https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

ঋষি দয়ানন্দ কি তাঁর সংস্কারবিধিঃ গ্রন্থে রজঃস্বলা নারীকে অপবিত্র-অশুচি বলেছেন?

Sunday, November 17, 2024

🔥ঋষি দয়ানন্দ কি তাঁর সংস্কারবিধিঃ গ্রন্থে রজঃস্বলা নারীকে অপবিত্র-অশুচি বলেছেন?🔥

নমস্তে মিত্রগণ,
মহর্ষি শ্রীমদ্দয়ানন্দ ভগবদপাদ্ বিরচিত সংস্কারবিধি গ্রন্থের একটি প্রকরণের দুটো অনুচ্ছেদের বক্তব্যের কদর্থ করে ইদানীং কিছু দুরাগ্রহী পৌরাণিক ব্যক্তিবর্গ তাদের পরমশ্রদ্ধেয় বাক্য - “রজঃস্বলা নারীরা অপবিত্র, অশুচি, অস্পৃশ্য” এরূপ মতের সমর্থন আদায়ের অপচেষ্টায় বিভোর। এই প্রসঙ্গে আমরা ঋষি দয়ানন্দের মত মণ্ডন ও পাপী, নারী বিদ্বেষী দুরাগ্রহী পৌরাণিকদের মত খণ্ডনে প্রবৃত্ত হচ্ছি।



✅ তথ্যসূত্র বিচার-
ঋষি প্রণীত ‘অথ সংস্কারবিধিঃ’ গ্রন্থে গর্ভাধান সংস্কারের আলোচনা নিয়ে রচিত অধ্যায় ‘অথ গর্ভাধানবিধিং বক্ষ্যামঃ’ এর ‘ঋতুদান কাল’ নামক মনুস্মৃতির ৬ শ্লোক নিয়ে গঠিত প্রকরণের ২য় শ্লোকের ব্যাখ্যা অংশ নিয়েই এই অপপ্রচারের সূচনা। আলোচনার সুবিধার্থে আমরা ২য় শ্লোকের বর্ণনা অংশকে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ এবং তৃতীয় শ্লোকের বর্ণনা অংশকে তৃতীয় অনুচ্ছেদ নামকরণ করলাম।

*️⃣বঙ্গ অঞ্চলে বহুল প্রচারিত (শ্রী প০ দীনবন্ধু বেদশাস্ত্রী অনুবাদিত ও শ্রী সতীশ চন্দ্র মণ্ডল সম্পাদিত) উক্তগ্রন্থের অনুবাদিত সংস্করণে গর্ভাধানম্ অংশে (পৃষ্ঠা ৩১-৪৮) ঋতুদান কাল প্রকরণ (পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫) এ পাবেন।

*️⃣*️⃣ঋষি দয়ানন্দকৃত মূল হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি ও তাঁর শ্রীহস্তে সংশোধিত দ্বিতীয় সংস্করণের আধারে তৈরি সংস্কার বিধির সবচেয়ে প্রামাণিক সংস্করণ যা সংস্কারবিধির ‘আর্যসমাজ শতাব্দী সংস্করণ’ নামে, নিখিল বৈদিক সাহিত্যের মর্মস্পর্শী উদ্ভট্ট বিদ্বান মহামহোপাধ্যায় পরমশ্রদ্ধেয় পণ্ডিত অনন্তকোটিশ্রী যুধিষ্ঠির জী মীমাংসকের সম্পাদনায় রামলাল কপুর ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত হয়। আমাদের লেখায় এটিকে আমরা প্রমাণ সংস্করণ বিবেচনা করছি।

উক্ত প্রমাণ সংস্করণে, গর্ভাধান সংস্কারের আলোচনা নিয়ে রচিত অধ্যায় ‘অথ গর্ভাধানবিধিং বক্ষ্যামঃ’ এর ‘ঋতুদান কাল’ নামক মনুস্মৃতির ৬ শ্লোক নিয়ে গঠিত প্রকরণের মূল হিন্দি পাঠ দ্রষ্টব্য।

