https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

কল্পসূত্রের বেদবিরুদ্ধ অরূপসমৃদ্ধ বিনিয়োগ ও বৈদিক সিদ্ধান্ত

Thursday, August 21, 2025


কল্পসূত্রের বেদবিরুদ্ধ অরূপসমৃদ্ধ বিনিয়োগ ও বৈদিক সিদ্ধান্ত
 
৬টি বেদাঙ্গের মধ্যে কল্পসূত্র একটি শ্রেণি। বেদাঙ্গ বলতে বেদের সরাসরি অঙ্গ বুঝায় না, বুঝিয়ে থাকে যেভাবে অঙ্গ দেহের কার্যে সহায়ক সেভাবে বেদাঙ্গ বেদে বর্ণিত যজ্ঞাদি ও বিধিসমূহের সুবিন্যস্ত ঋষি প্রণীত বিধিমালা। বেদে যজ্ঞ, তার অঙ্গীভূত উপাদান ও ফল বর্ণনা করা হয়েছে, তার প্রয়োগ ঋষিগণ বেদাঙ্গের মধ্যে এই কল্পে তথা সূত্রাকারে লিপিবদ্ধ বিধায় সংজ্ঞায়িত উক্ত কল্পসূত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন। কল্পসূত্র ৪ প্রকার। যথা:
১। গৃহ্যসূত্র - গার্হস্থ্য ১৬ সংস্কার, ৫ মহাযজ্ঞ, ৭ পাকযজ্ঞ, গৃহনির্মাণ, গৃহপ্রবেশ, পশুপালন, কৃষিকর্ম, পার্বণ প্রভৃতি।
২। শ্রৌতসূত্র - বৃহৎ যজ্ঞ-যাগ-ইষ্টি যেমন দর্শপৌর্ণমাস, সোমযাগ, বাজপেয়, রাজসূয়, অশ্বমেধ, সৌত্রামণী ইত্যাদি।
৩। শূল্বসূত্র - যাজ্ঞিক পরিমিতি ও জ্যামিতি।
৪। ধর্মসূত্র - পারিবারিক - সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আইন সম্পর্কিত বিধিবিধান সূত্র।
কল্পসূত্র ঋষি বা আচার্য বা বিদ্বানদের লিখিত। অনেক কল্পসূত্র সাক্ষাৎ ঋষি প্রণীত না হয়ে উক্ত পরম্পরার কারো লিখিত প্রতিভাত হয়। অনেক কল্পসূত্রে সুস্পষ্টভাবে পরস্পরবিরোধীতা, বেদ বিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত বিদ্যমান। কল্পসূত্রে প্রক্ষেপণ কিংবা কালক্রমে সংযোজন সুধীমাত্রেই স্বীকার্য। এজন্য পূর্বমীমাংসাতেও কল্পসূত্রের স্বতঃপ্রমাণিকতা খণ্ডিত হয়েছে। আচার্য জৈমিনি বলেছেন, 
 
সর্বত্র চ প্রয়োগাৎসন্নিধানশাস্ত্রাচ্চ
পূর্বমীমাংসা ১।৩।১৪
অর্থাৎ, কল্পসূত্রসমূহে অর্থ দ্বারা পরম সন্নিহিত বেদরূপ শাস্ত্রের বিরুদ্ধ অর্থ প্রয়োগ পাওয়া যাওয়াতে তা বেদের ন্যায় স্বতঃপ্রমাণ নয়।
 

 
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী এজন্য কল্পসূত্রের যেভাবে উপযোগিতা স্বীকার করেছেন, তার বিধান মেনেছেন তেমনই বেদবিরোধী সূত্র ও বিধানকে অপ্রামাণ্য বলেছেন। যথা:
 
১। যে ব্রাহ্মণ বা সূত্র বেদবিরুদ্ধ হিংসাযুক্ত, তা প্রমাণ মনে করবে না। [সংস্কারবিধিঃ, বেদারম্ভপ্রকরণম্]
 

