বর্তমানে বিভিন্ন ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি জোরালো প্রোপাগাণ্ডা চলছে ভবিষ্য পুরাণে ইসলামী মতবাদের "সর্বশেষ" নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণী দাবি করে | এই দাবি নিতান্তই মিথ্যাচার | এই নোটে আমরা এই ভিত্তিহীন দাবির যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করব | এই নোটটিকে আমরা ৩টি ভাগে ভাগ করেছি |
প্রথমেই ভবিষ্য পুরাণ ও এর মুহম্মদ সম্পর্কিত কাহিনীর প্রধান ৩টি চরিত্র সম্পর্কে জেনে নেই |
ভবিষ্য পুরাণ :
এই পুরাণ সংস্কৃতে লিখিত এবং সাধারণ বিশ্বাস অনুযায়ীবেদ-সংকলক ব্যাসদেব এই গ্রন্থের রচয়িতা।
মরিজ উইন্টারনিৎজ মনে করেন,
উদ্ধৃতি হিসেবে গৃহীত লেখ ও পুরাণ উভয় ক্ষেত্রে উল্লিখিত এই শ্লোকগুলি সম্ভবত ধর্মরাষ্ট্রসমূহেরপূর্ববর্তী এবং তাই এগুলির ভিত্তিতে কোনো কালানুক্রমিক তালিকা প্রস্তুত সম্ভব নয়।তাঁর মতে, ভবিষ্য পুরাণ শিরোনামে যেসব পুথি আমাদের হস্তগত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহেআপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র গ্রন্থে উদ্ধৃত প্রাচীন কীর্তি নয়।আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র-এ একটি উদ্ধৃতিভবিষ্য পুরাণ -এর নামাঙ্কিত; কিন্তু উক্ত পুরাণের প্রাপ্ত কোনো পাঠে তা পাওয়া যায় না।
[For the quotation in Āpastambīya Dharmasūtra attributed to the Bhaviṣyat Purāṇa not extant today, see: Winternitz, volume 1, p. 519]
ভবিষ্য পুরাণ অনুসারে এই গ্রন্থের পাঁচটি পর্ব খণ্ড।[Bhavishya Purana I.2.2-3]
কিন্তু প্রাপ্ত পাঠভিত্তিক মুদ্রিত সংস্করণে চারটি খণ্ড দেখা যায় ( ব্রাহ্ম , মধ্যম ,প্রতিসর্গ ও উত্তর)।
[ Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.]
এই চারটি খণ্ড বিষয়গতভাবে পৃথক ও ভিন্ন ভিন্ন সময়কালে রচিত।
ব্রাহ্ম পর্বের বৃহত্তর অংশ জুড়ে আছে ব্রাহ্মণ্য ক্রিয়াকর্ম, বর্ণের কর্তব্য, কয়েকটি সর্পকেন্দ্রিক কিংবদন্তি ও অন্যান্য বিষয়ের বিবরণ।
[For the characterization of the content, see: Winternitz, volume 1, p. 567]
এতে রয়েছে নারীর কর্তব্য, মানুষের সু ও কুলক্ষণ এবং ব্রহ্মা, গণেশ, স্কন্দ ও সর্পপূজার পদ্ধতি।
[Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 264]
একটি বৃহৎ অংশে "শাকদ্বীপ" (সম্ভবত সিথিয়া) নামক স্থানের সূর্যপূজার কথাও
।[Winternitz, volume 1, p. 567 And For a large number of chapters on Sun worship, solar myths, and Śāka-dvipa, see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 264.]
ভবিষ্য পুরাণ-এর চারটি খণ্ডের মধ্যে মধ্য পর্ব এমন একটি খণ্ড যার উল্লেখ অন্যত্র পাওয়া যায় না। রাজেন্দ্র হাজরা এই অংশটিকে "তান্ত্রিক উপাদানসমৃদ্ধ এক পরবর্তীকালীন অঙ্গযোজন" বলে উল্লেখ করেছেন।[ Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263]
প্রতিসর্গ পর্ব প্রসঙ্গে হাজরা বলেছেন:
ভবিষ্য পুরাণ-এর(এক।১।২-৩) অন্তর্গত হলেও প্রতিসর্গপর্ব আদম, নোয়া, যাকুতা, তৈমুরলঙ, নাদিরশাহ, আকবর (দিল্লীশ্বর), জয়চন্দ্র... ও আরও অনেকের কথা বলে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কথাও এ গ্রন্থ জানে, এমনকি কলকাতা ও পার্লামেন্টের কথাও উল্লেখ করে।[ Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.]
এ কে রামানুজন একটি " যথাযথভাবে হালনাগাদকৃত ভবিষ্য পুরাণ" গ্রন্থে খ্রিস্ট, মুসাও রানি ভিক্টোরিয়ার উল্লেখ পেয়েছেন। একে তিনি এই বলে ব্যাখ্যা করেন যে:
চতুর বক্তব্য ও অনুশাসন প্রয়োগ করার পর পর প্রচেষ্টার পরও বলতেই হয় যে পুরাণগুলি মুক্ত ব্যবস্থার অন্তর্গত। ভবিষ্যোত্তর পুরাণ মুখ্যত কিছু কিংবদন্তি ও লোককথা সম্বলিত ধর্মীয় রীতিনীতির হাতবই।[ Bhavishya Purana see: Winternitz, volume 1, p. 567]
রাজেন্দ্র হাজরা একে "বিভিন্ন সূত্র থেকে গৃহীত একটি অসংবদ্ধ উপাদানসংগ্রহ" বলে উল্লেখ করেছেন। এই গ্রন্থে পুরাণের পাঁচটি চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য উপেক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ধর্মসম্প্রদায়, উৎসব এবং সমাজতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে এই অংশ যথেষ্টই সমৃদ্ধ।
[ Hazra, Rajendra Chandra, "The Upapurāṇas" in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 285]
ভবিষ্য পুরাণের সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদের ভূমিকায় অনুবাদক শ্রীমৎ স্বামী পরমাত্মানন্দনাথ ভৈরব (গিরি) অর্বাচীনতা সম্পর্কে বলেছেন
রাজা ভোজ :
Bhoja (reigned c. 1010–1055 CE) was an Indian king from theParamara dynasty. His kingdom was centered around the Malwa region in central India, where his capital Dharawas located. Bhoja fought wars with nearly all his neighbours in attempts to extend his kingdom, with varying degrees of success. At its zenith, his kingdom extended from Chittor in the north to upper Konkan in the south, and from the Sabarmati Riverin the west to Vidisha in the east.
Bhoja is best known as a patron of arts, literature, and sciences. The establishment of the Bhoj Shala, a centre for Sanskrit studies, is attributed to him. He was apolymath, and several books covering a wide range of topics are attributed to him. He is also said to have constructed a large number ofShiva temples, although Bhojeshwar Temple in Bhojpur (a city founded by him) is the only surviving temple that can be ascribed to him with certainty.
মোদ্দা কথা রাজা ভোজের সময়কাল ১০১০-১০৫৫ খ্রিস্টাব্দ |
কালিদাস :
কালিদাস ছিলেন ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষার এক বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার। ইংরেজ কবিউইলিয়াম শেক্সপিয়রের মতো দেখা হয় তাকে সংস্কৃত ভাষার সাহিত্যে। তার কবিতা ও নাটকে হিন্দু পুরান ও দর্শনের প্রভাব আছে।কালিদাস প্রাচীন যুগের ভারতীয় কবি। তিনি সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিরূপে পরিচিত। তাঁর সময়কাল নিয়ে দুটি মত প্রচলিত।
প্রথম মতে, তিনি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে বিদ্যমান ছিলেন। তাঁর মালবিকাগ্নিমিত্রম নাটকের নায়কঅগ্নিমিত্র ছিলেন শুঙ্গবংশীয় রাজা, যাঁর শাসনকাল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৮৫-৪৮ অব্দ। অপর মতে, তাঁর সময়কাল খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মধ্যে। বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সভাকবি হিসাবেই তাঁর খ্যাতি সমধিক। কালিদাসের বহু রচনায় দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য, রাজধানী উজ্জয়িনীও রাজসভার উল্লেখ পাওয়া যায়। সপ্তম শতাব্দীতে বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিত গ্রন্থে কালিদাসের সপ্রশংস উল্লেখ আছে।
[ভবিষ্য পুরাণে কথিত "মহামদ" ] মুহম্মদ :
জন্ম :২৯ আগস্ট ৫৭০
মক্কা, আরব (অধুনা মক্কা, মক্কা প্রদেশ, সৌদি আরব)
মৃত্যু:৮ জুন ৬৩২ (৬২ বছর)
ইয়াসরিব (মদিনা), আরব (অধুনামদিনা, হেজাজ, সৌদি আরব)
Source: Wikipedia
দেখা যাচ্ছে যে কালিদাসকে ভোজরাজার সমকালীন ধরলেও মুহম্মদ এর সাথে তাঁর দেখা হওয়া অসম্ভব | কারণ ভোজ রাজা ১০১০ সাল থেকে ১০৫৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন যার বহু আগেই মুহম্মদ মারা গিয়েছেন | এখন গোঁয়ারের মত যদি কেউ এটা না মানতে চায় তবে তাদেরই যুক্তি পর্যালোচনা করি আসুন :-
কাঠমোল্লা : এখানে বলা,
"এতস্মিন্নন্তিবে সেত্দচ্ছ আচার্যেন
সমন্বিতঃ।
মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিত \\
নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিম্ম।
চন্দনাদিভির ভ্যর্চ্য তুষ্টাব মনসাহরম্
মুল সংস্কৃত খেয়াল করুন মহামদ সম্পর্কে বলা
আচার্যেন সমন্বিত অর্থাৎ মহৎ গুনাবলি বা
জ্ঞানের সমন্বিত।হিন্দু ধর্মে আচার্য্য বলা
হয় খুব সন্মানিত জ্ঞানী যে তাকে। অথচ
হিন্দুদের অনুবাদে কিন্তু তা পাওয়া যায় না।
সমীক্ষা :
// মহামদ সম্পর্কে বলা
আচার্যেন সমন্বিত অর্থাৎ মহৎ গুনাবলি বা
জ্ঞানের সমন্বিত।// আচার্য অর্থ কি মহৎ গুণাবলী !কোন অভিধান বলছে আচার্য অর্থ মহৎ
গুণাবলী ?? এই বিশেষ অর্থ কি মোল্লা সাহেব
স্বপ্নে পেয়েছেন ?