✅ ঋষি বিরচিত বক্তব্য -
উপরোক্ত তথ্যসূত্রে উল্লেখিত প্রকরণে মনুস্মৃতির দ্বিতীয় শ্লোক অর্থাৎ (শ্লোক - ৩। ৪৬, ৪৭) এর অনুবাদ ও ঋষির বক্তব্য নিম্নরূপ -
➡️ প্রমাণ সংস্করণ-
... स्त्रियों का स्वाभाविक ऋतुकाल १६ रात्रि का है, अर्थात् रजोदर्शन दिन से लेके सोहलवें दिन तक ऋतु समय है। उनमें से प्रथम की चार रात्रि अर्थात् जिस दिन रजस्वला हो उस दिन से लेके चार दिन निन्दित हैं। प्रथम, द्वितीय, तृतीय और चतुर्थ रात्रि में पुरुष स्त्री का स्पर्श और स्त्री पुरुष का सम्बन्ध कभी न करे, अर्थात् उस रजस्वला के हाथ का छुआ पानी भी न पीवे। न वह स्त्री कुछ काम करे, किन्तु एकान्त में बैठी रहे, क्योंकि इन चार रात्रियों में समागम करना व्यर्थ और महारोगकारक है। रजः अर्थात् स्त्री के शरीर से एक प्रकार का विकृत उष्ण रुधिर, जैसाकि फोड़े में से पीव वा रुधिर निकलता है, वैसा है॥२॥
और जैसे प्रथम की चार रात्रि ऋतुदान देने में निन्दित हैं, वैसे ग्यारहवीं और तेरहवीं रात्रि भी निन्दित है, और बाकी रहीं दश १० रात्रि, सो ऋतुदान देने में श्रेष्ठ हैं॥३॥
[टीका= रात्रिगणना इसलिए की है कि दिन में ऋतुदान का निषेध है। दयानन्द स०]


➡️ প্রচলিত বঙ্গানুবাদ সংস্করণ- নারীদের স্বাভাবিক ঋতুকাল ১৬ (ষোল) রাত্রি, অর্থাৎ রজোদর্শনের দিন হইতে পরবর্ত্তী ১৬ (ষোল) দিন পর্যন্ত ঋতুর সময়। ইহার মধ্যে প্রথম চারি রাত্রি অর্থাৎ যেদিন রজঃস্বলা হইবে, সেই দিন হইতে চারি দিন নিন্দিত অর্থাৎ নিষিদ্ধ। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ রাত্রিতে পুরুষ স্ত্রীকে কখনও স্পর্শ করিবে না এবং স্ত্রীও পুরুষের সংস্পর্শে আসিবে না। রজঃস্বলা স্ত্রীর ছোঁওয়া জলও পান করিবে না। রজঃস্বলা স্ত্রী কোন কাজকর্মও করিবে না, কেবল নিৰ্জ্জনে বসিয়া থাকিবে। এই চারি রাত্রিতে সমাগম করা নিরর্থক ও মহারোগোৎপাদক। যেমন ফোঁড়া হইতে পুঁজ বা রক্ত বাহির হয়, স্ত্রীর শরীর হইতে সেইরূপ রজঃ অর্থাৎ এক প্রকার বিকৃত উষ্ণ রক্ত নির্গত হইতে থাকে।॥২॥
ঋতুদান সম্বন্ধে যেরূপ প্রথম চার রাত্রি নিন্দিত অর্থাৎ নিষিদ্ধ, সেইরূপ একাদশ ও ত্রয়োদশ রাত্রিও নিন্দিত অর্থাৎ নিষিদ্ধ। অবশিষ্ট রহিল দশ রাত্রি, এগুলো ঋতুদানের পক্ষে প্রশস্ত।॥৩॥
[তৃতীয় শ্লোকের টীকা= রাত্রিগণনা এইজন্য যে, দিবাভাগে ঋতুদান নিষিদ্ধ। - দয়ানন্দ সরস্বতী স্বামীজী]

✅ বিঃদ্রঃ উপরের প্রচলিত অনুবাদ ‘মোটামুটি যথাযথ’ তবে এখানে কয়েকটি বিরামচিহ্ন পরিবর্তিত হওয়ায় বা যথাস্থানে স্থাপিত না হয় ও কয়েকটি শব্দ অনুপস্থিত থাকায় শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা আমি প্রমাণ সংস্করণের মূল হিন্দি অনুযায়ী সংশোধিত অনুবাদে সংশোধন করে [] এর মধ্যে স্থাপন করে নিচে যথাযথ অনুবাদ উপস্থাপন করছি। সম্ভবত পূর্বের অনুবাদক মণ্ডলী এই সূক্ষ্ম কিন্তু মহাগুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন খেয়াল করেননি।

