https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্বাধ্যায় [৪] - গীতায় 'জীবাত্মা' সম্পর্কে কী বলা হয়েছে ?

Saturday, July 19, 2025

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় স্বাধ্যায়' [ ৪ ]

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় 'জীবাত্মা' সম্পর্কে কী বলা হয়েছে ❓
▶️ প্রশ্নঃ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অনুযায়ী আত্মার স্বরূপ কি ? 
 
উত্তর: শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় আত্মার স্বরূপ অত্যন্ত গভীর ও সূক্ষ্মভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে । আত্মা জন্মগ্রহণ করে না , মৃত্যুবরণ করে না , তার কোনো ক্ষয় , পরিবর্তন বা বিকার ঘটে না । আত্মা অনাদি , অর্থাৎ যার কোনো সূচনা নেই । সে নিত্য , চিরন্তন এবং সনাতন - শাশ্বতভাবে অক্ষয় । আত্মা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় । তাকে দেখা যায় না , ছোঁয়া যায় না। সে অব্যক্ত , অচিন্ত্য এবং অপ্রমেয় । তাকে অস্ত্র দিয়ে ছেদন করা যায় না , আগুনে দগ্ধ করা যায় না , জলে ভেজানো যায় না , বায়ুতে শুকানো যায় না । তাকে শেখানো যায় না , স্থানান্তর করা যায় না , ভাঙা যায় না , টুকরো করা যায় না । আত্মা একস্থানে ব্যাপ্ত , তবে নিজে অবিচল ও স্থির । অচল এবং স্থাণুরূপে সে নিজের স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত থাকে । আত্মা দেহে বিরাজমান হলেও দেহ নয় । সে রূপান্তরহীন । জীবাত্মা যখন প্রকৃতির গুণসমূহের সংস্পর্শে আসে , তখনই সে সুখ ও দুঃখের ভোগী হয় , জন্ম-মৃত্যুর চক্রে আবদ্ধ হয় এবং মোহবশে নিজেকে কর্মের কর্তা মনে করে ।
✅ আত্মার বৈশিষ্ট্যসমূহ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার ভিত্তিতে):
 
‎১। অবিনাশী, নিত্য, অব্যয়, অজ -
‎আত্মা ধ্বংস হয় না, জন্ম হয় না, চিরকাল থাকে, পরিবর্তন হয় না এবং জন্মগ্রহণ করে না ।
‎(২.১৭–২১)
‎“ন জন্ম্যতে ন ম্রিয়তে…”
‎২। অহন্তা ও অহন্য -
‎আত্মা না কাউকে হত্যা করে , না তাকে হত্যা করা যায় । (২.১৯)
‎“হন্তা চেন্ মন্যতে হন্তুং… ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে”
‎৩। দেহান্তরী -
‎আত্মা জীর্ণ দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করে।
‎(২.২২)
‎“বাসাংসি জীর্ণানি… নবানী গৃহ্ণাতি নরোপরাণি”
‎৪। অচ্ছেদ্য , অদাহ্য , অক্লেদ্য , অশোষ্য -
‎আত্মাকে ছেদন করা যায় না , দগ্ধ করা যায় না , ভেজানো যায় না , শুকানো যায় না ।
‎(২.২৩–২৪)
‎“অচ্ছেদ্যোऽয়মদাহ্যোऽয়ম… অশোষ্য এব চ”
‎৫। সর্বগত , স্থাণু, অচল , সনাতন —
‎আত্মা চেতনারূপে শরীরে সর্বত্র বিস্তৃত, স্বরূপে স্থিত, চলনহীন এবং চিরন্তন।
‎(২.২৪)
‎“সর্বগতোऽপি চ নিত্যঃ… স্থাণুরচলোऽয়ং সনাতনঃ”
‎৬। অব্যক্ত, অচিন্ত্য, অবিকার্য -
‎আত্মা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় , চিন্তার অতীত এবং রূপান্তরহীন । (২.২৫)