যে শ্লোকটা দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্টতঃই বলা আছে যে " ম্লেচ্ছঃ আচার্য্যেণ" [ মোল্লা যেটাকে লিখেছে //সেত্দচ্ছ আচার্যেন'// ] মানে এখানে ম্লেচ্ছ তথা আর্যাবত্তের বাইরের বিদেশি ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে যিনি আচার্য তথা "শিক্ষক" |
কাঠমোল্লা : বলা হয়েছে
"এতস্মিন্নন্তিবে সেত্দচ্ছ আচার্যেন সমন্বিত
অর্থাৎ যথাসময়ে আবির্ভুত হবে মহাপুরুষ বা
যিনি মহৎ গুনাবলী সমন্বিত,
মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিত
যিনি মহামদ নামে পরিচিত,আসবেন শিষ্যশাখা
(সাহাবী)সমেত।
এখানে স্পষ্টতই নবিজি ও তার সাহাবাদের
আগমনের ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে।
সমীক্ষা :
প্রথমতঃ সম্পূর্ণ শ্লোকটি এমনকি সম্পূর্ণ অধ্যায়টিই Past Tense এ বর্ণিত | যদিও পুরাণের নাম ভবিষ্য পুরাণ কিন্তু পুরাণকর্তা লিখেছেন Future Tense এর বদলে Past Tense এ | এতে পুরাণটির অর্বাচীনতাই স্পষ্ট হয় | সুতরাং এতে ভবিষ্যদ্বাণী মোটেও নেই | আর মোল্লা যে // যথাসময়ে আবির্ভুত হবে// বলে শব্দগুচ্ছ আমদানি করল এই অর্থ কি মোল্লার ওপর নাজিল হয়েছে ??
কাঠমোল্লা :
এরপর "নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম”
এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
গঙ্গ জলৈশ্চ সংস্নাস্থ পন্চগব্য সমন্বিতৈঃ।
চন্দনাদিভিরভতর্চ্য তুষ্টাব মনসা হরম।।
তাকে গঙ্গাজল দ্বারা স্নান করাইয়া
পন্চগব্যযুক্ত চন্দনাদি দ্বারা ভক্তি বন্দনা করিয়া
তাকে তুষ্ট করবেন।"
উল্লেখ্য এখানে কিন্তু মহাদেব মানে শিব
না।এখানে মুহাম্মদকে মহাদেব বলা
হয়েছে। সংস্কৃততে দেব অর্থ স্বর্গীয়
সত্তা,ডিকশনারীতে প্রথম যে অর্থ পাওয়া
যায় তা হচ্ছে देव= "heavenly, divine,
anything of excellence, তাহলে মহাদেব
অর্থ দাঁড়ায় মহান যে স্বর্গীয় সত্তা।আর
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে ‘মহাদেবং মরুস্থল
নিবাসিনম’ অর্থাৎ মরুস্থল নিবাসী সেই
স্বর্গীয় সত্তা। শিব কিন্তু মরুভুমিতে থাকে
না।
সমীক্ষা :
আহা ! বড়ই আনন্দ হল যে তিনি সংস্কৃত - ইংরেজি অভিধানের পাতা উল্টিয়েছেন | কিন্তু হে মোল্লা মহাশয় বৈদিক সংস্কৃতকে পৌরাণিক সংস্কৃত এর সাথে মেশালেন কোন যুক্তিতে ?
"দেব" এর যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই বরং সম্পূর্ণ সহানুভূতি আছে |
কিন্তু পুরাণের মহাদেবকে "মহামদ"[মুহম্মদ ] বানানো নিয়ে আমাদের যথেষ্ট আপত্তি আছে | কারণ পুরাণ সমূহে মহাদেব বলতে শিবকেই বোঝানো হয়েছে |
শিব পুরাণ কোটিরুদ্র সংহিতার ৩৫নং অধ্যায় এর ২-১৩১ নং শ্লোকে শিব সহস্রনামে শিবের এক নাম "মহাদেব" বর্ণিত হয়েছে |
মহাদেব শব্দের আরও উল্লেখ পাওয়া যায় :-
শিবপুরাণ উমা সংহিতা অধ্যায় ২ শ্লোক নং ২০ :
শিবপুরাণ কোটিরুদ্র সংহিতা অধ্যায় ৪২ শ্লোক নং ৭ :
শিব পুরাণ বিদ্যেশ্বর সংহিতা অধ্যায় ২১ শ্লোক নং ৪৭-৪৮
আর একাদশ শতকের ভোজরাজা আর ষষ্ঠ শতকের কালিদাস যদি মুহম্মদের সময় থাকতে পারে তখন মহাদেব থাকতে পারে না কোন যুক্তিতে ?
কাঠমোল্লা : অতএব এখানে আমরা দেখতে পেলাম
মহাম্মদকে বলা হচ্ছে, আচার্যেন বা মহত
জ্ঞান গুনের সমন্বিত, সাহাবি সমেত, মহান
আত্তা, রাজা তার স্তুতি করবে এবং পঞ্চগভ্য
দ্বারা গোছল করাবেন।{পঞ্চগভ্য দ্বারা
গোছল দ্বারা বুঝায় যে পাক ও পবিত্র হওয়া}
সমীক্ষা:
হা ঈশ্বর ! যদি মুহম্মদ জানতো তার এই পেয়ারের বান্দাগণ মহাদেবের স্থানে তাকে বসিয়ে "পঞ্চগব্য" দ্বারা স্নান [মোল্লার নিজস্ব অভিধান অনুযায়ী পাক "গোছল" ] তাহলে যে কি হত !!!
পঞ্চগব্য মানে কি মোল্লা জানলে এই কদর্থ করতেও মোল্লার আঙুল কাঁপত (টাইপ করতে আর কি ) |
পঞ্চগব্যে থাকে -
১.গোঘৃত
২.গোদুগ্ধ
৩.গব্য
৪.গোময় (গোবর )
৫. গোমূত্র
সূত্র : Wikipedia
ওহে মোল্লাসাহেব , জাতি জানতে চায় তবে কি আপনি স্বীকার করছেন যে আপনার কথিত ভাষ্য অনুসারে মুহম্মদকে গোমূত্র দ্বারা স্নান করানো হয়েছে ??
শিব পুরাণ বিদ্যেশ্বর সহিতা অধ্যায় ২২ এর ২৪ নং শ্লোক এ মহাদেবের শিব লিঙ্গ আরাধিত হওয়ার কথা আছে | মোল্লামশাই যে মহাদেবকে মহম্মদ বানালেন তিনি এই নির্দেশ মানবেন তো |
পাঠক অনুমতি করুন , আমি মোল্লার জয়ধ্বনি দেই !
কাঠমোল্লা : "নমস্থে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
ত্রিপুরাসুরনাসায় বহুমায়া প্রবর্তিনে"
"ম্লেচ্ছৈগুপ্তায় শুদ্ধায় সাচ্চিদয়ানন্দ রুপাইন।
ত্বং মাং হি কিংকর বিদ্ধি শরনার্থ মুপাগতম।
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
সেই মরুস্থলবাসীকে শ্রদ্ধা নিবেদন
যে মানবজাতির গর্ব,
এখানে মহামদকে বলা হচ্ছে, গিরিজানাথ বা
মানব জাতির গর্ব।
সমীক্ষা :
// এখানে মহামদকে বলা হচ্ছে, গিরিজানাথ বা মানব
জাতির গর্ব।// গিরিজানাথ মানে মানবজাতির গর্ব !! এই অর্থ আকাশ পাতাল কোথা থেকে পেয়েছেন মোল্লাসাহেব ? প্রকৃত পক্ষে গিরিজা পুরাণ অনুসারে পার্বতীর নাম কারণ পুরাণ মতে তিনি হিমালয় গিরির কন্যা । আর অভিধান গিরিজা বলতে proceeding from the mountains বোঝায়
নাথ অর্থ স্বামী / প্রভু / পতি | আর সুতরাং গিরিজানাথ বলতে পার্বতীর স্বামী নির্দেশ করা হয়েছে |
শিব পুরাণ রুদ্র সংহিতা অধ্যায় ১৩ শ্লোক নং ৩১
আর সচ্চিদানন্দ অর্থ : সচ্চিদানন্দ এটা ঈশ্বরকে বলা হয় | বৈষ্ণব , শৈব বা শাক্ত তাঁদের ইষ্টদেবতাকে সচ্চিদানন্দ বলে | মুহম্মদ কি তবে ঈশ্বর?
কাঠমোল্লা :এরপরই বলা , ত্রিপুরাসুরনাসায়া বহুমায়া
প্রবর্তিনে, অর্থঃ ত্রিপুরাসুরকে নাশ করে সে
বহুমুখি জ্ঞান,বুদ্ধি বা উপায় দ্বারা। খেয়াল করুন,
এখানে স্পষ্টভাবে তাকে বলা হয়েছে, ত্রিপুরাসুর
নাশায়া , অর্থাৎ সে ত্রিপুরাসুরকে নাশ করে। আর
হিন্দুরা কি করে , এখানে নাশায়া শব্দটা বাদ দিয়ে
তাকেই ত্রিপুরাসুর বানিয়ে দেয়। চিন্তা করুন কি বিরাট
মিথ্যাচার।
সমীক্ষা :
ভুল কি করেছে ? মুহম্মদ যে ত্রিপুরের ৩ অসুরেরই পুনরায় আগমনের সম্মিলিত রূপ তা আমরা একটু পরেই পাবো |
কাঠমোল্লা :
আর এখানে বহুমায়া প্রবর্তিনে অর্থ বহু
জ্ঞান বা উপায় দ্বারা, মায়া শব্দটা এসব হিন্দুরা ভুল
অর্থে নিতে চায়, অথচ মায়া শব্দের
আরেক অর্থ হচ্ছে জ্ঞান বা Wisdom
(Monier Williams Sanskrit-English
Dictionary)
ঋগবেদ ১/১১/৭ এ ইন্দ্রকেও মায়াবী বলা
হয়েছে
সমীক্ষা : মায়া শব্দের নিরুক্তগত অর্থ জ্ঞান |
মায়াবীকে জ্ঞানী ধরলেও তাতে কিছু প্রমাণ হয় না | জ্ঞান ভালো মন্দ সবারই থাকতে পারে | আর মায়া শব্দটি মন্দ ব্যক্তির কর্মের বেলাও হয় | প্রমাণ দেখুন
বাল্মীকি রামায়ণ ৩.৪০.১৯
त्वाम् हि माया मयम् दृष्ट्वा कांचनम् जात विस्मया |
आनय एनम् इति क्षिप्रम् रामम् वक्ष्यति मैथिली || ३-४०-१९
বাল্মীকি রামায়ণ৩.৪৪.২৩
मारीचस्य तु माय एषा पूर्व उक्तम् लक्ष्मणेन तु |
तत् तदा हि अभवत् च अद्य मारीचो अयम् मया हतः || ३-४४-२३
বাল্মীকি রামায়ণ ৩.৪৩.৭
अस्य मायाविदो माया मृग रूपम् इदम् कृतम् |
भानुमत् पुरुषव्याघ्र गन्धर्व पुर संनिभम् || ३-४३-७
বাল্মীকি রামায়ণ ১.২৬.১৯
काम रूपधरा सा तु कृत्वा रूपाणि अनेकशः |
अन्तर्धानम् गता यक्षी मोहयन्ति स्व मायया || १-२६-१९
কাঠমোল্লা : অর্থাৎ এখানে মহামদের প্রতি
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
করে বলা হয়েছে সে মরুস্থলবাসী ও
মানব জাতির গর্ব, এবং সে বহুমুখি জ্ঞান ও উপায়
দ্বারা ত্রিপুরাসুর(শয়তান) কে নাশ করে।
সমীক্ষা :
আগেই প্রমাণ করা হয়েছে প্রতিটি শব্দের কদর্থ করা হয়েছে |
কাঠমোল্লা : এরপরে আছে,
"ম্লেচ্ছৈগুপ্তায় শুদ্ধায় সাচ্চিদয়ানন্দ রুপাইন।
অর্থঃ ম্লেচ্ছদের দ্বারা সুরক্ষিত হে শুদ্ধ,
সত্য চৈতন্য, সরূপানন্দ,
ত্বং মাং হি কিংকর বিদ্ধি শরনার্থ মুপাগতম।
অর্থঃ আমাকে আপনার চরণে আশ্রয় দিন।"
এখানে নবিজীকে বলা হল সাচ্চিদয়ানন্দ
রুপাইন, যা অতি মহৎ গুনাবলীর কাউকে বলা হয়।
সমীক্ষা :
//ম্লেচ্ছৈগুপ্তায় // এর অর্থ সুরক্ষিত নয় বরং ম্লেচ্ছদের থেকে গুপ্ত | আর যখন মহাদেবের প্রতি এই স্তুতি তখন নবীর শরণের কথা অবান্তর |
কাঠমোল্লা : আর একটা ব্যাপার এখানে আছে
‘ম্লেচ্ছ ’
শব্দ। ম্লেচ্ছ এর স্বাভাবিক অর্থ হচ্ছে
বিদেশী ব্যাক্তি। তবে এটি খারাপ ব্যাক্তি
হিসেবে ব্যাবহৃত হয় জাতপ্রথা মানা হিন্দুদের
দ্বারা যাদের কাছে বিদেশি মানেই খারাপ।
তবে এই শব্দটির স্বাভাবিক অর্থ হচ্ছে যিনি
বিদেশী বা যিনি বিদেশি ভাষায় কথা বলেন,
নীচে Monier Williams Sanskrit-
English Dictionary. হতে স্ক্রীনশট
সমীক্ষা :
কথাটা আংশিক ঠিক । কারণ ম্লেচ্ছ বলতে
আর্যাবত্তের এলাকার বাইরের এবং বৈদিক ধর্মধারা
বহির্ভূত ব্যক্তিদের বোঝায় ।
নিম্নে অভিধান থেকে "ম্লেচ্ছ" শব্দের
বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হল-
মনির উইলিয়ামস্ যে অর্থ মোল্লা দিয়েছে
তাতেও "ম্লেচ্ছ" মন্দ আচরণকারীকেও
নির্দেশ করা হয়েছে ।
তাহলে আমরা "ম্লেচ্ছ" অর্থ পেলাম -
म्लेच्छ mleccha
1 . A barbarian,a non Aryan ( One not speaking the Sanskrit Language or not conform in to Hindu or Aryan institutions),a foreigner in general
2. An Outcast, a very low man, Bodhayana thus defines the word:
gomAmsakhAdako yastu viruddhaM bahubhAshhate | sarvAchAravihInashcha mlechchha ityabhidhiiyate |
He who eats cow’s meat, and speaks a lot against shastras and he, who is also devoid of all forms of spiritual practice, is called a mlechha.
