শিশির হল কোনো শীতল বস্তুর উপর জলীয় বাষ্প জমা হয়ে সৃষ্ট বিন্দু।একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বাতাস একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে। তাপমাত্রা বাড়লে যেমন ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি তাপমাত্রা কমলে ধারণক্ষমতা হ্রাস পায়।
সাধারণত সন্ধার পরে তাপমাত্রা কমে যায় এবং বাতাস জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। যদি তাপমাত্রা আরো কমে যায়, তখন বাতাস আর জলীয় বাষ্প ধরে রাখতে পারে না এবং তা শীতল বস্তুর উপর জলের কণা হিসেবে জমা হয়। এ জলের বিন্দু শিশির বিন্দু নামে পরিচিত (যেমন, ঘাসের উপর শিশির বিন্দু জমা হয়)।
আমাদের পৌরাণিক বিজ্ঞান কিন্তু তা বলছে না । তারা এসব 'পরিবর্তনশীল(?) বিজ্ঞানের ' কথা না মেনে আরো অধিকতর 'বৈজ্ঞানিক' তথ্য দিয়েছে ।
- শিশিরের কারণ কি জানেন ?
হাতি আকাশ থেকে তার শুঁড় দিয়ে জল নিক্ষেপ করে । সেই জলই নীহার বা শিশির নামে পরিচিত ।
বিশ্বাস হচ্ছে না তাই তো ? আসুন পড়ি
- বায়ু পুরাণ ৫১।৪৫-৪৭
যোঽসৌ বিভর্ত্তি ভগবান্ গঙ্গামাকাশগোচরাম্।
দিব্যামতিজলাং পুণ্যাং বিদ্যাং স্বর্গপথিস্থিতাম্ ॥
তস্যাবিষ্পন্দজন্তোয়ং দিগ্গজাঃ পৃথুভিঃ করৈঃ।
শীকরং সম্প্রমুঞ্চন্তি নীহার ইতি স স্মৃতঃ ॥
অনুবাদঃ দিগ্গজগণ, সেই আকাশগঙ্গার যে বিস্পন্দ-বিক্ষিপ্ত জলরাশি স্থূল শুণ্ডে গ্রহণপূর্ব্বক পরিত্যাগ করিয়া থাকে; উহাই নীহার বলিয়া প্ৰসিদ্ধ।
- বিষ্ণু পুরাণ ২।৯।১৬
কৃত্তিকাদিষু ঋক্ষেষু বিষমেষ্বম্বু যদ্দিবঃ ।
দৃষ্টার্কংপতরি জ্ঞেয়ং তদ্গাঙ্গং দিগ্গজোজ্ঝিতম্ ॥
অনুবাদঃ কৃত্তিকাদি নক্ষত্রগণ বিষম অবস্থায় থাকিলে, সূর্য্য প্রকাশ থাকিতে যে বারি আকাশ হইতে পতিত হয়, তাহা দিগ্গজণ প্রক্ষিপ্ত আকাশ-গঙ্গার জল।
- ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ৫৬।৪৭
তস্যা নিষ্যংদতোয়ানি দিগ্গজাঃ পৃথুভিঃ করৈঃ ।
শীকরং সম্প্রমুঞ্চন্তি নীহার ইতি স স্মৃতঃ ॥
অনুবাদঃ ঐ গঙ্গার স্পন্দন সম্ভূত জল দিগ্গ্জগগণ স্ব স্ব স্থূল শুণ্ড দ্বারা শীকররূপে নিক্ষেপ করে , তাহাই নীহার নামে নিরূপিত হয় ।
শীকর অর্থ জলকণা -
শুণ্ড অর্থ শুঁড় -
অলমিতি ।
0 মন্তব্য(গুলি)