✅ আমার সংশোধিত অনুবাদ- স্ত্রীলোকের স্বাভাবিক ঋতুকাল ১৬ (ষোল) রাত্রি, অর্থাৎ রজোদর্শনের দিন হইতে পরবর্ত্তী ১৬ (ষোল) [তম] দিন পর্যন্ত ঋতুর সময়। ইহার মধ্যে প্রথম চারি রাত্রি অর্থাৎ যেদিন রজঃস্বলা হইবে সেই দিন হইতে [পরবর্তী] চারি দিন নিন্দিত (অর্থাৎ নিষিদ্ধ)। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ রাত্রিতে পুরুষ কখনও স্ত্রীকে স্পর্শ করিবে না এবং স্ত্রী কখনো পুরুষের সংস্পর্শে আসিবে না [,] [অর্থাৎ] ঐ রজঃস্বলা স্ত্রীর হাতে ছোঁওয়া জলও পান করিবে না[।] সেই স্ত্রী কোন কাজকর্ম করিবে না, [কিন্তু] নিৰ্জ্জনে বসিয়া থাকিবে[,] [কেননা] এই চারি রাত্রিতে সমাগম করা [ব্যর্থ] (অর্থাৎ নিরর্থক) ও মহারোগোৎপাদক। যেরূপ ফোঁড়া হইতে পুঁজ বা রক্ত নির্গত হয়, স্ত্রীলোকের শরীর হইতে সেইরূপ রজঃ অর্থাৎ এক প্রকার বিকৃত উষ্ণ রক্ত নির্গত হইতে থাকে।॥২॥

ঋতুদান সম্বন্ধে যেরূপ প্রথম চার রাত্রি নিন্দিত (অর্থাৎ নিষিদ্ধ), সেইরূপ একাদশ ও ত্রয়োদশ রাত্রিও নিন্দিত (অর্থাৎ নিষিদ্ধ), অবশিষ্ট রহিল দশ রাত্রি, এগুলো ঋতুদানের পক্ষে শ্রেষ্ট (অর্থাৎ প্রশস্ত)।॥৩॥

[তৃতীয় শ্লোকের ঋষিকৃত টীকা= রাত্রিগণনা এইজন্য যে, দিবাভাগে ঋতুদান নিষিদ্ধ। - দয়ানন্দ সরস্বতী]

✅ ঋষিবাক্য বিশ্লেষণ- এখানে মূলত দুটি আলোচ্য অংশ রয়েছে,
ক. ঋষি দয়ানন্দ মনুস্মৃতির শ্লোকের ভাবানুবাদ করছেন।
খ. সেই শ্লোকের বিধি সর্বসাধারণের পালনের পথ সহজ করতে কর্মকৌশল সম্পর্কে নিজ মন্তব্য করছেন।

ঋষি দয়ানন্দ এখানে ২ ও ৩ নং অনুচ্ছেদে যথাক্রমে মনুস্মৃতির ৩য় অধ্যায়ের ৪৬ ও ৪৭ নং শ্লোকের ভাবানুবাদ ও সে সম্পর্কিত মন্তব্য করেছেন।
২য় অনুচ্ছেদে, “স্ত্রীলোকের স্বাভাবিক ঋতুকাল ১৬ (ষোল) রাত্রি, অর্থাৎ রজোদর্শনের দিন হইতে পরবর্ত্তী ১৬ (ষোল) [তম] দিন পর্যন্ত ঋতুর সময়। ইহার মধ্যে প্রথম চারি রাত্রি অর্থাৎ যেদিন রজঃস্বলা হইবে সেই দিন হইতে পরবর্তী চারি দিন নিন্দিত (অর্থাৎ নিষিদ্ধ)।” - এই অংশটুকু মনুস্মৃতির ৩। ৪৬ শ্লোকের ভাবানুবাদ। বাকি বক্তব্যটুকু ঋষির মন্তব্য।

৩য় অনুচ্ছেদের সবটুকুই ৩। ৪৭ শ্লোকের ভাবানুবাদ।

এই সিদ্ধান্ত শুধু আমার নয় বরং আর্যসমাজের সুপ্রসিদ্ধ ও বিখ্যাত আর্যবিদ্বান ও শোধকর্তা আচার্য শ্রদ্ধেয় শ্রী সুরেন্দ্র কুমারজী আর্য তাঁর মনুস্মৃতির ভাষ্যেও অতটুকু অংশকেই ঋষির অনুবাদ হিসেবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আর উপরে তাঁর নিজের অনুবাদ রয়েছে। [দ্রষ্টব্য, মনুস্মৃতি/বিশুদ্ধ মনুস্মৃতি শ্লোক ৩। ৪৬-৪৭ - প্রকাশক - আর্ষ সাহিত্য প্রচার ট্রাস্ট]।


🔥সুতরাং, এখানে ঋষি দয়ানন্দ গর্ভাধান প্রসঙ্গে মনুস্মৃতির শ্লোক ব্যাখ্যা করেছেন। “নিজের কথা মনুর শ্লোকের নামে/শাস্ত্রের নামে চালাচ্ছেন না”।

✅ উক্ত শ্লোকের বিধি সর্বসাধারণের পালনের পথ সহজ করতে ঋষিপ্রদত্ত কর্মকৌশলের প্রকৃত অর্থ ও যথার্থতা বিশ্লেষণ- [আমরা প্রমাণ সংস্করণের সংশোধিত অনুবাদ অনুযায়ী পুরো বিশ্লেষণ করছি!]

