ও৩ম্
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর বেদভাষ্য সম্পর্কে পৌরাণিককুলের আপত্তি ছিলো, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু কোন বিষয়ে খণ্ডনাত্মক নিবন্ধে যুক্তি প্রমাণ ও সভ্যতার ছাপ থাকা উচিত । যদিও বর্তমানে শৈবদের খণ্ডন নামক প্রহসনে নিন্দাবাক্যবর্ষণে তাদের অপভাষার প্রয়োগই তাদের যুক্তি বলে প্রতীয়মান হয় । তাই তাদের প্রত্যুত্তরে তেমনই ভাষা প্রয়োগ করার প্রবল বাসনা থাকলেও সংস্কারবশতঃ সমতুল্য পরিমাণ করা থেকে বিরত থাকলাম । আমাদের মূল লক্ষ্য বেদের প্রচার ও প্রসার । অযাচিত বিকৃত তথ্য দিয়ে ও নিন্দাবাক্যের বাহুল্য ঘটিয়ে হস্তিসদৃশ ভ্রান্তিবিলাস করা শৈবদেরই মানায় ।
অপপ্রচার ১ - মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী যজুর্বেদ ২৫।৭ এ গুহ্যদেশ দ্বারা অন্ধ সাপ ঢোকানোর কথা বলেছেন ।
খণ্ডনঃ প্রথমে আমরা তাদের অনুবাদ দেখে নেই -
এখানে 'निरन्तर लेओ ' অর্থ কিভাবে ঢুকাতে থাকো তারা করেছে আমাদের জানা নেই । পৌরাণিক সংস্কারের কারণে সব কিছুই তাদের কাছে যৌনতা বলে দৃষ্টিগোচর হওয়া গ্রহণ করাকেও তারা ' ঢোকাতে হবে' বলেছে ।
প্রকৃতপক্ষে এখানে অন্ধ সাপ ও কুটিল সাপকে গুদাদেশ ও আন্ত্রীয় দেশ থেকে ধরে বশ মানাতে বলা হয়েছে । দেখুন পণ্ডিত জয়দেব শর্মার ভাষ্য -
অন্ততঃ বিদ্যাহীনগণ যদি মহর্ষির যজুর্বেদ ভাষ্যের ইংরেজি অনুবাদটাও দেখতো তাহলেও এই ধরনের ঘৃণ্য আরোপ করতো না । কিন্তু যাদের পারিবারিক কিংবা ধর্মীয় শিক্ষায় কলুষিত তাদের নিকট স্বাধ্যায়ের আশা করাটা বৃথা ।
Beg for alms from the wealthy. Catch blind serpents from large intestines ; serpents from the entrails and subdue them. Overpower the crooked serpents from the guts. Discharge water through the bladder. Strengthen scrotum with the testicles. Examine the strength of a horse from his penis. Produce progeny with semen. Digest meals with the force of bile, Strengthen your belly by free discharge of digested food through anus. Obtain the strength of administration through forces.
অর্থাৎ আমরা যদি সরলীকরণ করি -
দরিদ্রদের দান করার জন্য ধনীদের কাছ থেকে (দানসামগ্রী) প্রার্থনা কর। অন্ধ সাপ ধরো বৃহদন্ত্র থেকে; অন্ত্র থেকে তাদের দমন কর। অসাধু সাপগুলোকে অন্ত্র থেকে শক্তি প্রয়োগে জয় করো (এখানে অন্ধ সাপ মূলতো অলংকারীক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে এখানে মূলতো কৃমি বোঝাচ্ছে) মূত্রথলি থেকে মূত্র নির্গমন করো। শুক্রাশয় সহ অণ্ডকোষ শক্তিশালী করো। ঘোড়ার পুংজননাঙ্গ থেকে তার শক্তি পরীক্ষা করো। বীর্য দ্বারা সন্তান উৎপাদন কর। পিত্তরসের ক্ষমতা/শক্তি দ্বারা খাদ্য পরিপাক করো। পরিপাককৃত খাদ্যকে পায়ুপথ দ্বারা মুক্ত নিষ্কাশনের মাধ্যমে পেটকে শক্তিশালী করো। প্রাণসমূহ দ্বারা এভাবে শরীর শাসনের ক্ষমতা অর্জন করো ।
এখানে কিছু বিষয় আমরা সুস্পষ্ট করে দিচ্ছি তাদের অপপ্রশ্নের আলোকে । পাঠকগণ তাদের পরবর্তী সব প্রশ্নের উত্তরও এমন ধরে নেবেন কেননা যেখানে তারা মহর্ষির ভাষ্যানুবাদ বিকৃত করেছে তাদের প্রশ্নের কোন মূল্য থাকলো কি ?
