক (অথো) ইহার অনন্তর (যে) যে (অস্য) এই সেনাপতির অধিকারে (সত্বানঃ) সত্ব গুণ তথা বলা দ্বারা যুক্ত পুরুষ (তেভ্যঃ) তাহাদের জন্যও (অহম্) আমি (নমঃ) অন্নাদি পদার্থ কে (অক্ররম্) সিদ্ধ করবো।



নোটঃ
back2thevedas.blogspot.com/2018/11/blog-post_27.html#more মহীধর এই মন্ত্রের অর্থ করেছেন যে,  সেই রুদ্রের ভৃত্য কে নমস্কার করি।  ইহাতে স্পষ্ট সিদ্ধ হয় যে, ইহা রাজধর্মের প্রকরণ মন্ত্র।  অন্যথা ভৃত্যকে নমস্কার করার কি তাৎপর্য্য,  আমাদের পক্ষে তো ইহা কোন দোষ নয়, কারণ সেনাপতির ভৃত্যও অন্ন দান আদির যোগ্য।



নমঃ-অন্নাদি পদার্থ  নিঘন্টু ২.৭







প্রমুশ্চ ধন্বনস্ত্বমুভয়োরার্ত্ন্যোর্জ্যাম্ 
যাশ্চ তে হস্ত ইষবঃ পরা তো ভগব বপ।।৯।।

ভাষ্যার্থঃ 
হে (ভগবঃ) ঐশ্বর্য্যযুক্ত সেনাপতি! (তে) তোমার (হস্তে) হাতে (যাঃ) যে  (ইষবঃ) বাণ (তাঃ) তাহা (ধন্বনঃ) ধনুকের (উভয়োঃ) উভয় (আর্ত্ন্যোঃ) পূর্ব পর কিনারায় (জ্যাম্) প্রযত্নে যুক্ত করে শত্রুর উপর (ত্বম্) তুমি (প্র, মুচ্চ) বলের সাথে ছেড়ে দাও (চ) এবং যে তোমার উপর শত্রু বাণ ছুড়েছে তাকে (পরা, বপ) দূর করো।





নোটঃ 
এই মন্ত্রে উব্বট মহিধর পৌরাণিক মতানুযায়ী এই ভাষ্য করেছে যে,  "হে ভগবান তোমার ধনুকের উভয় দিকের জ্যা খুলে ফেলো এবং তোমার হাতের বাণ ফেলে দাও " এখানে এই অর্থ পরিষ্কার না যে এই বাণ ফেলে দেওয়া রুদ্র কে?  পৌরাণিক রুদ্রের না কোন অন্য ভগবানের?  এখানে তো মিতভাষীর মতো অর্থ করা হয়েছে। এখানে কি বাণ কে হাত থেকে ফেলে দেবার অর্থ রুদ্র কাউকে না মারে?  অথবা কোন শত্রুর উপর নিক্ষেপ করে?  যদি প্রথম অর্থ মানা যায় যে রুদ্র নিজ হাত থেকে বাণ ফেলে দিয়ে শান্তরূপ হবে,  তো আপনার রুদ্রের রুদ্রত্ব কি থাকলো তবে?  আর যদি শত্রুর উপর নিক্ষেপ করার উপদেশ করা হয় তো রুদ্রের প্রবল শত্রু কে?  এভাবে রুদ্র পরমাত্মা পক্ষে এই অর্থ করা উচিৎ নয় কারণ পরমাত্মার কোন শত্রু নেই এই জন্য এই প্রকরণ রাজধর্মের। 







বিজং ধনুকপির্দিনো বিশাল্ল্যো বাণবাংউত। 
অনে শন্নস্য যাহইষব আভূরস্য নিষঙ্গধি।।১০।।

ভাষ্যার্থঃ 
হে ধনুর্বেদ জ্ঞাত পুরুষ! (অস্য) এই (কপর্দ্দিনঃ) প্রসংশিত জটাজুট ধারণকারী সেনাপতির (ধনুঃ) ধনুক (বিজ্যম্) প্রত্যঞ্চা রহিত না হোক তথা এই (বিশল্যঃ) বাণের অগ্রভাগ থেকে রহিত এবং (আভূঃ) আয়ুধ থেকে খালী না হোক (উত) এবং (অস্য) এই অস্ত্র শস্ত্রের ধারণ কারী সেনাপতি কে (নিষঙ্গধিঃ) বাণাদি শস্ত্রাস্ত্র কোষ খালি না হোক তথা (বাণবান্) বহু বাণ দ্বারা যুক্ত হোক (যাঃ) যে (অস্য) এই সেনাপতির (ইষবঃ)  বাণ (অনেশন্)  নষ্ট হয়ে যাবে, তখন তাহাকে তোমরা নতুন দাও।