➡️এখানে পুরো কনটেক্সট বোঝা প্রথমেই অবশ্য কর্তব্য। এখানে প্রকরণ চলছে গর্ভাধানের। অর্থাৎ কোন সময়ে স্ত্রীপুরুষ সন্তান উৎপাদনের জন্য পরস্পরের সাথে দৈহিক মিলনরূপ দাম্পত্য সম্পর্কে সংযুক্ত হবে তথা কোন সময়ে বিরত থাকবে সে বিষয়ের। পাঠকগণ প্রথমেই ঋষির শব্দপ্রয়োগ খেয়াল করুন-
“স্ত্রীলোকের স্বাভাবিক ঋতুকাল ১৬ (ষোল) রাত্রি, অর্থাৎ রজোদর্শনের দিন হইতে পরবর্ত্তী ১৬ (ষোল) তম দিন পর্যন্ত ঋতুর সময়। ইহার মধ্যে প্রথম চারি রাত্রি অর্থাৎ যেদিন রজঃস্বলা হইবে সেই দিন হইতে পরবর্তী চারি দিন নিন্দিত (অর্থাৎ নিষিদ্ধ)।”

এখানে দেখুন ঋষি বারবার স্পষ্ট করে পৃথকভাবে দিন ও রাত্রির উল্লেখ করছেন। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে দিন বলতে পুরো ২৪ ঘণ্টা ও রাত্রি বলতে সেই ২৪ ঘণ্টার অন্তর্গত কেবল সূর্যের অনুপস্থিত সময়টুকু। যেমন বলা হয়েছে “চারদিন নিন্দিত অর্থাৎ নিষিদ্ধ”, অর্থাৎ এই চারদিনের কোনসময়ই সমাগম করা চলবে না। এরপরই শুরু হয়েছে- প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ ‘রাত্রিতে’ অর্থাৎ এখানে যা কিছু বলা হয়েছে সব কেবল রাত্রে পালনীয় বিধি নিয়ে। এইজন্য ঋষি স্পষ্ট করে রাত, দিন উল্লেখ করেছেন। কারণ তাঁর আলোচনা গর্ভাধান নিয়ে, যা কেবল রাতেই প্রয়োগ করা যায় সুতরাং তাঁর বলা বিধিও রাতের জন্যই, অন্যসময় নয়। এখন রাত্রিই কেন? এর ব্যাখ্যা তিনি তৃতীয় অনুচ্ছেদের টীকাতে বলছেন, “রাত্রিগণনা এইজন্য যে, দিবাভাগে ঋতুদান নিষিদ্ধ।”। এ দ্বারা স্পষ্টরূপে সিদ্ধ হয় যে, এখানে গর্ভাধানের জন্য উপর্যুক্ত ১৬ দিনের থেকে প্রথম যে চারটি দিনে মৈথুন নিষিদ্ধ সেই দিনগুলোর *️⃣রাত্রিভাগে স্ত্রী-পুরুষের আচরণ কীরূপ হবে তার বর্ণনাই এখানে রয়েছে। এর পরবর্তী শ্লোকের বিধিতেও তাই রাত্রি শব্দের প্রয়োগ হয়েছে কেননা সেদিনগুলোতে মৈথুন শাস্ত্রমতে সিদ্ধ হলেও তা কেবল রাতেই সম্ভব।

🔥 যেহেতু দিবাভাগে ঋতুদান নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ স্পষ্টতই বলে দিয়েছেন এবং রাত্রির স্পষ্ট উল্লেখ করেই বিধি বলেছেন সুতরাং সেক্ষেত্রে *️⃣বাকি বিধি পুরোটাই কেবল রাত্রির জন্যই প্রয়োগ হয়, স্বাভাবিকভাবে। চারটি দিনের ২৪ ঘণ্টা জুড়েই স্ত্রীকে তার স্বামী দেখবে না, ছোঁবে না, বার্তালাপ করবে না, তার ছোঁয়া জল খাবে না এমন কথা এখানে কোথাও লেখা নেই।