১। অণ্ড আর আণ্ডা এক নয় । অণ্ডদ্বারা অণ্ডকোষ লক্ষিত [Strengthen scrotum with the testicles. ]। তাই একে ডিম বলা বাংলায় চূড়ান্ত অপরিপক্বতার পরিচায়ক ।
২। লিঙ্গ দ্বারা অশ্বকে গ্রহণ [ তোমাদের মতে ঢোকানো ] কোথায় আছে ? কেননা যদি পূর্ব গুদাদেশ দিয়ে অন্ধ সাপকে ঢোকানোর কথা ধরতে হয় একই পূর্বাপর বিবেচনায় লিঙ্গ দ্বারা অশ্বপ্রবেশ করতে হবে যা কদাপিই অভীষ্ট নয় তা উপরে ভাষ্যনুবাদ পঠনমাত্রেই সুস্পষ্ট ।
আর যাদের ভাষ্য পরম্পরায় [ যদিও অন্তর্জালের এসব পাশুপত শৈবদের ভাষ্যকে টোকাইবৃত্তি পরম্পরা বলাটাই শ্রেয় ] অশ্ব সমাগম অন্যতম মান্য বিধান তাদের কি বলা যাবে । পাঠক এসব নির্লজ্জদের বিষয়ে জানতে আরো পড়ুন -
- পৌরাণিক বিচিত্র গর্ভাধান [ পশু , পাখির সাথে ]
- ভাগবতে জীব জড়ের অবৈজ্ঞানিক জন্মতত্ত্ব
- অশ্বমেধ ও পৌরাণিকভাষ্যকারদের লীলা
তাদের অনুবাদে অশ্বের নানা অঙ্গ দ্বারা এখানে দৈবী শক্তিকে গ্রহণের কথা আছে যা কিনা মহীধর - করপাত্রী কারোই অভীষ্ট নয় ।
শৈবরা জবাবে যা অনুবাদ দিয়েছে তা কোন অনুবাদ থেকে নেওয়া বা কোন ভাষ্যকার একটিরও নাম বা কোন ছবি দেয়নি । কেননা তারা কেবল বিরোধ করতেই পটু কিন্তু নির্দিষ্ট ভাষ্যকার তাদের নেই । ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে স্বীয় মত যা দ্বারা সিদ্ধ হয় তার আংশিক চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে স্বয়ংকে উচ্চ প্রতিভাত করাই এর উদ্দেশ্য । পূর্বাদি পৌরাণিক ভাষ্যকারগণ উক্ত অশ্ব অঙ্গ দ্বারা নির্দিষ্ট দেবতাদের প্রসন্ন করার কথা বলেছে ।
এখানে মূল তাৎপর্য ২টি
- সর্প বশীভূতকরণ
- সর্পাদির সাথে পাচনতন্ত্রের সাদৃশ্য জ্ঞান
২য় পক্ষের ভাষ্যও দেখুন -
- Biology NCERT Textbook (English Medium) Class :– 11 Chapter :– 16 {DIGESTION AND ABSORPTION}(Page-259)
- The term cecum comes from Latin (intestinum) caecum, literally 'blind intestine', in the sense 'blind gut' or 'cul de sac'
এবার পৌরাণিকদের অর্থ দেখি -
- সত্যব্রত সামশ্রমী
- জ্বালাপ্রসাদ মিশ্র
- স্বামী করপাত্রী
- মহীধর অনুযায়ী অক্ষয় লাইব্রেরীর অনুবাদ -
পূষা দেবতাকে অশ্বের বৃহৎ অন্ত্রের দ্বারা প্রীণিত করছি। অন্ধাহি (অর্থাৎ অন্ধসর্প) দেবতাকে স্থূল, পায়ুস্থানের দ্বারা প্রীণিত করছি। পায়ুভাগের মাংসের দ্বারা বিত নামক দেবতাকে প্রীণিত করছি। বস্তির (বা মূত্রস্থলীর) দ্বারা আপঃ দেবতাকে প্রীণিত করছি। অণ্ডকোষের দ্বারা বৃষণ দেবতাকে প্রীণিত করছি। অশ্বলিঙ্গের দ্বারা অশ্বদেবতাকে প্রণীতি করছি। প্রজা দেবতাকে অশ্ববীর্যের দ্বারা প্রীণিত করছি। চাষ নামক দেবতাকে পিত্তের দ্বারা প্রীণিত করছি। পায়ুস্থানের তৃতীয় ভাগের দ্বারা প্রদর দেবতাকে প্রীণিত করছি এবং বিষ্ঠাপিণ্ডের দ্বারা কুম্মান নামক দেবতাকে প্রীণিত করছি।
এখন বলো দেখি, তোমার বৃহদান্ত্রেরর স্থূলভাগ কোন অন্ধ সর্প দেবতা পেয়ে প্রসন্ন হয় ? অণ্ডকোষ দ্বারা বৃষণদেব কি কাজ করেন ? তিনি কি শৈবদের অণ্ডকোষের দেবতা নাকি অণ্ডকোষ শৈবগণ উক্ত দেবতার প্রসাদ হিসেবে নিত্য আহার করে ? আর শকপিণ্ড মানে বোঝো ? অশ্বের মল হলো শক আর তার দ্বারা তৈরি পিণ্ডকে কুশ্মান দেবতার প্রসন্নের জন্য দিতে বলা হয়েছে ।
কোথায় মহর্ষির প্রতিপাদিত সর্প বশীভূত করার প্রশিক্ষণ বিদ্যা, পশু প্রজনন বিদ্যা শিক্ষার মূল আর কোথায় পৌরাণিক - শৈবদের অণ্ডকোষ, বৃহদান্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত্র, গোবর দিয়ে খুশি হওয়া দেবতা ।
যাদের দেবতাদের প্রসন্ন হওয়ার উপাদানই এতো নিকৃষ্ট তাদের চিন্তাভাবনা যে এতোটা নিচু হবে এটাই স্বাভাবিক ।
অপপ্রচার ২: যজুর্বেদ ১৯।৮৮ স্বামী-স্ত্রীর গর্ভাধান প্রক্রিয়া ।
খণ্ডনঃ প্রথমে আমরা তাদের অনুবাদ দেখে নেই -
এবার প্রকৃত অনুবাদ দেখি -
১। // যেমনভাবে যার থেকে রস খাওয়া হয়// এটা সম্পূর্ণ ভুল । মজার বিষয় এরা যে হিন্দি পিডিএফ থেকে কপি করে লিখেছে তা // दयानंद इसका अर्थ अपने यजुर्वेदभाष्य में यह लिखते हैं कि// এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে । অর্থাৎ একটা খণ্ডন লেখার মত নূন্যতম বিদ্যাও এদের নেই ।
মূলে আছে // (जिह्वा) जुहोति गृह्णाति यया सा (पवित्रम्) शुद्धम् (अश्विना) गृहाश्रमव्यवहारव्यापिनौ (आसन्) आस्ये (सरस्वती) वाणीव ज्ञानवती स्त्री // এখানে রস গ্রহণ করা জিহ্বার সাথে সম্পৃক্ত ও স্ত্রীকে বলা আছে বাণীর সমতুল্য । সংস্কৃতাভাষ্যে স্পষ্টভাবে ' বাণীব জ্ঞানবতী স্ত্রী ' লেখা আছে । (अश्विना) गृहाश्रमव्यवहारव्यापिनौ = দ্বারা গৃহস্থাশ্রমে স্বামী-স্ত্রীর বিষয়ে উল্লেখই এখানে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় । এখানে অশ্লীলতার কি আছে ?
