https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

যজুর্বেদে কি পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমার কথা বলা হয়েছে? মূর্খের আস্ফালন নিবারণ

Saturday, October 19, 2024

 


ভূমিকা : প্রতিমা পূজন বৌদ্ধ ও জৈনরাও করে। কিন্তু তারা সনাতন ধর্মাবলম্বী নয়। সুতরাং সনাতনী হওয়ার জন্য প্রতিমা পূজাতে বিশ্বাস রাখতেই হবে– এমন কোনো বাধ্যবাধকতা বেদ, উপনিষদ,গীতায় পাওয়া যায় না। আর্যরা প্রতিমাকে প্রতিমা হিসেবেই দেখে। কোনো ভাবুকতার দৃষ্টিতে নয়। তাই প্রতিমাপূজা বা প্রতিমার প্রতি ঘৃণা- এই দুইয়ের একটি ভাবও তারা ধারণ করে না। অপিতু, মন্দির ও সনাতনীদের রক্ষায় জীবন দেয়ার ইতিহাস আর্যসমাজে রয়েছে। কারণ প্রতিমায় ঈশ্বরত্ব আমাদের দৃষ্টিগোচর না হলেও প্রতিমায় ভক্তের নিষ্পাপ শ্রদ্ধা ও ভক্তি আমাদের কাছে প্রত্যক্ষ ও উপলব্ধির যোগ্য। তাই আর্যরা দার্শনিক ও শাস্ত্র বিচারে সাকারোপাসনা খণ্ডন করলেও কখনো সেই বিচারধারা কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার যেমন পক্ষপাতী নয়, তেমনি পৌরাণিকদের দ্বারা সাকার উপাসনা বেদ থেকে যত্রতত্র প্রকারে গোঁজামিল দিয়ে প্রমাণ করার অপচেষ্টা দেখলেও আর্যরা মুখ বন্ধ করে বসে থাকার পাত্র নয়। বৃহত্তর ঐক্যের কথা ভেবেই প্রতিমাপূজার খণ্ডন কখনো ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয় না । ঔদার্যবশত পূর্ববঙ্গীয় আর্যদের বিশেষ করে বাংলাদেশ অগ্নিবীরের এই বিষয়ে শিথিল আচরণকে দুর্বলতা ভেবে থাকলে তারা ভুলের স্বর্গে বসবাস করছে। জন্মলগ্ন থেকে যে সংগঠন আব্রাহা/মিকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তাকে এবং তার অনুসারীদেরকে আব্রা/হামিকদের সাথে তুলনা করা মূ/র্খ পৌরাণিকের (যার নিজের সম্প্রদায়েরই পূজ্য প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং নিজের গীতাভাষ্যে বিভিন্ন দেবদেবীর মৃ/ত্যু ও দেবদেবীর উপাসনার ফলে অধো/গতি লাভের কথা ছত্রে ছত্রে বর্ণনা করেছেন!) আস্ফালন নিবারণ করা জরুরি।
যজুর্বেদোক্ত মন্ত্রে (৩২/৩) “প্রতিমা” শব্দের উল্লেখ দেখেই এই কতিপয়রা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প/শুর মতো পরম উচ্ছ্বাসে লম্ফঝম্প শুরু করে নিজেদের মূ/র্খতার পরমসীমা যত্রতত্র প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তার এবং তার গুরুমা/রা চ্যালাদের দাবি, “সহস্রস্য প্রতিমাং বিশ্বরূপম্” (যজু০ ১৩।৪১) মন্ত্রের অর্থ - ‘বিশ্বময় পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমা’ ! পূর্বপক্ষ শর্তও জুড়ে দিয়েছে যে, “ন তস্য প্রতিমা অস্তি” এর ক্ষেত্রে প্রতিমা অর্থ যদি প্রতিমা/মূর্তি/অবয়ব আদি হয় তাহলে আলোচ্য মন্ত্রের “প্রতিমা” শব্দের অর্থও তাই হবে।
অর্থাৎ, এস্থলে এসে তারা প্রতিমা শব্দের আর্ষানুকূল অর্থ মেনে নিয়েছে। কিন্তু যজু০ ১৩।৪১- এ এসে সেই প্রতিমার বর্ণনা পরমাত্মা পক্ষে করেছে! যেখানে ৩২।৩ এ পরমেশ্বরের প্রতিমা/আকার/অবয়ব থাকাকে নাকচ করে দেয়া হয়েছে। 
 
তো তাদের এই দাবি থেকে আসলে কি বোঝা গেল? 
 