➡️ এরপর দেখুন ঋষি আরো স্পষ্টভাবে লিখছেন, “প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ‘রাত্রিতে’ পুরুষ কখনও স্ত্রীকে স্পর্শ করিবে না এবং স্ত্রী কখনো পুরুষের সংস্পর্শে আসিবে না ‘, অর্থাৎ’ ঐ রজঃস্বলা স্ত্রীর হাতে ছোঁওয়া জলও পান করিবে না।”
এখানেও দেখুন স্পষ্ট স্বরে ‘রাত্রির’ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ঋষি বলছেন, *️⃣রাতে স্ত্রী বা পুরুষ পরস্পরের সংস্পর্শে আসবে না। এরপর বাক্য শেষ না করে ‘কমা ও অর্থাৎ শব্দের’ প্রয়োগ করে ঐ পূর্ব বাক্যাংশেরই প্রতিনিধিত্ব ও অনুবৃত্তি করে তিনি লিখছেন, ‘অর্থাৎ ঐ রজঃস্বলা স্ত্রীর হাতে ছোঁওয়া জলও পান করিবে না।’। এর মাধ্যমে রাতে কী পালন করবে সে সম্পর্কে তিনি তাঁর বিধি সমাপ্ত করলেন, দাড়ি চিহ্নের মাধ্যমে।

✅বিশ্লেষণ- এই রাতের বিধি শুধুমাত্র এইজন্য যেন স্ত্রী বা পুরুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি কোনরূপ আকৃষ্ট না হয়, সঙ্গমে লিপ্ত না হয় এবং পূর্ণ ব্রহ্মচর্যে থাকে। কারণ অনুচ্ছেদের একেবারে শেষের দুই লাইনে দেখুন ঋষি লিখছেন- “এই চার রাতে সমাগম করা নিরর্থক ও মহারোগোৎপাদক।... রক্ত নির্গত হইতে থাকে।”

🔥 অর্থাৎ এই চারটি রাতে জল না খাওয়ার প্রসঙ্গ কেবলমাত্র স্ত্রী-পুরুষের ঐ চারটি রাত্রিতে সংযম বা ব্রহ্মচর্য পালনের বিষয়টি বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়েছে। *️⃣সুতরাং আমরা সিদ্ধান্তে বলতে পারি, এই সংযমী আচরণ ঠিক কতখানি মাত্রায় পালনীয় তা বোঝাতেই ঋষি “কমা দিয়ে অর্থাৎ” শব্দ উল্লেখপূর্বক ঐ বাক্যেই লিখছেন “ঐ রজঃস্বলা স্ত্রীর হাতের জলও খাবে না।” অর্থাৎ বাক্যাংশটুকু এখানে স্পষ্টত পূর্বাংশের “রাত্রিতে পুরুষ স্ত্রীকে কখনও স্পর্শ করবে না এবং স্ত্রীও পুরুষের সংস্পর্শে (হিন্দিতেঃ सम्बन्ध = Relation) আসবে না” এর সাথে জড়িত। তাহলে মূল অর্থ হবে- স্ত্রী স্বামীকে জল খাওয়ালে যতটুকু সংস্পর্শ হয় ততটুকুও করবে না। অর্থাৎ, রজঃস্বলা স্ত্রীর সাথে স্বামী প্রথম চারটি রাত পূর্ণ ব্রহ্মচর্যে থাকবে। এজন্যই ঋষি কমা ব্যাবহার করে পুরো প্রসঙ্গটিকে খুব সুন্দর করে ব্যাখা করে সহজে বুঝানোর জন্য একলাইনেই লিখেছেন।


কারণ দেখুন ঋষি ব্রহ্মচর্য ব্রতে স্থিত স্ত্রী-পুরুষের আচরণ সম্পর্কে সত্যার্থ প্রকাশের দ্বিতীয় সমুল্লাসে লিখেছেন- “বীৰ্য্যরক্ষার নিয়ম এই যে- বিষয় কথা, বিষয়ীদের সংসর্গ, বিষয়চিন্তন, স্ত্রীলোক দর্শন, এবং (তাদের সাথে) একান্তসেবন, সম্ভাষণ ও স্পর্শাদি কর্ম হইতে ব্রহ্মচারিগণ দূরে থাকিয়া সুশিক্ষা ও পূর্ণ বিদ্যা লাভ করে।”  এখানে “স্ত্রীলোক দর্শন, এবং (তাদের সাথে)... একান্তসেবন, সম্ভাষণ ও স্পর্শাদি কর্ম হইতে ব্রহ্মচারিগণ দূরে থাকিয়া” বাক্যাংশটুকু বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়, যা আমার সিদ্ধান্তের পুষ্টিসাধন করে।