২। চারবেদের ব্রাহ্মণ, ছয়টি অঙ্গ, ছয়টি উপাঙ্গ, চার উপবেদ এবং বেদের ১১২৭ (এগারশত সাতাশটি) শাখা রয়েছে যেসব কিনা বেদের ব্যাখ্যানরূপে ব্রহ্মাদি মহর্ষি রচিত সেসব পরতঃপ্রমাণ অর্থাৎ বেদানুকূল হলে প্রমাণ এবং তন্মধ্যে বেদবিরুদ্ধ বচনসমূহকে অপ্রমাণ স্বীকার করি। [অথ স্বমন্তব্যামন্তব্যপ্ৰকাশঃ, সত্যার্থ প্রকাশ]
 

অর্থাৎ, কল্পসূত্রাদি আর্ষ ও স্বীকার্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কালক্রমে বেদের বিরুদ্ধে গিয়ে যেসব প্রক্ষিপ্ততা কিংবা দুর্বচন সংযুক্ত হয়েছে তা কখনোই স্বীকার্য নয়। এমতাবস্থায় বৈদিক সিদ্ধান্তকে মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে কল্পসূত্রের প্রামাণিকতা গৃহীত হবে। সেই যুক্তিবলেই আর্যগণ কল্পসূত্রকে যেমন গ্রহণ করেন তেমনই যুক্তিপূর্বক সমালোচনা ও খণ্ডন করে বেদ বিরুদ্ধ বক্তব্য নির্দ্বিধায় নিশঙ্কচিত্তে পরিত্যাগ করতে পিছুপা হন না। 
 
কল্পসূত্রের বিষয়ে আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি, সময়ে-সময়ে বেদবিরোধী মতবাদীগণ স্বীয় স্বার্থে কিংবা অজ্ঞানতাবশত আর্ষ গ্রন্থে প্রক্ষেপ করে এই গ্রন্থসমূহকে কলুষিত করেছে। উক্ত বেদ বিরোধী গোষ্ঠী এখনো বিদ্যমান। যেভাবে তাদের পূর্বসূরীরা নিজের হীনস্বার্থ চরিতার্থের জন্য মহান আর্ষগ্রন্থকে দূষিত করেছে নানা স্থানে তেমনই তারাও এখনো আর্ষসিদ্ধান্তকে কলুষিত করছে সমাজে ও বিশ্বে সেই প্রক্ষিপ্ত বচনসমূহের দ্বারা। কিন্তু ভগবৎপাদ বেদার্থসূর্য শ্রীমৎ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর দর্শিত অখণ্ডনীয় বেদসিদ্ধান্তে তা ধূলিসাৎ হয়ে যায়। 
 
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বাধ্যায়হীনতার সুযোগে দুর্বচনের খণ্ডিতাংশ দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে তারা অবিদ্যার অন্ধকারে রাখতে চায়। তাই আজ আমরা কল্পসূত্রের সেই বিধিগুলো দেখবো যা বেদবিরুদ্ধ, অপ্রামাণ্য কিন্তু যারা কল্পসূত্রকে অখণ্ডনীয় দেখিয়ে সনাতনকে কলুষিত করতে চায় তাদের মতে 'প্রামাণিক' হিসেবে স্বীকার করতে বাধ্য। আর যদি অস্বীকার করে তবে ভগবৎপাদের সিদ্ধান্তই জয়ী হয়। উদাহরণসমূহ- 
 
১। অশ্বমেধ যজ্ঞে রাজার স্ত্রী বলি দেওয়া ঘোড়ার শিশ্ন=লিঙ্গ নিজের যোনিতে প্রবেশ করিয়ে যৌনসমাগম করবে
উৎসক্থ্যোর্গৃদং ধেহীতি প্রজননেন প্রজননং সংধায়াম্বে অম্বাল্যম্বিক ইতি মহিষ্যশ্বং গর্হতে ।
আপস্তম্ব শ্রৌতসূত্র ২০।১৮।৪, বারাহ শ্রৌতসূত্র ৩।৪।৪।১৫
অর্থাৎ মহিষী স্বীয় প্রজনন অঙ্গে অশ্বের প্রজনন অঙ্গ গ্রহণ করবে। তথা, রাজার স্ত্রী ঘোড়ার লিঙ্গকে নিজের যোনিতে ঢোকাবে। 
 
