https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

বেদে সাকারবাদ প্রমাণে অধর্মচক্রীদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার

Monday, June 29, 2020


সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তির বদলে আবেগ ও উস্কানি দ্বারা মত প্রতিষ্ঠার ও কুসংস্কার বজায় রাখার নতুন চেষ্টায় মত্ত ব্রাহ্মণ্যবাদী মায়াবাদীগণ । আধ্যাত্মিকতা ও ঐতিহ্যের আড়ালে  জাতপাত ও বেদ বিরোধী মত অপব্যাখ্যার মাধ্যমে পরি-মরি যে কৌশলে টিকিয়ে রাখাই এদের মূল উদ্দেশ্য ।
অপপ্রচারঃ  "সম্বত্সরস্য প্রতিমা অস্তি.." ইত্যাদি অথর্ববেদের মন্ত্রের স্বামী দয়ানন্দ যা অর্থ করেছিল সেটিই আপনাদের দেখাই চলুন
"বিদ্বান ব্যক্তিরা সম্বৎসরের যে ক্ষণ বা কালাদির বিভাগকারী রাত্রির উপাসনা করেন , আমরাও তাহার সেবায় প্রবৃত্ত হইতেছি "।
এখন একথার সম্যক বিচার করলে দেখা যায় যে সম্বৎসর বলতে এক বৎসরের পরিমাণ কাল। এখানে এর মধ্যে স্থিত গুণবিশেষই পরিমাণ।এই কাল ও তার মধ্যেকার গুণ উভয়েই জীবের ন্যায় প্রাণ যুক্ত নয়।যদি আপনি সম্বৎসরের উপাসনা করেন তাহলে তা আপনারই মত এর বিরুদ্ধে যাবে ।কারণ অচেতন কালের উপাসনার এই মন্ত্র নিজেই মূর্তিপূজার সিদ্ধতা প্রমাণ করে(পরিমাণ রূপ গুণ=অচেতন)।
খণ্ডনঃ  


প্রথমতঃ অপপ্রচারকারী মন্ত্রের রেফারেন্স উল্লেখ করেননি। সম্ভবতঃ যে বই থেকে টুকেছেন তাতেও তা ছিলো না । তাই আন্দাজে ঢিল মেরে ঢপের চপ সাজিয়ে পরিবেশন করেছেন ।
দ্বিতীয়তঃ মহর্ষি অথর্ববেদ ভাষ্য করেননি। উক্ত মন্ত্রটি তার ঋগ্বেদাদিভাষ্যভূমিকা গ্রন্থের গ্রন্থপ্রামাণ্যবিষয় নামের অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।



যাই হোক মন্ত্রটি হল -


সংবৎসরস্য প্রতিমাং যাং ৎবা রাত্র্যুপাস্মহে ।
সা ন আয়ুষ্মতীং প্রজাং রায়স্পোষেণ সং সৃজ ॥


অথর্বেদের ৩য় কাণ্ডের ১০ম সূক্তের ৩য় মন্ত্র এটি ।


পাঠক লক্ষ্য করুন , অপব্যাখ্যাকারী  //সম্বত্সরস্য প্রতিমা অস্তি// বলে  উদ্ধৃতি দিয়েছে এখানে এই মন্ত্রে  'অস্তি' পদের কোন দর্শন পাচ্ছেন কি ? 

ঠিক এভাবেই মায়াবাদী তথা ব্রাহ্মণবাদী এসব অমুক-তমুকপীঠের সমুকাচার্যরা মানুষের ইমোশনকে পুঁজি করে ও স্লোগান তুলে সাধারণ মানুষকেই শোষণ ও কুসংস্কারসহ মিথ্যার বেড়াজালে আটকে রেখেছে ।

মহর্ষি এর অর্থ লিখেছেন -

(সংবৎসরস্য) ইহার অর্থ এই যে বিদ্বানগণ সম্বৎসর, যাহা (প্রতিমা) অর্থাৎ কাল বা ক্ষণ আদি বিভাগকারী রাত্রির উপাসনা করিয়া থাকেন, তাহা আমাদিগেরও সেবন করা উচিত। এক বৎসরে যে তিনশত ষাট (বা কিছু ততোধিক-অনুবাদক) রাত্রি হইয়া থাকে। ঐরাত্রিদ্বারাসম্বৎসরের পরিমাণ করাহয়েছে। এজন্য এই বিভাগকারীরাত্রিকেও প্রতিমা সংজ্ঞা দেওয়া যায়। (সা ন আয়ু) এই বৎসরের বিভাগকারী রাত্রি সকলে পরমাত্মার কৃপায় সৎ কৰ্ম্মের অনুষ্ঠানপূর্বক সম্পূর্ণ আয়ুষ্মান্
সন্তানগণকে উৎপন্ন করি।৩।





এই মন্ত্রের ভাবার্থ শতপথ ব্রাহ্মণে কিছু কিছু পাওয়া যায়; যথাঃ-


অথ যা লোকম্পৃণাঃ মুহূর্তলোকাস্তা মুহূর্তানামেব সাঽঽপ্তিঃ ক্রিয়তে মুহূর্তানাং প্রতিমা তা দশ চ সহস্রাণ্যষ্টৌ চ শতানি ভবন্ত্যেতাবন্তো হি সংবৎসরস্য মুহূর্তাস্তাসামেকবিংশতিং গার্হপত্য উপদধাতি দ্বাভ্যাং নাশীতিং ধিষ্ণ্যেষ্বাহবনীয় ইতরা এতাবন্তি বৈ সংবৎসরস্য রূপাণি তান্যস্যাত্রাপ্তান্যুপহিতানি ভবন্তি
শতপথ ব্রাহ্মণ ১০.৪.৩.২০

অর্থাৎ , (মুহুর্তা) অর্থাৎ এক সম্বৎসৱে ১০৮০০ মুহুর্ত হইয়া থাকে, ইহাও প্রতিমা শব্দের তার্থে বুঝা উচিত। যেহেতু ইহাদ্বারাও বৎসরের পরিমাণ হইয়া থাকে।



এই স্থলে উপাসনা অর্থ নির্ণয়ের পূর্বে আমরা প্রতিবাদী মহাশয়ের জন্য দুটি প্রশ্ন করতে চাই -

. সংবৎসরের প্রতিমা এখানে সময় । সময়ের মূর্তি তৈরীর কথা আছে কি ? 

২. দুর্জনতোষন ন্যায় অনুযায়ী যদি মেনেও নেই এখানে রাত্রির উপাসনা ( মানে ঈশ্বর রূপে)  মূর্তি তৈরী করে বলা রয়েছে কি ?

মূলতঃ এখানে উপাসনা অর্থ মহর্ষি শেষ বাক্যেই স্পষ্ট করেছেন  " এই বৎসরের বিভাগকারী রাত্রি সকলে পরমাত্মার কৃপায় সৎ কৰ্ম্মের অনুষ্ঠানপূর্বক সম্পূর্ণ আয়ুষ্মান্
সন্তানগণকে উৎপন্ন করি "

পাঠক , এখানে রাত্রি সকল তথা বহুবচন উল্লেখিত । অর্থাৎ এখানে রাত্রিকে পরমেশ্বর মোটেও বলা হয়নি । এখানে উপাসনা অর্থ মূলতঃ উপ+আসন অর্থাৎ উক্ত তত্ত্বের নিকটবর্তী হয়ে তথা ভালো ভাবে জেনে কাজে লাগান । পণ্ডিত ক্ষেমকরণ দাস ত্রিবেদীও তার অথর্ববেদ ভাষ্যে তাই অর্থ করেছেন  -






প্রফেসর বিশ্বনাথ বিদ্যালংকার এই বিষয়টি তার অথর্ববেদ ভাষ্যের ব্যাখ্যাতে অধিকতর সুস্পষ্ট করেছেন -





অপপ্রচারঃ যজুর্বেদের পঞ্চদশ অধ্যায়ে ৩৫ তম মন্ত্রে "সহস্রস্য প্রমাসিং সহস্রস্য প্রতিমা স....." ইত্যাদি বেদমন্ত্র দ্বারা অগ্নিদেবের সহস্র ইষ্টকের প্রমাণের তুল্য প্রতিমার কথা বলা হল, এখানেই সাকার পূজা সিদ্ধ হয়।
স্বামী দয়ানন্দ নিজের মতকে স্থাপন করতে গিয়ে এর অর্থ বিদ্বান বিদূষী করেছেন, কিন্তু উনার এই বিবেচনা,
"নিষ্ঠঅগ্নিঃ প্রোক্ষতি হিরণ্যশকলসহস্রে
ণ......সহস্রস্যেতি প্রতিমন্ত্রম্"(কাত্যায়ণ শ্রৌতসূত্র১৭/১২/১৩)এর মনোকল্পিত ভাষ্যও অপ্রামাণিক বিবেচিত হয়।


খণ্ডনঃ  মজার ব্যাপার হল , আর্যসমাজের এই ভাষ্যানুযায়ীই তারা বেদ থেকে সকল বিদ্যাদি দেখানোর প্রচেষ্টা করেন আবার সেই ভাষ্যকেই দোষারোপ করেন । মূলতঃ বিনিয়োগ মন্ত্রের একটি গৌণ দিক মাত্র । কাত্যায়নের বিধি দ্বারা মহর্ষির অর্থ ভুল প্রমাণ হয় ঠিক কোন যুক্তিতে  ?  


আর প্রসঙ্গতঃ কাত্যায়ন বা কল্পসূত্রের বিধি মাত্রেই বেদানুকূল নয় । পাঠকগণ কল্পসূত্রে গোহত্যার ন্যায় বেদ বিরোধী বিষয়ও প্রক্ষিপ্ত কিভাবে হয়েছে তা পড়ুন এখানে - http://back2thevedas.blogspot.com/2020/06/blog-post.html?m=1#more


এখন কেউ যদি এই বিনিয়োগ অনুযায়ী অর্থ করে তাহলে তাদের মহা মূর্খ বলা ব্যতীত আর কি বলা যায় ?  কারণ মন্ত্রার্থ অনুযায়ী বিনিয়োগ হবে । বিনিয়োগ অনুযায়ী মন্ত্রার্থ নয় । আর তাও যদি চিৎকার করেন তাহলে দেখুন কাত্যায়ন অশ্বমেধ যজ্ঞে অশ্বের সাথে রাজমহিষীর মিলনের কি জঘন্য বিধি দিয়েছেন তার শ্রৌতসূত্রে -


প্রক্ষালিতেষু মহিষ্যশ্বমুপসংবিশত্যাহমজানীতি৷ (কাত্যায়ন শ্রৌতসূত্র- ২০/৬/১৪)।

= পশুর প্রাণ শুদ্ধ হওয়ার পরে যজমানের পত্নী ঘােড়ার কাছে শয়ন করে এবং 'আহমজানি ইত্যাদি [যজু ২৩/১৯] মন্ত্র পাঠ করবেন।





অশ্বশিশ্নমুপস্থে কুরুতে বৃষা বাজীতি৷ | (কাত্যায়ন শ্রৌতসূত্র -২০/৬/১৬)।

= যজমানের স্ত্রী ঘােড়ার লিঙ্গকে যােনীতে প্রবেশ করিয়ে 'বৃষ বাজী' ইত্যাদি [যজু-২৩/২০] মন্ত্র পাঠ করবেন৷






মহীধর ও উব্বটও ঠিক এই বিধি দেখেই বেদের অনর্থ করেছেন । মায়াবাদী ও ধর্মচক্রের নামে অধর্মচক্রের নপুংসকদের কাছে প্রশ্ন তারা কি অশ্বমেধ যজ্ঞ করলে নিজ বা অপর পত্নীকে অশ্বের সঙ্গে সঙ্গত হওয়ার উক্ত বিধান দেবেন ?  হাজার হোক, তাদেরই কাত্যায়ন শ্রৌতসূত্র অনুযায়ী বিনিয়োগ বলে কথা ।


অপপ্রচারকারী পূর্বের ন্যায়ই //যজুর্বেদের পঞ্চদশ অধ্যায়ে ৩৫ তম মন্ত্রে// - ভুল রেফারেন্স দিয়ে মন্ত্র তুলে দিয়েছে । কারণ তাদের ভাব দেখলে মনে হয় শাস্ত্র ও তার অর্থ এদের পৈতৃক সম্পত্তি  । মূলতঃ এই মন্ত্রটি যজুর্বেদের উক্ত অধ্যায়ের ৬৫ নং মন্ত্র । হিন্দি বা অন্য বই বা লেখা থেকে টুকবেন ভালো কথা, অক্ষরগুলো চিনে নেওয়া উচিৎ নয়কি মায়াবাদী অধর্মচক্রীগণ ?
 
