ঋগ্বেদ ১০।৮৬।১৩-১৪ রহস্য ~ পশুবলি নাকি বৈদিক অধ্যাত্ম ও জ্যোতিষবিজ্ঞান ?
🟥 অপপ্রচার: ঋগ্বেদ ১০।৮৬।১৪
আমার জন্য পঞ্চদশ এমন কি বিংশ বৃষ পাক করিয়া দেয়। আমি খাইয়া শরীরের স্থূলতা সম্পাদন করি, আমার উদরের দু’পার্শ্ব পূর্ণ হয়, ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।
🟦 খণ্ডন:
উক্ষ্ণো হি মে পঞ্চদশ সাকং পচন্তি বিংশতিম্ ।
উতাহমদ্মি পীব ইদুভা কুক্ষী পৃণন্তি মে বিশ্বস্মাদিন্দ্র উত্তরঃ ॥
✅ ১৩ ও ১৪ মন্ত্রের একীভূত আধিদৈবিক পক্ষে -
(বৃষাকপায়ি রেবতি) উত্তরধ্রূব রূপ ইন্দ্র, বৃষাকপির পত্নী = সূর্যপত্নী রেবতী নক্ষত্র ! (সুপুত্রে-আৎ সুস্নুষে) উত্তম পুত্রযুক্ত তথা সুপুত্রবধু (তে-উক্ষণঃ) তোমার বীর্যসেচক সূর্যের [উক্ষা=সূর্য; ঋ০ ৯।৮৩।৩, ১০।৩১।৮] (প্রিয়ং কাচিৎকরং হবিঃ) গ্রহণযোগ্য উপহার (ইন্দ্রঃ-ঘসৎ) উত্তর ধ্রুব গ্রহণ করে = আমি উত্তর ধ্রুব খগোলরূপ পার্শ্বে ধারণ করি, তুমি চিন্তা কোরো না।
(মে হি পঞ্চদশ সাকং বিংশতিম্) আমার জন্য অর্থাৎ খগোল রূপ উদরপূর্তির জন্য ১৫ ও ২০ অর্থাৎ ৩৫ (উক্ষ্ণঃ পচন্তি) গ্রহ-উপগ্রহকে প্রাকৃতিক নিয়ম সম্পন্ন করি = ব্যক্ত করি। [পচ্ ধাতুর অর্থ সম্পন্ন করা, ঋ০ ১।১৬৪।৪৩ 'অপচন্ত' অর্থাৎ সামান্য সম্পাদন করা] (উত-অহম্-অদ্মি) হ্যাঁ, আমি তাদের খগোলে গ্রহণ করি। [ব্রহ্মসূত্র ১।২।৯ দ্রষ্টব্য] (পীবঃ) এজন্য আমি প্রবৃদ্ধ হয়েছি (মে-উভা কুক্ষী-ইৎ পৃণন্তি) আমার উভয় পার্শ্ব অর্থাৎ উত্তর-দক্ষিণ গোলার্ধদ্বয়কে প্রাকৃতিক নিয়মে পরিপূর্ণ করে॥
[ভাষ্যকার: স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক]
উক্ষা শব্দ গ্রহের জন্য ঋ০ ১।১০৫।১০-এ দৃষ্ট হয় ~ মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি। উক্ত ৫ ও সূর্য, পৃথিবী, ইউরেনাস, নেপচুনসহ ৯ এবং পৃথিবীর ১, মঙ্গলের ২, শনি ও বৃহস্পতির ৯, ইউরেনাসের ৪ ও নেপচুনের ১ বা নেপচুন স্বয়ং এই ২৬ মোট ৩৫ গ্রহ-উপগ্রহ যা কিনা সৃষ্টিপ্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত বিধায় এই মন্ত্রে সেই বিষয়ে ইংগিত দেওয়া হয়েছে। সূর্যসিদ্ধান্ত ১।২৭, তৈত্তিরীয় সংহিতা ৪।