নাসদাসীন্নো সদাসীত্তাদানীং নাসীদ্রজো নো ব্যোমা পরো যৎ।
কিমাবরীবঃ কূহ কস্য শর্মন্নম্ভঃ কিমাসীদগহনং গভীরম্।।১।।
সরলার্থঃ এই জগৎ উৎপন্ন হবার পূর্বে না অসত ছিলো, না সৎ ছিলো , না ছিলো নানা লোক, না পরম আকাশ ছিলো যাহা পর [ তাহাও ছিলো না] কোন পদার্থ সবার চারপাশে ঘিরে ছিলো? এই সব কোথাই ছিলো? কাহার আশ্রয়ে ছিলো? কি ছিলো হন এবং গভীর সমুদ্র জলরাশী কোথাই ছিলো?।।১।।
ন মৃত্যুরাসীদমৃতং ন তর্হি ন রাত্যা অহ্ন আসীৎ প্রকেতঃ।
আনীদবাতং স্বধয়া তদেকং তস্মাদ্ধান্যন্ন পরঃ কিংচনাস।।২।।
সরলার্থঃ সেই সময় মৃত্যু ছিলো না এবং সেই সময় অমৃতও ছিলো না [অর্থাৎ জীবনের সত্তা এবং জীবনের লোপ দুই ছিলো না] না রাত্রীর জ্ঞান ছিলো না দিনের জ্ঞান ছিলো [সেই তত্ত্বের স্বরূপ] প্রাণশক্তিরূপে ছিলো,পরন্তু স্থূল বায়ু ছিলো না এই এক জগৎ কে ধারনকারী নিজ শক্তি দ্বারা যুক্ত ছিলো তাহা ভিন্ন অন্য কোন কিছু ছিলো না।।২।।
তম আসীত্তমসা গূঢমগ্রে প্রকেতং সলিলং সর্বমা ইদম।
তুচ্ছ্যেননাভ্বপিহিতং যদাসীত্তপসস্তন্মহিনা জায়তৈকম।।৩।।
সরলার্থঃ সৃষ্টির পূর্বে অন্ধকার ছিলো, এই সব অন্ধকার দ্বারা ব্যাপ্ত ছিলো কোন বিশেষ জ্ঞানযোগ্য ছিলো না এক ব্যাপক গতিমত তত্ব ছিলো তাহা এই সমস্তকে ব্যাপিয়া ছিলো। যাহা ছিলো তাহা সুক্ষরুপে চারিদিকে আবৃত করে ছিলো তাহা তপের মহান সামর্থ দ্বারা এক বস্তুর উৎপন্ন হলো।। ৩।।
কামস্তদগ্রে সমবর্ত্ততাধি মনসো রেতঃ প্রথমম যদাসীৎ।
সতো বন্ধুমসতি নিরবিন্দহৃদি প্রতীষ্যা কবয়ো মনিষা।।৪।।
সরলার্থঃ সৃষ্টির পূর্বে মন হতে উৎপন্ন কামনার ন্যায় এক ইচ্ছাশক্তি সর্বত্র ব্যপ্ত ছিলো যা সবার প্রথমে এই জগতের প্রারম্ভিক বীজবত ছিলো। ক্রান্তদর্শী পুরুষ হৃদয় মধ্যে পুনঃ পুনঃ বিচার করে অপ্রকট তত্ব মধ্যে সৎরূপ প্রকটরূপ তত্ত্বকে বন্ধনকারী বল নিরূপন করেন।। ৪।।
তিরশ্চীনো বিততো রশ্মিরেষামধঃ স্বিদাসী৩দুপরি স্বিদাসী৩ৎ।
রেতোধা আসন্মহিমান আসনস্ধা অবস্তাৎপ্রয়তিঃ পরস্তাৎ।।৫।।
সরলার্থঃ এই কারন তত্বের রশ্মি চারিদিকে বিস্তৃত হলো নিচের দিকের হলো উর্ধ্বে হলো [তাহার মধ্যে] "রেতস" কে ধারকারী তত্ত্ব ছিলো মহান সামর্থবানও ছিলো প্রকৃতি নিচে এবং পরমেশ্বরের প্রযত্ন তাহার উপরে।। ৫।।
কো অদ্ধা বেদ ক ইহ প্র বোচৎ কুত আজাতা কুত ইয়ং বিসৃষ্টিঃ।
অর্বাগদেবা অস্য বিসর্জনেনাথ কো বেদ যত আবভূব।। ৬।।
সরলার্থঃ সঠিক কে জানতে পারে? এই বিষয়ে কে প্রবোচন বা উপদেশ করতে পারে? এই সৃষ্টি কোথা থেকে প্রকট হয়েছে? কোথা থেকে এই বিবিধ সৃষ্টি হয়েছে? বিদ্বান ও ইন্দ্রীয় আদি এই জগতের রচনার পশ্চাৎ হয়েছে অতঃপর ইহার মধ্যে কে জানে যাহার দ্বারা এই জগৎ উৎপন্ন হয়েছে।।৬।।
ইয়ং বিসৃষ্টির্যত আবভূব যদি বা দধে যদি বা ন।
যো অসাধ্যক্ষঃ পরমে ব্যোমন্তসো অঙ্গং বেদ যদি বা ন বেদ।।৭।।