সহস্রস্য প্রমাসি  সহস্রস্য প্রতিমাসি  সহস্রস্যোন্মাসি  সাহস্রো ঽসি  সহস্রায় ত্বা


পৌরাণিকদের প্রিয় মহীধর এর অর্থ করেছেন -


হে অগ্নি তুমি সহস্র ইটের প্রমাণ । তুমি সহস্রের প্রতিমা তথা প্রতিনিধি। তুমি সহস্রের সমান । তুমক সহস্রের যোগ্য । অনন্ত ফলপ্রাপ্তির জন্য আমি তোমার প্রোক্ষণ করি ।



প্রায় একই রকম অর্থ করে বিজনবিহারী গোস্বামী লিখেছেন -


হে অগ্নি, তুমি সহ ইষ্টকের প্রমাণ, তার প্রতিনিধি, তার সমান, তার যোগ্য ; অনন্ত ফল প্রাপ্তির জন্য তােমায় প্রােক্ষণ করছি।




পাঠক , এখানে কেউ স্পষ্ট করে বলুন তো  // অগ্নিদেবের সহস্র ইষ্টকের প্রমাণের তুল্য প্রতিমার কথা বলা হল, এখানেই সাকার পূজা সিদ্ধ হয়//  প্রতিমা পূজার বা শুধু প্রতিমারই বা কোন উল্লেখ আছে কি ?  এরা এখানে প্রতিমা অর্থ মূর্তি করবে কিন্তু ন তস্য প্রতিমা অস্তির বেলাতে ঠিকই সেটা তুলনা হয়ে যায় । কি নিদারুণ উপহাস ।

আর মহর্ষি অগ্নি অর্থ বিদ্বান-বিদুষী করেছেন তার প্রমাণ নিম্নরূপ - 

অগ্নির্বিদ্বাঁ ঋতচিদ্ধি সত্যঃ' [ঋক০ ১।১৪৫।৫], 'অগ্নিঃ সনোতি বীর্যাণি বিদ্বান্' [ঋক০ ৩।২৫।২]

বাহুল্য ও অপ্রাসঙ্গিকতার কারণে এই বিষয়ে আলোচনা বৃদ্ধি করা হল না ।


অপপ্রচারঃ ঋগ্বেদ সপ্তম মন্ডল ( ৮৯/১২) এ
"ত্রয়ম্বকম্ যজামহে সুগন্ধিম্ পুষ্টিবর্ধনম্"
মন্ত্রটি প্রযুক্ত হয়েছে ,তার নিরুক্তিতেও
"ত্রয়ম্বকোরুদ্রস্তম্.......পুষ্টিকারকমিয়োর্
বায়ুকমিব..ভবতি"
(নিরুক্ত পরিশিষ্ট) সাকারোপাসনার কথা স্পষ্ট হয়েছে।

খণ্ডনঃ

নিরুক্ত পরিশিষ্ট বলে তারা সম্পূর্ণ রেফারেন্সও দেয়নি । এটি হবে ১৪. ৩৫ । সম্পূর্ণ উদ্ধৃতি নিম্নরূপ - 

ত্র্যম্বকঃ রুদ্রঃ । উর্বারুকম্ ইব [ ফলম্ ] বন্ধনাৎ আরোধনাৎ মৃত্যোঃ সকাশাৎ মুঞ্চস্ব মাং কস্মাৎ ইতি এষা অপরা ভবতি । ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্ । তং ত্র্যম্বকং যজামহে । উর্বারুকম্ ইব বন্ধনাৎ মৃত্যোঃ মুক্ষীয় মাম্ ঋতাৎ । [ সুগন্ধিম্ ] সুগন্ধিং সুষ্ঠুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনং পুষ্টিকারকম্ ইব ।



এখানে সাকারের কোন কথাই নেই । সংস্কৃত বাক্য প্রমাণম্ এই ভেবে যদি অপপ্রচারকারী ভণ্ডামি করতে চান তাহলে ভিন্ন কথা। 

আর  অম্বিকা অর্থ যারা চোখ করেন তাদের নিচের শতপথ ব্রাহ্মণ বাক্যে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে অনুরোধ করব । 

স জুহোতি । এষ তে রুদ্র ভাগঃ সহ স্বস্রাম্বিকয়া তং জুষস্ব স্বাহেত্যম্বিকা হ বৈ নামাস্য স্বসা তয়াস্যৈষ সহ ভাগস্তদ্যদস্যৈষ স্ত্রিয়া সহ ভাগস্তস্মাত্ত্র্যম্বকা নাম তদ্যা অস্য প্রজা জাতাস্তা রুদ্রিয়াৎপ্রমুঞ্চতি - 
শতপথ ২.৬.২.[৯]

