https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

নিষ্কলঙ্ক মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী - পর্ব ১-স্বামীজী কি নেশা করতেন?

Wednesday, March 21, 2018
          ``maharshi dayanand arya books এর ছবির ফলাফল



মহর্ষি দয়ানন্দ কতৃক প্রদিত অকাট্য যুক্তি প্রমাণের সম্মুখে হতাশাগ্রস্থ নিন্দুকেরা এখন উঠেপড়ে লেগেছে তাঁর চরিত্র বিশ্লেষনে। দুর্বলের শেষ গতি যে ব্যক্তি আক্রমন ইহা নতুন কি ! তাঁরা প্রকৃত ভীতগ্রস্থ বৈদিকদের ক্রমপ্রসারণ দেখে, যদি কোনরূপে মহর্ষির জীবন চরিত হতে নিন্দনীয় কিছু একটা আবিষ্কার করা যায় তবে তা দিয়ে ফলাও করে প্রচার করে আর্যসমাজ কিংবা অগ্নিবীরের এই দুর্দম্য গতি কোনরূপে রোধ করা যায় তারই আপ্রাণ চেষ্টা । কিন্তু সে গুড়েও যে বালি ! চলুন দেখা যাক -



স্বামী দয়ানন্দের বিষয়ে ভাং ও হুক্কা খাওয়া নিয়ে পাখন্ড গুরু রাম্পালের ভিডিও প্রচার করে বেড়ায় তাঁর অন্ধ চেলাগণ । যে রাম্পাল কিনা নারী কেলেঙ্কারীতে বর্তমানে জেলে আছে শুধুই নয়, সঙ্গে কত ক্রাইমে অভিযুক্ত তার ইয়ত্তা নেই ! তাঁর চরিত্র বিশ্লেষন এখানে উদ্দেশ্য নয় , তিনি মহর্ষি সম্পর্কে কতবড় চাপাবাজি করেছেন এবং সেই মহাধূর্ত্তের ধূর্ত্ত চেলাগন তা অন্ধের মত গলাধঃকরণ করে যে ভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তা দেখাবো।
বিড়ম্বনা ইহাই যে, না তিনি সত্য জানেন , না সত্য জানতে চান। রাম্পাল ও তাঁর অন্ধ ভক্তদের দেখে এরূপ মনে হয়, যেরূপ এক অন্ধ আরেক অন্ধকে রাস্তা দেখাচ্ছে ।


মহর্ষি যেসময়ে সিদ্ধি সেবন করতেন বলে
স্বীকার করেছেন তখন তিনি বিরজানন্দের
শিষ্যত্বও গ্রহণ করেনি । সন্ন্যাস বেশে তিনি তখন
প্রকৃত গুরুর সন্ধান করছিলেন ।
 


তখন তিনি সত্যের সন্ধানী। সঠিক মার্গের সন্ধান পাওয়ার পূর্বের ঘটনা এ । একথা স্বয়ং লেখক বলেছেন




                                                         দয়ানন্দ চরিত পৃষ্ঠা ১০১



উল্লেখ্য, সেই সময় সাধু-সন্ন্যাসীদের
মধ্যে সিদ্ধি-গাঁজা খাওয়ার প্রচলন ছিলো , সেই
সংসর্গেই তিনি এরূপ অভ্যাসে অভ্যস্থ হয়ে
পড়েছিলেন ।এবং পরবর্তীতে তিনি সেটা ত্যাগ
করেছিলেন । সেটা তিনি দুঃখের সঙ্গে জানিয়েও
গেছেন -
" কিন্তু দুঃখের বিষয় যে , আমি তখন সিদ্ধিপানে
অভ্যস্থ হইয়াছিলাম । "

                                                   দয়ানন্দ চরিত পৃষ্ঠা 72


 স্বয়ং লেখক বলেছেন ........