‎“অব্যক্তোऽয়মচিন্ত্যোऽয়মবিকার্যোऽয়মুচ্যতে”
‎৭। অনাদি -
‎আত্মার কোনো সূচনাবিন্দু নেই; এটি চিরন্তন ও স্বয়ম্ভূ ।
‎(১৩.২০)
‎“অনাদিত্… আত্মা”
‎৮। অক্ষর , কূটস্থ -
‎আত্মা অবিনশ্বর ও অবস্থানে অবিচল ।
‎(২.২৪)
‎“অয়ং ধ্রুবঃ… অক্ষর”
‎৯। জীবাত্মা অনাদি; সে প্রকৃতিতে অবস্থিত থেকে গুণসমূহ ভোগ করে ।
‎(১৩.২০–২১)
‎“প্রকৃতিং পুরুষং চৈব বিদ্ধ্যনাদী উভৌ… পুরুষঃ প্রকৃতিস্থো হি ভুঙ্তে প্রকৃতিজান্ গুণান্”
‎১০। সুখ-দুঃখ ভোগের কারণ জীবাত্মা; গুণসঙ্গেই সৎ–অসৎ জন্ম হয়।
‎(১৩.২১)
‎“কারণং গুণসঙ্গোऽস্য সদসৎযোনি জন্মসু”
‎১১। মোহগ্রস্ত জীব ভাবে “আমি কর্তা”, কিন্তু সকল কর্ম প্রকৃতির গুণেই ঘটে।
‎(৩.২৭)
‎“প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি… অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে”
‎১২। জীবাত্মা ইন্দ্রিয় ও মন দ্বারা বিষয়াদি ভোগ করে এবং শরীর গ্রহণ বা ত্যাগ করে ।
‎(১৫.৯–১০)
‎“শরীরং যদবাপ্নোতি… গৃহীতৈৎ”
‎১৩। পরমাত্মা কারো পাপ–পুণ্য গ্রহণ করেন না; অজ্ঞানতায় জীব বিভ্রান্ত হয় ও ফল ভোগ করে।
‎(৫.১৫)
‎“নাদত্তে কস্যচিৎ পাপং… জ্ঞানেনাভৃতং”
‎১৪। আত্মা সৎ , কারণ তা ধ্বংস হয় না - কারণ আত্মা অবিনাশী ।
‎(২.১৬)
‎“নাসতো বিদ্যতে ভাবঃ…”
‎১৫। জীবাত্মা পরমাত্মার অংশরূপে বর্ণিত , তবে তা প্রকৃত অর্থে বিভাজ্য অংশ নয় - “অংশ ইব অংশ”।
‎(১৫.৭)
‎“মমৈবাংশো জীবলোকে…”
‎[ব্রহ্মসূত্র ২.৩.৪৩ — “অংশ ইব অংশঃ”]
‎১৬। জীবাত্মাকে ‘ক্ষেত্রজ্ঞ’ বলা হয়েছে -দেহরূপ ক্ষেত্রের জ্ঞানী সে ।
‎(১৩.১–২)
‎“ইদং শরীরং… ক্ষেত্রজ্ঞমিতি তদ্বিদঃ”
🌼
‎নাসতো বিদ্যতে ভাবো নাভাভানো বিদ্যতে ।
‎অভযোরপি দর্শনস্ত্বনয়োস্তত্ত্বদর্শিভিঃ॥
‎শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২.১৬
‎অনুবাদ: অসৎ বস্তুর স্থায়িত্ব নেই এবং সৎ বস্তুর ধ্বংস নেই , তত্ত্বদর্শীগণ এই উভয়ের তত্ত্ব দৃষ্ট হয়েছেন ।
‎এখানে 'সৎ' বলতে জীবাত্মা কে বুঝিয়েছে কেননা জীবাত্মা ধ্বংস হয়না , অবিনাশী ।
🌼
‎অবিনাশী তু তদ্বিদ্ধি যেন সর্বমিদং ততং ।
‎বিনাশমব্যয়স্যাস্য ন কশ্চিত্ কর্তুমর্হতি॥
‎অন্তবন্ত ইমে দেহা নিত্যস্যোক্তাঃ শরীরিণঃ ।
‎অনাশিনোऽপ্রমেয়স্য তস্মাদ্যুদ্ধে মহাবাহো॥
‎শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২.১৭-১৮
‎অনুবাদ: যাঁর দ্বারা এই সকল শরীর ব্যাপ্ত , তাঁকেই অবিনাশী বলে জানো । কেউই এই অব্যয়স্বরূপের বিনাশ করতে সমর্থ নয় । বলা হয়.. অবিনাশী , অপ্রমেয় ও শাশ্বত জীবাত্মার এই সকল শরীর নিঃসন্দেহে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় । সেজন্য হে ভারত (অর্জুন)! যুদ্ধ করো ।
🌼
‎য এনং ভেত্তি হন্তারং যশ্চাইনং মন্যতে হতং । উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হন্তি ন হন্যতে॥ ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্ নায়ং ভূত্বা ভবিতা वा ন ভূয়ঃ ।
‎অজো নিত্যঃ শাশ্বতোऽয়ং পুরাণো
‎ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে॥