নোটঃ
এই মন্ত্রে মহিধর এবং উব্বট অর্থ করেছে যে, " জটাজুটধারীর রুদ্রের ধনুর জ্যা রহিত হোক, তাহার বাণের অগ্রভাগ রহিত হোক,  বাণগুলো নষ্ট হোক ও তুণীর শূণ্য হোক"। এবং শেষে বলেছেন - "রুদ্র অস্মান্ প্রনিন্যস্তসর্ব শস্ত্ররিত্বত্যর্থঃ"  অর্থাৎ রুদ্র আমাদের জন্য সমস্ত শস্ত্র রহিত হোক।




কিন্তু সামনের ১১ নং মন্ত্রেই শস্ত্রধারী রুত্রেে কাছে পালনের প্রার্থনা করা হয়েছে। তাই এই মন্ত্রে  শস্ত্র নাশের প্রার্থনা অসঙ্গত। ১১ নং মন্ত্রার্থ দেখুন - 


যা তে হেডিমিঢুষ্টম হস্তে বভূব তে ধনুঃ।
তয়াস্মান্ বিশ্বতস্ত্বময়ক্ষ্ময়া পরি ভুজ।।১১।।

ভাষ্যার্থঃ 
হে (মীঢুষ্টম্) অত্যন্ত বীর্যের সেচক সেনাপতি! (যা) যে (তে) তোমার সেনা এবং যে (তে) তোমার (হস্তে) হস্তে (ধনুঃ) ধনুক তথা (হেতিঃ) বজ্র (বভূব) হয় (তয়া) সেই (অয়ক্ষ্ময়া) পরাজয় আদির পীড়া নিবৃত্ত কারী সেনা দ্বারা এবং সেই ধনুক আদি দ্বারা (অস্মান্) আমাদের প্রজা এবং সেনা পুরুষ কে (ত্বম্) তুমি  (বিশ্বতঃ) সব প্রকারে (ভুজ) পালন করো।।
back2thevedas.blogspot.com/2018/11/blog-post_28.html#more

নোটঃ  
এই মন্ত্রের অর্থে মহিধর বলেছেন - "হে কামবর্ষী তোমার হাতে যে  ধনুকরূপ আয়ুধ আছে তা দ্বারা আমাদের সকল দিক হতে রক্ষা করো।" কিন্তু পূর্বের মন্ত্রেই রুদ্র কে শস্ত্রনাশের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। রুদ্র কে শস্ত্রহীন প্রার্থনা করে আবার শস্ত্রধারী রুদ্রের নিকট পালন প্রার্থনা প্রকরণ বিরুদ্ধ তথা অসঙ্গত। এর পর ১৫ এবং ১৬ নং মন্ত্রে একজন সেনাপতির যু্দ্ধের বিধি নিষেধের বর্ণনা করা হচ্ছে-




মা নো মহান্তমুত মা নোহঅর্ভকং মা নোহউক্ষন্তমুত মা নোহউক্ষিতম্।
মা নো বধীঃ পিতরং মাতে মাতরং মা নঃ প্রিয়াস্তন্বো রুদ্র রীরিষ।।১৫।।

পদার্থঃ 
হে (রুদ্র) যুদ্ধের সেনার অধিকারী বিদ্বান পুরুষ! আপনি (নঃ) আমাদের (উত্তম গুন দ্বারা যুক্ত পূজ্য কে (মা) না (উত) এবং (অর্ভকম্) ছোট ক্ষুদ্র পুরুষ কে (মা) না (নঃ) আমাদের (উক্ষন্তম্) গর্ভাধান কারী কে (মা) না (উত) এবং (নঃ) আমাদের (উক্ষিতম্) গর্ভ কে (মা) না (নঃ) আমাদের (পিতরম্) পালন কারী পিতা কে (মা) না (উত) এবং (নঃ) আমাদের (মাতরম্) মান্য কারক মাতা কেও (মা) না (বধীঃ) মারো এবং (নঃ) আমাদের (প্রিয়া)  স্ত্রী আদির প্রিয় (তন্বঃ) শরীর কে (মা) না (রীরিষঃ) মারো।