                                                        দয়ানন্দ চরিত পৃষ্ঠা99

তাই এই সামগ্রিক ঘটিনাটি লজ্জার নয় ,উন্নতির পথে
ধাবমানতার এ ঘটনা বরং মহত্ত্বের।

ইহাতে স্পষ্ট হয় যে, স্বামী জী শুধুই ভাং খাওয়াকে ভুল বলেছেন তা নয় অপিতু অজ্ঞানের পশ্চাৎ জ্ঞান হওয়ার পর উনি তা ত্যাগ ও করেন। ইহার প্রমাণ পন্ডিত লেখরাম লিখিত জীবন চরিত্রে স্পষ্টরূপে এইপ্রকারে মেলে-

" নেশাগ্রস্থ অবস্থায় কি ঈশ্বরের-চিন্তন হতে পারে?"

(শ্রী কানাহৈয়ালাল ইন্জিনিয়র, রুড়কী, হতে প্রশ্নোত্তর- ২৫শে জুলাই, ১৮৭৮)

স্বামী জী রুড়কীতে থাকাকালীন অবস্থায়

 লালা কানহৈয়ালাল সাহেব ইন্জিনিয়র প্রশ্ন করেছিলেন যে-  
 "নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চিৎ একাগ্র হয়ে যায় , এবং যে বিষয়ে চিৎ আকৃষ্ট হয়, উহাতেই তার লয় হয়ে থাকে। এজন্য ওই অবস্থায় যেরূপ উত্তমরূপে ঈশ্বরের ধ্যান হতে পারে , সেরূপে অন্য অবস্থায় নয়।"

স্বামী জী বললেন,
 নেশার রীতিই এইরূপ যে, যেরূপ আপনি বর্ণনা করছেন। চিত্তে যে বস্তুর ধ্যান হয়ে থাকে মনুষ্য উহাতেই ডুবে থাকে, পরন্তু বস্তুর তাত্ত্বিক জ্ঞান অনুকূলতা দ্বারা হয়ে থাকে। আমরা যখন কোন বস্তুর বিচার করি, এবং দ্বিতীয় বস্তুর সাথে তার সম্বন্ধ করে দেখি এবং ওই বস্তু ও অন্য বস্তুর মধ্যে তুলনা করে দেখি তখন সেই বস্তুর তাত্ত্বিক জ্ঞান চিত্তে প্রকট হয় এবং অন্যথা সেই বস্তুর জ্ঞান বাস্তবিকের বিরুদ্ধ প্রকট হয় এবং গুণী ও গুণের কোন সংযোগ থাকে না । এজন্য নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ঈশ্বরের তাত্ত্বিক জ্ঞান হতে পারে না এবং তা মিথ্যা ও অবগুণের সহিত হয়ে থাকে।"

প্রশ্নকর্তার এই উত্তর খুব ভালো লাগে এবং পূর্ণ সন্তোষ মেলে। লালা সাহেব স্বয়ং মদ্য পান করতেন না বরঞ্চ তা ঘৃণা করতেন । পরন্তু লোকজনের বর্তমান শঙ্কাকে স্বয়ং উপস্থাপিত করে উত্তর চান।



(প. লেখরাম কৃত জীবনী, পৃষ্ঠা ৩৬৫-৩৬৬ ,ভিন্ন সংষ্করণে পৃষ্ঠা সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে )

মূর্খ রামপাল নিজেই নিজেকে তত্ত্বদর্শী বলেন এবং প০ লেখরাম লিখিত স্বামী দয়ানন্দের জীবন চরিতের শুধুমাত্র ওই অংশটুকুই নিজের চেলাদের মূর্খ বানানোর জন্য দেখায় যখন স্বামী জী শৈব সাধুদের ন্যায় জীবন ব্যতীত করছিলেন এবং ভাং সেবন করেছিলেন সঙ্গদোষ পড়ে।

বন্ধুগণ, এখানে প্রশ্ন এই যে, যিনি নেশা অথবা ভাং এ আসক্ত লোক তিনি কি ইহার বিরুদ্ধ এমন উত্তর প্রদান করতে পারেন ?

