যেসব বৈদিক বিদ্বান মন্ত্রের সমান ব্রাহ্মণগ্রন্থকেও বেদ মান্য করে, তাঁহার প্রধান আধার হল শ্রৌতকারের "মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্" এই প্রসিদ্ধ সূত্র। এজন্য এই সূত্রকে আধার করে বিচার করা যাক যে , এই সূত্র দ্বারা কি মন্ত্রে'র সমান ব্রাহ্মণগ্রন্থকেও মূখ্য বেদসংজ্ঞা সিদ্ধ হতে পারে? না কি পারে না।
এই বিষয়ের উপর বিচার করার পূর্বে যাহা জেনে নেওয়া আবশ্যক তা হল 'মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্' যে বিচার্য্যমাণ সূত্র কোন কোন আচার্য্য আপন শ্রৌতসূত্রে পাঠ করেছেন , আর কে কে পাঠ করেন নি। তথা, যাহারা উক্ত সূত্র পাঠ করেছেন, তাহাদের পাঠ করার অভিপ্রায় কি ?
কেবল কৃষ্ণ যাজুষ শৌতসূত্রে- 'মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্' এই সূত্র কেবল কৃষ্ণযজুঃ' শাখার আপতস্তম্ব সত্যাষাড বৌধায়নাদি শ্রৌতসূত্রেই উপলব্ধ হয়ে থাকে। ঋগ্বেদের সাংখ্যায়ন ও অশ্বলায়ন , শুক্ল যজুর্বেদের কাত্যায়ন, তথা সামবেদের ব্রাহ্মায়ণ এবং লাটচায়ন শ্রৌতসূত্রে উক্ত সূত্র বা এই অর্থের বচনান্তর কিছুই পাওয়া যায় না। ইহাতে সন্দেহ হয় যে, কি কারণ উক্ত সূত্র কৃষ্ণযজুঃ শাখার শৌতসূত্রেই কেবল পাওয়া যায় , ঋগ্বেদ শুক্লযজুঃ তথা সামবেদ সম্বন্ধ কোন শ্রৌতসূত্রে উপলব্ধ হয় না ? এই বিষম'তার কোন কারণ অবশ্যই হওয়া উচিৎ।
[NOTE- 'মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্' সূত্র কাত্যায়নীয় শ্রৌতসূত্রে তো মেলে না , পরন্তু কাত্যায়ন নাম হতে প্রসিদ্ধ প্রতিজ্ঞা-পরিশিষ্টে উপলব্ধ হয়। কাত্যায়নের নাম হতে দুই প্রতিজ্ঞা-পরিশিষ্ট আছে। এক- শ্রৌতসূত্র হতে সম্বন্ধযুক্ত,আর দুই- প্রাতিশাখ্য হতে সম্বন্ধযুক্ত। তাহার মধ্যে 'মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্' সূত্র প্রাতিশাখ্য-সম্বন্ধযুক্ত প্রতিজ্ঞা-পরিশিষ্টে মেলে, শৌতসূত্র হতে সম্বন্ধযুক্ত এর মধ্যে কোনটাতে মেলে না । যদি এটা কাত্যায়ন-সম্মত সূত্র হত, তো তাহার শ্রৌতসূত্রে অথবা শ্রৌতসূত্র-সম্বন্ধযুক্ত প্রতিজ্ঞা-পরিশিষ্টে থাকত, প্রাতিশাখ্য সম্বন্ধযুক্ত এর মধ্যে থাকতো না। এই বিষমতা দৃষ্টি-আকর্ষণ যোগ্য। আমার বিচার এই যে, এই পরিশিষ্ট অর্বাচীন গ্রন্থ, কাত্যামুনি-প্রণীত নয়।]
বিষমতার কারণ- আমার বিবেচনায় উক্ত বিষমতার কারণ এই যে, ঋক্ শুক্ল-যজুঃ ও সাম সংহিতায় কেবল মন্ত্রই আছে , ব্রাহ্মণ নয়। তাহার বিপরীত কৃষ্ণ-যজুঃর সমস্ত শাখাতে মন্ত্রের সাথে সাথে ব্রাহ্মণ-বচনও পঠিত।