অনুবাদঃ তিনি তাহা (এই মন্ত্রে) হোম করেন—“হে রুদ্র, এই ভাগ তােমার, ভগিনী অম্বিকার সহিত তাহা সেবন কর! স্বাহা! " অম্বিকা নামে ইহার ভগিনী ( আছেন, তাহারই সহিত ইহার (রুদ্রের ) এই ভাগ। অতএব যেহেতু স্ত্রীর সহিত ইহার ভাগ (কল্পিত হইয়াছে), সেই জন্য (এই পুরােডাশরূপ হবিসমূহ) ত্র্যম্বক  নামে (প্রসিদ্ধ)। ইহার যে সমস্ত প্রজা জাত হইয়াছে, তাহাদিগকে তিনি ইহা দ্বারা রুদ্রের (শক্তি) হইতে প্রমুক্ত করেন




তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে (১. ৬. ১০, ৪) এই অম্বিকাকে শরদ-ঋতুরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে।  শরৎই ইহার অম্বিকা ভগিনী ; তাহারই দ্বারা ইনি হিংসা করেন। তৈত্তিরীয় সংহিতায় (১.৮.৬) সায়ণ ইহার ব্যাখ্যায় বলিয়াছেন—“শরৎকালো হি পীনস্বরাহাৎপাদনেন হিংসকঃ, তথদিয়মন্বিক। হিংসিকা, ততঃ শরদিত্যুচাতে ।





এখানে ত্র‍্যম্বক শব্দ থেকে কিভাবে সাকার সিদ্ধ হয় তা একমাত্র মায়াবাদীদের অপ্রাকৃত মস্তিষ্কই জানে ।

অপপ্রচারঃ  "তং যজ্ঞম্বর্হিষিপ্রৌক্ষংন্ন.....স
াধ্যাঋষ্যশ্চ য়ে(যজুর্বেদ৩১/৯)এর নিরুক্ত শতপথ ১১/১/৩ দেখলে তার অর্থ এমন দাঁড়াবে যে
"সাধ্য দেবগণ এবং সনকাদি ঋষিগণ সৃষ্টির পূর্বে উৎপন্ন সেই যজ্ঞসাধনভূত বিরাট পুরুষের মানস যজ্ঞের সম্পন্নতার নিমিত্তে প্রোক্ষণ করেন এবং সেই বিরাট পুরুষের অবয়বেই যজ্ঞ সম্পাদন করেন।"


খণ্ডনঃ  একে তো শতপথ ব্রাহ্মণের রেফারেন্স ভুল । কারণ এটি চার ভাগে বিভক্ত থাকে ।
আর পুরো মন্ত্রটি দেখুন -

তং যজ্ঞং বর্হিষি প্রৌক্ষন্ পুরুষং জাতম্ অগ্রতঃ । তেন দেবা ঽ অয়জন্ত সাধ্যা ঽ ঋষয়শ্ চ যে ॥

///সনকাদি ঋষিগণ // এই অর্থ মন্ত্রের কোন পদ থেকে সিদ্ধ হয় ?  মজার ব্যাপার এরাই আবার চিৎকার করে যে আর্যসমাজীরা মন্ত্রার্থ বিকৃত করে । তাদের প্রিয় বিজনবিহারী গোস্বামীর অনুবাদে দেখুন তো 'অবয়ব' শব্দটি পান কিনা ?




স্পষ্টতঃই নির্লজ্জতা ও মিথ্যাচারের চূড়ান্ত উদাহরণ এই মূর্খ, ব্রাহ্মণ্যবাদী, মায়াবাদী অধর্মচক্রীরা তা বলাই বাহুল্য এবং পাঠকের নিকটেও তা প্রকাশ দিবালোকের ন্যায় প্রতিভাত হচ্ছে ।
ষড়বিংশ ব্রাহ্মণে দেব প্রতিমা নিয়ে পড়ুন - http://back2thevedas.blogspot.com/2020/06/blog-post_27.html?m=1#more
আর সংস্কারবিধির যেসব নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে পাঠক দেখবেন মূল গ্রন্থে উক্ত মন্ত্রের কোন অনুবাদই দেয়া হয়নি। অপপ্রচারকারীগণ নিজেদের কথাই মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীজীর নামে উদ্ধৃত করার ধৃষ্টতা করেছে । তাই তার জবাব দেয়া সঙ্গত মনে করছি না । আগ্রহী পাঠক মন্ত্রার্থ জানতে চাইলে ডঃ সত্যব্রত সিদ্ধান্তলংকার ও স্বামী বিদ্যানন্দ সরস্বতীজীর ব্যাখ্যা স্বাধ্যায় করতে পারেন । তারপরেও অপপ্রচারকারীগণ বিরত না হলে আমাদেরও তদানুসারে ভাষা ও খণ্ডন দিতে হবে বৈকি। 

ইত্যোম্।