একই সাথে মনে রাখা আবশ্যক *️⃣এই বিধি শুধুমাত্র রাতে *️⃣ উল্লেখ করায় এখানে অস্পৃশ্যতা নয় বরং স্বামী-স্ত্রীর দৈহিক সমাগমের নিষেধবাচক বা কঠোর ব্রহ্মচর্য পালনের উপমা হিসেবেই প্রতীয়মান হয়। এখানে পৌরাণিকদের মতো করে এমন কোন শব্দ ঋষি লেখেননি যাতে নারী এসময়ে অশুদ্ধ, অস্পৃশ্য থাকে তাই তাকে ছোঁবে না, তার হাতে জল খাবে না এরূপ বোঝায়।
এখানে স্বামী-স্ত্রী ঐ চার নিষিদ্ধ রাতে কীরূপ আচরণ করবে শুধুমাত্র সেই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। যদি নারীর স্পর্শ করা জল না খাওয়া দ্বারা ঋষি রজঃস্বলা নারীকে অপবিত্র বা অস্পৃশ্যই বোঝাতেন, তবে তিনি শুধুমাত্র রাত এর উল্লেখ করে বিধি দিতেন না। সরাসরি দিনের উল্লেখ করেই বলতে পারতেন অথবা ঋতুদানের প্রসঙ্গে না বলে এই প্রসঙ্গ শেষ করেই বলতে পারতেন।
সমস্যাটা হলো বাংলা অনুবাদে এই ‘অর্থাৎ’ শব্দটা সম্ভবত অনুবাদকের চোখে আসেনি বা উনি হয়ত ভাবটি বুঝতে পারেননি।

🔥 সুতরাং রাতে রজঃস্বলা স্ত্রীর হাতে জল না খেতে বলার কারণ একটিই আর তা হলো, পরস্পরের স্পর্শজনিত কারণে এই চার রাতে স্ত্রী-পুরুষের কোনরূপ মনোবিকার যেন না আসে তাই তারা কতখানি কঠোরভাবে এই চারটি রাতে পূর্ণব্রহ্মচর্যে থাকবে তা উপমা দ্বারা বোঝানো।

➡️ সর্বশেষ, রাতে পালনীয় বিধি উল্লেখের লাইন সমাপ্ত করে এরপরের লাইনে স্ত্রীলোক এই দিনগুলোতে কীরূপ আচরণ করবে তা বোঝাতে ঋষি লিখছেন, “সেই স্ত্রী কোন কাজকর্ম করিবে না, কিন্তু নিৰ্জ্জনে বসিয়া থাকিবে,” - *️⃣এ দ্বারা নারীকে এই সময়ে সকল কর্ম থেকে বিরত থেকে নিরিবিলি বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। কেননা এসময়ে তাদের শারীরিক মানসিক বিভিন্ন অসুস্থতা থাকে, শরীর দূর্বল থাকে। এখানে তো পুরাণের মতো ঋষি কোথাও বলেননি যে, এই নারীকে দেখলে পাপ হবে, ছুলে জাত যাবে, অশুদ্ধ হবে, তাহলে পুরাণের সাথে তুলনা করে নারীকে অপমানের কথা আনা কী অযৌক্তিক নয়?


✅সুতরাং সিদ্ধান্ত হলো- 


১। রাতে স্পর্শ বা জল খাওয়াও নিষেধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সমাগম বিষয়ের নিষেধের মাত্রা ও পূর্ণ ব্রহ্মচর্য পালনের বিষয়টি বোঝানোর ক্ষেত্রে ঋষি উপমার মতো করে উল্লেখ করেছেন। *️⃣ যদি নারীকে স্পর্শ করা, জল না খাওয়া দ্বারা ঋষি রজঃস্বলা নারীকে অপবিত্র বা অস্পৃশ্যই বোঝাতেন, তবে তিনি শুধুমাত্র রাত উল্লেখ করে বিধি দিতেন না। সরাসরি দিনের উল্লেখ করেই বলতে পারতেন অথবা ঋতুদানের প্রসঙ্গে না বলে এই প্রসঙ্গ শেষ করেই বলতে পারতেন। 


২। কাজকর্ম নিষেধ এর প্রসঙ্গ স্ত্রীলোকের এসময়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঋষি উল্লেখ করেছেন।


৩। সর্বোপরি মহর্ষি এখানে কোথাও একবারের জন্যও নারীদের অপবিত্র বলেননি, অস্পৃশ্য বলেননি বা শাস্ত্রীয় বিষয়ে উল্লেখ করেননি যে তারা অশুদ্ধ, অশুচি হওয়ায় অমুক কাজ পারবে না বা করতে পারবে।