3. A sinner, A wicked person, A savage or barbarian race
কাঠমোল্লা : তাহলে এখানে আমরা যে অর্থ
পেলাম, “ মরুস্থলবাসীকর প্রতি শ্রদ্ধা, যে
মানবজাতির গর্ব, ত্রিপুরাসুরকে(শয়তান)নাশ করে যে
বহুমুখি জ্ঞান,বুদ্ধি বা উপায় দ্বারা। ম্লেচ্ছদের দ্বারা
সুরক্ষিত, হে শুদ্ধ, সত্য চৈতন্য, সরূপানন্দ, আমাকে
আপনার চরণে আশ্রয় দিন।”
সমীক্ষা:
আমরা পূর্বেই প্রমাণ করেছি এই স্তুতি মুহম্মদ নয়
বরং মহাদেবের প্রতি করা । আর ম্লেচ্ছদের দ্বারা
সুরক্ষিত নয় বরং ম্লেচ্ছদের থেকে গুপ্ত বা লুকায়িত |
কাঠমোল্লা : সুতা উবাচ্য ইতি সুরথিয়া স্তব দেবা সবধ
মাহ নুপায়াতাম
জ্ঞাত ভায়া ভোজরাজ নে মহাকালেশ্বর স্থলে ,
অর্থঃ সুতা উবাচ্য, রাজার স্তুতি শুনে
(মুহাম্মদের প্রতি), এক দেবসত্তা বলে,
হে ভোজ রাজা মহাকালশ্বর স্থলে যাও
ম্লেচ্ছ শু দুষিতা ভূমি বাহিকা নাম বিসৃতা,
আরিয়া ধর্মাহি নভতত্রা বাহিকা দেশ দারুনিয়া
অর্থঃ ম্লেচ্ছরা উক্ত দেশ দুষিত করছে,
আর্য ধর্ম সেই দেশে পাওয়া যাবে না।
সমীক্ষা :
ধান্ধাবাজির একশেষ ! এই দেব সত্তা কোথা থেকে আনলেন মোল্লা মশাই ?? মহাদেবকে লুকাতে দেব সত্তা আমদানি করলেন কোন যুক্তিতে ??
আবার কতক্ষণ আগে বলছিলেন ম্লেচ্ছ নাকি মন্দ অর্থে ব্যবহৃত হয়নি | এই শ্লোকে তো স্পষ্টতঃই বলা আছে ম্লেচ্ছরা দূষিত করেছে | এতে কি ভালো বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেল ??
কাঠমোল্লা : "বামুবদ্রে মহাময়ি ইয়োসাব দাগ্ধ
মায়াপুরা ত্রিপুরা-বালি দাইতানে প্রসিথ পুনরাগথ।
অর্থাৎ - "ইতিপূর্বে ত্রিপুরা এসেছিল যাকে
আমি দগ্ধ করেছি/ জালিয়ে দিয়েছি।
সেই ত্রিপুরাসুরের পুনরাগমন হয়েছে।"
পরের শ্লোকে বলছে,
"অয়োনী সা ভারো মাথ প্রসাবাদাইবো ব্রুদান
মহামদ ইতিখ্যাত পৈশাচাক্রুথি তাতপর।।
অর্থঃ"পথভ্রান্তদের সঠিক পথ দেখানোর
জন্য অয়োনী হতে বরপ্রাপ্ত খ্যাতনামা
মহামদ পিশাচদের (মাংসখাদকদের) সঠিক পথে
আনতে ব্যাস্ত।"
উল্লেখ্য অয়োনী হচ্ছে ব্রক্ষার উপাধি।
মহাম্মদকে এখানে আয়োনী হতে
বরপ্রাপ্ত বলা হয়েছে। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা
হতে বরপ্রাপ্ত, আরেক কথায় ওহীপ্রাপ্ত।
সমীক্ষা :
ও মশাই ত্রিপুরার পৌরাণিক ইতিহাস না জেনে তাকে শয়তান বলে পালালেই হবে নাকি ??
মৎস পুরাণ এর ৩০-৪০তম অধ্যায়তেই ত্রিপুর ও ত্রিপুরাসুরের বিস্তারিত বর্ণনা আছে | সংক্ষেপে তা নিম্নলিখিত হল :
তারকাসুরের তিন পুত্র – তারকাক্ষ, কমলাক্ষ ও বিদ্যুন্মালী – এক সঙ্গে ত্রিপুরাসুর বলে পরিচিত। এঁরা ময়-দানব নির্মিত তিনটি বিমান-নগরীতে বাস করতেন, যাদের একটি স্বর্ণের, একটি রৌপ্যের ও একটি কৃষ্ণলৌহের। প্রথমটি থাকতো স্বর্গে, দ্বিতীয়টি অন্তরীক্ষে আর তৃতীয়টি পৃথিবীতে। তিন নগরীতে সমস্ত প্রকারের অভিষ্ট বস্তু ছিল। ব্রহ্মার বরে দেব দানব যক্ষ রাক্ষস কেউই এঁদের বিনষ্ট করতে পারতেন না। অস্ত্রশস্ত্র বা ব্রহ্মশাপেও এই পুরীগুলির কোনও ক্ষতি করা যেত না। শুধু সহস্র বছর বিচরণ করার পর এই তিনপুর যখন এক হয়ে যাবে তখন যে দেবশ্রেষ্ঠ এক বাণে এই ত্রিপুর ভেদ করতে পারবেন, তিনিই ত্রিপাসুরদের বধ করবেন – এই ছিল ব্রহ্মার বর। এই বর পাবার পর দেবগণ কর্তৃক বিতাড়িত কোটি কোটি দৈত্য তিন পুরীতে আশ্রয় নিতে শুরু করল। আর এই তিন অসুর ইচ্ছানুসারে বিচরণ করে সকলকে উৎপীড়ন করতে লাগলো। তখন ব্রহ্মার উপদেশে তিন পুর একত্র হবার আগে দেবতারা মহাদেবকে তাঁদের অর্ধ তেজ দিলেন। সেই তেজে মহাদেব আরও বলিয়ান হলেন। তারপর সেই তিন পুর একত্র হতেই, মহাদেব পাশুপত অস্ত্র নিক্ষেপ করে ত্রিপুর ধবংস করলেন।
Source : 1.Wikipedia
2.মৎস পুরাণ ৩০-৪০তম অধ্যায়-পঞ্চানন তর্করত্ন (মহর্ষি শ্রীকৃষ্ণদ্বৈপায়ণ বেদব্যাস বিরচিত মূল সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ)
শিব পুরাণ রুদ্র সংহিতা ১ম খণ্ড (সৃষ্টি ) শ্লোক নং ৪৮ এ শিবকে ত্রিপুরের বিনাশক বলা হয়েছে :
পুরাণের "অসুর" অর্থ -
Asura असुर
1.An evil spirit,demon
2.A general name for the enemies of Gods
মোল্লার এক জাতভাই বেদ থেকে দেখায় ইন্দ্রকে অসুর বলা হয়েছে বলে অসুর ভাল শব্দ ! পুরানে কি অর্থে অসুর বলা হয় তা তো আমরা দেখলামই । বেদে অসুর বলশালী এবং প্রাণ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে । অসুর মানে প্রজ্ঞাবানও হয়। প্রকরণ অনুসারে অর্থ হয়। নিঘন্টু তে অসু শব্দ প্রজ্ঞা অর্থে নিরুক্ত ৩.৮
মোল্লার দাবি মতে এটা নাকি কোন এক দেব সত্তার বাণী | প্রশ্ন হল তবে সেই সত্তা // "ইতিপূর্বে ত্রিপুরা এসেছিল যাকে আমি দগ্ধ করেছি/ জালিয়ে দিয়েছি। সেই ত্রিপুরাসুরের পুনরাগমন হয়েছে।"
/// করল কিভাবে ?? তার কি ক্ষমতা ??
কাঠমোল্লা : "নাগথ ভায় থয়া ভূপ পৈশাচেদেশ বারতাক
মাথ প্রাসাদায়ানে ভূপাল তব শুদ্ধি প্রাযায়াত। ।"১৩ "ও রাজা,
আপনার পিশাচদের (মাংসভোজীদের) দেশে
যাওয়ার প্রয়োজন নাই। আমার কৃপায় আপনি নিজ
ভূমিতেই শুদ্ধ হবেন।"
সমীক্ষা :
কার কৃপায় ??? প্রকৃতপক্ষে মহাদেবের কৃপায় | অথচ মোল্লার কথা শুনলে মনে হয় যেন নাম পরিচয় ছাড়া সেই দেবসত্তা বলছে | মোল্লার কাছে প্রশ্ন সেই দেবের এমন কি ক্ষমতা যে শুদ্ধ করবে ভোজ রাজাকে ?
