শুদ্ধ রামায়ণ এই গ্রন্থটি আচার্য প্রেমভিক্ষুর লেখা । ভূমিকার যে অংশটি হাইলাইট করা হয়েছে তা হলো "যেভাবে গঙ্গার জলে অন্য সব নদীর জল এসে মিশেছে, সেভাবেই বাল্মীকি রামায়ণেও বহু প্রক্ষিপ্ততা যুক্ত হয়েছে ।"
এটিই তুলে ধরা জন্য একটি ২ চরণের পদ্য তুলে ধরা হয় যাতে আরবী ও সংস্কৃত মিক্সড এবং সেই লাইনের পরেই লেখা যে এভাবেই বিশুদ্ধতার বদলে আমরা মিশ্রিত আদিকবির রামায়ণ পাচ্ছি । বইয়ের নাম 'শুদ্ধ রামায়ণ' এজন্যই । নাহলে ভূমিকায় কেন এই প্রসঙ্গের অবতারণা করবে । উক্ত লাইন দ্বয়ের মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে যে, যেভাবে এই লাইনে আরবী সংস্কৃত মিশে আছে এভাবেই বাল্মীকি রামায়ণে বাল্মীকির নিজের লেখা অর্থাৎ আসল কাহিনী ও যা তিনি লিখেননি সেটাও বর্তমানে প্রাপ্ত রামায়ণে মিশে আছে । খুবই সহজবোদ্ধ উদাহরণ ।প্রকৃত রামায়ণ নিয়ে কিছু অজানা তথ্য
শুদ্ধ রামায়ণের সম্পাদকীয় -
ভাগলপুর
ও পাটনার গঙ্গাতে কেবল গঙ্গাজলই নয়, রাস্তার অন্য নদীর জলও আছে । কিছু
গঙ্গা তটে স্থাপিত কানপুর, প্রয়াগ, কাশী ইত্যাদি নগরীর জলও আছে । আমাদের তো
কেবল চাই গঙ্গাজল, গঙ্গোত্রীর শুদ্ধ জল আমরা চাই না -
হেচ ফিক্রে ন কর্তব্যং, কর্তব্যং জিক্রে খুদা।
অল্লা তালা প্রসাদেন সর্বকার্য ফতেহ ভবেৎ ॥
আপনাদের এই গ্রন্থে আমরা গঙ্গোত্রীর জলই পান করিয়েছি, আদি কবির বাণীর শুদ্ধ স্বরূপের রসাস্বাদন করিয়েছি ।
এই
হলো বইটির ভূমিকা । উদ্দেশ্য ও সংগতিকরণ স্পষ্ট । এরপরেও যারা না বুঝে
তাদের শিক্ষার কী অভাব সেটা বলাই বাহুল্য হিন্দি বলয়ে আর্যসমাজের বিরোধী
কারো থেকে একটা ছবি বা লেখা নিয়ে চোখ বন্ধ করে কপিপেস্ট করে পণ্ডিত সাজা
জড়বাদীদের বুদ্ধি এর থেকে কী-ই বা উন্নত হবে ।
0 মন্তব্য(গুলি)