ইহাতে স্পষ্ট হয় যে, যেই সংহিতায় কেবল মন্ত্রই পাঠ করা হয়েছে , তাহার বেদত্ব লোকমধ্যে প্রসিদ্ধ ছিলো। এজন্য তাহার শ্রৌতসূত্রকার উক্ত সূত্র আপন গ্রন্থে পাঠ করেন নি। এবং যেই শাখাতে ব্রাহ্মণেরও পাঠ ছিলো , তাহার বেদত্ব লোকপ্রসিদ্ধ না হওয়ার দরুন আপন শাখারও বেদত্ব-প্রতিপাদনার্থ অথবা আপন স্বশাস্ত্রীয় কার্যকে সিদ্ধ করার জন্য উহার শ্রৌতসূত্রকার উক্ত সূত্র পাঠ করেছেন। এমতবস্থায় ইহা মানতেই হয় যে, মন্ত্রকেই মূখ্য রূপে বেদসংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে , ব্রাহ্মণকে নয় ।
চিরকাল পর্যন্ত আচার্য্য ব্রাহ্মণের বেদ-সংজ্ঞা মানেন নি। - কৃষ্ণযজুর্বেদীয় শ্রৌতসূত্রকার দ্বারা মন্ত্র ও ব্রাহ্মণকে বেদসংজ্ঞা করে দেওয়ার পরও চিরকাল পর্যন্ত অনেক প্রাচীন আচার্য্য ব্রাহ্মণ গ্রন্থের বেদত্ব স্বীকার করেননি। এই কথাটিকে খেয়াল রেখে 'মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্' এই আপস্তম্বীয় সূত্রের ব্যখ্যায় হরদত্ত বলেছেন - "কৈশ্চিন্মন্ত্রাণামেব বেদত্বমাখ্যাতম্" অর্থাৎ কোন কোন আচার্য্য কেবল মন্ত্রকেই বেদ মেনেছেন। যে কথাই হরদত্ত হতে পূর্ববর্তী ধূর্তস্বামীও এই সূত্রের ব্যখ্যায় লিখেছিলেন। ইহা হতেও সিদ্ধ হয় যে প্রাচীন আচার্য্যদের নিকট মন্ত্রকেই বেদসংজ্ঞা অভিপ্রেত ছিলো, ব্রাহ্মণকে নয়।
পরিভাষা-প্রকরণে পাঠ- আরেকটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ যোগ্য যে , যেই যেই শ্রৌতসূত্রে "মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্" সূত্র পাঠ রয়েছে , তাহাতেও তিনি তাহার পরিভাষা-প্রকরণেই পাঠ করে গিয়েছেন। পারিভাষিক সংজ্ঞা তখনই রেখে যাওয়া হয় , যখন তা লোকমধ্যে প্রসিদ্ধ না থাকে বা শাস্ত্রান্তরে অন্যার্থে প্রসিদ্ধ হয়।
তিন বেদের শ্রৌতসূত্রে 'বেদ' সংজ্ঞার অবিধানের কারণ-
ঋগ্বেদ শুল্কযজুঃ তথা সামবেদ সংহিতায় মন্ত্রেরই পাঠ হওয়ায়, তথা উহার ব্রাহ্মণগ্রন্থের সত্তা সংহিতা হতে পৃথক হওয়ার কারণে ইহা সন্দেহের অবকাশই হয় না যে কোনটা মন্ত্র আর কোনটা ব্রাহ্মণ। এজন্যই এই বেদের শ্রৌতসূত্রকারদের 'মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম' সদৃশ সূত্র তৈরীর আবশ্যকতা পড়ে নি।
কৃষ্ণযাজুষ শাখায় মন্ত্র-ব্রাহ্মণ-ভেদক লক্ষণ-
কৃষ্ণযজুঃ শাখায় মন্ত্র ও ব্রাহ্মণের সাথে সাথে পাঠ হওয়ার কারণে এটা জানা যায়না যে, কতটা ভাগ মন্ত্র আর কতটা ভাগ ব্রাহ্মণ। এজন্য কৃষ্ণযজুর্বেদীয় যাজ্ঞিককে মন্ত্র তথা ব্রাহ্মণের ভেদবোধক লক্ষণ তৈরীর প্রয়োজন পড়ে -
"অনুষ্ঠীয়মানকর্মস্মারকত্বং মন্ত্রত্বং , বিনিয়োজকং চ ব্রাহ্মণম্।"
-- অর্থাৎ, 'অনুষ্ঠিত কার্যের স্মরণযুক্ত মন্ত্র , তথা যজ্ঞে দ্রব্যদেবতা আদির বিনিয়োগ দর্শনযুক্ত ব্রাহ্মণ হয়ে থাকে।'