কাঠমোল্লা : "উবাচ ভূপতিং প্রেমণ মায়ামদ বিশারদ।
তব দেব মহারাজ মম দাসত্ব মাগতঃ।। ১৫
অর্থঃ "বহুজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ভালবাসার সাথে
রাজাকে বললেন,
দেখ তোমার দেবমূর্তি মহারাজও আমার
দাসত্ব চায়।১৫
মমোচ্ছিষ্টং স ভুন্জীজাত তথা তৎপশ্য ভো
নৃপ
ইতি শ্রুতা তথা দৃষ্টা পরং বিষ্ময় মাযযৌ।। ১৬
অর্থঃআমার উচ্ছিষ্টও সে খায় বলে তাই
করে দিলেন।
এসব দেখে শুনে রাজা পরম বিষ্ময়ে মুগ্ধ
হয়ে গেলেন।১৬
ম্লেচ্ছ ধর্মে মতিশ্চাসীত্তস্য ভুপস্য
দারুত।।" ১৭
অর্থঃ তিনি ম্লেচ্ছ ধর্ম গ্রহণ করলেন।।"১৭
সমীক্ষা : বলিহারি অনুবাদ বাপু ! দেব মূর্তিকে ১৫ নং শ্লোকে মহারাজা বানানো হলে?! এই মহারাজ তো রাজা ভোজকে সম্বোধন করা হয়েছে | ১৬ নং শ্লোকে ঐ মহামদ স্পষ্টতঃই মিথ্যাচার করেছে | কারণ এর আগে কোথাও উচ্ছিষ্ট ভক্ষণের কথাই নেই | আর দাসত্ব চায় না বরং সঠিক অনুবাদ দাসত্ব প্রাপ্ত হয়েছে | যা কিনা এই মহামদের মিথ্যাচার | পরের শ্লোকগুলোতে কালিদাস কি আর সাধে রাগান্বিত হয়েছে | আর রাজা ভোজ ম্লেচ্ছ ধর্ম গ্রহণই করেননি | বরং তিনি মহামদের কথায় প্রভাবিত হয়ে ম্লেচ্ছ ধর্মে মতি করতে চাচ্ছিলেন | যদি গ্রহণই করতেন তবে এই অধ্যায় এর শেষেই বলা আছে দেশে গিয়ে সংস্কৃত প্রচলন করলেন কেন আরবির বদলে !
কাঠমোল্লা : তুচ্ছাত্ত কালিদাস স্তু রুশা প্রাহ মহাম্মাদান
মায়া তে নির্মিতি ধুতার্য নুষ মহান হেতব্য ১৮
অর্থঃ“অতঃপর কালিদাস তীব্র রাগে
মহাম্মদকে ভতসনা করে বললেন, ‘হে
ধোকাবাজ তুমি রাজাকে মায়াচ্ছন্ন করেছ
তোমার জ্ঞান দ্বারা, আমি তোমাকে হত্যা
করব, তুমি দুশ্চরিত্র” ১৮
অর্থাৎ এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি
এভাবেই রাজা ভোজ ঈশ্বরের কৃপায় নিজ
দেশেই শুদ্ধ হলেন মহামদের ধর্মে
আশ্রয় লাভ করে।
কিন্তু মিথ্যাবাদি হিন্দুরা এখানে ১৮ নাম্বার মন্ত্র
যেখানে মুহাম্মদকে কালিদস তিরস্কার করে
সেটা হাইলাইট করে কিন্তু ১৫ নং থেকে ১৮
নং পর্যন্ত শ্লোকের এ মাঝখান দিয়ে রাজা
ভোজের মহামদের ধর্ম গ্রহণের ১৭ নং
শ্লোকটা পুরোপুরি বাদ দিয়ে যায়।
সমীক্ষা :
১৭ নং শ্লোকে গ্রহণ করেননি তা প্রমাণ করা হয়েছে | আর মোল্লার যদি সাহস থাকে তবে ১৯-২২ নং শ্লোকের অনুবাদ দিক | ওতেই প্রমাণিত হবে মদিনা কি আর মুহম্মদের কি হয়েছিল কালিদাসের প্রভাবে |
কাঠমোল্লা : মদীনা পুরা যাত তোশা ত্রিত শায়ম
স্মুরথাম,
[এই মন্ত্রে স্পষ্ট মদীনার নাম আছে]
অর্থঃ অর্থাৎ মদীনা তাদের পবিত্র স্থান।
রাত্রী সে দেবরুপ সাব বহু মায়া বিরশাদ,
পৈশাচা দেহ মারাথ্যা ভোজরাজ হি সো ত্রিভিদ
অর্থঃ রাতে এক দেব যে বহুজ্ঞান বিশারদ,
পিশাচের রুপ ধরে রাজার সামনে আসলেন।
উল্লেখ্য এখানে কোথাও নেই যে
মহাম্মদ পিশাচের রুপ ধরলেন, যেটা হিন্দুরা
মিথ্যাচার করে।
আরিয়া ধর্ম হি রাজা স্বর্বোতম স্মুর্থ
ঈশ্বপ্রায়া কারিনায়ামি পৈশাচা ধর্ম ধারনব্য
অর্থঃ হে রাজা তোমার আর্য ধর্মই এতকাল
যাবত সেরা ধর্ম পরিচিত হয়ে আসছে,
ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমি মাংসভোজী ধর্ম
সূচনা করতে যাচ্ছি।
এখানে কিছু হিন্দুরা বলতে পারে যে
দেবরুপ কেন পিশাচের রুপ ধরে
আসলেন?
আর সে তো এখানে স্পষ্টই বলল যে
সে পৈশাচা ধর্ম প্রতিষ্টা করতে যাচ্ছে?
জবাবঃ এর দুটি জবাব দেয়া যায়, এক, কালিদাস বা
স্বার্থন্বেষী ব্রাক্ষনের তিরস্কারের পর
রাজার মধ্যে সেই ম্লেচ্ছ ধর্ম সম্পর্কে
ভয় ঢুকে গেছে সেজন্য সে রাতে
স্বপ্নে একজন দেবরুপকে পিশাচরুপে
দেখেছে। উল্লেখ্য রাজার সামনে যে
এসেছে সে কিন্তু পিশাচ রুপ ধরে
এসেছে কিন্তু সে ছিল কিন্তু দেব সত্তা যা
মূল মন্ত্রেই বলা হয়েছে। তাহলে এ কথা
স্পষ্ট যে রাজা সেই দেবরুপকেই পিশাচ
কল্পনা করেছে কালিদাসের প্ররোচনার
পরে।
দ্বিতীয় জবাব হচ্ছে, পিশাচ মানেই খারাপ কিছু
নয়। মুল সংস্কৃত অর্থ অনুসারে পিশাচ শব্দের
স্বাভাবিক বা মূল অর্থ হচ্ছে মাংসভোজী।
পিশাচ শব্দটি এসেছে পিশিত হতে যার অর্থ
হচ্ছে মাংস, আর পিশাচ যে হচ্ছে যে তা
আহার করে, এখানে সংস্কৃত মিনিং দেখতে
পারেন, https://en.glosbe.com/sa/en/
%E0%A4%AA%E0%A4%BF
%E0%A4%B6%E0%A4%BF
%E0%A4%A4
সংস্কৃত ভাষার প্রাচীন এবং সবচেয়ে
প্রসিদ্ধ শব্দকোষ 'অমরকোষ' অনুযায়ী
দেব জাতি দশ প্রকার। বিদ্যাধর, অপ্সরস,
যক্ষ, রাক্ষস, গন্ধর্ব, কিন্নর, পিশাচ, গুহাক,
সিদ্ধ ও ভুত।
- "বিদ্যাধরোপ্সরোযক্ষ রক্ষোগন্ধর্ব
কিন্নরঃ। পিশাচো গুহাকঃ সিদ্ধো ভুত্যোমী
দেবযোনয়ঃ।।"
এর মধ্যে 'পিশাচ' দেবদের পিশাচ নাম হওয়ার
কারণ তারা পশু বধ করে মাংস ভোজন করেন।
(অমরকোষ, স্বর্গ বর্গ ১১ নং শ্লোক)]
অর্থাৎ পিশাচের মুলগত অর্থ খারাপ কিছু নয় বরং
স্বাভাবিক মাংসভোজি।
সমীক্ষা :
পিশাচের বুৎপত্তি ঠিক থাকলেও পিশাচ মানেই মাংসভোজি না | পিশাচ/পৈশাচ মন্দ অর্থই প্রকাশক | নিচে অনলাইন সংস্কৃত - ইংরেজি অভিধান দেখুন
পিশাচ শব্দটির ও পৈশাচ শব্দের অর্থ সংস্কৃত ডিকশনারি থেকে দেখুন
Paisachya
1.Demonical, Infernal
‘সুপ্তাং মত্তাং প্রমত্তাং বা রহো যত্রোপগচ্ছতি।
স পাপিষ্ঠো বিবাহানাং পৈশাচশ্চাষ্টমোহধমঃ।।’
=>>নিদ্রাভিভূতা, মদ্যপানের ফলে বিহ্বলা, বা রোগাদির দ্বারা উন্মত্তা কন্যার সাথে যদি গোপনে (বা প্রকাশ্যে) সম্ভোগ করা হয়, তাহলে তা পৈশাচ-বিবাহ নামে অভিহিত হবে; আটরকমের বিবাহের মধ্যে এই অষ্টম বিবাহটি পাপজনক ও সকল বিবাহ থেকে নিকৃষ্ট (এই বিবাহ থেকে ধর্মাপত্য অর্থাৎ ধর্মজ-পুত্র জন্মে না)। [পৈশাচবিবাহে মিথ্যা বা ছল আশ্রয় করে গোপনে কন্যা সংগ্রহ করা হয় বলে এ বিবাহ খুবই নিন্দিত। তবে টিকাকারদের অভিমত এই যে, পরে হোমসংস্কারের দ্বারা ঐ নিন্দনীয় সকল বিবাহেরই স্বীকৃতি দেয়া হয়]। (৩/৩৪)।
