
“অব্যক্তাৎ ব্যক্তয়ঃ সর্বাঃ”
(গীতা ৮।১৮)
অব্যক্ত অবস্থা হইতে এই জগত ব্যক্ত হইয়াছে । 'অব্যক্ত’ অর্থ যাহা ব্যক্ত হয়না বা যাহার বাহিরে প্রকাশ দৃষ্ট হয় না । সুষুপ্তিতে (গাঢ় নিদ্রার সময়ে) যখন আমাদের মনের কোন প্রকাশ থাকে না, তখন আমাদের নিকট ঘর-বাড়ি, বৃক্ষ, মনুষ্যাদি জীবগণ কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না, সকলই অব্যক্তর মধ্যে ডুবিয়া যায় । আবার মনের স্ফুরণ হইলে এই জগৎ একে একে অব্যক্ত হইতে প্রকাশ পাইতে থাকে । তাই মনের ব্যক্ততাই জগৎ এবং অব্যক্ত অবস্থায় আগমণ করিলেই জগতের কোন বোধ হয় না । মনের অব্যক্ত ভাবের নামই ব্রহ্ম ।
(গীতা ৮।১৮)
অব্যক্ত অবস্থা হইতে এই জগত ব্যক্ত হইয়াছে । 'অব্যক্ত’ অর্থ যাহা ব্যক্ত হয়না বা যাহার বাহিরে প্রকাশ দৃষ্ট হয় না । সুষুপ্তিতে (গাঢ় নিদ্রার সময়ে) যখন আমাদের মনের কোন প্রকাশ থাকে না, তখন আমাদের নিকট ঘর-বাড়ি, বৃক্ষ, মনুষ্যাদি জীবগণ কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না, সকলই অব্যক্তর মধ্যে ডুবিয়া যায় । আবার মনের স্ফুরণ হইলে এই জগৎ একে একে অব্যক্ত হইতে প্রকাশ পাইতে থাকে । তাই মনের ব্যক্ততাই জগৎ এবং অব্যক্ত অবস্থায় আগমণ করিলেই জগতের কোন বোধ হয় না । মনের অব্যক্ত ভাবের নামই ব্রহ্ম ।


জ্ঞান ব্যতীত মন মুক্ত হন না । ‘জ্ঞান’ অর্থ নিজ স্বরূপের জ্ঞান অর্থাৎ মানুষ যে দেহ-মন হইতে পৃথক একটি সত্তাবিশেষ, তাহার সেই সত্তার জ্ঞান বা অনুভব । এই অবস্থা লাভ করিয়া দেহগৃহে অবস্থান করিলেও মানব আর বন্ধনে আবদ্ধ হয় না — সে বাঁধামুখে জগৎ দর্শন করিয়া অর্থাৎ “জাগতিক বস্তুগুলি চক্ষে দেখা গেলেও উহারা প্রকৃতপক্ষে সত্য নহে— স্বপ্নের মতই” এই বোধ স্থিত হইয়া সর্বচিন্তাহীন হইয়া পরম শান্তি ভোগ করেন । ইহাকেই জীবন্মুক্ত অবস্থা বলে ।

0 মন্তব্য(গুলি)