যজুর্বেদ ১৯।৮৮ = এখানে গর্ভাধান বিধির কথা বলা হয়েছে । মূল বাংলা অনুবাদ দেওয়া হয়েছে । আর এখানে বৃহদারণ্যক ৬।৪।১০ দেখুন তো মিল পান কিনা ।
চরক সংহিতার শারীর স্থান ৮।৭ এও গর্ভাধান বিধিতে শারীরিক অবস্থানের বিবরণ রয়েছে । এর মূল স্রোত যে বেদ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পারস্কর গৃহ্যসূত্র ১।১১।৫ তেও গর্ভাধানের এই প্রক্রিয়ার সংকেত পাওয়া যায়
তাদের মতে এখানে নাকি শরীরের অঙ্গ তৈরির কথা আছে ।
কিন্তু মহীধর অনুযায়ী এখানে পাত্রের নানা অংশে দেব অধিষ্ঠান কল্পিত হয়েছে ।
জ্বালাপ্রসাদ মিশ্র লিখেছে - সৎনামপাত্র ইন্দ্রের মুখ আর তা দ্বারা শিরের চিকিৎসা হয়েছে , অশ্বিনীকুমারদ্বয় জিহ্বা , সরস্বতী মুখে স্থিত ; চষ্য পায়ু ইন্দ্রিয় , সুরারসগলনবস্ত্র [ সামশ্রমীতে বাল ] এর চিকিৎসক , আর অন্ত্র ও বীর্য দ্বারা পুংজনন হয়েছে ।
এখানে সবই সতনামক পাত্রের কথা । মজার বিষয় এই শৈবদের সবগুলো অর্থই নিজেদের গোয়ালঘরে বানানো ।
জননেন্দ্রিয়পূজকদের নিজেদের অশ্লীল কাজে আপত্তি না থাকলেও বেদবিহিত বৈধ সন্তান প্রজনন শিক্ষায় আপত্তি । সম্ভবত: যবনের ন্যায় জন্মাদি তত্ত্বে বিশ্বাসী হওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া । অবশ্যঃ শিবপুরাণ শতরুদ্র সংহিতার সতীখণ্ডের ২০ তম অধ্যায়ে ' মোহিনীকে দেখে কামবশতঃ শিবের নির্গত হওয়া বীর্যকে ঋষিরা পাতায় ধারণ করেন ও অঞ্জনীর কানে ঢেলে দেন, যা থেকে হনুমানের জন্ম '
গীতাপ্রেস ছল অবলম্বন করে মূল শ্লোকে বীর্য থাকা সত্ত্বেও অনুবাদে লিখেছে ' তেজ ' ।
এখন শৈবরা তো মহাখুশি আর বলবে বেদে এক শব্দের একাধিক অর্থ হয় এখানে আক্ষরিক নিয়ে নিন্দা করছো কেন । আসুন তাদের একটা ছলচাতুরি দেখিতে প্রমাণ করি গীতাপ্রেস ঠিক কোন পর্যায়ের চোর এবং এইজন্যই আরেক চোর শৈবদের তা অতিপ্রিয় ।
এবার গীতাপ্রেসের অনুবাদ কেন নির্ভরযোগ্য নয় বুঝলেন পাঠক ?
(১) কামবশতঃ ' তেজ ' কিভাবে বের হয় ?
(২) তেজ কি তরল নাকি শক্তি ? কেননা শক্তি হলে পাতায় ধারণ করার কি আছে ? পাতায় তো বীর্য হলেই ধারণ করবে যেন পড়ে না যায় । বিষ্ণু ভাগবতেও [ ৮.১২.৩৩] তো শিবের বীর্য থেকেই রূপা- সোনার খনি হয়েছে লেখা । গীতাপ্রেস দিলাম যেন আবার 'তেজের ' ভূত না চাপে ।
গৌড়ীয়রা এখানে যতই অর্থবাদ বলে পেচাতে আসুক না কেন তাদের মূল অনুবাদ বা ভাষ্যে কোথাও উল্লেখ নেই ।
(৩) আয়ুর্বেদ ও ব্রাহ্মণাদি সমর্থিত শুদ্ধ প্রজননে আপত্তি কিন্তু অঞ্জনীর কানে বীর্য ঢালা অনেক শ্লীল ও বৈজ্ঞানিক তাই না ? শৈবদের কুলপরম্পরাও কি এভাবেই জন্ম গ্রহণ করে ?