অমরকোষে পিশাচকে দেবযোনয়ঃ বা দেবতার সন্তান বলা হয়েছে যা পুরাণ অনুযায়ী সঠিক |
তাই দেব পিশাচ বলা হয়েছে |
সমীক্ষা :
কাঠমোল্লা : এবার সেই দেবরুপ হতে রাজার
কাছে
মুসলিমদের বৈশিষ্ট্যের স্পষ্ট বিবৃতি,
"লিঙ্গচ্ছেদী শিখাহীনঃ শ্মশ্রুধারী সে দূষকঃ।
উচ্চালাপী সর্বভক্ষী ভবিষ্যতি জমোমম \\২৫\\
অর্থঃ তাদের খত্না দেয়া হবে, শিখা-টিকলি
থাকবে না,
তাদের হবে দাড়ি,তারা উচ্চস্বরে আহবান
জানাবে(আজান)তারা হবে সকল দোষের
খন্ডনকারী।
এখানে দূষক শব্দটা হিন্দুরা ভুল অর্থে নেয়,
কিন্তু দূষক এর আরেকটি অর্থ হচ্ছে যে
দোষের খন্ডন করে বা সমালোচনা
করে। যেমন - রহিম করিমকে বললো,
"তুমি পাপী তুমি অনেক পাপ করেছ।" এখানে
রহিম করিমকে দূষছে বা দোষ ধরে
সমালোচনা করছে তাই এখানে রহিম 'দূষক'।
এখান থেকে দুষকের অর্থ দেখতে
পারেন, http://www.ovidhan.org/b2b/
%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%B7%E0
%A6%95
সমীক্ষা :
// উচ্চালাপী// বলতে আজান নয় বরং কথা বলা বোঝায় | আর // সর্বভক্ষী// দ্বারা সব কিছু ভক্ষণ করবে বলা আছে যা মোল্লা অনুবাদে দেয়নি | এতে হালাল হারাম কিছুই বলা নেই | আর
দোষের ভুল নয় তারা হবে ধর্মদূষক.....মানে ধর্মের ভুল ধরতে , নিন্দা এবং কলুষিত করতে চাইবে |
দূষক অর্থ সংস্কৃত ডিকশনারি থেকে দেখুন-
दूषक | seducing | |||
sinful | ||||
offending | ||||
spoiling | ||||
corrupting | ||||
transgressing | ||||
disgracing | ||||
wicked | ||||
kind of rice | ||||
disparager | ||||
offender |
কাঠমোল্লা : বিনা কৌলংচ পশবস্তেষাং ভক্ষ্যা মতা
মম।
মুসলেনৈব সংস্কারঃ কুশৈরিব ভবিষ্যতি \\২৬\\
তারা সকল প্রকার হালাল খাদ্য গ্রহন করবে,
"তারা মুসল দিয়ে সংস্কার/ বিশুদ্ধ করবে
যেমন আপনি কুশ দিয়ে করেন।২৬
লক্ষ করুন, তারা সংস্কার/ বিশুদ্ধ করবে তাই তারা
হবে দূষিতকারী। যদি এটা ভুল অর্থে নিই
তাহলে অনেকটা এমন হবে যে, তারা
পরিস্কার করে তাই তারা অপরিস্কারকারী। এটা
শুধু ভুলই নয়, হাস্যকরও বটে।আর এখানে
স্পষ্ট 'মুসলেনৈব সংস্কার' অর্থাৎ 'সংস্কার'
শব্দটি উল্লেখিত হয়েছে। যেকোন
বোধসম্পন্য ব্যক্তিই বুঝবে যে এখানে -
যে দোষ সংস্কার বা বিশুদ্ধ করে সে। যে
দূষিত করে সে নয়।
প্রথমতঃ // তারা সকল প্রকার হালাল খাদ্য গ্রহন করবে,/// এখানে তথাকথিত হালাল খাদ্যের কোন কথা নেই । কারণ এর আগের শ্লোকেই বলা হয়েছে সর্বভূক হবে সে । আর সংস্কার বলা হয়েছে কারণ পিশাচ আগেই বলেছে সে ঈশ্বরের আজ্ঞায় এই ধর্ম পালন প্রচার করছে.... তাই তার দৃষ্টিতে এটা সংস্কার |আর মুসল হলে এক প্রকার দণ্ড |
মুসলের দ্বারা সংস্কার মানে সেই দণ্ড দ্বারা সংস্কার | সুতরাং সেই দণ্ড দ্বারা নিশ্চয়ই জোর করে ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হবেই | আর তারাই হবে মুসলমান !!
কাঠমোল্লা : তম্মান্মুসলবন্তো হি জাতয়ো ধর্ম্ম দূষকাঃ।
ইতি পৈশাচধমশ্চ ভবিষ্যতি ময়াকৃতঃ ।২৭\\"
অর্থঃ তারা হবে মিথ্যা ধর্মের সমালোচক
(দূষকা অর্থ আগেই দেখিয়েছি)
এভাবে মাংসভোজি ধর্ম প্রতিষ্টিত হবে
আমার দ্বারা।
সমীক্ষা :
//তারা হবে মিথ্যা ধর্মের সমালোচক
(দূষকা অর্থ আগেই দেখিয়েছি)// এই মিথ্যা ধর্ম শব্দের অনুবৃত্তি কি আকাশ থেকে পেয়েছেন ? আর পিশাচ এর অর্থ তো আগেই দেখেছি আমরা |
কাঠমোল্লা :
এরপর ইসলাম গ্রহণের নির্দেশ,কাঠমোল্লা :
ভবিষ্যপুরাণ প্রতিসর্গ পর্ব৩, খন্ড ১, অধ্যায়
৫, শ্লোক ৩৮-৪০,
মূল সংস্কৃত
অর্থঃ দূষন, অন্যায় অত্যাচারে কাশীসহ সাতটি
পবিত্রভুমি আক্রান্ত হবে কারন তারা দস্যু ও
পাপাচারি দ্বারা শাষিত হয়ে। কিন্তু ম্লেচ্ছদের
দেশে, ম্লেচ্ছ ধর্মের অনুসারিরা হবে
জ্ঞানী ও সাহসী। সকল প্রকার সৎ
গুনাবলী হবে তাদের মধ্যে এবং সকল
প্রকার খারাপ গুনাবলী হবে আর্যদের
মধ্যে। অতঃপর ভারত ও এর অঞ্চল তাদের
দ্বারাই পরিচালিত হবে। ইহা জ্ঞাত হয়ে হে
মুনি, তোমার ঈশ্বরের নাম মহিমান্বিত কর।
সমীক্ষা :
সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ! মোল্লা সংস্কৃত তুলে দিলেও বাংলা দেয়নি কারন শ্লোকে পুরো বিপরীত কথা আছে ।
মূল সংস্কৃতঃ
বাংলা শ্লোকঃ
যা পবিত্রা সপ্তপুরী তাসু হিংসা প্রবর্ততে ।
দস্যবঃ শবরা মিল্লা মূর্খা আর্যে স্থিতা নরাঃ । ।৩৮ । ।
=>> যা সাত পবিত্র পুরী বলে মানা হয় সেখানে হিংসা প্রবর্তিত হয়েছে । এই দেশে দস্যুগণ , শবর,মিল্লা মূর্খ মানুশ আছে
ম্লেচ্ছদেশে বুদ্ধিমন্তো নরা বৈ ম্লেচ্ছধমিনঃ ।
ম্লেচ্ছাধিনা গুণা সরবেহবগুণা আর্যদেশকে । । ৩৯। ।
=>>ম্লেচ্ছদেশে বুদ্ধিমান নরও ম্লেচ্ছের ন্যায় আচরণ করেন সমস্ত গুণ ম্লেচ্ছের অধীনে থাকে এবং এই আর্যদেশ অবগুণে ভরে গিয়েছে
ম্লেচ্ছরাজ্যং ভারতে চ তদ্বীপেষু স্মতং তথা ।
এবং জ্ঞাতা মুনিশ্রেষ্ঠ হরিং ভজ মহামতে । । ৪০ । ।
=>>ভারতে ম্লেচ্ছরাজ্য এবং তার দ্বীপগুলোতেও ম্লেচ্ছাচারে ভরে গিয়েছে হে মুনিশ্রেষ্ঠ মহামতি তাই আমাদের হরির ভজনা করা উচিৎ
তচ্ছ্র ত্বা মুনয় সর্বে রোদনং চক্রিরে বহু । । ৪১ । ।
=>> একথা শুনে মুনি সবাই অত্যন্ত রোদন করতে লাগলেন
এখানে কোথাও কোন ধর্ম গ্রহণের কথাই নেই ! বরং ম্লেচ্ছদের কথা বলা হয়েছে । মহামদ তো পৈশাচ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে এই পুরাণ অনুসারে । আর ম্লেচ্ছ ধর্ম যদি ভালই হত তবে সুত কেন হরির আরাধনা করতে বললেন ? আর মুনিরাই বা রোদন করতে লাগলেন কোন সুখে ?
