https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

নাস্তিক বুদ্ধের অজ্ঞান বনাম বৈদিক ঈশ্বরীয় বিজ্ঞান

Friday, February 2, 2024

 


খালি কলসি বাজে বেশি - এই প্রবাদের উপযুক্ত উদাহারণ হলো সারাদিন ফেসবুকে লাফানো কিছুসংখ্যক বৌদ্ধরা। সনাতনধর্ম কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম, অন্ধবিশ্বাসের ধর্ম। আর পৃথিবীর একমাত্র বিজ্ঞানময় ধর্ম হলো বৌদ্ধধর্ম। এরা কোনোদিন নিজেদের ধর্মগ্রন্থের দুপাতাও পড়ে দেখেনি, হিন্দু শাস্ত্রত অনেক দূরের কথা। এদের জ্ঞানের একমাত্র উৎস হলো কিছু ফেসবুক ভান্তেদের পোস্ট আর ভারতের নবযানী বৌদ্ধরা। অথছ থেরবাদী বৌদ্ধদের প্রধাণ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক কিছুটাও অধ্যয়ন করলে যেকেউ লক্ষ করবে তাতে বিজ্ঞানের ছিটেফোঁটাত নেই, বরং সর্বত্র অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা ও বুদ্ধের নানা অলৌকিক কর্মকাণ্ডের গালগল্পে পূর্ণ। এতটা ঠাকুরমার ঝুলি আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্থগুলোতেও দেখা যায় না।
যেমন ত্রিপিটকের সুত্তনিপাত, উরগ বর্গ, ধনিয় সূত্রে বুদ্ধ কীভাবে যাদুটোনা করে বৃষ্টিপাত ঘটাতেন তা বর্ণিত হচ্ছে। এবং আরো বর্ণিত হচ্ছে যে বুদ্ধের সেই অলৌকিক ক্ষমতা দর্শন করে গোপালক ধনিয় ও তার স্ত্রী বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে। যা আপনারা পোস্টে যুক্ত করা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। একটু পড়ে দেখুন কিছুর সাথে মিল পাচ্ছেন কিনা? 
 
 


 
 পৃথিবীর সব মানবনির্মিত রিলিজিয়নগুলোতেই মানুষের মন ভুলানোর একই পদ্ধতি। যখন আপনি নিজের দর্শনকে যুক্তি-তর্কের আলোকে defend করে লড়াই করতে পারবেন না তখন আপনাকে এরকমই নানা রূপকথার গল্প বানিয়ে মানুষের মন ভুলাতে হবে। যা বুদ্ধের মতো পৃথিবীর সব fraud রাই অনুসরণ করে গিয়েছে। 
 
অন্যদিকে যদি আপনি উপনিষদ্, ব্রাহ্মণাদি বৈদিক শাস্ত্র পড়েন কোথাও দেখবেন না ঋষিগণ এরূপ কোনো অলৌকিক ঘটনা দেখিয়ে মানুষের মন ভুলিয়েছেন। সর্বত্র দেখবেন তাঁরা মহান সনাতনধর্মদর্শন তথা ব্রহ্মতত্ত্ব আদি নিয়ে আলোচনা করে সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে গিয়েছেন। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় অর্জুনকে convince করেছেন সেই মহান সনাতনদর্শন দিয়ে, কোনো অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়ে না। 
 
সে যাই হোক বৌদ্ধধর্মে বৃষ্টিপাতের মহান বিজ্ঞান আমরা সকলেই পড়লাম। এবার চলুন ঈশ্বরীয় শাশ্বত জ্ঞান বেদ থেকে দেখি বৃষ্টিপাত কেন হয়?
 
★उदी॑रयत मरुतः समुद्र॒तस्त्वे॒षो अ॒र्को नभ॒ उत्पा॑तयाथ। म॑हऋष॒भस्य॒ नद॑तो॒ नभ॑स्वतो वा॒श्रा आपः॑ पृथि॒वीं त॑र्पयन्तु ॥
[অথর্ববেদ ৪|১৫|৫]
(मरुतः) হে বায়ু! (अर्कः= अर्कस्य) সূর্যের (त्वेषः= त्वेषेण) কিরণ দ্বারা (नभः) জলকে (समुद्रतः) সমুদ্র হতে (उदीरयत) উত্তোলন করো (उत् पातयाथ) ও উপরের দিকে নিয়ে যাও। (मह ऋषभस्य) বিশাল, গমনশীল , (नदतः) গর্জনরত, (नभस्वतः) আকাশে বিস্তৃত মেঘমালার (वाश्राः) শব্দায়মান (आपः) জলধারা (पृथिवीम्) পৃথিবীকে (तर्पयन्तु) তৃপ্ত করুক ॥
 


এখানে আর কোনো বর্ণনা যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। পানিচক্র অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই এখানে বর্ণিত। বেদের এরূপ অগণিত মন্ত্রে ও অন্যান্য অনেক হিন্দুশাস্ত্রেও পানিচক্রের স্পষ্ট বর্ণনা আছে। তাই বৈদিক দর্শনে কোনো fraud নাস্তিকের যাদুটোনাতে বৃষ্টিপাত হয়না। বরং বৃষ্টিপাত হয় মহান ঈশ্বরেরই সৃষ্টি করা পানিচক্রের মধ্য দিয়ে এবং সেই বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরেরই মহিমা ব্যক্ত হয় [অথ০ ১১|২|২৪]
 
সনাতন বৈদিক ধর্মের জয় হোক, ভ্রান্ত নাস্তিক্যবাদের বিনাশ হোক 🙏