এখন আমরা যদি বলি মহর্ষির ভাষ্যের হিন্দি ভাষান্তর মূল সংস্কৃত অনুযায়ী শুদ্ধভাবে আচার্য শ্রী সুদর্শন দেব করেছেন তখন এরাই কিন্তু মানবে না প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও । কিন্তু নিজেদের মুখ রক্ষায় প্রকাশ্য দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট গীতাপ্রেসের ছলকেই সমর্থন করবে । অবশ্য তামসিক ভূতপ্রেতপূজারীদের ভালো আশা করাটাই ভুল ।
শৈবদের শিব পুরাণ ও লিঙ্গ পুরাণ থেকে আরো কিছু জন্মতত্ত্ব । এরা আবার বোঝায় সব নাকি আসলে দেবতা বা অধিষ্ঠাত্রী দেব , কোন পশু বা জড় পদার্থ নয় যেখানে মূলে স্পষ্ট পশুর নাম ও একখুর, দ্বিখুর আছেই । এসব নব্য যুক্তিসহ আপডেটেড খণ্ডন দেখুন -
অপপ্রচার ৩ঃ যজুর্বেদ ১৯।৭৬ - অশ্লীল ।
খণ্ডনঃ আগে প্রকৃত অনুবাদ দেখুন -
যজুর্বেদ ১৯।৭৬ এ বৈধ গর্ভাধান বিজ্ঞান রয়েছে । এতে আপত্তির কি আছে ? তোমার জন্ম কি ধপাস তত্ত্বের মাধ্যমে হয়েছে ? অবশ্যই না ।
এখানে তোমাদের অনুবাদে ' ইন্দ্রিয় ' পদের অর্থ কোথায় ? প্রচলিত অনুবাদেও তো এই কথাই আছে । তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে বিরোধ করছো ?
সম্মানিত পাঠক বুঝতেই পারছেন এগুলো কেবল বিরোধ করতে হবে ও আমাদের বিরুদ্ধে মানুষ্কে বিভ্রান্ত করতে হবে এজন্যেই করা । নতুবা সারতত্ত্ব কিছুই নেই ।
তবে হ্যাঁ আপনাদের পুরাণে যেমন গুহ্যদেশ থেকে ভূত প্রেত পিশাচের উৎপত্তি হয়েছে বলা তেমন সায়েন্স আমাদের নেই । দুঃখিত । বিশ্বাস না হলে নিজেই পড়ে নিন - ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ব্রহ্মখণ্ড ৫।৫৭-৬৬
আর গর্ভাধান বিধি বেদেও আছে । অথর্ববেদ ১৪.২.৩১ -
অপপ্রচার ৩ঃ যজুর্বেদ ২৫.১ - অশ্লীল ।
খণ্ডনঃ আগে প্রকৃত অনুবাদ দেখুন । প্রতিটি ভাগ আলাদা আলাদা করে হাইলাইট করা হয়েছে । আমরা আমাদের প্রমাণে অন্য সংস্করণ থেকেও দেখাচ্ছি ।
- মুখের সাথে জলের সম্পর্ক
- অণ্ডকোষের সাথে বীর্যের সম্পর্ক
- শ্মশ্রুর সাথে আদিত্য = বিদ্বানের সম্পর্ক [ ছান্দোগ্য ৩.১৬.৫ ]
আমরা তাদের সমস্ত অপপ্রচার সপ্রমাণ খণ্ডন করেছি । ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লেখাটি দীর্ঘ হওয়ায় আশঙ্কায় আমরা আরো কিছু পুরাণের দিক্দর্শন করা থেকে বিরত থাকলাম । স্বতন্ত্র লেখায় তা প্রকাশ করা হবে । শৈবদের যদি আরো অপপ্রচারের বাসনা থাকে তবে যে টুকু সম্মানাদি তাদের আছে সেটিও হারাবে, আমরাও প্রস্তুত । এটা বিবৃতি নয় , সাবধান করে দেওয়া মাত্র ।
0 মন্তব্য(গুলি)