‎শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২.১৯-২০
‎অনুবাদ: যে ব্যক্তি এই আত্মাকে হত্যাকারী মনে করে এবং যে ব্যক্তি এই আত্মাকে নিহত বলে মনে করে, তারা উভয়েই আত্মতত্ত্ব জানে না । এই আত্মা কাউকে হত্যা করে না এবং নিহতও হয় না । এই আত্মা কখনো জন্মগ্রহণ করে না বা মৃত্যু হয় না , কিংবা অন্যান্য প্রাণীর মতো উৎপন্ন হয়ে পুনরায় বিদ্যমান থাকে না। এই আত্মা অজ , নিত্য , শাশ্বত এবং পুরাণ ; শরীর নষ্ট হলেও এই আত্মার মৃত্যু হয় না ।
🌼
‎বেদাবিনাশিনং নিত্যংয এনমজমব্যয়ম্ । কথং স পুরুষঃ পার্থ কং ঘাতয়তি হন্তি কম্॥ যথা পরিবর্তে জীর্ণানি বাস্ত্রাণি অপরাণি গৃহ্ণতি । তথা শরীরাণি পরিবর্তে জীর্ণান্যন্যানি সংযাতি নবানী দেহী॥
‎শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২.২১-২২
‎অনুবাদ: হে পার্থ (অর্জুন )! যিনি এই আত্মাকে অবিনাশী , নিত্য , অজ , অব্যয় বলে জানেন ; সেই পুরুষ কীভাবে কাউকে হত্যা করাতে বা কাউকে হত্যা করতে পারেন ? মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্রগুলো ত্যাগ করে অন্য নতুন বস্ত্র গ্রহণ করে , সেভাবে আত্মা জীর্ণ শরীরগুলো ত্যাগ করে অন্য নতুন শরীর আশ্রয় করে ।
🌼
‎নাইনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নাইনং দহতি পাৱকঃ।
‎ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুতঃ॥
‎শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২.২৩
‎অনুবাদ: এই আত্মাকে অস্ত্রসমূহ ছেদ করতে পারে না , আগুন এই আত্মাকে পোড়াতে পারে না , জল এই আত্মাকে ভেজাতে পারে না এবং বাতাস এই আত্মাকে শুকাতে পারে না ।
🌼
‎অচ্ছেদ্যোऽয়মদাহ্যোऽয়ম্ অক্লেদ্যোऽশোষ্য এভ চ।
‎নিত্যঃ সর্বগতঃ স্থাণুঃ অচলোऽয়ং সনাতনঃ॥
‎অব্যক্তোऽয়মচিন্ত্যোऽয়ম্ অবিকার্যোऽয়মুচ্যতে।
‎তস্মাদেৱং বিদিত্বৈনং নানুশোচিতুমর্হসি॥
‎শ্রীমদ্ভগবদগীতা২.২৪-২৫
‎অনুবাদ: এই আত্মা অচ্ছেদ্য , এই আত্মা অদাহ্য , এই আত্মা অক্লেদ্য এবং অশোষ্য । এই আত্মা নিত্য , সর্বত্রগমনকারী , স্থির , অচল , সনাতন । এই আত্মা অব্যক্ত , এই আত্মা অচিন্ত্য , এই আত্মা বিকাররহিত বলে কথিত হয় । অতএব এই আত্মাকে এই রকম জেনে অনুশোচনা করা উচিত নয় ।
‎[ শব্দার্থ: অচ্ছেদ্য = কাটা যায় না । অদাহ্য = পুড়ানো যায় না । অক্লেদ্য = ভেজানো যায় না । অশোষ্য = শুকানো যায় না । অচল = স্পন্দনহীন । বিকাররহিত = একটিই স্বরূপ । ]
🌼
‎নাদত্তে কস্যচিৎ পাপং ন চৈব সুকৃতং বিভুঃ ।
‎অজ্ঞানেনাবৃতং জ্ঞানং তেন মুহ্যন্তি জন্তবঃ ॥
‎শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৫.১৫
‎প্রভু লোকের কর্তৃত্ব করেন না , কর্মসমূহ করেন না, কর্মফলে সম্বন্ধও সৃষ্টি করেন না , কিন্তু প্রকৃতি কর্মে প্রবৃত্ত হয় । সর্বব্যাপী পরমাত্মা কারো পাপকর্মকে গ্রহণ করেন না এবং পুণ্যকর্মকেও গ্রহণ করেন না , অজ্ঞান দ্বারা জীবের জ্ঞান আবৃত থাকে , সেজন্য সকল জীব মোহগ্রস্ত হয় ।
‎জীবাত্মা (৫.১৫) যে ভোগ করে এটা স্পষ্ট জীবাত্মা কে ভোক্তা বলা হয় ।