১. যজুর্বেদ ৩২।৩ অনুসারে, পরমেশ্বরের প্রতিমা নেই।
২. যজুর্বেদ ১৩।৪১ অনুসারে, পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমা আছে! 
 
অর্থাৎ, তাদের ভাষ্যমতে যজুর্বেদ স্ববিরোধী! না, অবাক হচ্ছি না। কারণ নিজের সম্প্রদায়গত পুরাণ আর তন্ত্রোক্ত নবীন উপাসনা প্রণালীকে বেদোক্ত সিদ্ধ করতে গিয়ে যদি বেদবাণীকে পরস্পরবিরুদ্ধ প্রতিপন্ন করতে হয় তো এই বরাহনন্দনেরা তাই করবে! কারণ এদের মতো কিছু লোকের কাছে বেদমাতার সম্মান ও মর্যাদা অপেক্ষা সাম্প্রদায়িক মান্যতার রক্ষার প্রতিই মনযোগ বেশি! 
 
💥💥যারা “ঐক্য ঐক্য” বলে বারো মাসে তেরো পার্বণে চেঁচিয়ে চোখের জল আর নাকের জল এক করেন, তারা দেখে রাখুন, আপনার ঐক্যের মৃতক-শ্রাদ্ধ কে বা কারা কিভাবে শুরু করেছে সাম্প্রদায়িক মান্যতার সামনে বেদের মন্ত্রকে পরস্পরবিরোধী প্রতিপন্ন করার ধূর্ত থেকে ধূর্ততম প্রয়াস গ্রহণ করে। এভাবেই এরা শতাব্দী হতে শতাব্দী ধরে মানুষকে বেদবিমুখ করে রেখেছে। পূর্বে বেদ থেকে দূরে সরিয়েছে সকল মনুষ্যের বেদপাঠকে অমঙ্গলকারী বলে প্রচার করে, আর এখন সনাতনীদের ঘরে ঘরে বেদের বাণী অগ্নিবীরের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে বিধায় ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে, বেদবাণীকে পরস্পরবিরুদ্ধ প্রতিপন্ন করার এক নব অপপ্রয়াস গ্রহণ করে নিরাকারবাদে প্রতিষ্ঠিত মহাগ্রন্থ বেদ থেকে কাঁঠালের আমসত্ত্বের ন্যায় সাকার উপাসনা সিদ্ধ করতে চাইছে। এতে বেদার্থের হানি ঘটছে কি না, সেই খেয়াল সম্প্রদায়-প্রিয় বাছাদের নেই। কথিত ঐক্যবাদীগণও এ জায়গায় এসে নীরব। ধূ/র্তের ধূর্ততার পদ্ধতি পাল্টেছে বটে কিন্তু স্বভাব বদলায়নি। মহাভারতও ধূর্তদের এই ঐতিহাসিক “পরম্পরার” সাক্ষী। 
 
“হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ ! যে মনুষ্য প্রমাণভূত বেদকে নিজের অপ্রামাণিক কুতর্কের দ্বারা অমঙ্গলকারী সিদ্ধ করতে চায়, তার বুদ্ধি শুদ্ধ নয়, তার মন সর্বদা পাপকার্যেই নিযুক্ত থাকে, সে তার অশুভ কর্মের কারণে পাপাচারীদের লোকেই গমন করে।।”
[মহাভারত শান্তিপর্ব ২৬৩/১৫-১৬, (তুলাধার বৈশ্যের সন্দেশ); গীতাপ্রেস]
 