৪। এই টেক্সটের কোথাও পুরাণের মতো করে নারীদের এসময়ে অশুদ্ধ, অস্পৃশ্য ইত্যাদি উল্লেখ করে বিধান দেয়া হয়নি। এখানে এরূপ একটা বাক্যও নেই উক্ত প্রসঙ্গে।


অনেকে দাবী করতে পারেন সব নারী পুরুষ তো বোঝেই এসময় সঙ্গম করা যাবে না তবে এখানে সংযমী দৃষ্টিকোণের দিকে নজর রেখে হলেও জল না খাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে কেন? উত্তর হিসেবে বলা যায়, বিধান বা আইন সাধারণ, বিদ্বান সবার দিক বিবেচনা করেই করা হয়। যিনি চিকিৎসা শাস্ত্রীয় বিষয় বুঝবেন তিনি নিজেকে সহজেই স্ত্রীর সাথে এক বিছানাতে রাত্রিবাস করেও নিজেদেরকে সংযমে রাখতে পারবেন কিন্তু যিনি বুঝবেন না তাকে বিধির ভয় দেখিয়ে হলেও দূরে রাখাই এখানে প্রধান তাৎপর্য। ঋষি এই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিই এখানে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আরো দেখুন,
ঋষি দয়ানন্দ স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই নিত্য ব্রহ্মযজ্ঞ, হোম প্রভৃতি পঞ্চমহাযজ্ঞ করা, বেদাদি শাস্ত্র অধ্যয়ন প্রভৃতির অধিকার দিয়েছেন। সকলকে সকল অবস্থায় তা পালন করতে উপদেশ দিয়েছেন। সত্যার্থ প্রকাশের তৃতীয় সমুল্লাসে মনুস্মৃতির শ্লোক ব্যাখ্যা করে তিনি লিখেছেন, নিত্যকর্ম কখনো পরিত্যাগ করা চলবে না -
বেদোপকরণে চৈব স্বাধ্যাযে চৈব নৈত্যকে।
নানুরোধোঽস্ত্যনধ্যাযে হোমমন্ত্রেষু চৈব হি॥১॥
নৈত্যকে নাস্ত্যনধ্যাযো ব্রহ্মসত্রং হি তৎস্মৃতম্।
ব্রহ্মাহুতিহুতং পূণ্যমনধ্যাযবষট্কৃতম্॥২॥ মনু০ [২। ১০৫-১০৬]

“অর্থ - বেদের পঠন-পাঠন, সন্ধ্যোপাসনাদি পঞ্চমহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান করা এবং হোমমন্ত্র সম্বন্ধে অনধ্যায় এবং নিরোধ অর্থাৎ অননুষ্ঠান [= অনুষ্ঠানের ত্যাগ এবং নিষেধ] নাই, কেননা নিত্যকর্মে অনধ্যায় হয়না ॥১॥
যেরূপ সর্বদা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করিতে হয়, কখনও বন্ধ করা যায় না, সেইরূপ প্রতিদিন নিত্যকর্মের অনুষ্ঠান করা কৰ্ত্তব্য। নিত্যকর্ম একদিনও পরিত্যাগ করিবে না। কেননা অনধ্যায়েও অনুষ্ঠিত অগ্নিহোত্রাদি উত্তম কর্ম পুণ্যরূপ হয়। যেরূপ মিথ্যা বলিলে সর্বদা পাপ এবং সত্য বলিলে সর্বদা পুণ্য হয়, সেইরূপ কুকর্মে সর্বদা অনধ্যায় ও সুকর্মে সর্বদা স্বাধ্যায়ই হইয়া থাকে॥২॥”

যদি তিনি রজঃস্বলা নারীকে অশুচি মানতেন, তথাকথিত পৌরাণিকদের মতো অপবিত্র, দৈবকর্মের অযোগ্য মানতেন তবে তিনি নিশ্চয়ই নারীদের ক্ষেত্রে এমতাবস্থায় উক্ত কর্মে নিষেধ করতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এ দ্বারা স্পষ্ট সূচিত হয় তিনি সকলকে সর্বদা পবিত্র তথা দৈবকর্মের উপযোগী মানতেন, সকলকে সকল অবস্থায় উক্ত কর্ম করতে পরামর্শ দিয়েছেন।



যেমন পুরাণাদিতে নারীদের এইসময়ে অস্পৃশ্য, অশুচি ইত্যাদি উপাধি দিয়ে বিধান দেয়া হয়েছে তার বিপরীতে ঋষি দয়ানন্দ এর কোনটাই উল্লেখ করেনি। ওনার বিধান কেবলমাত্র সংযম ও বিশ্রামকে উল্লেখ করে।

➡️প্রশ্নঃ ঋষি দয়ানন্দ সত্যার্থ প্রকাশের চতুর্থ সমুল্লাসে লিখেছেন-
“পরে যেদিন কন্যা রজঃস্বলা হইয়া শুদ্ধা হইবে...” - এখানে শুদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ দিয়ে কী বোঝায় না যে নারীরা রজঃস্বলাবস্থায় অশুদ্ধ থাকে?