‎গীতার ১৫.১৬-১৭ শ্লোকে জীবাত্মাকে কূটস্থ এবং অক্ষর বলে সম্বোধন করা হয়েছে । যজুর্বেদের ২।২৬ এ আত্মাকে স্বয়ম্ভু বলা হয়েছে । কেননা , জীবাত্মা কোন উপাদান থেকে সৃষ্টি হয়নি জীবাত্মা অপরিবর্তনীয় ও শাশ্বত এর কোন ক্ষয় নেই অর্থাৎ জীবাত্মা অক্ষর ।
🌼
‎প্রকৃতিং পুরুষং চৈব বিদ্ধ্যনাদী উভাবপি ।
‎বিকারাংশ্চ গুণাংশ্চৈব বিদ্ধি প্রকৃতিসম্ভবান্ ॥
‎শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৩.২০
‎অনুবাদ : প্রকৃতি ও পুরুষ উভয়ই অনাদি বলে জানবে । আর বিকার ও গুণসমূহ প্রকৃতি থেকেই উৎপন্ন বলে জানবে ।
‎এই শ্লোকে ' পুরুষ ' শব্দ দ্বারা পরমাত্মা এবং জীবাত্মা উভয়কেই বোঝানো হয়েছে । ২১শ শ্লোক অনুসারে এটি জীবাত্মাবাচক এবং ২৩শ শ্লোক অনুসারী এটি পরমাত্মাবাচক অর্থাৎ , প্রকৃতি জীবাত্মা এবং পরমাত্মা তিনটি অনাদি দ্বিতীয় অধ্যায় ভগবান স্বয়ং জীবতমাকে অব্যয় , অবিনাশী , শাশ্বত বলে উল্লেখ করেছেন ।
🌼
‎কার্যকারণকর্তৃত্বে হেতুঃ প্রকৃতিরুচ্যতে ।
‎পুরুষঃ সুখদুঃখানাং ভোক্তৃত্বে হেতুরুচ্যতে ॥২১॥
‎শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৩.২১
‎অনুবাদ: কার্য ও কারণের কর্তৃত্ত্বে প্রকৃতি কারণ বলে কথিত হয় এবং সুখ-দুঃখের ভোগবিষয়ে জীবাত্মা কারণ বলে কথিত হয় ।
‎প্রকৃতপক্ষে জীবাত্মা আসক্তিহীন , কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গ দ্বারা ভোগাদিবিষয় যুক্ত হয় অর্থাৎ জীবাত্মা ভোক্তা ।
🌼
‎পুরুষঃ প্রকৃতিস্থো হি ভুঙ্ ক্তে প্রকৃতিজান্ গুণান্ ।
‎কারণং গুণসঙ্গোহস্য সদসদ্ যোনিজন্মসু ॥২২॥
‎শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৩.২২
‎অনুবাদ: প্রকৃতিতে স্থিত জীবাত্মাই প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন গুণসমূহ ভোগ করে । গুণের সংযোগেই এই জীবাত্মা সৎ ও অসৎ জনিতে জন্ম নেওয়ার কারণ হয়ে থাকে ।
‎অতঃ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার শিক্ষায় , জীবাত্মা হল এক চেতন , অনাদি , সনাতন ও অবিনাশী সত্তা । সে জন্মহীন ও মৃত্যুহীন কালের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয় । অস্ত্র দ্বারা ছেদ করা যায় না , অগ্নি তাকে দগ্ধ করতে পারে না , জল তাকে ভেজাতে পারে না , বায়ু তাকে শুকাতে পারে না । এই আত্মা অচ্ছেদ্য , অদাহ্য , অক্লেদ্য , অশোষ্য সব প্রাকৃত উপাদানের কার্য তার ওপর অকার্যকর । সে অব্যয় - ক্লান্তি ও ক্ষয় থেকে মুক্ত; অচিন্ত্য - কল্পনার অতীত; অব্যক্ত -ইন্দ্রিয়ের অগোচর; এবং অবিকার্য - যার কোনো রূপান্তর ঘটে না । জীবাত্মা নিত্য, শরীরে সর্বত্র বিরাজমান, কিন্তু অচল ও স্থাণু চিরস্থির । সে সৎ কারণ তার অস্তিত্ব বিনাশযোগ্য নয় । এমনকি বহুবার দেহ পরিবর্তন করলেও, আত্মার স্বরূপ অপরিবর্তিত ও অক্ষয় থাকে । এই অপরিণামী, অবিনাশী , চিরন্তন সত্তাকেই গীতা 'জীবাত্মা' নামে অভিহিত করেছে ।
🖋️

বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক ।