যোগদর্শনে অষ্টসিদ্ধির কথা বলা আছে ।
(১) অনিমা, (২) লঘিমা, (৩) প্রাপ্তি , (৪) মহিমা, (৫) ঈশিতা, (৬) বশিতা, (৭) প্রাকাম, (৮) কাম বসায়িতা,— এই আটটিকে অষ্টসিদ্ধি বলা হয় ।
অনিমা— সুক্ষ্ম হইতে সুক্ষ্মত্ব হওয়া ।
লঘিমা— স্বীয় শরীরকে লঘু (হাল্কা) করিবার ক্ষমতা।
প্রাপ্তি— সর্বত্র গমন করিবার ক্ষমতা ।
মহিমা— স্বীয় শরীরকে স্থুল (মোটা) করিবার ক্ষমতা।
ঈশিতা— অপরের উপর প্রভূত্ব বিস্তারের ক্ষমতা ।
বশিতা— অপরকে বশ করিবার ক্ষমতা ।
প্রাকাম— ভোগ্যবস্তু নিকটে আনিয়া তাহা ভোগ করিবার ক্ষমতা ।
কাম বসায়িতা— ইচ্ছামত রূপ পরিগ্রহ করা ।
মানব সাধনাদ্বারা পতঞ্জলি প্রোক্ত অষ্টাঙ্গ যোগের অধিকারী হইতে পারে ।
পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গ যোগ
(১) যম, (২) নিয়ম, (৩) আসন, (৪) প্রানায়াম, (৫) প্রত্যাহার, (৬) ধারনা, (৭) ধ্যান ও (৮) সমাধি ।
যম— ইন্দ্রিয়গণকে বহির্মুখ হইতে ফিরাইয়া অন্তর্মুখী করা ।
নিয়ম— পাপচিন্তা হইতে নিবৃত্ত হওয়ার জন্য ইন্দ্রিয়গণকে দমন করা ।
আসন— দীর্ঘসময় একভাবে বসিয়া থাকিবার উপায় অবলম্বন ।
প্রাণায়াম— শ্বাস -প্রশ্বাসের ক্রিয়া ।
প্রত্যাহার— বিচারের দ্বারা মনকে বাহির হইতে ফিরাইয়া আনিয়া ইষ্ট চিন্তায় নিয়োজিত করা ।
ধারণা— ভগবৎ স্বরূপের চিন্তন ।
ধ্যান— ভগবৎ চিন্তার গাঢ়তার নাম ধ্যান ।
সমাধি— ইষ্টের অবস্থা প্রাপ্তি ।
এই অষ্টাঙ্গ যোগাঙ্গের অনুশীলনের ফলে মন স্থির হইলে সাধকের বিভুতি দর্শন হয় ।
অষ্টাঙ্গ যোগের অনুশীলনে মানুষের মনঃশক্তি বৃদ্ধি পায়। অনুশীলনকারী সেই মনঃশক্তির দ্বারা ও অভ্যাসের দ্বারা সাধারণ মানব অপেক্ষা অনেক বেশিকিছু করিতে পারে ।
যেমন,— শীত-গ্রীষ্ম সহনের ক্ষমতা হয়, শরীরকে নিরোগ করা যায়, সাধারণ লোক অপেক্ষা সে অধিক ক্ষমতার অধিকারী হইতে পারে ।
(১) অনিমা, (২) লঘিমা, (৩) প্রাপ্তি , (৪) মহিমা, (৫) ঈশিতা, (৬) বশিতা, (৭) প্রাকাম, (৮) কাম বসায়িতা,— এই আটটিকে অষ্টসিদ্ধি বলা হয় ।
অনিমা— সুক্ষ্ম হইতে সুক্ষ্মত্ব হওয়া ।
লঘিমা— স্বীয় শরীরকে লঘু (হাল্কা) করিবার ক্ষমতা।
প্রাপ্তি— সর্বত্র গমন করিবার ক্ষমতা ।
মহিমা— স্বীয় শরীরকে স্থুল (মোটা) করিবার ক্ষমতা।
ঈশিতা— অপরের উপর প্রভূত্ব বিস্তারের ক্ষমতা ।
বশিতা— অপরকে বশ করিবার ক্ষমতা ।
প্রাকাম— ভোগ্যবস্তু নিকটে আনিয়া তাহা ভোগ করিবার ক্ষমতা ।
কাম বসায়িতা— ইচ্ছামত রূপ পরিগ্রহ করা ।
মানব সাধনাদ্বারা পতঞ্জলি প্রোক্ত অষ্টাঙ্গ যোগের অধিকারী হইতে পারে ।
পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গ যোগ