 
 
মহিষ্যুপস্থে শেফমাধত্ত আহমজানি গর্ভধমা ত্বমজাসি গর্ভধম্।
বৌধায়ন শ্রৌতসূত্র ১৫।২৯
অর্থাৎ , মহিষী স্বীয় উপস্থে অশ্বের শেফ [শিশ্ন] ধারণ করে গর্ভ কামনা করবে।
 

 
সংজ্ঞপ্রায় মহিষীমুপনিপাতয়ন্তি। তাবধীবাসেন সংপ্রোর্ণুবতে। তৌ যজমানোঽভিমেথতি। উৎসক্থ্যোরব গুদং ধেহ্যর্বাঞ্চমঞ্জিমা ভর। যঃ স্ত্রীণাং জীবভোজনঃ।
শাঙ্খায়ন শ্রৌতসূত্র ১৬।৩।৩৩-৩৬
অর্থাৎ 'অভিমেথনমশ্লীলভাষণেন মর্মযুক্তঃ পরীহাসঃ....প্রজননং শিশ্নং আভরাভিমুখেনানয়োঃ ঊর্বাঃ ' এখানে অশ্লীলভাষণ করতে হবে... প্রজনন অঙ্গ তথা অশ্বের শিশ্ন এগিয়ে আনতে হবে। 
 
 

অশ্বশিশ্নমুপস্থে কুরুতে বৃষা বাজীতি।
কাত্যায়ন শ্রৌতসূত্র ২০।৬।১৬
অর্থাৎ, যজমানের স্ত্রী ঘোড়ার লিঙ্গকে যোনীতে প্রবেশ করিয়ে 'বৃষা বাজী' ইত্যাদি [যজুর্বেদ ২৩।২০] মন্ত্র পাঠ করবেন ।
 
 
২। স্ত্রিষ্টুপমন্যাৎস্বাদধৎপুমান্‌ সমাদধাদিহ।
শাঙ্খায়ন গৃহ্যসূত্র ১.১৯.৬
অর্থাৎ, অন্য নারীতে কন্যা সন্তান যেন হয় এটা বলে নিজের জন্য পুত্র কামনা করা হচ্ছে।
 



 

 

 
৩। অথ হাঽস্য বেদমুপশৃণ্বতস্ ত্রপুজতুভ্যাং শ্রোত্রপ্রতিপূরণমুদাহরণে জিহ্বাচ্ছেদো ধারণে শরীরভেদঃ ॥
গৌতম ধর্মসূত্র ২।৩।৪ [১২।৪]
অর্থাৎ, শূদ্র বেদ শ্রবণ করলে কানে সীসা, উচ্চারণ করলে জিহ্বা চ্ছেদন ও ধারণ করলে শরীর কেটে ফেলতে হবে।
 
 
৪। আরট্টান্ কারস্করান্ পুণ্ড্রান্ সৌবীরান্ বঙ্গান্ কলিঙ্গান্ প্রানূনান্ ইতি চ গত্বা পুনস্তোমেন যজেত সর্বপৃষ্ঠয়া বা ॥
বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১।১।২।১৪,১৫
অর্থাৎ, বঙ্গদেশে এলে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
 

৫। উপবহায়োদকং পিবেত্তৃণানি চাচ্ছিন্দ্যাৎ উপ মাতরমিয়াদুপ স্বসারমুপ সগোত্রাম্ ॥
আপস্তম্ব শ্রৌতসূত্র ২২.১৩.২
অর্থাৎ, গোসব নামক যজ্ঞে ১ বছর ধরে মা ও বোনের সাথে যৌন সমাগম করতে হবে।
 