 
যাইহোক, বিভিন্ন পৌরাণিক ভাষ্যকার এবং অনুবাদকগণ আলোচ্য মন্ত্রের (“সহস্রস্য প্রতিমাং বিশ্বরূপম্”- যজু০ ১৩।৩১) প্রতিমা শব্দের অর্থ কি করেছেন এবং প্রতিমা বলতে কার প্রতিমা বা কিসের প্রতিমাকে বুঝিয়েছেন তা দেখে নেয়া যাক্ - 
 
১. পৌরাণিক অনুবাদক দুর্গাদাস লাহিড়ী (যজু০ ১৩।৪১)—
❝হে মানব শির! তুমি এই গ্রহণশীল অগ্নিকে জলে সিঞ্চিত করো, যে অগ্নি সহস্রের দাতা এবং বিবিধ রূপের উৎপন্নকারী।❞
সমীক্ষা- এখানে কি পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমা থাকার কথা রয়েছে? না নেই। 
 

২. পৌরাণিক অনুবাদক বিজনবিহারী গোস্বামী (যজু০ ১৩।৪১) —
❝হে পুরুষ, পশুদের গ্রাহক, বহুধনের প্রদাতা, সকল রূপের প্রকাশক চিত্যাগ্নি জলে রচনা কর।❞
সমীক্ষা- এখানে কি পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমার বর্ণনা রয়েছে? না নেই। 
 

৩. পৌরাণিক ভাষ্যকার মহীধর (যজু০ ১৩।৪১) —
❝সহস্রস্য প্রতিমাং বহুধনস্য প্রতিমাভূতং। বহুধনপ্রদমিত্যর্থ। বিশ্বরূপং সর্বরূপমাদিত্যত্বাৎ সর্বরূপপ্রকাশকমিত্যর্থঃ।❞
<পদার্থ: (সহস্রস্য প্রতিমাং) = বহুধনের প্রতিমাভূত তথা বহুধন প্রদানকারী৷
(বিশ্বরূপং) = আদিত্যের ন্যায় তেজস্বী তথা সর্বরূপ প্রকাশকারী।>
 


সমীক্ষা- এখানে কি কোথাও পরমেশ্বরের সহস্র মূর্তি থাকার কথা বলা হয়েছে? না বলা হয়নি। 
 
৪.পৌরাণিক অনুবাদক আচার্য সত্যব্রত সামশ্রমী (যজু০ ১৩।৪১)—
❝চয়নকার্যে ব্যবহ্র্যিয়মান হে পুরুষ ! তুমি আদিত্যবৎ তেজস্বী, সহস্রপোষী, সর্বাঙ্গ সুন্দর এই “যজমান পুরুষ”কে অমৃতে সিঞ্চিত করো..❞
 
 
সমীক্ষা - এখানে কি কোথাও পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমা থাকার প্রসঙ্গ পাওয়া যাচ্ছে? উত্তর না।
 
৫.‌ পৌরাণিক স্বামী করপাত্রী মহারাজ (যজু০ ১৩।৪১)—
ভাষ্য (ক্রেডিট ছাড়া প্রায় মহীধরের কপিপেস্ট) : ❝সহস্রস্য প্রতিমাং বহুধনস্য প্রতিমাভূতং। বহুধনপ্রদমিত্যর্থ।..❞
 

মন্ত্রার্থ (নিজেরই উল্লিখিত সংস্কৃত ভাষ্যের সাথে সম্পর্কহীন!) : ❝হে চয়নকার্য নিয়োজিত পুরুষ! দেবগণের উৎপত্তিস্থল, সহস্রমূর্তিযুক্ত চিতি নামক “আদিত্যাগ্নি”কে দুগ্ধ দ্বারা সিঞ্চিত করো এবং সম্পূর্ণ বীর্যের হরণকারী অগ্নির তেজ থেকে “যজমানকে” পৃথক করো। 
 