মন্ত্র-ব্রাহ্মণের উক্ত লক্ষণে অব্যাপ্তি-অতিব্যাপ্তি দোষ-
যাজ্ঞিক দ্বারা পূর্ব-নিদর্শিত মন্ত্র ও ব্রাহ্মণের ভেদবোধক লক্ষণ অব্যাপ্তি-অতিব্যপ্তি দোষে দূষিত। যথা--
অব্যপ্তি দোষ যাজ্ঞিকশিরোমণি মীমাংসা ভাষ্যকার শবরস্বামী নং ২৪তম অধ্যায়ের অন্তর্গত 'বসন্তায় কপিঞ্জলানালভতে' বচনের উপর বিচার করতে গিয়ে মন্ত্র লক্ষণ অধিকরণ ( মী০ ২/১/৩২, অধি০ ৭) -এ লিখেছেন-
কথংলক্ষণো মন্ত্র ইতি? তচ্চোদকেষু মন্ত্রাখ্যা। অভিধানস্য চোদকেষ্বেবঞ্জাতীয়কেষু অভিযুক্তা উপদিশন্তি -'মন্ত্রানধীমহে, মন্ত্রানধ্যাপয়মঃ, মন্ত্রা বর্তন্তে' ইতি। প্রায়িকমিদং লক্ষণম্। অনভিধায়কা অপি কেচিন্মন্ত্রা ইত্যুচ্যন্তে। যথা- বসন্তায় কপিঞ্জালানালভত ইতি (মা০ সং০ ২৪/২০)।
প্র০- মন্ত্র কাহাকে বলে ?উ০- যে বচন যজ্ঞে অনুষ্ঠীয়মান কর্ম কে বিবৃতকারী , তাহাতে অভিযুক্ত=প্রামাণিক পুরুষ 'মন্ত্রকে পাঠ করেন, মন্ত্রকে পাঠ করান , মন্ত্র বলিতে থাকেন ' আদি ব্যবহার করেন। বস্তুতঃ মন্ত্রের যে [সূত্রক্তো] লক্ষণ প্রায়িক [অর্থাৎ সর্বত্র ঘটেনা]। কিছু এমনও বচন যে, যা যজ্ঞে অনুষ্ঠীয়মান কর্ম কে বর্ণনাকারী নয়, পরন্তু মন্ত্র বলিয়া যান। যথা-- বসন্তায় কপিঞ্জালানালভতে (যজুঃ ২৪/২০)।
শবরস্বামীর এই মতকে মান্য করে সমস্ত অর্বাচীন মীমাংসক "যে বচনকে প্রামাণিক পুরুষ মন্ত্র বলেন, তাহাই মন্ত্র" - এরূপ সিদ্ধান্ত স্থির করেছেন। ইহাতে স্পষ্ট হয় যে, প্রাচীন তথা অর্বাচীন সমস্ত মীমাংসকগণের মতে কেবল "বসন্তায় কপিঞ্জালানালভতে" -এইপ্রকার বাক্য মন্ত্র সংজ্ঞাত্মক। অপিতু এই প্রকারের ২৪তম অধ্যায়ে পঠিত সমস্ত দ্রব্যদেবতাবিধায়ক বাক্য মন্ত্র।
মীমাংসকের অনুসারে "বসন্তায় কপিঞ্জালানালভতে" বাক্য মন্ত্রসংজ্ঞক, যাহা শবরস্বামীর উপযুক্ত প্রমাণ দ্বারা স্পষ্ট। যাজ্ঞিকের উক্ত লক্ষণানুসারে এই বাক্যে মন্ত্রত্ব প্রাপ্ত হয় না, কেননা এই বাক্য যজ্ঞে ক্রিয়মাণ কোন কর্মের স্মারক নয়। অতএব, এই অংশে অব্যাপ্তি দোষ রয়েছে।
অতিব্যাপ্তি দোষ-- ব্রাহ্মণ-বোধক বিনিয়োজকং ব্রাহ্মণম্ লক্ষণ অনুসারে দ্রব্য-দেবতার বিধায়ক হওয়ায় মীমাংসক দ্বারা মন্ত্ররূপ হতে স্বীকৃত "বসন্তায় কপিঞ্জালানালভতে" -তে ব্রাহ্মণত্বকে প্রাপ্ত হয়। অতএব, এই অংশ অতিব্যপ্তি দোষযুক্ত। এজন্য যাজ্ঞিকের মন্ত্র ও ব্রাহ্মণের ভেদবোধক উক্ত লক্ষণ অব্যাপ্তি-অতিব্যাপ্তি দোষে দূষিত, যাহা স্পষ্টত।
'মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্' সূত্রের মীমাংসার সার--
আমরা এই সূত্রের উপর বিবিধ দৃষ্টিকোণ থেকে যে বিচার করেছি , তদানুসারে ব্রাহ্মণ-গ্রন্থের বেদ সংজ্ঞা না হওয়ার নিম্ন হেতু--