ভবিষ্য পুরাণম্ - প্রতিসর্গ পর্ব খণ্ড ৩ , অধ্যায় ৩
[ সম্পূর্ণ অধ্যায় শ্লোকসহ বাংলা অনুবাদ ]
সূত উবাচ
শালিবাহনবংশে চ রাজানো দশ চা ভবন্ ।
রাজ্যং পঞ্চদশাব্দং চ কৃত্বা লোকান্তরং যযুঃ ।।১।।
=>> সূত বললেন - শালিবাহন বংশে ১০ জন রাজা ছিলেন । তারা ৫০০ বৎসর রাজ্য শাসন করে লোকান্তরিত (মৃত্যুবরণ করা) হন ।।১।।
মর্য্যাদা ক্রমতে লীনা জাতা ভূমণ্ডলে তদা ।
ভূপতিদশমো র্যো বৈ ভোজরাজ ইতি স্মৃতঃ ।
দৃষ্টা প্রক্ষীণমর্যাদাং বলী দিগ্বিজয়ং যযৌ ।।২।।
=>> তন্মধ্যে ১০ম ভূপতি (রাজা) ভোজরাজ স্মরণীয় । তিনি নিজবংশের ক্ষীণমর্যাদা দেখে দিগ্বিজয়ে গমন করেন ।।২।।
সেনয়া দশসাহস্ত্র্যা কালিদাসেন সংযুতঃ ।
তথান্যৈব্রাহ্মণৈঃ সার্দ্ধং সিন্ধুপারমুপাযযৌ ।।৩।।
=>>দশ সহস্র সেনার সাথে কালিদাস ও অন্য ব্রাহ্মণদের নিয়ে তিনি সিন্ধুতীরে গমন করলেন ।
জিত্বা গান্ধারজান্ ম্লেচ্ছানকাশ্মীরান্নারবাঞ্ছঠান্ ।
তেষাং প্রাপ্র মহাকোশং দণ্ডয়ো গ্যানকারয়ৎ ।।৪।।
=>> ম্লেচ্ছদের গান্ধার কাশ্মীর গান্ধার দেশ জয় করে দণ্ড প্রভূত কোশ(সম্পদ) প্রাপ্ত হন ।
এতস্মিন্নন্তরে ম্লেচ্ছঃ আচার্য্যেণ সমন্বিতঃ ।
মহামদ ইতিখ্যাত শিষ্য শাখা সমন্বিতঃ ।।৫।।
=>> এদিকে মহামদ নামে পরিচিত এক ম্লেচ্ছ আচার্য শিষ্যাদি দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল ।
নৃপশ্চৈব মহাদৈবম্ মরুস্থলনিবাসিনম্ ।
গঙ্গাজলৈশ্চ সংস্নাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিতৈঃ ।।
চন্দনাদিভিরভ্যর্চ্যৈ তুষ্টা মনসা হরম্ ।।৬।।
=>> নৃপ(রাজা ভোজ) মরুস্থলে নিবাসিত(বিরাজিত) মহাদেবকে গঙ্গাজল,পঞ্চগব্য,চন্দন দ্বারা স্নানপূর্বক অর্চনা করে মন(মহাদেবের) তুষ্ট করলেন ।
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থলনিবাসিনে ।
ত্রিপুরাসুরনাশায়ো বহুমায়াপ্রবর্তিনে ।।৭।।
ম্লেচ্ছৈগুপ্তায় শুদ্ধায় সচ্চিদানন্দরূপপিনে ।
ত্বং মাং হী কিং করং বিদ্বিশরণার্থমুপাগতম্ ।।৮।।
=>> ভোজরাজ বললেন -হে গিরিজানাথ,মরুস্থলনিবাসী,ত্রিপুরাসুরের নাশকারী ,বহুমায়ার প্রবর্তক, ম্লেচ্ছদের থেকে গুপ্ত, সচ্চিদানন্দরূপ আপনাকে নমস্কার । আমি আপনার শরাণগত হয়েছি ।আমি কি করব বলুন ।
সূত উবাচ
ইতি শ্রুত্বা স্তবং দেবং শব্দমাহ নৃপায়তম্ ।
গন্তব্যম্ ভোজরাজেন মহাকালেশ্বর স্থলে ।।৯।।
=>> সূত বললেন - এই স্তব শুনে দেবাদিদেব নৃপের পতি এই শব্দ বললেন - রাজা ভোজ !তুমি মহাকালেশ্বর স্থানে যাও ।
ম্লেচ্ছৈঃ সুদূষিতা ভূমির্বাহীকা নাম বিশ্রুতা ।
আর্য্যধর্মো হি নৈবাত্র বাহীকে দেশ দারুণে ।।১০।।
=>> বাহিক নামক ভূমি ম্লেচ্ছ কর্তৃক দূষিত হয়েছে ।সেই ভয়ানক বাহীক দেশে আর্যধর্ম নেই ।
বহুবাত্র মহামায়ী যোহসৌ দগ্ধৌ ময়া পুরা ।
ত্রিপুরো বলিদৈত্যেন প্রেযিতঃ পুনরাগতঃ ।।১১।।
=>> বহুআগে যে মহামায়ী(মহামায়াবী) ত্রিপুরকে আমি দগ্ধ করেছিলাম সে বলি দৈত্য কর্তৃক প্রেরিত হয়ে পুনরাগমন করেছে ।
অযোনি স বর মত্তঃ প্রাপ্তবান্দৈত্য বর্দ্ধণঃ ।
মহামদ ইতি খ্যাতঃ পৈশাচকৃতিতৎপরঃ ।।১২।।
=>> ব্রহ্মা হতে প্রাপ্ত বর হয়ে উন্মত্ত সেই দৈত্য যে মহামদ নামে পরিচিত সে পৈশাচ কর্মে তৎপর হয়েছে ।
নাগন্তব্যং ত্বয়া ভূপ পৈশাচে দেশধূর্তকে
মৎপ্রসাদেন ভূপাল তবশুদ্ধিপ্রজায়তে ।।১৩।।
=>>ভূপ(ভূপাল=রাজা) তোমার সেই পৈশাচ ধূর্ত দেশে যাওয়া উচিত হবেনা ।ভূপাল, আমার প্রসাদে তুমি এখানেই শুদ্ধ হবে ।
ইতি ভূ ত্বাননৃপশ্চৈব স্বদেশান পুনরাগমৎ ।
মহামদশ্চ তৈঃ সার্দ্ধং সিন্ধুতীর মুপাযয়ৌ ।।১৪।।
=>>একথা শুনে রাজা স্বদেশে পুনারাগমন করলেন । এদিকে মহামদ সিন্ধুপারে এল ।
উবাচ ভূপতি প্রেম্না মায়ামদ বিশারদঃ ।
তব দেবৌ মহারাজ মমদাসত্বমাগতঃ ।।১৫।।
=>>মহামদ প্রেমপূর্বক ভূপতিকে বললেন - তোমার দেব আমার দাসত্ব প্রাপ্ত হয়েছে ।
মমোচ্ছিষ্টং সম্ভুন্জীয়াদ্যাথা তৎপশ্য ভো নৃপ ।
ইতি শ্রুত্বা তথা দৃষ্টা পরং বিস্ময়মাগতঃ।।১৬।।
=>>দেখ , সে আমার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করেছে । একথা শুনে তাকে দেখে নৃপ পরম বিস্মিত হলেন ।
ম্লেচ্ছধর্মে মতিশ্চাসীত্তস্য নৃপস্য দারুণে।।১৭।।
=>> ম্লেচ্ছ ধর্মে তিনি মতি করার জন্য তিনি চিন্তা করলেন ।
তচ্ছ্র ত্বা কালিদাসস্তু রূষা প্রাহ মহা সদম্ ।
মায়া তে নির্মিতা ধূর্তে নৃপামোহনহে তবে ।।১৮।।
=>>একথা শুনে কালিদাস রূষ্ট হয়ে বললেন এই ধূর্ত মায়া নির্মাণ করে নৃপকে মোহিত করেছে ।
হনিষ্যামি দুরাচারংবাহীকং পুরুষাধমম্ ।
ইত্যুক্ত্বা স দ্বিজঃ শ্রীমান্নবাণ জপতৎ পরঃ ।।১৯।।
=>>আমি সেই দুরাচারী বাহীকবাসী পুরুষাধমকে হত্যা করব ।তারপর সেই দ্বিজ শ্রীমান্নবাণ মন্ত্র জপতে লাগলেন ।
জপ্তা দশসহস্রং তদ্দশাংশং জুহাভ সঃ ।
ভস্ম ভূত্বা স মায়াবী ম্লেচ্ছ দেবত্বসমাগতঃ ।।২০।।
=>>দশ সহস্রবার জপ এবং তার দশভাগ হবন করলেন । তখন সেই মায়াবী ম্লেচ্ছ ভস্মীভূত হয়ে ম্লেচ্ছদের দেবত্ব (প্রভুত্ব) প্রাপ্ত হল ।
ভয়ভীতাস্তু তচ্ছিষ্যা দেশং বাহিকমাময়ু ।
গৃহীত্বা স্বগুরোর্ভস্ম মদহীনত্বসাগতম্ ।।২১।।
=>>তাঁর(মহামদের)শিষ্যগণ ভয়ভীত হয়ে নিজগুরুর ভস্ম নিয়ে বাহিক দেশে মদহীনায়(মদিনা) চলে গেল ।
স্থাপিতং তৈশ্চ ভূমধ্যে তত্রোযুর্মদতৎপরাঃ ।
মদহীনং পুরং জাতং তৈষাং তীর্থং সমংসমৃতম্ ।।২২।।
=>>ভূমধ্যে সেই ভস্ম স্থাপন করে তারা মদহীনা পুর (মদিনা) নামক তীর্থ তৈরি করল ।
রাত্রৌ স দেবরূপশ্চ বহুমায়াবিশাপদঃ ।
পৈশাচং দেহসাস্থায় ভোজরাজং হি সোৎব্রবীৎ ।।২৩।।
=>>রাত্রে সেই দেব বহুমায়াবিশারদ পৈশাচ দেহ ধারণ করে ভোজরাজার কাছে এসে বলল- হে রাজন্ !
আর্যধর্মো হি তে রাজন্ সর্বধর্মোত্তমঃ স্মৃতঃ ।
ঈশাজ্ঞয়া করিষ্যামি পৈশাচং ধর্মদারুণম্ ।।২৪।।
=>>তোমার আর্যধর্মই সর্বোত্তম । আমি কেবল ঈশ্বরের আজ্ঞায় ভয়ানক পৈশাচ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করব।
লিঙ্গচ্ছেদী শিখাহীনঃ শ্মশ্রুধারী স দূষকঃ ।
উচ্চালাপী সর্বভক্ষী ভবিষ্যতি জনো মম ।।২৫।
করিষ্যামি পৈশাচং ধর্মদারুণম্ ।।২৪।।
=>>তারা লিঙ্গছেদী,শিখাবিহীন, শ্মশ্রুধারী ,দূষক ,উচ্চালাপী ,সর্বভক্ষক হবে আমার দ্বারা ।
বিনা কৌলং চ পশবস্তেষাং ভক্ষ্যা মত্তা মম ।
মুসলেনৈব সংস্কারঃ কুশৈরির ভবিষ্যতি ।।২৬।।
তস্মান্মুসলবন্ডো হি জাতয়ো ধর্মদূষকাঃ
ইতি পৈশাচধর্মশ্চ ভবিষ্যতি ময়াকৃতঃ ।।২৭।।
=>> কৌল না হয়েও সমস্ত পশু আমি ভক্ষণ করব । কুশের দ্বারা সংস্কার করার ন্যায় মুসল(মুষল) বারা সংস্কার থেকে মুসলমান নামক ধর্মদূষক পৈশাচধর্মাচারী জাতির আমার দ্বারা উদ্ভব হবে ।
[1.कौल =Kaul from Mahakaul
One says that it is associated with the word Mahakaul, an epithet for Shiva. Shiva followers were thus called Kaula.Kaul therefore means a devotee of Shiva.
Kaul/Koul from Shakta worshipAnother states that since the Saraswat Brahmins of Kas'mira were believers in Shaivism and Shakta, the peak of Shaivism in Kashmir around the 9th century ~ 12th century gave rise to use of the name.This has led many scholars to believe that almost all Kashmiri Pandits were Kauls/Koul and they were later subdivided into different nicknames, & with the passage of time these nicknames became surnames. In recent years the use of the nicknames is being progressively discarded and surname Kaul/Koul is being adopted by almost all such people. The word Kaul/Koul is associated with being an aghoreshwara or enlightened. The practitioners (sadhaks) of the Tantra, associated with Shakti worship, are believed to reach the top of the spiritual ladder, and thus become a Kaul/Koul
Source : Wikipedia]
ইত্যুক্তা প্রমযৌ দেবঃ স রাজা গেহমায়য়ৌ ।
ত্রিবর্ণে স্থাপিতা বাণী সাংস্কৃতী স্বর্গদায়িনা ।।২৮।।
=>>একথা রাজাকে বলে সেই মায়াবী চলে গেল । রাজা নিজ দেশে ফিরে এসে স্বর্গ প্রদায়ক সংস্কৃতভাষা ত্রিবর্ণে স্থাপন করলেন ।
শূদ্রেষু প্রাকৃতীভাষা স্থাপিতাতেন ধীমতা ।
পশ্চাশদব্দকালম্ তু রাজ্যং কৃত্বা দিবং গতঃ।।২৯।।
=>>তিনি শূদ্রের জন্য প্রাকৃত ভাষা স্থাপন করলেন । অতঃপর ৫০ বৎসরকাল রাজত্ব করে দিব্যলোকে গমন করলেন ।
স্থাপিতা তেন মর্যাদা সর্বদেবোপমানিনী ।
আর্যাবর্তঃ পুণ্যভূমিমধ্যং বিন্ধ হিমালয়োঃ ।।৩০।।
=>>বিন্ধ্য হিমালয় পর্যন্ত তিনি সর্বদেবমান্যকারী আর্যাবর্ত নামক মর্যাদাপূর্ণ পুণ্যভূমি স্থাপন করলেন ।
আর্যাবর্ণা স্থিতাস্তত্র বিন্ধ্যান্তে বর্ণসংকরাঃ ।
নরা মুসলবন্তোশ্চ স্থাপিতাঃ সিন্ধু পারজাঃ ।।৩১।।
=>>বিন্ধ্যের পশ্চাতে বর্ণসংকর উতপন্ন হল , মুসলমানগণ সিন্ধুতীরে স্থাপিত হল ।
বর্বরে তুষদেশে চ দ্বাপো নানাবিধে তথা ।
ঈশামশীহ ধর্মাশ্চ সুরৈঃ রাজ্ঞৈব সংস্থিতা ।।৩২।।
=>>বর্বর,তুষ দেশ সহ নানা দেশে দেবতা ও রাজার [প্রভাব/মহিমার] ন্যায় ঈশামশীহ ধর্ম স্থাপিত হতে লাগল ।
সত্যমেব জয়তে !
মুহাম্মদ সঃ এর ভবিষ্যদ্বানীঃ অসুর নাকি মহামানব ? Br Rahul Hossain
ReplyDeleteমূলত ভবিষ্যপুরানের প্রতিস্বর্গ পর্ব ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ৩, শ্লোক ৫-২৭
"নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম”
নৃ বা রাজা সেই মরুস্থলবাসী সেই মহাদেব এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
গঙ্গ জলৈশ্চ সংস্নাস্থ পন্চগব্য সমন্বিতৈঃ।
চন্দনাদিভিরভতর্চ্য তুষ্টাব মনসা হরম।
। তাকে গঙ্গাজল দ্বারা স্নান করাইয়া পন্চগব্যযুক্ত চন্দনাদি দ্বারা ভক্তি বন্দনা করিয়া তাকে তুষ্ট করবেন।
" উল্লেখ্য এখানে কিন্তু মহাদেব মানে শিব না।এখানে মুহাম্মদকে মহাদেব বলা হয়েছে। সংস্কৃততে দেব অর্থ
স্বর্গীয় সত্তা,ডিকশনারীতে প্রথম যে অর্থ পাওয়া যায় তা হচ্ছে देव= "heavenly, divine, anything of
excellence,
তাহলে মহাদেব অর্থ দাঁড়ায় মহান যে স্বর্গীয় সত্তা।আর এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে ‘মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম’
অর্থাৎ মরুস্থল নিবাসী সেই স্বর্গীয় সত্তা। শিব কিন্তু মরুভুমিতে থাকে না।
অতএব এখানে আমরা দেখতে পেলাম মহাম্মদকে বলা হচ্ছে, আচার্যেন বা মহত জ্ঞান গুনের সমন্বিত, সাহাবি
সমেত, মহান আত্তা, রাজা তার স্তুতি করবে এবং পঞ্চগভ্য দ্বারা গোছল করাবেন।{পঞ্চগভ্য দ্বারা গোছল দ্বারা
বুঝায় যে পাক ও পবিত্র হওয়া}
মহাম্মদ ত্রিপুরাসুর নাকি ত্রিপুরাসুর নাশক ?
শ্লোক ৭ ও ৮ এর মুল সংস্কৃত,
নমস্থে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
ত্রিপুরাসুরনাসায় বহুমায়া প্রবর্তিনে" "
ম্লেচ্ছৈগুপ্তায় শুদ্ধায় সাচ্চিদয়ানন্দ রুপাইন।
ত্বং মাং হি কিংকর বিদ্ধি শরনার্থ মুপাগতম।
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
সেই মরুস্থলবাসীকে শ্রদ্ধা নিবেদন যে মানবজাতির গর্ব, এখানে মহামদকে বলা হচ্ছে, গিরিজানাথ বা মানব
জাতির গর্ব। এরপরই বলা ,
ত্রিপুরাসুরনাসায়া বহুমায়া প্রবর্তিনে,
অর্থঃ ত্রিপুরাসুরকে নাশ করে সে বহুমুখি জ্ঞান,বুদ্ধি বা উপায় দ্বারা।
খেয়াল করুন, এখানে স্পষ্টভাবে তাকে বলা হয়েছে,ত্রিপুরাসুর নাশায়া, অর্থাৎ সে ত্রিপুরাসুরকে নাশ করে।
আর হিন্দুরা কি করে ,এখানে নাশায়া শব্দটা বাদ দিয়ে তাকেই ত্রিপুরাসুর বানিয়ে দেয়। চিন্তা করুন কি বিরাট
মিথ্যাচার। আর এখানে বহুমায়া প্রবর্তিনে অর্থ বহু জ্ঞান বা উপায় দ্বারা, মায়া শব্দটা এসব হিন্দুরা ভুল অর্থে
নিতে চায়, অথচ মায়া শব্দের আরেক অর্থ হচ্ছে জ্ঞান বা Wisdom (Monier Williams Sanskrit-English
Dictionary)
ঋগবেদ ১/১১/৭ এ ইন্দ্রকেও মায়াবী বলা হয়েছে,
অর্থাৎ এখানে মহামদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বলা হয়েছে সে মরুস্থলবাসী ও মানব জাতির গর্ব, এবং সে
বহুমুখি জ্ঞান ও উপায় দ্বারা ত্রিপুরাসুর(শয়তান) কে নাশ করে
কাবার মধ্যে শিবলিঙ্গ আছে তাকেই মহাদেব বলা হয়েছে। আর
Deleteসঠিক বলেছেন
Deleteসঠক বলছেন....
Deleteহিন্দু ধর্মগ্রন্থে মুহাম্মাদ সাঃ বিষয়ক একটা ভবিষ্যত বাণী।
ReplyDeleteলেখকঃ ডঃ বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়।
=======================
রিগবেদ ৫ম মন্ডল, ২৭ সুক্ত, ১ম মন্ত্রে বলা হয়েছেঃ
"অনস্বন্ত সতপতির্মামহে মে গাবা চেতিষ্ঠোঅসুরো মঘোনঃ
ত্রৈবৃষ্ণো অগ্নে দশভিঃ সহস্রৈর্বৈম্বানর ত্র্যরুণ শ্চিকেত।।"
অর্থঃ"চক্রবিশিষ্ট যানের অধিকারী (উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন) সত্যবাদী ও সত্যপ্রিয়, চরম জ্ঞানী, শক্তিশালী ও মুক্তহস্ত মামহ আমাকে তাঁহার বাণী দ্বারা অনুগ্রহ করিয়াছেন। সর্বশক্তিমানের পুত্র, সকল সর্বগুণের অধিকারী, নিখিল বিশ্বের হিতকারী দশ হাজার অনুচরসহ বিখ্যাত হইবেন।"
রিগবেদ ১ম মন্ডল, ১০৯ সুক্ত, ২য় মন্ত্রে একটি নতুন স্তোত্র রচনার উল্লেখ আছে, জামাত ও #সালাত দুটি অজ্ঞাত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যাহার অর্থ নির্ণয়ে সায়ণ ও যাস্কের মধ্যে মতভেদ দৃষ্ট হয়। মন্ত্রটি হলঃ
"অশ্রবং হি ডুরিদাবত্তরা বাং বিজামাতুরুত বা ঘা স্যালাত।
অথা সোমস্য প্রযতী যুবভ্যামিন্দ্রাগ্নীয় স্তোমং জনয়ামি নব্যং।।
অর্থঃ" হে ইন্দ্র ও অগ্নি! জামাত বা সালাত অপেক্ষাও অধিক বহুবিধ ধন দান কর, এইরুপ শুনছি। অতএব হে ইন্দ্র ও অগ্নি! আমি তোমাদের সোম প্রদানকালে পঠনীয় একটি নতুন স্তোত্র রচনা করছি।"(রিগবেদ ১ম মন্ডল,১০৯ সুক্ত,২য় মন্ত্র)।
সায়ণ জামাত এর অর্থ করিয়াছেন গুণবিহীন জামাত কন্যা লাভের জন্য কন্যাকর্তাকে অনেক ধন দান করিয়া। কিন্তু যাস্ক বলেন, জামাতা=জা অর্থে অপত্য, তার নির্মাতা। অনুরুপভাবে সায়ণ সালাত অর্থ শ্যালক করিয়াছেন। কিন্তু যাস্কের মতে স্যালাত অর্থ কুলের খৈ। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, শব্দ দুটিকে সংস্কৃত শব্দ হিসাবে বিবেচনা করলে সঠিক অর্থ নির্ণয় করা সম্ভব হয়না, ফলতঃ উহারা বিদেশী শব্দ। আমরা দেখতে পাই যে, আরবী ভাষায় সালাত অর্থ নামাজ এবং জামাত অর্থ সমবেতভাবে নামাজ আদায় করা। আরও প্রণিধানযোগ্য যে, এখানে যজ্ঞে নতুন স্তোত্র রচনা ও পাঠ করার উল্লেখ আছে। অথচ যে কেউ ইচ্ছামত যজ্ঞের মন্ত্র রচনা করে পড়তে পারেনা। শাস্রই মন্ত্র রচনা করে নির্দিষ্ট করে দেয় কোথায় কোন মন্ত্র পাঠ করতে হবে। মন্ত্রে উল্লেখিত রিষিগণের মধ্যে একমাত্র মামহ নতুন রিষি, অন্যরা প্রাচীন। অতএব সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নতুন রিষি মামহ আবির্ভূত হয়ে নতুন স্তোত্র রচনা করবেন। এখন বেদের বিভিন্ন স্থানে মামহ রিষির যে সকল লক্ষণ প্রদান করা হয়েছে তা একত্র করলে দেখা যায় যে-
(১) মামহ মরুস্থলবাসী উষ্ট্রারোহী হবেন।(অথর্ব বেদ ২০ম মন্ডল, ৯ম অনুবাক, ৩১ সুক্ত)
(২) মামহ দশ হাজার অনুচরসহ বিখ্যাত হবেন।(রিগবেদ ৫ম মন্ডল, ২৭ সুক্ত)
(৩) মামহ এর যুগে বেদ ছাড়া অন্য স্তোত্র রচিত হবে ও যজ্ঞে পঠিত হবে।(রিগবেদ ১ম মন্ডল, ১০৯ সুক্ত)।
মামহ মহাপুরুষ আর্য জাতি বহির্ভূত মরুনিবাসী উষ্ট্রারোহী হবে। কারণ মনু সংহিতা মতে আর্য জাতির জন্য উটের দুধ পান নিষিদ্ধ (মনু ৫ঃ৮)। উটের মাংস খেলে অপকৃচ্ছ প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে(১১ঃ১৫৭)। আর উটে চড়িলে প্রাণায়াম শাস্তিযোগ্য পাপ হবে(মনু ১১ঃ২০২)।
আর্য রিষিগণের মধ্যে কেউ দশ হাজার অনুচরসহ বিখ্যাত হন নাই এবং বেদ ব্যতীত নতুন স্তোত্র রচনা করে যজ্ঞে পাঠ করার নির্দেশও দেননি।
পক্ষান্তরে মুহাম্মাদ সাঃ আরব দেশের মরুস্থলবাসী ও উষ্ট্রারোহী ছিলেন। তিনি ঐতিহাসিক মক্কা অভিযানে দশ হাজার অনুচরসহ বিজয় লাভ করে পৃথিবী খ্যাত হন এবং তাঁর উপর কুরান নামক নতুন স্তোত্র অবতীর্ণ হয়, যা প্রতিটি নামাজ ও বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানে পাঠ করা আবশ্যিক করা হয়েছে। নামাজে কুরান পাঠ না করলে নামাজই হবেনা।
স্বনামধম্য ঐতিহাসিক Washington Irvintg তাঁর রচিত Life of Muhammad নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন "The prophet Muhammad departed with ten thousand men on this momentous enterprise. " অর্থাৎ নবী মুহাম্মাদ সাঃ দশ হাজার শিষ্যসহ এই দুঃসাহসিক অভিযানে (মক্কা বিজয়ে) বহির্গত হন(page 17)। সুতরাং আরব মরুদেশ নিবাসী উষ্ট্রারোহী, নতুন স্তোত্র পাঠকারী ও দশ হাজার অনুচরের নেতা হযরত মুহাম্মাদ সাঃ যে সেই রিষি ইহা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
[অগ্নি অর্থঃ বেদে উল্লেখিত অগ্নি বলতে কোনো বস্তুগত অগ্নি নয় বরং উহা গুনগত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। শ্রী বিজন বিহারী গোস্বামী মহাশয় শুক্ল যজুর্বেদ ৩য় অধ্যায় ১৩ সুক্তের টিকায় লিখেছেন,"যিনি অগ্রে নিয়া যায় তাহাকে অগ্নি বলে।" শ্রী পরিতোষ ঠাকুর মহাশয় সামবেদের ভূমিকায় বলিয়াছেন,"তিনি অগ্নিযুক্ত বা গতিযুক্ত হইয়া তাঁহার বৃদ্ধিকে আগাইয়া নিয়ে যাইতে থাকেন। তাই তিনি হইলো অগ্নি।" পুনরায় তিনি সামবেদের ১২৭৯ সুক্তের অর্থে অগ্নিগণ বলিতে রশ্নিগণ লিখিয়াছেন। দুঃখের বিষয় পরবর্তী যুগে মানুষ বেদের নিরাকার ব্রহ্মাকে বিকৃত করিয়া বস্তু পূজা আরম্ভ করে, তখনই বেদের ভাবগত ও আধ্যাত্নগত বর্ণনাগুলিকেও বস্তুবাদিতার রুপ দিয়া বেদভাষা হইতে সংস্কৃতে অনুবাদ করা হয়।]
মাগনা ওয়েবসাইট খুলে একটা আর্টিকেল লেখলেই সত্য হয়ে যাবে আপনার কথা? আপনাদের ধর্ম গুরু শ্রী শ্রী রবি শংকর যদি মেনে নিতে পারে তবে আপনার কি সমস্যা? নিশ্চই তিনি আপনার থেকে বেশি জ্ঞাত?
ReplyDeleteএই বেশ্যা মাগির ছেলে তোকে এই পেইজে এসে তোর বেশ্যা খোর মার্কা, জাউরা চোদা মার্কা কথা কে চোদাইতে বলছে ?
Deleteঅন্য ধর্মের বেশ্যা মাগি, নটি মাগির ছেলেরা আমার ধর্ম নিয়ে নিজের মাগনা মাগি খোর মার্কা মনগড়া ভিত্তিহীন জাউরা চোদা, বাল মার্কা কথা বলবে ; আর সেসব বেশ্যা মার্কা ফালতু কথাগুলো শুনতে হবে বুঝি !!!!?
রবি শংকর একজন যোগ গুরু ।
কোনো ধর্ম গুরু নন ।
ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখ জারজ মাগির ছেলে ।
শাস্ত্র সর্বাগ্রে ; কোনো ব্যক্তির নিজস্ব মনগড়া মতামত বা বিশ্বাস মানবো কেনো ?
জানোয়ার খানকি মাগির ছেলে তুই এখানে এসে তোর নটি মার্কা কথা চোদাচ্ছিস কেনো ।
জারজ ম্লেচ্ছ কুত্তার বাচ্চা ।
খানকির ছেলে ; চোদা তোর আম্মার ভোদা নিয়ে ।
আবার সেধে এসে মাগনা চোদাচ্ছিস !!!
বেশ্যা মাগি, নটি মাগি, খানকি মাগি, জারজ মাগির ছেলে তুই ; তোকে কমেন্টে চোদাইতে বলছে কে খানকির ছেলে ?
ভাগ । সোনাগাছির পতিতা মাগির সন্তান ।
আসলেই মুগ্ধ হলাম ভাষায় । হিন্দু ধর্ম কি আপনাকে এটাই শিখায় যে, অন্যকে এ রকম ভাষায় গালি দিন । আমি জানিনা যে আপনাদের ধর্ম এই রকম ভাষার চয়নকে support করে কিনা কিন্তু আমাদের ধর্মে যারা এই রকম ভাষা ব্যবহার করে তার স্থান একটাই আর তা হল জাহান্নাম । আমাদের ধর্মের ভিত্তি আছে, প্রমাণ আছে যা বাইবেলের শত শত verse থেকে প্রমাণ করা যায় । আপনাদের ধর্মের ভিত্তি জানি কি? যখন মানুষ যুক্তি দিতে পারেনা তখন এই রকম কুরুচিপূর্ণ ভাষার ব্যবহার করে ।
Deleteহাট বেশ্যার সন্তান । তোর মাকে চুদি ।
Deleteতোর জ্ঞানের মাকে চুদি । পতিতা মাগির সন্তান ।
তোরা কোনো জন্তুর বাচ্চার মধ্যে পড়িস ?
বেশ্যা নটি চুদার বাড়া । তোর মুখে মুতি । বেশ্যা নটি মাগির বেজন্মা জাত । তোদের কোনো অস্তিত্ব আছে ?
তোরা মানুষ ?
তোদের আবার যুক্তি চুদাইতে যাব !!!
তোরা জন্ম থেকেই খানকি চুদা ।
তোদের ধর্ম হলো
বারো ভাতারি মাগি মার্কা ।
ব্যবহারের কথা চুদাস !!
তোর ধর্ম আর তোর মাকে,তোদের ধর্মের গুষ্ঠিকে চুদি ।
তোদের কাল্পনিক চরিত্র হীন জাহান্নামে যেয়ে তোর মাকে আর তোদের ধর্মের মাকে সহ চুদে আসবো ।
জাহান্নাম চুদাইতে আইছে ।
মাগির সন্তান । চোদা এখান থেকে ।
জারজ বেজন্মার জাত ।
তোদের ধর্মই তো পিতৃ পরিচয়হীন জারজ বেজন্মা ।
তোদের কোনো কিছুর কিঞ্চিত পরিমানও অস্তিত্ব নেই ।
আবার নাটক চুদাইতে আইছিস এখানে ।
হাট তোর ধর্মের মুখে ঝাটার বাড়া ।
খানকির পোলা । বেশ্যার জারজ চুদা মাগির সন্তান ।
কিঞ্চিত পরিমাণে কোথাও কোনো অস্তিত্ব নাই ; আবার সেধে তোর মাকে আর তোর ধর্মের মাকে চুদাইতে আইছিস ।
চুদা তোর আম্মার গুদ নিয়ে ।
নটি মাগির জাত ।
আমার পবিত্র ধর্মের কিঞ্চিত পরিমানও প্রয়োগ তোদের মতো অস্তিত্বহীন ভিত্তিহীন বেজন্মা বেশ্যার জাতদের এবং তোদের বেশ্যা খোর মার্কা বেজন্মা নিকৃষ্ট ধর্মের ওপর করবো না কখনও ।
তোদের মাকে চুদি ।
তোদের ধোনের ধর্মের মুখে মুতি ।
মাগির পোলা তোর মায়ের গুদে আর তোর কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার গুদে ভরে দিবো প্রমাণ । খানকি বেশ্যা নটি মাগির পিতৃহীন সোনাগাছিতে চোদানো অপবিত্র সন্তান ভাগ এখান থেকে ।
তোর মায়ের গুদে ধোন ভরি ।
খুব লেগেছে না!!!😂😂😂😂😂😂
Deleteদাদা ভবিষ্য পুরানেই তো শেষের দিকে শিবকে ত্রিপুরাসুর নাশায়া বলা হয়েছে...
ReplyDeleteধন্যবাদ আপনাদের। এভাবেই অন্যদের কালিমা লিপ্ত করতে আসলে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
ReplyDeleteপৈশাচ ধর্ম প্রতিষ্ঠা অর্থ কিভাবে আসল। ওখানে দারুনাম বলছিল যার অর্থ প্রতিষ্ঠা না। এর অর্থ সম্ভবত শক্ত করা। দারু এর অর্থ আমি পেয়েছি শক্ত। অর্থাৎ পৈশাচ ধর্ম শক্ত করবেন।
ReplyDeleteসম্পূর্ণ ভবিস্য পুরাণ ১৯ শতকের কিছু রামছাগল ব্রাহ্মণ দ্বারা লেখা। অন্তত প্রতিসর্গ পর্বতো বটেই। হাইস্যকর বিষয় এই যে ইসলাম আর খ্রিষ্টান ধর্মের মধ্যে এতো মিল থাকা সত্ত্বেও খ্রিস্টান ধর্মকে ভালো ও ইসলাম ধর্মকে খারাপ বলা হয়েছে। বিষয়টা স্বাভাবিক ১৯ শতকে ভারতে ব্রিটিশরা রাজ করত। সেই সময় যদি এইসব বলা হয় তাহলে ব্রাহ্মণদের মুন্ড আর থাকত তাই তারা খ্রিস্টান ধর্মের প্রশংসা আর ইসলাম ধর্মের ব্যাঙ্গ করে। ছাগলরা আবার পাস্ট টেন্সে গল্প লেখছে। প্রতিসর্গ অধ্যয় কিন্তু প্রতিসর্গ নিয়ে কিছু নেই।
ReplyDeleteপুরোটাই ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া hoyeche
ReplyDeleteekhaner manusher eto baje baje kotha keno Admin delet kore dey na?
ReplyDeletesokal bela egulo o porte holo
kono keu na hoy dabi koreche j Muhammad(SAW) e kolki obotar
aapnara o palta proman diye bujhiye na hoy dilen e j asole bisoyti serokom na
keu onner dhormo k gali debe eta o Islam support kore na
j ta korbe se o dosi kintu tar doser jobab ovabe dite hoy??
Naujubillah
sob dekhe mone hoy page er creator hindu
ta dada aapnar dhormo jodi ota support na kore tahole doya kore delet kore deben
r chi chi
erokom baje kotha jibone suninai
sudhu etuku e bolar j aapni proman ki promanhin ta diye amar kaaj na
Hazrat Muhammad(SAW) er jiboni paarle pore dekhben aapni e akrishto hoye jaben
bisoyta jemon amar dekhe kharap lagteche temon hasi pacche
hinduder erokom vabtam na dada age
kintu poristhiti ja ingit dicche
jacche tai
Islam er sason prithibi theke utheche 100 bochor
ei 100 bochore e eto odhopoton?
na jani r o koto kichu dekhte hobe
o ha r ekti kotha
Deletenichu loker prodhan hatiyar hocche oshlil bakko
asa kori ektu mogoj sroshta oi nosto ta k diyechen
dada
ReplyDeletepdf passi na link den bhabisso puraner