সমীক্ষা: কেবল মন্ত্রার্থে “সহস্রমূর্তিযুক্ত” দেখেই ৭ নাম্বার ফুটবলের মতো লাফ দিয়ে ছাদে মাথা ঠোকার আগে প্র/ভুরা এই বিষয়টি লক্ষ্য করুক সংস্কৃত ভাষ্যে যেখানে সহস্র প্রতিমা দ্বারা বহুধনের প্রতিমাভূত তথা বহুধন প্রদানকারী বোঝাচ্ছে সেখানে করপাত্রী মন্ত্রার্থ করার সময় নিজেরই উল্লেখ করা ভাষ্যের বিপরীতে গিয়ে মূর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন! এরপরেও এখানে মূর্তি দ্বারা ঈশ্বরের মূর্তিকে বোঝাচ্ছে না। কারণ মন্ত্রার্থে—
ক. যজমান ও আদিত্যাগ্নির উল্লেখ দ্বারা যজ্ঞাগ্নিকেই সূচিত করছে। অর্থাৎ সহস্রমূর্তি যজ্ঞাগ্নির, ঈশ্বরের নয়। এখন প্রভুরা কি নিজেদের ইষ্টদেবকে ফেলে দিয়ে যজ্ঞাগ্নিকে পরমেশ্বর পূর্ণ ব্রহ্ম মেনে নেবে কেবলমাত্র প্রতিমাপূজা সিদ্ধ করার জন্য? অবশ্য তাদের পক্ষে অসম্ভব কিছু না।
 
খ. “বীর্যহরণকারী” বলে এক কাল্পনিক বৈশিষ্ট্য উক্ত যজ্ঞাগ্নির ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে করপাত্রী দ্বারা। যদিও তা সংস্কৃত ভাষ্যে নেই। তো এখন কি এখানে যজ্ঞাগ্নির বদলে ঈশ্বর অর্থ গ্রহণ করে নিজেদের ইষ্টদেবকে ভক্তের বীর্যহরণকারী সিদ্ধ করতে চাইবে? হয়তো বলবে, অতিরা/ধাপ্রেমে,গো/পীপ্রেম ও কাল্পনিক রা/সলীলা-গপ্পের নষ্ট ফ্যান্টাসিতে মজে থাকার কারণে তারা বীর্যহীন হয়ে গেছে তথা তাদের বীর্যহরণ ঘটেছে। সুতরাং তাদের ইষ্টদেবই বীর্যহরণকারী সেই যজ্ঞাগ্নি যার সহস্র মূর্তি রয়েছে! 😵‍💫
হ্যাঁ, যাদের কাছে সাম্প্রদায়িক মান্যতাই উপাস্য তারা অবশ্যই প্রতিমাপূজা সিদ্ধ করার জন্য এতোটা নিচে নামবে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
 
৬. পৌরাণিক ডা০ রেখা ব্যাস—
❝ (হে যজ্ঞের অগ্নি!)* আপনি আদিত্যগর্ভকে দুগ্ধ দ্বারা সিঞ্চিত করুন। আপনি হাজার রূপযুক্ত, আপনি আপনার তেজ দ্বারা রোগের নাশ করুন..❞ 
 
