আজ একটি নিবন্ধ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় । যাতে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও স্বামী সত্যানন্দজীর জীবনী থেকে দাবি করা হয়েছে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীকে কোন প্রকার বিষ প্রয়োগ করা হয়নি এবং আমরা যে নির্বাণ লাভের কথা বলেছি তা ভ্রান্ত ।
বলা বাহুল্য, বরাবরের মতই ফেইক আইডি দিয়ে চটকদার কথা ও উন্মত্তের ন্যায় প্রলাপ বিশেষ । শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আর্যসমাজী না হয়েও সর্বপ্রথম মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীজীর জীবনী রচনা করেন । পরবর্তীতে পণ্ডিত লেখরাম সুবৃহৎ বিশাল জীবনী উর্দুতে রচনা করেন যাতে তিনি মহর্ষির সমস্ত ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন । উক্ত গ্রন্থটি শ্রী রঘুনন্দন সিংহ দ্বারা অনূদিত হয়ে আর্ষসাহিত্য প্রচার ট্রাস্ট প্রকাশ করে যার সম্পাদক ছিলেন ড. ভবানীলাল ভারতীয় । স্বামী সত্যানন্দ মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীজীর জীবনের আধ্যাত্মিক দিকসমূহ অত্যন্ত ভক্তিমূলকভাবে উপস্থাপন করেন সুললিত সাহিত্যে । পরবর্তীতে শ্রী ঘাসিরাম উক্ত গ্রন্থত্রয়ীর সমস্ত তথ্য - উপাত্ত নিজে অনুসন্ধান করে প্রামাণিক জীবনী প্রস্তুত করেন যা ১৯৯০ বিক্রমাব্দে প্রকাশিত হয় আজমেরস্থ আর্ষ সাহিত্য মণ্ডল লিমিটেড দ্বারা ।
চিত্রঃ শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও শ্রী ঘাসিরাম
অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে দেখলে দেবেন্দ্রনাথ বাবু প্রাথমিক ও পণ্ডিত লেখরাম সমস্ত উপাদান চূড়ান্তভাবে সংগ্রহ করেছেন ।
সেখান থেকেই স্বামী সত্যানন্দ ভাবভক্তিময় সার ও শ্রী ঘাসিরাম চূড়ান্ত জীবনী রচনা করেন । সমস্ত গ্রন্থেই মহর্ষিকে বিষ প্রদান বা পাচক দ্বারা কাচের গুড়ো দুগ্ধে মিশ্রণের ঘটনা বিদ্যমান ।
চিত্রঃ স্বামী সত্যানন্দ কৃত জীবনী
প্রথমোক্ত গ্রন্থত্রয়ে এই বিষয় রয়েছে । লেখরামজী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন । স্বামী সত্যানন্দের রচনাও তা বিবৃত আর ঘাসিরাম মহাশয় সরাসরি উল্লেখ করেছেন । যেখানে জীবনী থেকে শুরু করে সর্বত্র এহেন ইতিহাস প্রসিদ্ধ ও প্রামাণিক সেখানে কোন পিতৃপরিচয়হীন কিংবা একাধিক পিতৃ উৎপন্ন ফেইক আইডির মূল লক্ষ্য যে দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বীয় প্রচার বৃদ্ধি ও আমাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করা তা বলাই বাহুল্য ।
বাংলাদেশ অগ্নিবীরের প্রচারকার্য ব্যাপকভাবে চলমান । এহেন নিম্নমানের কাজে আমাদের দৃষ্টিপাতের সময় নেই । তারপরেও প্রথমবার বিধায় আমরা প্রমাণসমূহ গ্রন্থের ছবিসহ দাগিয়ে দিলাম । পরবর্তীতে আমাদের ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে এলে তাদের নিজেদের ইতিহাস দেখিয়ে দেওয়া হবে । চ্যালেঞ্জ নয়, সাবধান বাণী ।
0 মন্তব্য(গুলি)