রাম্পাল যদি এতই তত্ত্বদর্শী হবেন তো উপর লিখিত ভাং আদি মাদক পদার্থের বিষয়ে মহর্ষির ধারণা নিজের চেলাদেরকে কেন দেখান না ? এই প্রকারের ব্যবহারকে ধূর্ত্ততা ভিন্ন আর কি বলা যায় !!

প্রস্তুত বার্ত্তাংশ সেই জীবনী থেকে যে জীবনীর উল্লেখ করে রাম্পাল ও তাঁর চেলা মন্ডলী স্বামী দয়ানন্দ জীকে নেশাখোর ঘোষিত করার কুপ্রয়াস করছে।

যে স্বামী দয়ানন্দ কিনা সত্যার্থপ্রকাশেও স্পষ্টরূপে মাদক পদার্থ গ্রহণ করতে স্পষ্টত মানা করেছেন:-



. সত্যার্থ প্রকাশ- একাদশ সমুল্লাস্ , পৃষ্ঠা 272 এ  স্বামী দয়ানন্দ ভাং আদি মাদক পদার্থ গ্রহণকারীকে কুপাত্র বলেছেন।

প্রশ্ন - কুপাত্র এবং সুপাত্রের লক্ষণ কী?

উত্তরঃ ছলনা কপটতাযুক্ত স্বার্থপর, বিষয়াসক্ত, কাম, ক্রোধ লোভ মোহযুক্ত পরের অনিষ্টকারী লম্পট, মিথ্যাবাদী, বিদ্যাহীস, কুসঙ্গী ও অলস হওয়া,  দাতার নিকট বারংবার প্রার্থনা করা ও ধর্ণা দেওয়া,  দাতা দান না করিলে জিদেব বশতঃ যাঞ্চা করিতে থাকা,  সন্তুষ্ট না হওয়া, যে দান করে না,  তাহার নিন্দা করা ও তাহাকে অভিশাপ ও গালি দেওয়া,  কোন ব্যক্তি অনেক বার সেবা করিয়া পুনরায় সেবা না করিলে তাহার শত্রু হওয়া,  বাহিরে সাধুর বেশ ধরিয়া লোককে বিভ্রান্ত ও প্রতারিত করা,  নিজের নিকট ধন থাকা সত্বেও আমার নিকট কিছুই নাই বলা,  সকল কে ফুসলাইয়া স্বার্থসিদ্ধি করা,  দিবা রাত্রী ভিক্ষারত থাকা,  নিমন্ত্রিরিত হইলে ভাঙ সিদ্ধি প্রভূতি মাদকদ্রব্য যথেষ্ঠ পরিমাণে সেবন করিয়া পরদ্রব্য ভোজন করা, উন্মত্ত, প্রমাদগ্রস্থ এবং সত্যমার্গ বিরোধী হওয়া, স্বার্থ সাধনে অসত্য পথে চলা, শিষ্যদিগকে কেবল নিজেরই সেবা করিবার এবং অপর কোন যোগ্যব্যক্তির সেবা না করিবার উপদেশ দেওয়া,  সদবিদ্যাদি প্রবৃত্তির বিরোধী হওয়া,  জাগতিক ব্যবহারে অর্থাৎ স্ত্রী পুরুষ,  মাতা পিত্,  সন্তান, রাজা প্রজা এবং আত্মিয় বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে অপ্রীতি সৃষ্টি করা,  সমস্তই মিথ্যা, জগতও মিথ্যা এরূপ দুষ্ট উপদেশ দান করা ইত্যাদি " কুপাত্রের লক্ষণ"।

2. সত্যার্থ প্রকাশ- ১১ সমুল্লাস, পৃষ্ঠা 282

স্বামী দয়ানন্দ যেখানে স্পষ্টরূপে শৈব নাগা সাধুদের ব্যবহারকে ভুল সিদ্ধ করেছেন এবং যেকোন প্রকারের নেশা সাধুদের জন্য বর্জিত বলে উল্লেখ করেছেন-

খাখী - দেখ, আমি দিবা রাত্র বিবস্ত্র থাকি,  ধুণি জ্বালাই,  শত শত বার গাঁজা চরনে দম দিই,  তিন তিন ঘটী ভাঙ্ পান করি,  গাঁজা ভাঙ্ এবং ধুতুরা পাতার তরকারী করিয়া খাই,  সংখিয়া ও আফিম অনায়াসে গলাধঃকরন করি ,  নেশায় বিভোর হইয়া দিবারাত্র নিশ্চিন্ত থাকি।  সংসার কে কিছুই মনে করি না।  ভিক্ষা করিয়্ রুটি খাই এবং সারা রাত্রি এমন কাশির বেগ উঠে যে কেহ পার্শ্বে শয়ন করিলে তাহার নিদ্রা হয় না - ইত্যাদি সিদ্ধি ও সাধুত্ব আমার আছে।  তবে তুমি আমার নিন্দা করছো কেন?  সাবধান, অপদার্থ! আমাকে বিরক্ত করিলে তোমাকে ভস্ম করিয়া ফেলবো।

পন্ডিতঃ এ সব অসাধু,  মূর্খ এবং সর্বনাশার লক্ষণ,  সাধুর নহে।  শোনো "সাধ্নোতি পরাণি ধর্মকার্যাণি স সাধুঃ" যিনি ধর্মসঙ্গত উত্তম কার্য করেন,  সর্বদা পরোপকারে রত,  যিনি দোষরহিত বিদ্বান,  যিনি সত্যোপদেশ দ্বারা সকলের হিত সাধনে তৎপর,  তাহাকেই সাধু বলে।


স্বামী জী সত্যপ্রেমী ছিলেন এজন্য তিনি স্বীকার করেছিলেন যে সত্যের খোজে ঘর ছাড়ার পর অনেক বাবার সাথে সম্পর্ক হয়েছে।  তাহার মধ্যে এক ধূর্ত মন্ডলী তাকাকে ভাঙ্ এর ব্যসন লাগিয়ে দিয়েছেন।  কিন্তু মন্ডলী ছাড়ার পর তিনি সেই ব্যসন ত্যাগ করেন।
এখন ধাতব্য এবং প্রষ্টব্য এই যে, কি মানুষ্যের জীবন কে অল্পকালিা অবস্থা কে তাহার সম্পূর্ণ জীবনের উপর আরোপিত করা বুদ্ধিমত্তার পরিচয়?

এক মনুষ্য শিশু অবস্থায় বস্ত্রে মল মুত্র ত্যাগ করেন কিন্তু সেই অবস্থার সমাপ্ত হওয়ার কোন ব্যক্তি তাহার উপর আক্ষেপ করে না যে সে বস্ত্রে মল মুত্র ত্যাগ করতো।
এরূপ স্বামী দয়ানন্দের জীবনের অল্পকালিক অবস্থা (ভাং ব্যসন) কে নিয়ে তাহার পুরো জীবনের উপর আক্ষেপ লাগানো নিরাধার। পুরো জীবনী কে পড়ার জন্য সময় এবং ধৈর্যের আবশ্যকতা হয়। দু চার লাইন পড়ে দয়ানন্দ চরিত না তো বোঝা যায়  আর না তো দয়ানন্দ দর্শন।

রাম্পাল কতৃক আরেকটি ভ্রান্ত প্রচার মহর্ষির হুক্কা খাওয়া প্রসঙ্গে। কিন্তু এস্থলেও তিনি কতটা চাপাবাজি করেছেন আপনাদের দেখাবো-