 
৫। অনুস্তরণ্যাবপামুৎখিদ্য শিরোমুখং প্রচ্ছাদয়েদগ্নের্বর্মপরিগোভির্ব্যযস্বেতি। বৃক্কা উদ্ধৃত্য পাণ্যোরাদধ্যাদতিদ্রবসারমেয়ৌ শ্বানাবিতি দক্ষিণে দক্ষিণং সব্যে সব্যম্। হৃদয়ে হৃদয়ং। পিণ্ড্যৌ চৈকে। বৃক্কাপচার ইত্যেকে। সর্বাং যথাঙ্গং বিনিক্ষিপ্য চর্মণা প্রচ্ছাদ্যেমমগ্নে চমসং মা বি জিহ্বর ইতি প্রণীতাপ্রণয়নমনুমন্ত্রয়তে।
আশ্বলায়ন গৃহ্যসূত্র ৪।৩।১৯-২৪
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় মৃতদেহের আয়াথে যে গাভী বা স্ত্রী-ছাগকে [৪.২.৪-৭ অনুযায়ী] সঙ্গে আনা হয়েছে তাকে বধ করে বপা (মেদ) উৎপাটন করা হয়। সেই বপা দিয়ে মৃতের মস্তক ও মুখ আচ্ছাদিত করবেন। পশুর দুই বৃক্ক ও দুই অন্নপিণ্ড মৃতের দুই হাতে এবং হৃৎপিণ্ডটি হৃৎপিণ্ডের উপরে রাখতে হয়। পশুর চর্মটি বিছিয়ে দেওয়া হয় মৃতের শরীরে।
 

 


 

 
৬। তৈষ্যা ঊর্ধ্বমষ্টম্যাং গৌঃ। অথৈনামুদগুৎসৃপ্য সংজ্ঞপয়ন্তি। প্রাক্শিরসমুদক্পদীং দেবদেবত্যে। দক্ষিণাশিরসং প্রত্যক্পদীং পিতৃদেবত্যে। সংজ্ঞপ্তায়াং জুহুয়াদ্যৎপশুর্মায়ুমকৃতেতি।
গোভিল গৃহ্যসূত্র ৩।৯।১৪,২১-২৪
পৌষমাসের পূর্ণিমার পরের অষ্টমীতে গোরুর মাংস নিয়ে মাংসাষ্টকা করবে। ঋত্বিকরা গাভীকে অগ্নির উত্তর দিকে নিয়ে কেটে ফেলবে। গাভী কাটা শেষ হলে অগ্নিতে হোম করবে। 
 

 

 
৭। মধ্যেঽগ্নিমুপসমাধায় কৃষ্ণয়া গবা যজেতাজেন বা শ্বেতেন সপায়সাভ্যাম্ পায়সেন বা।
গোভিল গৃহ্যসূত্র ৪।৭।১৬-১৯
অর্থাৎ, বাস্তুভূমির মধ্যে অগ্নি জ্বালিয়ে কালো গাভীর মাংস কিংবা সাদা ছাগলের মাংস দিয়ে যাগ করবে। যদি সাথে পায়েস থাকে আরো ভালো। নাহলে কেবল পায়েস দিয়েই যজ্ঞ করবে।
 
 

 
৮। আচান্তোদকায় গৌরিতি নাপিতস্ত্রির্ব্রূয়াৎ। কুরুতেত্যধিযজ্ঞম্।
গোভিল গৃহ্যসূত্র ৪।১০।১৭,২১
অর্থাৎ, নাপিত এসে ৩ বার জিজ্ঞাসা করবে গাভীকে কাটতে হবে কি না। এরপর তাকে 'কর' বলে আজ্ঞা দিলে গাভীকে মেরে ফেলবে। 
 

 
৯। মধুপর্কে চ যজ্ঞে চ পিতৃদৈবতকর্ম্মণি ।
অত্রেব চ পশুং হিংস্যান্নান্যথেত্যব্রবীন্মনুঃ ॥
অথাপি ব্রাহ্মণায় রাজন্যায় বা অভ্যাগতায় বা মহরেক্ষং বা মহাজং বা পচেদেবমস্যাতিথ্যং কুর্বন্তীতি ।
বাসিষ্ঠধর্মসূত্র ৪।৬,৮
অর্থাৎ, পিতৃকার্য, দেবপূজা ও অতিথিসৎকারে পণ্ডহিংসা করতে পারবে। মনুবাক্যে, মধুপর্ক, যজ্ঞ, পিতৃকার্য ও দেবকার্য এসবেই পশুহিংসা করবে। অন্যথা পশুহিংসা করবে না। ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় অতিথি হয়ে এলে তার জন্য বড় ষাঁড় বা বড় ছাগল রান্না করবে; এভাবে আতিথ্য করা নিয়ম। [পূর্বে ৬ষ্ঠ সূত্রে হিংসার উল্লেখ থাকায়, ৮ম সূত্রে পচৎ অর্থ ভিন্ন করা সম্ভব নয়]। 
 

 
ষণ্ণাং চেদর্ঘ্যাণামন্যতম আগচ্ছেদ্গোপশুমজমন্নং বা যৎসামান্যতমং মন্যেত তৎকুর্যান্। নামাংসোঽর্ঘঃ স্যাদ্।
শাঙ্খ্যায়ন গৃহ্যসূত্র ২।১৫।১-২
অর্থাৎ, অর্ঘ্য লাভের জন্য ৬ জন ব্যক্তির কাছে গোরু, ছাগল বা যে খাদ্য উপযুক্ত মনে করেন তা প্রস্তুত করবেন। অর্ঘ্য মাংস ছাড়া হবে না।
 
 

 
১১। দদ্যাদ্গুণবতে কন্যাং নগ্নিকাং ব্রহ্মচারিণে ।
অপি বা গুণহীনায় নোপরুন্ধ্যাদ্রজস্বলাম্ ॥
বৌধায়ন ধর্মসূত্র ৪র্থ প্রশ্নে ১ম অধ্যায় ১২ সূত্র, হিরণ্যকেশী গৃহ্যসূত্র ১।৬।১৯।২
অর্থাৎ, কন্যাকে নগ্নিকা বয়সকালেই ব্রহ্মচারীর সাথে বিয়ে দিতে হবে, বর গুণবান হোক বা না হোক। রজস্বলা হওয়ার পর পিতার ঘরে রাখা উচিত নয়। 
 
 
১২। গৌরস্যপহতপাপ্মাপ....উৎসর্গেন্যেন মাংসেনান্নং সংস্কৃত্যাথাস্মৈ...ব্রাহ্মণান্ভোজয়ত
হিরণ্যকেশী গৃহ্যসূত্র ৩।২[১৩]।১২-১৫
অর্থাৎ, ব্রাহ্মণকে গোরু উৎসর্গ করে তার মাংস অন্নের সাথে ভোজন করাবে।
 
 
১৩। শ্বোভূতে দর্ভেণ গামুপাকরোতি পিতৃভ্যস্ত্বা জুষ্টামুপাকরোমীতি ৩
তূষ্ণীং পঞ্চাজ্যাহুতীর্হুত্বা তস্যৈ বপাং শ্রপয়িত্বোপস্তীর্ণাভিঘারিতাং মধ্যমেনান্তমেন বা পলাশপর্ণেনোত্তরয়া জুহোতি ৪
মাংসোদনমুত্তরাভিঃ ৫
আপস্তম্ব গৃহ্যসূত্র ৮।২২।৩-৫
অর্থাৎ, গোরুকে দর্ভ দ্বারা স্পর্শ করে তাকে হত্যা করতে হবে। এরপর তার পেটের চর্বি আহুতি দেন। তারপর ভাত ও গোরুর মাংস একত্রে আহুতি দেন। 
 
 

এভাবে প্রতিটি কল্পসূত্রে আমরা বাল্যবিবাহ, জাতিভেদ, অশ্লীলতা যা কিনা পরবর্তী যুগে প্রক্ষিপ্ত হয়েছে তা প্রদর্শন করা যায়। আমরা খুবই সামান্য দেখালাম। আমরা প্রবন্ধের প্রথমেই বলেছি প্রক্ষিপ্ত তথা বেদ বিরুদ্ধ শ্লোক ব্যতীত সার্বিক সিদ্ধান্ত বেদানুকূলতা সাপেক্ষে মান্য । তাই কল্পসূত্র মাত্রেই যারা আর্য সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উদ্যত হন তাদের প্রতি সতর্কতা প্রদর্শন করা হলো।

© বাংলাদেশ অগ্নিবীর