মন্ত্র-ব্রাহ্মণ -এর বেদ-সংজ্ঞা বিষয়ের উপসংহার--
আমরা মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম" সূত্রের উপর যে বিচার করেছি, উহাতে স্পষ্ট হয় যে, প্রাচীন প্রামাণিক আচার্য্যদের মতে ব্রাহ্মণ বচন বেদ-সংজ্ঞাত্মক নয়। এই বিষয়ের হেতু নিম্নরূপ--
১-- মন্ত্রাত্মক শাকল, বাজসনেয় তথা কৌথুমাদি সংহিতার শ্রৌতসূত্রকার দ্বারা "মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্" বচনের নির্দেশ না হওয়ায়।
২-- মন্ত্র-ব্রাহ্মণ সংমিশ্রিত কৃষযজুর্বেদের শাখার আপস্তম্বাদি শ্রৌতসূত্রকার দ্বারা এই সূত্রের রচনা হওয়ায়।
৩-- সেই সেই শ্রৌতসূত্রেই উক্ত বচনের নির্দেশ পরিভাষা-প্রকরণেই হওয়ায়।
৪-- উক্ত সূত্রের ব্যাখ্যাতে হরদত্ত তথা ধূর্তস্বামী দ্বারা স্পষ্ট শব্দে "কৈশ্চিন্মন্ত্রাণামেব বেদত্বমাখ্যাতম্ (আশ্রিতম্)" অর্থাৎ-- 'কোন প্রাচীন আচার্য্য কেবল মন্ত্রকেই বেদ মেনেছেন' লিখিত হওয়ায় প্রাচীন প্রমাণভূত আচার্য্যের মতে মন্ত্রেরই কেবল মূখ্য বেদত্ব সিদ্ধ, ব্রাহ্মণের নয়, ইহা সুনিশ্চিত হয়ে যায়।
কৃষ্ণযজুর্বেদের শ্রৌতসূত্র পরিভাষা-প্রকরণে ব্রাহ্মণগ্রন্থের যে পারিভাষিক বেদসংজ্ঞা বলেছেন, উহার প্রয়োজন এই যে তাঁহার শাস্ত্রে বেদ শব্দ দ্বারা ব্রাহ্মণেরও গ্রহণ হবে।
অন্বয়-ব্যতিরেক হেতু ব্রাহ্মণগ্রন্থের অবেদত্ব-
অন্বয়-ব্যতিরেক হেতু দ্বারাও ব্রাহ্মণ-গ্রন্থের বেদত্ব সিদ্ধ হয় না। যদি আপস্তম্বাদি শ্রৌতসূত্রের রচনাকালে ব্রাহ্মণগ্রন্থেরও বেদত্ব লোকপ্রসিদ্ধ হত , তো কৃষ্ণযজুঃ'র আপস্তম্বাদি শ্রৌতসূত্রের রচয়িতাও ঋগ্বেদ, শুল্কযজুর্বেদ তথা সামবেদের শ্রৌতসূত্রকারের সমান উক্ত বচন পাঠ করতেন। অথবা মন্ত্রের সমান ব্রাহ্মণের বেদত্ব প্রসিদ্ধ হওয়ার পরও যদি কৃষ্ণযজুর্বেদের শ্রৌতসূত্রকার যেমন লোকপ্রসিদ্ধের পুষ্টির জন্য উক্ত সূত্র রচনা করে থাকেন, তদ্বৎ ঋগ্বেদ শুল্কযজুর্বেদ তথা সমাবেদ শ্রৌতসূত্রকারও উক্ত সূত্র নির্দেশ করতেন। পরন্তু এমনটা দেখা যায় না। (অর্থাৎ মন্ত্রব্রাহ্মণ-সংমিশ্রিত কৃষ্ণযজুঃ'র শ্রৌতসূত্রকারই উক্ত সূত্র পাঠ করেছেন, কেবল মন্ত্রাত্মক ঋগ্বেদ শুল্কযজুর্বেদ ও সামবেদ-এর শ্রৌতসূত্রকার এইপ্রকার কোনও বচন তৈরী করেননি)।
ইহাতে বিস্পষ্ট হয় যে, কেবল মন্ত্রেরই বেদত্ব প্রাচীন আচার্যের নিকট অভিপ্রেত ছিল। ব্রাহ্মণ তাহার শেষভূত আরণ্যক তথা তদন্তর্গত উপনিষদ -এর মূখ্য বেদত্ব তাঁহাদিগের ইষ্ট নয়।
যারা ভাবছেন তথাকথিত কৃষ্ণ যজুর্বেদ কেন বেদ নয় তারা পড়ুন- যজুঃ শাখার কৃষ্ণ শুক্ল ভেদ এবং তার নিরীক্ষণ
0 মন্তব্য(গুলি)