(১) যম, (২) নিয়ম, (৩) আসন, (৪) প্রানায়াম, (৫) প্রত্যাহার, (৬) ধারনা, (৭) ধ্যান ও (৮) সমাধি ।
যম— ইন্দ্রিয়গণকে বহির্মুখ হইতে ফিরাইয়া অন্তর্মুখী করা ।
নিয়ম— পাপচিন্তা হইতে নিবৃত্ত হওয়ার জন্য ইন্দ্রিয়গণকে দমন করা ।
আসন— দীর্ঘসময় একভাবে বসিয়া থাকিবার উপায় অবলম্বন ।
প্রাণায়াম— শ্বাস -প্রশ্বাসের ক্রিয়া ।
প্রত্যাহার— বিচারের দ্বারা মনকে বাহির হইতে ফিরাইয়া আনিয়া ইষ্ট চিন্তায় নিয়োজিত করা ।
ধারণা— ভগবৎ স্বরূপের চিন্তন ।
ধ্যান— ভগবৎ চিন্তার গাঢ়তার নাম ধ্যান ।
সমাধি— ইষ্টের অবস্থা প্রাপ্তি ।
এই অষ্টাঙ্গ যোগাঙ্গের অনুশীলনের ফলে মন স্থির হইলে সাধকের বিভুতি দর্শন হয় ।
অষ্টাঙ্গ যোগের অনুশীলনে মানুষের মনঃশক্তি বৃদ্ধি পায়। অনুশীলনকারী সেই মনঃশক্তির দ্বারা ও অভ্যাসের দ্বারা সাধারণ মানব অপেক্ষা অনেক বেশিকিছু করিতে পারে ।
যেমন,— শীত-গ্রীষ্ম সহনের ক্ষমতা হয়, শরীরকে নিরোগ করা যায়, সাধারণ লোক অপেক্ষা সে অধিক ক্ষমতার অধিকারী হইতে পারে ।
১)অনিমা:- তারা ইচ্ছা করলে অনুর মত ক্ষুদ্র আকার ধারন করতে পারেন অথবা নিজেকে শূণ্য রুপে পরিণত করতে পারেন। এরকম সিদ্ধি অর্জনকে বলে অনিমা।
ReplyDelete🌹২)লঘিমা:- ইচ্ছামতো হালকা জলের উপর হেঁটে যেতে বা শূন্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এরকম সিদ্ধি অর্জনকে বলে লঘিমা।
🌹৩)গরিমা:- অত্যন্ত ভারী হতে পারেন, লঘুকরণ ধারণ করা মুহুর্তের ব্যাপার মাত্র। এই সিদ্ধি অর্জনকে বলে গরিমা।
🌹৪)প্রাপ্তি:- যে কোনও স্থান থেকে যা ইচ্ছা! তাই প্ৰাপ্ত হতে পারেন। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্ঞান নিজের মুষ্টিবদ্ধ করা শক্তি অর্জন। এরকম সিদ্ধি অর্জনকে বলে প্ৰাপ্তি।
🌹৫)প্রাকাম্য:- কোনও বাসনা চরিতাৰ্থ করতে এবং কখনও নিরাশ না হওয়ার জন্য যে সিদ্ধি অর্জন তাঁকে বলে প্রাকাম্য।
🌹৬)মহিমা বা কামাবসায়িতা:- ইচ্ছামতো বা খামখেয়ালী ভাবে যে কোনও জড়রুপ ধারণ করতে পারেন। নিজের ঐশ্বর্য শক্তি ও তেজ শক্তির প্রভাবকে ক্ষমতাবদ্ধ করা, এই ধরনের সিদ্ধি অর্জনকে বলে মহিমা বা কামাবসায়িতা।
🌹৭)ঈশিতা:- কোনও স্থানে কিছু অদ্ভুত জিনিষ সৃষ্টি করতে পারেন বা ইচ্ছানুসারে কোন জিনিস ধ্বংসও করতে পারেন। সৃষ্টির নবকিছু আর্বিভাব ও ধ্বংস যাঁর ক্ষমতার আওতায়, এরকম সিদ্ধি অর্জনকে বলে ঈশিতা।
🌹৮)বশিতা:- জড় উপাদান গুলোকে কেবল ইচ্ছা অনুসারে নিয়ন্ত্ৰণ করতে পারেন। সৃষ্টির প্রতিটি জীবকে নিজের বশীভূত করা যাঁর একটি দৃষ্টি প্রক্ষেপ মাত্র, এরকম সিদ্ধি অর্জনকে বলে বশিতা।