ভাবার্থঃ
যোদ্ধা লোকের উচিৎ যে যুদ্ধের সময় বৃদ্ধ, বালক, যুদ্ধ থেকে নিরস্ত হওয়া, গর্ভ, যোদ্ধার মাতা পিতা  সমস্ত স্ত্রী,  যুদ্ধ দেখা বা প্রবন্ৎ কারী এবং দুত কে  মারবে নন,  কিন্তু শত্রুর সম্বন্ধী মনুষ্য কে সদা বশে রাখবে।




মা নস্তোকে তনয়ে মা নহআয়ুষি মা নো গোষু মা নোহঅশ্বেষু রীরিষ।
মা নো বীরান্ রুদ্র ভামিনো বধীর্হবিষ্মন্তঃ সদমিত ত্ববা হবামহে।।১৬।।

ভাষ্যার্থঃ হে (রুদ্র) সেনাপতি! তুমি (নঃ) আমাদের (তোকে) তৎকাল উৎপন্ন সন্তান কে (মা) না (নঃ) আমাদের (তনয়ে) পাঁচ বর্ষের উপর অবস্থার বালক কে (মা) না (নঃ) আমাদের (আয়ুধি) অবস্থা কে (মা) না (নঃ) আমাদের (গোষু) গাভী, ভেড়া ছাগল আদি কে (মা) না (নঃ) আমাদের এবং (অশ্বেষু) ঘোড়া,  হাতি এবং উট আদি কে (মা) না (রীরিষঃ) মারো এবং (নঃ) আমাদের (ভামিনঃ) ক্রোধ কে প্রাপ্ত (বীরান্) শূরবীর কে (মা) না (বধীঃ) মার। ইহা দ্বারা (হবিষ্মন্তঃ) অনেক দেওয়া নেওয়ার যোগ্য বস্তু দ্বারা যুক্ত আমরা (সদস্) ন্যায়ে স্থির (ত্বা) তোমাকে (ইত্)(হবামহে) স্বীকার করি।।


ভাবার্থঃ 
 রাজপুরুষের উচিৎ যে আপন প্রজার বালক, কুমার এবং গাভী, ঘোড়া আদি, বীর, উপকারী জীব কে কখনো হত্যা  করবে না এবং বাল্যাবস্থায় বিবাহ করে ব্যভিচার দ্বারা অবস্থার হানি করবে না। গাভী আদি পশু দুধ আদি পদার্থ কে দান দ্বারা সবার উপকার করে,  তাহাকে সদৈব বৃদ্ধি করবে।

উপরোক্ত মন্ত্র দুটিতে ক্ষাত্রধর্মের জন্য হননের নিয়ম বেধে দেওয়া হয়েছে যে, কোন কোন মানুষদের হনন করা উচিৎ নয়। এরূপ উত্তম শিক্ষা ইহাই সিদ্ধ করে যে এটা ক্ষাত্রধর্ম শিক্ষার প্রকরণ। কারন এখানে নানা প্রকার শস্ত্রের বর্ণন এবং সেনা সেনাপতির বর্ণন পাওয়া যায়।  কিন্তু পৌরাণিক রুদ্রের সেনা শস্ত্রাদির কি আবশ্যকতা?  যখন তিনি নিজেই ঈশ্বর সেনা আর শস্ত্রের কি প্রয়োজন?


যদি বলা হয় যে,  সাকারবাদীর মতে ঈশ্বরের শস্ত্রধারী হওয়াতে কোন দোষ নেই, যেমন রামচন্দ্রাদি ধনুক ধারী ছিলেন। এর উত্তর এই যে, রামচন্দ্রাদির সমান সাকার রুদ্র যদি মানা হয় তবে পুরাণ মতে রুদ্রের উৎপত্তি ব্রহ্মার থেকে। কূর্মপুরাণের ১০ম অধ্যায়ে রুদ্রের উৎপত্তির বর্ণনা এভাবে রয়েছে - 