সরলার্থঃ এই বিবিধ সৃষ্টি যাহার দ্বারা উৎপন্ন হয়েছে অথবা যদি তিনি ধারিত করেন অথবা না করেন ইহার অধিষ্ঠাতা এবং আধার পরমউৎকৃষ্ট প্রকাশ স্বরূপে স্থিত এই তিনিই পূর্নরূপে জানেন এবং অন্যকেউ পূর্ণরূপে জানে না।।৭।।
ঋগবেদ ১০ মন্ডলে ১২৯ সুক্ত সমাপ্ত
কিমাবরীবঃ কূহ কস্য শর্মন্নম্ভঃ কিমাসীদগহনং গভীরম্।।১।।
সরলার্থঃ এই জগৎ উৎপন্ন হবার পূর্বে না অসত ছিলো, না সৎ ছিলো , না ছিলো নানা লোক, না পরম আকাশ ছিলো যাহা পর [ তাহাও ছিলো না] কোন পদার্থ সবার চারপাশে ঘিরে ছিলো? এই সব কোথাই ছিলো? কাহার আশ্রয়ে ছিলো? কি ছিলো হন এবং গভীর সমুদ্র জলরাশী কোথাই ছিলো?।।১।।
ন মৃত্যুরাসীদমৃতং ন তর্হি ন রাত্যা অহ্ন আসীৎ প্রকেতঃ।
আনীদবাতং স্বধয়া তদেকং তস্মাদ্ধান্যন্ন পরঃ কিংচনাস।।২।।
সরলার্থঃ সেই সময় মৃত্যু ছিলো না এবং সেই সময় অমৃতও ছিলো না [অর্থাৎ জীবনের সত্তা এবং জীবনের লোপ দুই ছিলো না] না রাত্রীর জ্ঞান ছিলো না দিনের জ্ঞান ছিলো [সেই তত্ত্বের স্বরূপ] প্রাণশক্তিরূপে ছিলো,পরন্তু স্থূল বায়ু ছিলো না এই এক জগৎ কে ধারনকারী নিজ শক্তি দ্বারা যুক্ত ছিলো তাহা ভিন্ন অন্য কোন কিছু ছিলো না।।২।।
তম আসীত্তমসা গূঢমগ্রে প্রকেতং সলিলং সর্বমা ইদম।
তুচ্ছ্যেননাভ্বপিহিতং যদাসীত্তপসস্তন্মহিনা জায়তৈকম।।৩।।
সরলার্থঃ সৃষ্টির পূর্বে অন্ধকার ছিলো, এই সব অন্ধকার দ্বারা ব্যাপ্ত ছিলো কোন বিশেষ জ্ঞানযোগ্য ছিলো না এক ব্যাপক গতিমত তত্ব ছিলো তাহা এই সমস্তকে ব্যাপিয়া ছিলো। যাহা ছিলো তাহা সুক্ষরুপে চারিদিকে আবৃত করে ছিলো তাহা তপের মহান সামর্থ দ্বারা এক বস্তুর উৎপন্ন হলো।। ৩।।
কামস্তদগ্রে সমবর্ত্ততাধি মনসো রেতঃ প্রথমম যদাসীৎ।
সতো বন্ধুমসতি নিরবিন্দহৃদি প্রতীষ্যা কবয়ো মনিষা।।৪।।
সরলার্থঃ সৃষ্টির পূর্বে মন হতে উৎপন্ন কামনার ন্যায় এক ইচ্ছাশক্তি সর্বত্র ব্যপ্ত ছিলো যা সবার প্রথমে এই জগতের প্রারম্ভিক বীজবত ছিলো। ক্রান্তদর্শী পুরুষ হৃদয় মধ্যে পুনঃ পুনঃ বিচার করে অপ্রকট তত্ব মধ্যে সৎরূপ প্রকটরূপ তত্ত্বকে বন্ধনকারী বল নিরূপন করেন।। ৪।।
তিরশ্চীনো বিততো রশ্মিরেষামধঃ স্বিদাসী৩দুপরি স্বিদাসী৩ৎ।
রেতোধা আসন্মহিমান আসনস্ধা অবস্তাৎপ্রয়তিঃ পরস্তাৎ।।৫।।
সরলার্থঃ এই কারন তত্বের রশ্মি চারিদিকে বিস্তৃত হলো নিচের দিকের হলো উর্ধ্বে হলো [তাহার মধ্যে] "রেতস" কে ধারকারী তত্ত্ব ছিলো মহান সামর্থবানও ছিলো প্রকৃতি নিচে এবং পরমেশ্বরের প্রযত্ন তাহার উপরে।। ৫।।
কো অদ্ধা বেদ ক ইহ প্র বোচৎ কুত আজাতা কুত ইয়ং বিসৃষ্টিঃ।
অর্বাগদেবা অস্য বিসর্জনেনাথ কো বেদ যত আবভূব।। ৬।।
সরলার্থঃ সঠিক কে জানতে পারে? এই বিষয়ে কে প্রবোচন বা উপদেশ করতে পারে? এই সৃষ্টি কোথা থেকে প্রকট হয়েছে? কোথা থেকে এই বিবিধ সৃষ্টি হয়েছে? বিদ্বান ও ইন্দ্রীয় আদি এই জগতের রচনার পশ্চাৎ হয়েছে অতঃপর ইহার মধ্যে কে জানে যাহার দ্বারা এই জগৎ উৎপন্ন হয়েছে।।৬।।
ইয়ং বিসৃষ্টির্যত আবভূব যদি বা দধে যদি বা ন।
যো অসাধ্যক্ষঃ পরমে ব্যোমন্তসো অঙ্গং বেদ যদি বা ন বেদ।।৭।।
সরলার্থঃ এই বিবিধ সৃষ্টি যাহার দ্বারা উৎপন্ন হয়েছে অথবা যদি তিনি ধারিত করেন অথবা না করেন ইহার অধিষ্ঠাতা এবং আধার পরমউৎকৃষ্ট প্রকাশ স্বরূপে স্থিত এই তিনিই পূর্নরূপে জানেন এবং অন্যকেউ পূর্ণরূপে জানে না।।৭।।
ঋগবেদ ১০ মন্ডলে ১২৯ সুক্ত সমাপ্ত
নমস্কার,চতুর্বেদের বিশুদ্ধ বাংলা ভাষ্য বর্তমানে নেই,আপনি বিশুদ্ধ ভাষ্য হিন্দি অথবা ইংরেজি তে পড়তে পারেন,বাংলা অনুবাদ পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে,ভারতীয় আর্য সমাজ বিশুদ্ধ বাংলা বেদের অনুবাদের কাজ করছে।
ReplyDeleteনমস্কার! আপনারা রুদ্র সুক্ত পোষ্ট করুন। আর জানাবেন এই ওয়েব সাইট কি সরাসরি ইন্ডিয়া হতে পরিচালিত হয় নাকি?
ReplyDeleteসূর্য কুমার
Bangladesh
Delete৭ নং মন্ত্রের অনুবাদে জালিয়াতি করা হয়েছে। (यदि वा न वेद— যদি বা ন বেদ) এর অনুবাদ করা হয়েছেঃ "এবং অন্যকেউ পূর্ণরূপে জানে না" !?
ReplyDeleteঅনুবাদক "অন্যকেউ" বা "পূর্ণরূপে" কোথায় পেলেন? মানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা!
আসল অনুবাদ হবে এমন- "অথবা তিনিও না জানিতে পারেন।"
অর্থাৎ, হয় সনাতন ধর্মের ঈশ্বর নাও জানতে পারেন (অজ্ঞ ঈশ্বর), অথবা যেই ঋষি এই মন্ত্র লিখছে, সে ভুল লিখেছে!
আর্যসমাজী টীকাকার ও অনুবাদকরা বরাবরের মতোই জোর করে "অন্য" আনবে [যেমনটা এই ব্লগের লেখক এবং হরিশরন সিদ্ধ্যান্তালঙ্কার করেছে— "আর যদি অন্য কেউ না-ও জানে।"]
কিংবা "ঈশ্বর জানে না" এর মানে কি সেটা ব্যাখ্যা করবে! [যেমনটা স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক করেছেন— "তিনি চাইলে উপাদান কারণকে জানবেন, তাঁর জ্ঞানে ধারণ করবেন; আবার চাইলে না-ও জানবেন (!), জ্ঞানে ধারণ করবেন না।...
... আর জ্ঞানে ধারণ না করা মানে হলো কিছু সৃষ্টি না করা, তাকে তার মূল উপাদানরূপে পড়ে থাকতে দেওয়া, প্রলয়ের অবস্থায় রেখে দেওয়া।(!!!)
এইভাবে, সৃষ্টি ও প্রলয় উভয়ের উপরই তাঁর অধিকার আছে।" ]
অথবা তুলসি রামের মতো নিজের দর্শন অনুযায়ী আন্দা-গুন্দা কথা বলবে আর যা খুশি লিখবে!
তুলসি রামের অনুবাদ 😑😑
DeleteO dear seeker, whence this multitudinous variety of existence arises, who holds and sustains it, or whether He doesn’t hold and sustain it while He terminates it, only He knows who is the presiding power of it at the highest heavenly level of mystery. Only He knows and pervades it, and He only knows when he doesn’t pervade it while it subsists in Him as in the state of Pralaya.
এগুলা পাইছে কই ওয় নিজেই জানে