 
*সমীক্ষা - এখানে “হাজার রূপ” দেখে পুনরায় উচ্ছ্বাসিত ও বিকট শব্দকারী প্রভুগং এর জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে, এখানে অগ্নি যে যজ্ঞের অগ্নি এবং তা যে ঘি দ্বারা প্রজ্বলিত সেকথা ঠিক এর দুই মন্ত্র আগে অর্থাৎ ৩৮তম মন্ত্রের অনুবাদে এসেছে। তাই এখানে সহস্র রূপ যজ্ঞে প্রজ্বলিত অগ্নির। তাদের উপাস্যের নয়।
▫️তো পৌরাণিক ভাষ্যকার এবং অনুবাদকদের অনুবাদ থেকেও এটা সিদ্ধ করা গেলো না যে আলোচ্য মন্ত্রে সহস্র প্রতিমা দ্বারা পরমেশ্বরকে বোঝাচ্ছে। এখন তাদের শেষগতি আর্ষ ভাষ্যের মধ্যে যে ভাষ্যকার আধ্যাত্মপক্ষে উক্ত মন্ত্রের অর্থ করেছেন তার অপব্যাখ্যা করা। আর্ষ বিদ্বান ও আধ্যাত্মপক্ষে ভাষ্যরচনাকারী হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার উক্ত মন্ত্রের অর্থে “পরমেশ্বরের আনন্দময় মূর্তির” প্রসঙ্গ এনেছেন ; কিন্তু এটি সাকার রূপকে বোঝাতে নয় বরং ভক্তের প্রতি পরমেশ্বরের শত প্রকারের ধনৈশ্বর্য্য দানরূপী কার্যকেই পরমাত্মার আনন্দময় মূর্তি বোঝানোর অভিপ্রায়ে যা তিনি “অথবা” শব্দের উল্লেখ পূর্বক ব্যাখ্যা ও ভাষ্যসূত্রের সন্ধান দিয়ে তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। তাছাড়া যজুর্বেদ ৩২।৩ এর ভাষ্যেও সুস্পষ্টভাবে হরিশরণজী লিখেছেন “সেই প্রভুর কোনো মূর্তি,সাদৃশ্য,তুল্যতা নেই।” সুতরাং এরপর আর ভাষ্যকারের অভিপ্রায়বিরুদ্ধ ব্যাখ্যা করার কোনো পথ আর খোলা নেই। 
 
▫️অতঃপর তারা যজুর্বেদের আরেকটি স্থলে প্রতিমা শব্দের উল্লেখ দেখে সাকার উপাসনা সিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। যথা:
“সহস্রস্য প্রমা অসি সহস্রস্য প্রতিমা অসি। সহস্রস্যোন্মাসি সাহস্রোऽসি সহস্রায় ত্বা।।”
[যজু০ ১৫।৬৫]
এটা দেখিয়েও অনেকসময় তারা সর্বব্যাপক নিরাকার পরমাত্মার সহস্র প্রতিমা থাকা সিদ্ধ করতে চায়। দুঃখের বিষয় পৌরাণিকদেরই আচার্য মহীধর তাদের এই চেষ্টাতেও জল ঢেলে দিয়েছেন। যথা: 
 
❝হে অগ্নে! সহস্রস্যেষ্টকানাং প্রমা প্রমাণং ত্বমসি। সহস্রস্য প্রতিমা প্রতিনিধিরসি। সহস্র্যস্যোন্মোন্মানং তুলসি।..❞
অর্থাৎ — “হে অগ্নি! আপনি সহস্র ইটের প্রমাণ। আপনি সহস্র ইটের প্রতিনিধি। আপনি সহস্র ইটের পরিমাপক।” 
 

সমীক্ষা - প্রসঙ্গতই এই মন্ত্র দ্বারা পৌরাণিক আচার্য মহীধর যজ্ঞকুণ্ডের পরিমাণ ব্যক্ত করেছেন। এস্থলে প্রতিমা অর্থ দ্বারা মূর্তিপূজা বা পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমা’র স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। 
 
যদি পৌরাণিকরা দ্বিমত পোষণ করে তাহলে বুঝতে হবে তাদের উপাস্য সহস্র ইটের রূপ ধারণ করে! সুতরাং সেই ইট দিয়ে তারা নিজেদের টয়লেট বানানো বন্ধ করে দিক্। ইট তাদের ঈশ্বর না হোক, তাদের উপাস্যের রূপ তো! সেই ইটরূপ বিগ্রহকে কিভাবে তার নিজেদের মলপাত্রের আশেপাশে স্থান দিচ্ছে???
অতঃ পৌরাণিকদের মান্য ভাষ্যকার এবং অনুবাদকদের কৃত অর্থ দর্শানো পূর্বক “যজুর্বেদে পরমেশ্বরের সহস্র প্রতিমার কথা বলা হয়েছে” এই ব্যর্থ অপদাবির খণ্ডন করা হলো।