"ব্রহ্মা প্রজা সৃষ্টির জন্য অনেক তপ করলেন, এবং কোন কিছু উৎপন্ন না হলে তখন ব্রহ্মার চোখ থেকে অশ্রু ঝড়ে পড়লো ।  এবং সেই অশ্রু বিন্দু থেকে ভূত প্রেত উৎপন্ন হলো।  তারপর ক্রোধে ব্রহ্মা দেহত্যাগ করলেন। সেই সময় ব্রহ্মার মুখ থেকে সূর্যের মতো অগ্নির তূল্য রুদ্র প্রাদুর্ভূত হলেন। তা দেখে মহাদেব ক্রন্দন করতে লাগলেন। তাই দেখে ব্রহ্মা বললেন, কেঁদো  না। তিনি আরো বললেন তুমি রোদন করছো বলে জহতে তোমার নাম হবে রুদ্র।" [সংক্ষেপিত]


পুরাণের এই উদ্ধৃতি অনুসারে রুদ্রের উৎপত্তি ব্রহ্মার থেকে বলা হয়েছে। আর পৌরাণিক মতানুসারে ব্রহ্মাই সর্বপ্রথম বেদ জ্ঞান লাভ করেন।  তাহলে যে রুদ্রের উৎপত্তি ব্রহ্মার থেকে এবং যে রুদ্র  নাম ব্রহ্মাই দিলেন তাহলে সে রুদ্রের বর্ণনা বেদে থাকা কিভাবে সম্ভব?  এ থেকে স্পষ্ট যে বেদে  কোন পৌরানিক রুদ্রের বর্ণনা নেই। আমরা উব্বট, মহিধর আদি আচার্যের ভাষ্য অনুসারে দেখিয়েছি যে, এ অধ্যায়ে  রুদ্র সর্বত্র ঈশ্বর পক্ষে তাহারাও ঘটান নি।  বরং এখানে সাকার রূপ যে রুদ্রের বর্ননা পাওয়া যায় তাতে ক্ষাত্র ধর্মের যোদ্ধার বর্ননাই সিদ্ধ হয় যা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।  

কিন্তু সেসব পৌরাণিকগণ "যাতে রুদ্র শিবা তনুঃ" এই মন্ত্র দ্বারা রুদ্রের শরীর সিদ্ধ করতে মন্ত্রটিকে ঈশ্বর পক্ষে লাগিয়ে যারা ঈশ্বরের সাকারত্বের পক্ষে ওকালতি করে তারা উক্ত অধ্যায়ের নিম্নোক্ত মন্ত্রগুলোতে  রুদ্রের অর্থ কি করবে? 

যজুর্বেদে ১৬।২১ - বঞ্চনাকারী প্রতারক রুপী রুদ্রকে নমস্কার,  চোরদের পালক রুদ্রকে নমস্কার.... ক্ষেত্রাদিতে ধান্য অপহরনকারীর পালক রুদ্রকে নমস্কার,  রাতে অসিহস্তে বিচরণশীল রুদ্র কে নমস্কার, লোকদের মেরে চুরি করে যারা, তাদের পালক রুদ্রকে নমস্কার।

যজুর্বেদ ১৬।২২ - উষ্ণীষ দিয়ে মুখে ডেকে ডেকে গ্রামের পথে যারা বস্ত্রাদি চুরি করে ও পর্বতাদি বিষম স্থানে যারা বিচরন করে এ উভয়রূপ রুদ্রকে নমস্কার।




যজুর্বেদ ১৬।২৭  - শিল্পী ও সূত্রধর রূপী রুদ্রদের নমস্কার, কুম্ভকার ও কর্মকাররূপী রুদ্রদের নমস্কার, বনেচর মাংসাশী ভিল ও পুরুষ রূপী রুদ্রদের নমস্কার,  কুকুরের গলার রজ্জুধারক ও ব্যাধরূপী রুদ্রদের নমস্কার।



এভাবে যেসব পৌরাণিক গণ অধ্যায় টি ঈশ্বর পক্ষে করতে চান  তারা কি তাদের রুদ্র কে চোর,  অপহরনকারী,  মাংসভক্ষী, কুকুরের গলার দড়ি ধারী এবং ব্যাধ বলে মেনে নেবেন? তারা যদি অধ্যায় টিকে ঈশ্বর পক্ষে করতে চায় তো পুরো অধ্যায় টি কে ঈশ্বর পক্ষে করুক। এক মন্ত্র ঈশ্বর পক্ষে আবার অন্য মন্ত্র আরেক পক্ষে অর্থ করা তো ভন্ডামী।

Author

Unknown