লেখরাম জী কৃত ঊর্দ্দু সংস্করণের বিবরণ প্রসঙ্গে সম্পাদকের বিবৃতি হতে রাম্পাল দেখিয়েছেন যে -
" এই সময়ে স্বামী জী হুক্কা সেবন করতেন । একদিন পন্ডিত ভাগীরথ প্রশ্ন করছেন যে , এই যে তামাক সেবন করছেন এই বিষয়ে বলুন অর্থাৎ.......... বেদের কোথাও কি হুক্কা খাওয়ার কথা লেখা আছে ? স্বামী জী বললেন ..... বেদে কোথাও কি নিষেধ আছে ? এস্থলে সামান্য বিবাদ হয় এবং ভাগীরথ বলেন- আপনি সন্ন্যাসী হয়েও হুক্কা পান করেন ? স্বামী জী বললেন - যদি আপনি হুক্কাতে এত ক্রুদ্ধ হোন তো নিন ! এই বলে হুক্কাটি ভেঙ্গে ফেললেন।"

কিন্তু মহাধূর্ত্ত রাম্পাল এখানে  শুধুমাত্র সেই অংশটুকুই নিয়েছে যাতে তাঁর স্বার্থ সিদ্ধি হয় , ওই পৃষ্ঠার নিচের অংশটুকু তাঁর ভিডিওর ক্যামেরায় অতি সযত্নে আড়াল করে গেছেন, পুরো পৃষ্ঠা তিনি দেখান নি পাছে তার ছল-চাতুরি সব ধরা পড়ে যায় ! তার অন্ধ চেলারা যে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে যাবে না তা তিনি নিশ্চিত ই ছিলেন।

প্রথমে পাঠককে এই বিষয়ে অবগত করে রাখি যে , সেই সময়ে এই ঘটনার বিবৃতকারী লেখরাম জী স্বামীজীর সাথে ছিলেন না । যারা ছিলেন তারা হলেন- (১) পন্ডিত ভীমসেন (২) বিহারী বাবু (৩) সামন্তা (৪) ভূদেব ও (৫) বলদেব ব্রহ্মচারী।

এবং এই ঘটনা লেখরাম জী অন্যের বিবৃতি শুনেই লিখেছিলেন। এক্ষণে, সম্পাদকের বিবৃতির পুরো অংশ দেখুন -



স্বামী জীর হুক্কা খাওয়ার বিবরণ উল্লেখ করে পরক্ষণেই সম্পাদক বলছেন -
'উপরোক্ত বিবরণ বিশ্বসনীয় প্রতীত হয় না , কারন :-

(১) প্রথম তো যেখানে (ঊর্দ্দু সংস্করণে) স্বয়ং কাট ছাঁট , প্রতীত হয় যে প০ লেখরামের যে লিখিত বিবরণ হতে উহা লেখা হয়েছে, উহাতে অনেক কাট-ছাঁট হয়ে গেছে।


(২) পুনঃ প্রথম পৃষ্ঠা ১৩৯ এ তাঁর দ্বারা নস্য রূপে সেবনের বর্ণনা আছে, কিন্তু তা রোগের উপাচার অর্থে স্পষ্ট উল্লেখ আছে , আসক্তি অর্থে নয়।


(৩) এখানে বলা আছে ," স্বামীজী মাঁড়িতে যন্ত্রনা ছিলো , এজন্য তামাক মলা করত। আমরা তাঁকে তুলসীর পাতা ছিড়ে দিতাম ।







(৪) পুনঃরায় একথাও অবিশ্বসনীয় বলে প্রতীত হয় , যেই প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ পন্ডিতকে স্বামীজী হারিয়েছেন, তাঁর ছোট ছোট ত্রুটিকেও সামনে রেখেছেন এবং ইহাতে যারা আপনিই নিজেদের অপমানিত অনুভব করেছিলেন , তাঁদের মধ্যে কেউ স্বামীজীর এই ত্রুটির সংকেত পর্যন্ত করেন নি ।


(৫) আবার, হুক্কা পানে যার আসক্তি তিনি কি ব্যখ্যান , উপদেশ, শাস্ত্রকর্মে, জনমধ্যে হুক্কা পান বিনা সংযুক্ত থাকতে পারেন ? পন্ডিত লেখরাম দ্বারা সংগৃহীত কোনও এইরূপ বিবরণে স্বামীজীর প্রবল বিরোধীরা পর্যন্ত এই বিষয়ে আঙুল তুলেছেন বলে কোন বক্তব্য মেলে না।