✅ উত্তরঃ না, ঋষি দয়ানন্দের শুধু বাক্যই আমাদের কাছে প্রমাণ নয় বরং তাঁর প্রতিটি শব্দ এমনকি প্রতিটি বিরামচিহ্নও সকল আর্যের জন্য আপ্তবাক্য। আপনি ‘শুদ্ধ’ শব্দটি নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। কিন্তু ঋষি দয়ানন্দ তাঁর লেখনীতে এই শব্দটির ঠিক কী অর্থে প্রয়োগ করেছেন তা খেয়াল করেননি।
দেখুন এর পরবর্তী পৃষ্ঠাতেই ঋষি দয়ানন্দ লিখেছেন, “পরে উক্ত স্থান শুদ্ধ করিয়া (প্রসুতির গৃহের) দ্বারদেশে সুগন্ধ ঘৃতাদির দ্বারা হোম করিবে।” [পৃ-৬৫] এখানে খেয়াল করুন স্পষ্টতই
*️⃣“শুদ্ধ”=“পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা” বোঝাচ্ছে।


 

🔥সুতরাং, “পরে যেদিন কন্যা রজঃস্বলা হইয়া শুদ্ধা হইবে...” এখানে অর্থ হবে, যেদিন কন্যা রজঃস্বলা হওয়ার পর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হইবে অর্থাৎ যেদিন তার দেহ থেকে বিকৃত রক্ত নির্গত হওয়া বন্ধ হওয়ায় স্নানাদি দ্বারা নিজের দেহকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করবে। কারণ তখনকার দিনে এখনের মতো স্যানিটেশন ব্যাবস্থা এত উন্নত ছিল না, স্নান ইত্যাদিই ছিল তখন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার প্রধান মাধ্যম। সুতরাং, এ বাক্য দ্বারা নারী অপবিত্র, অশুদ্ধ তা বোঝানো হয়নি।

✅সর্বশেষ প্রশ্ন হলো, এসময় দৈহিক মিলনে নিষেধ করার কারণ কী?

উত্তরঃ এর চিকিৎসাশাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা রয়েছে, বৈজ্ঞানিকভাবে নারীর রজঃস্বলা অবস্থায় তাঁর সাথে সমাগম ক্ষতিকর এটার প্রমাণ নেই কিন্তু রজঃস্বলা নারীর যোনীদেশ থেকে নির্গত রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে পারে এ ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এসব রোগের মধ্যে বিভিন্ন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিস (STD) থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস এমনকি এইডসও রয়েছে, যেমন-


"Period blood is the perfect petri dish for spreading disease," Dr. Ross said. "Bloodborne sexually transmitted infections like HIV and hepatitis love the nutrients that a period has to offer."


📌Source - https://www.health.com/condition/sexual-health/std-risk-during-your-period#:~:text=Human%20immunodeficiency%20virus%20(HIV)%20and,a%20period%20has%20to%20offer.%22

📌এছাড়াও দেখতে পারেন, https://www.cdc.gov/hygiene/personal-hygiene/menstrual.html

✅➡️ এখন কেউ যেন আবার না বলে যে পুরাণাদি গ্রন্থেও কেবল বিশ্রামের জন্য বা রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য রজঃস্বলাকে বিভিন্ন পূজাপাঠে নিষেধ করা হয়েছে। যদি শুধু এতটুকুই উদ্দেশ্য হতো তবে তারা নারীদের রজঃস্বলা হলে অশৌচ হয়, শুদ্ধ হতে আচার পালন করতে হয় এইরূপ বিধি দিত না। এসময় নারীকে ছোঁয়া যাবে না, ছুঁলে স্নান করতে হবে, একঘরে রাখতে হবে, এইসব অবাস্তব বিধান তৈরি করত না। এর পরবর্তীতে আমরা পুরাণ ও তথাকথিত গৌণস্মৃতির পাতা থেকে এবং বিভিন্ন মত মতান্তরের গ্রন্থাবলি থেকে এ সংক্রান্ত প্রমাণ উল্লেখ করতে থাকব।

-ইত্যোম্ শম্।

বাংলাদেশ অগ্নিবীর,
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক