পবিত্র বেদ হিন্দুদের সর্ব্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ এবং অলঙ্ঘনীয়। কোন কিছু বেদে থাকলেই যে কোন হিন্দু তা মেনে নেবে আর এই সুযোগটাই কিছু দিন ধরে নিচ্ছে কতিপয় ইসলামিক মিথ্যাবাজ বিশেষত জাকির নায়েকের মত ভন্ডরা যারা প্রচার করছে পবিত্র বেদে আল্লাহ এর কথা উল্লেখিত আছে । সংস্কৃত "ইলা" এবং "অলা" শব্দটিকে তারা "আল্লাহ" বলে চালিয়ে দিচ্ছে। সংস্কৃত এবং আরবী শব্দের মধ্যে যে কতটা বিস্তর ব্যবধান রয়েছে এই সংস্কৃত অনভিজ্ঞরা কিভাবে বুঝবে? তাদের এহেন দাবীকৃত মন্ত্র ও সেগুলোর অর্থ বিকৃত করে তার দাবীসমূহের পর্যালোচনা করে দেখা যাক-
(ঋগবেদ ২।১।১১)
ত্বমগ্নে অদিতির্দেব দাশুষে ত্বং হোত্রা ভারতী বর্ধমে গিরা।
ত্বমিলা শাতহিমা দক্ষসে ত্বং বৃত্তহা বসুপতে সরস্বতী।।
পদার্থঃ হে (দেব) সব কিছু দানকারী (অগ্নে) অগ্রণী প্রভো! (ত্বম) তুমি (দাশুষে) দানশীলের জন্য (অদিতি) না খন্ডনকারী হও (ত্বম) তুমিই (হোত্র) যজ্ঞাদি সিদ্ধকারী (ভারতী) আদিত্য - রশ্মিরূপ বাণী (গিরা) এই বানী দ্বারা তুমি (বর্ধসে) বর্ধিত হও (ত্বম) তুমিই (শতহিমা) শত হিম ঋতু পর্যন্ত বহমান (ইলা) এই পৃথিবী (অসি) হও (দক্ষসে) সব প্রকার উন্নতির কারন হও (বসুপতে) হে ঐশ্বর্যের স্বামী (ত্বম) তুমিই (বৃত্তহা) সব বাসনা নষ্টকারী (সরস্বতী) জ্ঞানদাত্রী।
সরলার্থঃ হে সব কিছু দানকারী অগ্রণী প্রভো! তুমি দানশীলের জন্য না খন্ডনকারী হও। তুমিই যজ্ঞাদি সিদ্ধকারী আদিত্য - রশ্মিরূপ বাণী, এই বানী দ্বারা তুমি বর্ধিত হও। তুমিই শত হিম ঋতু পর্যন্ত বহমান এই পৃথিবী হও , সব প্রকার উন্নতির কারন হও , হে ঐশ্বর্যের স্বামী তুমিই সব বাসনা নষ্টকারী জ্ঞানদাত্রী।
সমীক্ষাঃ উক্ত মন্ত্রে "ইলা" শব্দটি এসেছে। সংস্কৃতে অনভিজ্ঞ মোল্লারা একে আল্লাহ বানিয়ে ফেলেছে। প্রসিদ্ধ Monir William এর Sanskrit to English Dictionary তে "ইলা" শব্দের অর্থ speech, the world রয়েছে।
(ঋকবেদ ৩।৩০।১০)
অলাতৃণো বল ইন্দ্র ব্রজো গোঃ পুরা হন্তোর্ভয়মানো ব্যার।সুগান পথো অকৃণোত্রিরজে গাঃ প্রাবন্ বাণীঃ পুরুহতং ধমন্তীঃ।।
পদার্থঃ (অলাতৃণঃ বলঃ)[জল দ্বারা ভর্তি হওয়ার কারনে] সম্পূর্ণ ছেদনযোগ্য [অলাতৃণোহলমাতর্দনো, নিঃ৬।২] (ব্রজঃ) অন্তরিক্ষ মধ্যে চলমান মেঘ [ব্রজত্যন্তরিক্ষে, নিঃ ৬,২] (ইন্দ্র) বিদ্যুৎ (গোঃ) বাক (পুরঃ হন্তোঃ) প্রহারের পূর্বেই ( ভয়মানঃ ব্যান) ভয়মান হয়ে ঢেলে পড়ে [আর এই বিদ্যুৎ] (গাঃ নিরজে) জল নিষ্কাষনের জন্য (সুগান পথ অকৃণোত্) সুগম পথ তৈরী করে (বাণীঃ পুরুহুতং ধমন্তীঃ) এবং পুনরায় এই জল নদী আদি মধ্যে যেয়ে [ধমতির্গতিকর্মা, নিঃ ৬,২] (প্র অবন) প্রাণীদের রক্ষা করেন।
সরলার্থঃ [জল দ্বারা ভর্তি হওয়ার কারনে] সম্পূর্ণ ছেদনযোগ্য অন্তরিক্ষ মধ্যে চলমান মেঘ বিদ্যুৎ বাক প্রহারের পূর্বেই ভয়মান হয়ে ঢেলে পড়ে [আর এই বিদ্যুৎ] জল নিষ্কাষনের জন্য সুগম পথ তৈরী করে, এবং পুনরায় এই জল নদী আদি মধ্যে যেয়ে প্রাণীদের রক্ষা করে।
সমীক্ষাঃ মন্ত্রে অলাতৃণ শব্দটি এসেছে। এখানে অলাতৃণ অর্থ কখনোই আল্লাহ নয়। নিরুক্তে ৬।২ "অলাতৃণ" অর্থ হচ্ছে "অলাতৃণোহলমার্তদনো" অর্থাৎ সম্পূর্ণ ছেদন যোগ্য। Monir Willam dictionary তে অর্থ রয়েছে, not granting anything, miserly।
তাহলে অলাতৃণ মানে আল্লাহ ধরলে অর্থ দাড়ায় তিনি ছেদনযোগ্য, অগ্রহনযোগ্য, কৃপন স্বভাবের।
(ঋগবেদ ৯।৬৭।৩০)
অলায়্যস্য পরশুর্ননাশ তমা পবস্য দেব সোম।
আখুং চিদেব দেব সোম।।
পদার্থঃ (সোম) হে পরমাত্মন! (দেব) দিব্যগুণসম্পন্ন (অলায়্যস্য) সর্বত্র ব্যপ্ত শত্রুর (পরশুঃ) যে অস্ত্র (তম) সেই (আখুংচিত্) সর্বঘাতক অস্ত্র কে (ননাশ) নাশ করুন (দেব) হে পরমাত্মন! (আপবস্য) আপনি আমাদের পবিত্র করুন।
সরলার্থঃ হে পরমাত্মন! দিব্যগুণসম্পন্ন সর্বত্র ব্যপ্ত শত্রুর যে অস্ত্র সেই সর্বঘাতক অস্ত্র কে নাশ করুন হে পরমাত্মন! আপনি আমাদের পবিত্র করুন।
সমীক্ষাঃ মন্ত্রে অলায়্য শব্দ এসেছে। বৈদিক কোষে অলায়্য শব্দের অর্থ ক্ষমা, ধন, আদি দেবার অযোগ্য অর্থাৎ শত্রু বিশেষ। আর উক্ত মন্ত্রে পরমাত্মার কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে যেন সেই তিনি সেই শত্রুর অস্ত্র নাশ করেন। অলায়্য মানে আল্লাহ ধরলে অর্থ দাড়ায় পরমাত্মা যেন আল্লার অস্ত্র কে নষ্ট করেন।
অতএব বেদে "আল্লাহ " র নাম খোজা স্বর্ণ বিক্রেতার কাছে সব্জির খোজ করার মতো হাস্যকর ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়।
Darun
ReplyDeleteDarun
ReplyDeleteবেদে মোহাম্মদ এর নাম আছে বলেও দাবি করা হয়।সেই নিয়েও একটা পোস্ট দেখতে চাই।
ReplyDeleteawesome
ReplyDeleteআমি বুঝি না মানুষ এরকম কুযুক্তি কিভাবে বিশ্বাস করে ভাই যেখানে ঈশ্বরের বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে সেখানে মহাকাশের কথা আসবে কেনো এবং ইংরেজি অনুবাদ থেকে দেখাচ্ছে আরে ভাই তারা যদি ঈশ্বরকে মেনেই নাই আল্লাহ হিসেবে তাহলে আমাদের এত কষ্ট করা লাগতো কিসের তারাই কেন কষ্ট করে এত বড় পোস্ট টা লেখ তাই না হিন্দুরা তো মানেনা যে আল্লাহর কথা উল্লেখ আছে এখানে তাই ইংরেজি অনুবাদও অন্য রকম থাকবে কিন্তু যেটা ঈশ্বরের বাণী সেখানে নিশ্চয়ই ঈশ্বরের নাম লেখা থাকবে সেটা মানুষের বুঝতে কষ্ট হোক বা সহযোগ
ReplyDelete😂🤣😂😂🤣😂😂😅😅😅😅😅😅
ReplyDeleteভোদাই একটা
ReplyDeleteসত্য কি সবার জন্য নাকি, নিজের মত করে বোঝা মানুষ গুলো কি করে বুজবে সত্যি কি? আমি ইসলাম ছেরে দিব যদি প্রমান হয় ইসলাম মিথ্যা, কিন্ত বাস্তব হচ্ছে ইসলাম এক মাত্র এর জন্য হাজার প্রমাণ সরূপ আল্লাহ্ তালা নিদর্শন রেখে দিয়েছে, কিন্ত তাহ সত্যে ও সবাই সত্যি কে মানবে? নাহ সবাই মানতে পারে নাহ, সত্য মানা ও বোঝার ক্ষমতা আল্লাহ্ ঠিক দিয়েছেন তা সত্যে সবাই সত্য কে মানতে অহংকার করে, হিন্দু ভাইয়েরা আপনারা নিজেদের কে সনাতন মনে করেন আদো কি আপনারা সনাতন ? ইতিহাস জানেন, আপনারা তো এমন এক জাতি যারা নিজেদের সৃস্টি কে স্রষ্টা মনে করেন,
ReplyDeleteমহেন্দ্রপাল আর্যের কথা শুনুন ইউটিউবে সার্চ দিয়ে কোথায় ভুল আছে বলে দেবে।
Deleteআপনি কি সত্যি কে সত্যি কে ভূল মানার জন্য প্রতস্ত ? আমি রাজি আছি ইনশাল্লাহ।
ReplyDeleteapplesobhan678@gmail.com
এইটা আমার মেইল যোগাযোগ করুন কথা বলি,
ReplyDelete