(৬) পুনঃ স্বামী জীর সাথে তার যাত্রার সঙ্গী প০ বলদেব প্রসাদ ব্রাহ্মণ , রাজনাথ তিওয়ারী শিষ্য তথা হেমচন্দ্র চক্রবর্ত্তী কেউ ই যেখানে ঘটা প্রতিটি ঘটনারও অতিরিক্ত দৈনিক কার্যক্রম ও আহারাদি পর্যন্ত বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তাতে হুক্কা খাওয়ার কোথাও নাম পর্যন্ত নেই। হেমচন্দ্র চক্রবর্ত্তী তো স্পষ্ট লিখে গেছেন, "তিনি পান কিংবা হুক্কা সেবন করতেন না , পরন্তু তম্বাকু নস্য রূপে নিতেন এবং কিছু তম্বাকুর টুকরো মুখের মধ্যে রাখতেন-- বলতেন এতে দাঁতের খুব লাভ হয়।" (পৃষ্ঠা ২১৯-২২০)  আর আমরা আগেই প্রমাণ পেয়েছি তম্বাকুর সাথে তুলসী নিরসন করে ঔষধ তৈরি করা হতো  


পাঠক তামাক পাতা চাবানো বা পুড়িয়ে খাওয়া ক্ষতিকর । কিন্তু তা থেকে ঔষধ তৈরী তথা  তুলসীর সাথে মিলিয়ে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরী হয়। মূলত এই  পাতা দুই ধরনের ও প্রয়োগ আলাদা    প্রমাণ দেখুন এই লিংকে-

১. http://www.abovetopsecret.com/forum/thread546686/pg1

২.https://www.healthline.com/health/how-to-get-rid-of-toothache-at-night

৩.https://www.dentalhealth.org/smokeless-tobacco

(৭) ফর্রুখাবাদের উমরা দূর্গাপ্রসাদ জীর বক্তব্য- "এইসময় হুক্কার নিষেধ বিষয়ে উপদেশ করছিলেন।"
যিনি স্বয়ং হুক্কাপানের নিষেধ করেন

  যার জীবন সর্বসাধারণের নিকট উন্মুক্ত পুস্তকের ন্যায় , তিনিই সকলের সম্মুখে হুক্কা সেবনের মত ভুল কিরূপে করতে পারেন ?


পাখন্ডি : সন্ত রামপালের মত ধর্মগুরু সরাসরি বই থেকে হুকোর কথা দেখিয়েছে তার কথা ভুল হবে কেন  ?

খন্ডনঃ  সন্ত রামপাল একজন ভণ্ড বিশ্বাস না হলে নিচের ভিডিও দ্রষ্টব্য


তিনি তো কোরানেও কবীর পেয়েছেন !




রামপাল মহাভারত এর অনুগীতা দেখিয়ে বলেছে শ্রী কৃষ্ণ গীতা প্রদানের সময় জানতেন না তিনি কি বলছেন!






রামপালের মতে শিব ব্রহ্মা কেউ অমর নয়  !! পৌরাণিক ভ্রাতারা এটা মানবেন তো  ?




নারী কেলেঙ্কারির দায়ে রামপাল বর্তমানে জেলে বিচারের অপেক্ষায় তাঁর কুকর্ম নিয়ে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন :-

Sant Rampal's luxurious life inside the Satlok Ashram



How people fall into the trap of fraud godmen? 
(ZEE News)





 Who is greater: Sant Rampal or Haryana govt?
(ZEE News)


এই নারী কেলেঙ্কারির দায়ে লোকই নাকি অন্য গুরুদের "ভণ্ডামি" ধরতে আসে  ! হাস্যকর



Author

Unknown

  1. নিবন্ধটি অসাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ

    ReplyDelete