৪।১০ ও তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ ৩।১।২।৪ এবং ব্রাহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত মধ্যমভাগ এটিই প্রমাণিত করে, রেবতী নক্ষত্র ও ৩৫ গ্রহ-উপগ্রহ সৃষ্ট্যাদিই নির্দেশ করে। বালগঙ্গাধর তিলকসহ বাকিদের বেদের নাক্ষত্রিক সময়কাল নির্ণয় সিদ্ধান্ত এভাবেই খণ্ডিত হয়।
🔵 আধিভৌতিক ও আধ্যাত্মিক পক্ষে —
১ (মে) আমার (পঞ্চদশ উক্ষ্ণঃ) ১৫ বল সিঞ্চনকারী, ['উক্ষ সেচনে' (ভ্বা০) ধাতো, উণা০ ১।১৫৯; নিরু০ ১২।৯, মহন্নাম নিঘ০ ৩।৩] শরীরধারক ১০ ইন্দ্রিয় ও ৫ প্রাণসমূহকে,
কিংবা,
২. (উক্ষ্ণঃ মে) শরীরধারী আমার অর্থাৎ জীবাত্মার [উক্ষণঃ=সেচনকর্তার (সত্বান=প্রাণিন) ঋ০ ১।৬৪।২]
(পঞ্চদশ) ১০ প্রাণ-উপপ্রাণ ও ৫ জ্ঞানেন্দ্রিয় এই ১৫টিকে ,এবং,
১. (বিংশতিম্) হাত-পায়ের ২০ আঙুল, বা,
২. (বিংশতিম্) দেহে প্রবেশমান জীবাত্মাকে [উনিশমুখ জীবাত্মা যিনি নিজে বিশতম - মাণ্ড্যুকোপনিষদ ৩-৪]
কিংবা এই ১৫+২০=৩৫ তত্ত্ব = ৫ যম, ৫ নিয়ম, ৬ সম্পত্তি, ৪ বৃত্তি, প্রাণায়াম - ধারণা - ধ্যান - সমাধি, ৮ সিদ্ধি , অভ্যাস, বৈরাগ্য ও মোক্ষপ্রার্থনা সমৃদ্ধ জীবাত্মাকে
বিদ্বানগণ (সাকং পচন্তি) জ্ঞান-অভ্যাস অর্থাৎ বৈরাগ্য-প্রাণায়াম দ্বারা পরিপুষ্ট করেন বা বিস্তারিত বর্ণনা করেন। (উৎ) আর আমি (পীবঃ) পরিপুষ্ট হয়ে (অদ্মি) পুষ্টিদায়ক ভোগ্য দেহ এবং নানা উপভোগ্য সামগ্রী বা প্রাণসমূহকে ভোগ করি। সেই সমস্ত প্রাণ(মে) আমার (কুক্ষী) উভয় পার্শ্বকে (পৃণন্তি) পূর্ণ করে, সমস্ত প্রাণ দেহের ডান ও বামে ব্যপ্ত হয়, দেহকে পরিপুষ্ট করে । [পরিপুষ্ট হয়ে আমি সেই সর্বব্যাপক পরমাত্মাকে স্মরণ করি । বলি ~] সেই (ইন্দ্রঃ) আশ্চর্যজনক শক্তিশালী প্রভু (বিশ্বস্মাৎ উত্তরঃ) সর্বোৎকৃষ্ট । [তার এই দেহরচনা কৌশল অবিজ্ঞেয়]।
ভাবার্থ: মন্ত্রে জীবাত্মার সাথে দুইটি সংখ্যার উল্লেখ আছে । যথাক্রমে ১৫ ও ২০ । সংখ্যা দুইটির দুই রকমের তাৎপর্য ~
১. ৫টি কর্মেন্দ্রিয়, ৫টি জ্ঞানেন্দ্রিয় ও ৫টি প্রাণ যা দেহে বল সঞ্চার করে, এই ১৫টি তত্ত্ব এবং হাতের ১০ট ও পায়ের ১০টি মোট ২০টি আঙুল
২. ৫টি প্রাণ, ৫টি উপপ্রাণ, ৫টি কর্মেন্দ্রিয় এই ১৫টি তত্ত্ব ও ১৯টি মুখযুক্ত ২০তম তত্ত্ব জীবাত্মা ।
যারা কিনা বিদ্বান ও পণ্ডিত তারা প্রথম ব্যাখ্যা অনুযায়ী কর্মযোগী হিসেবে নিজেকে গঠন করেন, দ্বিতীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী নিষ্কাম হয়ে আত্মতত্ত্ব অনুসন্ধানে সাধনা করেন । ফলে তারা দেহকে বেদোক্ত ধর্মকর্মের মাধ্যমে সুস্থ-সবল করে গড়ে তোলেন । তাদের দেহে প্রাণশক্তির স্ফুরণ ঘটে ও দেহ পরিপুষ্ট হয় । তখন তারা এই দেহ রচনায় জগৎনিয়ন্তা পরমেশ্বরের যে অতি আশ্চর্যজনক কৌশল ও প্রজ্ঞা তা অনুধাবন করে রোমাঞ্চিত হয় ও ভক্তিতে আপ্লুত হয় ।
🟥 অপপ্রচার:
ঋগ্বেদ ১০।৮৬।১৩
হে বৃষাকপিবনিতে! তুমি ধনশালিনী ও উৎকৃষ্ট পুত্রযুক্তা এবং আমার সুন্দরী পুত্রবধূ। তোমার বৃষদিগকে ইন্দ্র ভক্ষণ করুন , তোমার অতি চমৎকার, অতি সুখকর হোমদ্রব্য তিনি ভক্ষণ করুন। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।
🟦 খণ্ডন:
বৃষাকপায়ি রেবতি সুপুত্র আদু সুস্নুষে ।
ঘসত্ত ইন্দ্র উক্ষণঃ প্রিয়ং কাচিৎকরং হবির্বিশ্বস্মাদিন্দ্র উত্তরঃ ॥
ঋগ্বেদ ১০।৮৬।১৩
🔵 আধিদৈবিক অর্থ -
(রেবতি সুপুত্রে আৎ উ সুস্নুষে বৃষাকপায়ি) হে ধনবতী [কেননা প্রাতঃসন্ধ্যায় মানব ধনোপার্জনের জন্য বের হয় ও সায়ংসন্ধ্যায় উপার্জন শেষে ফিরে আসে] ! হে সন্ধ্যার অন্ধকাররূপ পুত্রবতী ! [বৃষাকপায়ি মধ্যমস্থানীয় = সূর্য সহচরী, প্রমাণভূত নিরু০ ১২।২৭, গো০ব্রা০ ২.৬.১২; অন্ধকাররূপ সুপুত্রবতী ও তার পত্নীরূপা নিরু০ ১২.৯ উল্লেখিত মাধ্যমিকা বাক্ তথা শব্দ = তৎকালীন নিস্তব্ধতা পুত্রবধুরূপী] নিস্তব্ধতারূপ পুত্রবধূবতী সন্ধ্যাকালীন প্রভা! (তে উক্ষণঃ ইন্দ্রঃ ঘষৎ) তোমার জলীয়বাষ্পকে [নিরু০ ১২।৯] সূর্য [শত০ ব্রা০ ৪।৬।৭।১১, ৮.৫.৩.২] গ্রহণ করে। অর্থাৎ, তুমিই সান্ধ্যকালীন জলীয়বাষ্পের উৎস যা কিনা সূর্য নিজের রশ্মি দ্বারা আহরণ করে। (প্রিয়ং কাচিৎকরং হবিঃ) তুমি সেই প্রিয় ও অত্যন্ত সুখদায়ক জলীয়বাষ্পরূপ হবি প্রস্তুত করো। (ইন্দ্রঃ বিশ্বস্মাৎ উত্তরঃ) আর যে আদিত্য প্রকাশ্য ও প্রকাশক সে এই দ্বিবিধ লোক থেকে সর্বোৎকৃষ্ট।
🔵 আধ্যাত্মিক ও আধিভৌতিক অর্থ -
১। হে (বৃষাকপায়ি) মেঘতুল্য সুখবর্ষিণী পরমেশ্বরের সৃজনশক্তির নিদর্শন প্রকৃতি মাতা ! হে (রেবতি) বহু ঐশ্বর্যের স্বামিনী ! (আৎ উ) এবং বর্তমানে, হে (সু-পুত্রে) উত্তম জীবরূপ সন্তানবতী! (সু-স্নুষে) হে সুখদায়িনী! (ইন্দ্র) পরমৈশ্বর্যবান প্রভু (উক্ষণঃ) সিক্তকারী মেঘ থেকে উৎপন্ন ['উক্ষ সেচনে' ধাতু০ ৬৫৭, 'উক্ষন্ + কনিন্ প্রত্যয়' উণা০ ১।১৫৯] অথবা (উক্ষণঃ) জগত ধারণকারী সূর্যাদি লোক-লোকান্তরের [উক্ষা=সূর্য~ঋ০ ৩।৭।৬] (প্রিয়ম্) প্রীতিকারক (কাচিৎ-করম্) অনন্ত সুখদাত্রী (তে-হবিঃ) তোমার উত্তম অন্ন-সদৃশ এই জগতকে প্রলয়কালে ভক্ষণ করেন তথা এই জগতকে প্রলয়কালে গ্রাস করেন। সেই ঐশ্বর্যবান প্রভু (বিশ্বস্মাৎ উত্তরঃ) দেহের মধ্যে প্রবিষ্ট জীবাত্মার থেকেও অধিক উৎকৃষ্ট এবং শক্তিশালী।
ভাবার্থ: বৃষাকপায়ি = পরমেশ্বরের সৃজনশক্তির নিদর্শনস্বরূপা প্রকৃতি। এই প্রকৃতিকে ও প্রকৃতিতেই পরামাত্মা সৃজন করেন । প্রকৃতি জীবাত্মার মাতৃস্বরূপ কেননা জীবাত্মা প্রকৃতি থেকেই পরমেশ্বরের অনুগ্রহে জীবনধারণের উপাদান গ্রহণ করে। তাই জীবাত্মা যেন এই প্রকৃতি মাতায় আসক্ত না হয়। এই প্রকৃতি নানা ধনসম্পদযুক্ত ও আমরা সেই সম্পদ ব্যবহার করি। এখানে উপমা দেওয়া হয়েছে যেভাবে বৃষ্টির জলে উত্তম অন্ন উৎপন্ন হয় ও তাকে আমরা গ্রাস করি পরমেশ্বর সূর্যাদি লোক-লোকান্তরসহ এই জগতকে প্রলয়কালে স্বীয় অভ্যন্তরে গ্রাস করেন অর্থাৎ এই ব্যক্ত জগৎ ব্যক্ত সূক্ষ্ম প্রকৃতিরূপে প্রলয়াবস্থায় পরমেশ্বরে বিদ্যমান থাকে ।
২। (রেবতি) হে বিভূতিযুক্তা ! (সুপুত্রে) হে সাধু জীবাত্মারূপ সন্তানযুক্তা ! ['সাধুং পুত্রং হিরণ্যয়ম্' অথর্ব০ ২০।১২৯।৫] (আৎ উ) তারপর, (সুস্নুষে) হে বিবেকখ্যাতিযুক্তা! [শ্রদ্ধামাতার সন্তান জীবাত্মা, জীবাত্মার উত্তম সহচারিণী পত্নী তথা শ্রদ্ধামাতার পুত্রবধূ হলো বিবেকখ্যাতি, পৌত্র হলো মোক্ষ] (বৃষাকপায়ি) শরীরধারী জীবাত্মার শ্রদ্ধামাতা ! ['শ্রদ্ধা জননীব কল্যাণী যোগিনং পাতি' যো০ দ০ ১।২০ ব্যাসভাষ্য] (তে) তোমার (ইন্দ্রঃ) গন্তব্য - প্রাপ্তব্য পরমেশ্বর [এই] (উক্ষণঃ) ভক্তিরসসিক্ত চিত্তকে (ঘসৎ) গ্রহণ করেন, যা কিনা পরমেশ্বরের (প্রিয়ং হবিঃ) প্রিয় হবি, এবং যে হবি (কাচিৎকরম্ = ক~সুখ + চয়ন + করম্) জীবাত্মার সুখের চয়ন করে। কেননা, (বিশ্বস্মাদিন্দ্র উত্তরঃ) পরমেশ্বর সর্বোৎকৃষ্ট।
৩। (বৃষাকপায়ি) হে বলবান, প্রযত্নকারী জীবাত্মার সহচারিণী বিভূতি! [বৃষাকপ্যগ্নি০ অষ্টা০ ৪।১।৩৭। বৃষাকপি-ঙীপ্, ঐকারাদেশশ্চ। বৃষাকপায়ী বৃষাকপেঃ পত্ন্যপৈবাভিসৃষ্টকালতমা নিরু০ ১২।৮। বৃষাকপায়ী বৃষাকপেঃ পত্নী, বৃষাকপিরাদিত্যঃ, তস্য পত্নী, তদ্বিভূতিঃ ইতি দুর্গাচার্যঃ। বৃষাকপায়ী শ্রীগৌর্যৌ-ইত্যমরঃ, ২৩।১৬। লক্ষ্মীঃ, গৌরী, স্বাহা, শচী, জীবন্তী, শতাবরী-ইতি শব্দকল্পদ্রুমঃ] (রেবতি) হে ধনযুক্তা! (সুপুত্রে) হে সন্তানদাত্রী! (সুস্নুষে) হে সুখবর্ষিণী! [স্নুব্রশ্চি০। উণা০ ৩।৬৬। ষ্ণু প্রস্রবণে-সঃ কিৎ, টাপ্। 'স্নুষা সাধুসাদিনীতি বা সাধুসাধিনীতি বা স্বপত্যং তৎ সনোতীতি বা' নিরু০ ১২।৯] (আৎ উ) নিরন্তর (ইন্দ্রঃ) ঐশ্বর্যযুক্ত মানব (তোমার) (উক্ষণঃ) বর্ধনশীল পদার্থসমূহকে ['উক্ষতের্বৃদ্ধিকর্মণঃ' নিরু০ ১২।৯, 'উক্ষতের্বৃদ্ধিকর্মণঃ' নিরু০ ১২।৯] (ঘসৎ) আহার করবে, ভোগ করবে। সেই (প্রিয়ম্) প্রিয় (কাচিৎকরম্) সুখদায়ক একত্রীকৃত [ক+আ+চিঞ্ চয়নে-ক্বিপ্, তুক্+করোতেঃ-অচ্। 'সুখাচয়করং সুখকরম্' নিরু০ ১২।৯। কং সুখং তস্যাচিৎ সঙ্ঘঃ] (হবিঃ) হবি [অথর্ববেদ ২০।১২৬।১২-তে বর্ণিত ঘৃত-জল প্রভৃতি পদার্থ] বিদ্যমাম রয়েছে, [কেননা পূর্বোক্ত 'ইন্দ্রঃ']~ (বিশ্বস্মাদিন্দ্র উত্তরঃ) ঐশ্বর্যযুক্ত মানব অন্য সব প্রাণীমাত্র থেকে উত্তম।
ভাবার্থ: মানব আত্মশক্তিকে নিজের আধ্যাত্মিক যোগবিভূতির সাথে সংযুক্ত করে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করবে। ধন-সম্পদ মানবকল্যাণময় ধর্মীয় কাজে যথোপযুক্ত ব্যবহার করে তার আনন্দ নিরাসক্তভাবে গ্রহণ করবে। সাধারণ মানুষ জাগতিক বিষয়ে আসক্ত হয় ও অধর্মাচরণ করে, কিন্তু যিনি ধার্মিক তিনি যোগী হয়ে পুণ্যকর্মে সম্পদ ব্যয় করে অন্য সাধারণ মানুষ থেকে শ্রেষ্ঠ হন।
🖋️ বাংলাদেশ অগ্নিবীর
0 মন্তব্য(গুলি)