তৈত্তিরীয়
অরণ্যক প্রপাঠক ১০, অনুবাক ১
জাতবেদসে সুনবাম সোমমরাতী যতো নি দহাতি
বেদঃ।
স নঃ পর্ষদতি দূর্গাণি বিশ্বা নাবেব সিন্ধং দুরিতাত্যগ্নিঃ।।১।।
(ঋগবেদ ১।৯৯।১)
মন্ত্রার্থঃ (জাতবেদসে) উৎপন্ন চরাচর কে জ্ঞাত জগদীশ্বরের
জন্য আমরা (সোমম্) সমস্ত ঐশ্বর্যযুক্ত
সাংসারিক পদার্থের (সুনবাম) নিষ্কর্ষন করি, তিনি (অরাতীয়তঃ) অধর্মী
দুষ্টজনের (বেদঃ) ধন কে (নি দহাতি) নিরন্তন নষ্ট করেন (সঃ) তিনি (অগ্নিঃ)
বিজ্ঞানস্বরূপ জগদীশ্বর! যেমন মাঝি (নাবেব) নৌকা দ্বারা (সিন্ধুম) নদী বা
সমুদ্রের পার করেন, সেরূপ (নঃ) আমাদের (অতিঃ) অত্যন্ত (দূর্গাণি) দুর্গতি,
দূর্গম স্থান ও (অতিদুরিতা) অতি দুঃখদানকারী (বিশ্বা) সমস্ত পাপাচরন থেকে
(পর্ষত) পার করেন।
তামগ্নিবর্ণা তপসা জলন্তী বৈরোচনী কর্মফলেষু জুষ্টাম্।
দূর্গা দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে সুতরসি তরসে নমঃ।।২।।
পদার্থঃ
(তামগ্নিবর্ণা) অগ্নির ন্যায় প্রকাশস্বরূপ (তপসা) স্বকীয় সন্তাপ দ্বারা
(জলন্তী) দুষ্টের দহনকারী (বৈরোচনীম্) স্বপ্রকাশ (কর্মফলেষু) কর্মফলের
নিমিত্তে (জুষ্টাম্) সেবিত (দূর্গা দেবীম্) দুর্গতি নাশকারী পরমাত্মার
(শরণমহম্) আমি শরণ (প্রপদ্যে) প্রাপ্ত করি (সুতরসি তরসে নমঃ ) হে সংসার
ত্রাণকারী পরমাত্মা তোমাকে নমস্কার।।
অগ্নে ত্বং পারয়া নব্যো
অস্মান্থ্স্বস্তিভিরতি দুর্গাণি বিশ্বা ।
পূশ্চ পৃথ্বী বহুলা
ন উর্বী ভবা তোকায় তনয়ায় শংয়োঃ ॥ ৩॥
পদার্থঃ হে (নব্যঃ অগ্নে)
স্তুতির যোগ্য জ্ঞানস্বরূপ জগদীশ্বর (ত্বম্) তুমি (অস্মান্) আমাদের
(স্বস্তিভিরতিঃ) সুখের রীতি দ্বারা (বিশ্বা দুর্গা) সমস্ত আপদ থেকে (অতি)
অতিশয় (পারয়ঃ) পার করো। (ন) আমাদের (পূশ্চ) নিবাসযোগ্য (পৃথ্বী) বিস্তীর্ণ
ভূমি এবং (উর্বী) সর্ব নিষ্পাদনযোগ্য ভূমি (বহুলা) প্রশস্ত হোক, (তোকায়)
আমাদের সন্তান তথা (তনয়ায়) তাদের সন্তানকে (শংয়োর্ভবা) সুখযুক্ত করো।।
বিশ্বানি নো দুর্গহা জাতবেদঃ সিন্ধুন্ন নাবা দুরিতাঽতিপর্ষি ।
অগ্নে অত্রিবন্মন গৃণানোঽস্মাকং বোধ্যবিতা তনূনাম্ ॥ ৪॥
পদার্থঃ
হে ( দুর্গহা জাতবেদঃ) আপদহন্তা সর্বজ্ঞ পরমেশ্বর তুমি (নঃ) আমাদের
(বিশ্বানি দুরিতা) সমস্ত পাপ থেকে (নাবা সিন্ধুম্) সমুদ্রে নৌকার মতো
(অতিপর্ষি) অতিশয় পার করো। হে (অগ্নে) জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বর (অত্রিবত্)
জীবন্মুক্ত পুরুষের সমান (মনসা) মন দ্বারা (গৃণানঃ) আমাদের স্তুতিকৃত তুমি
(অস্মাকম্) আমাদের (তনুনাম্) শরীরের (অবিতা) রক্ষক (বোধি) হও।।
পৃতনাজিতং সহমানমুগ্রমগ্নি হুবেম পরমাত্সধস্থাত্ ।
স নঃ
পর্ষদতি দুর্গাণি বিশ্বা ক্ষামদ্দেবো অতি দুরিতাত্যগ্নিঃ ॥ ৫॥
পদার্থঃ (পরমাত্ সধস্থাত্) উৎকৃষ্ট স্থানে অধিষ্ঠিত (পৃতনাজিতম্) শত্রু
বিজেতা (সহমানম্) শত্রুনাশক (উগ্রম্) উগ্র (অগ্নি) জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বর কে
(হুবেম্) আহ্বান করি (স) সেই (অগ্নি দেব) জ্ঞানস্বরূপ পরমাত্মদেব (বিশ্বা)
সমস্ত (দুর্গাণি) আপদ (অতি)অতিশয় (ক্ষামত) নাশশীল বস্তু (দুরিতা) পাপ থেকে
(অতি) অতিশয় (নঃ) আমাদের (পর্ষত্) রক্ষা করেন।।৫।।
প্রত্নোষি কমীড্যো
অধ্বরেষু সনাচ্চ হোতা নব্যশ্চ সথ্সি ।
স্বাঞ্চাগ্নে তনুবং
পিপ্রয়স্বাস্মভ্যং চ সৌভগমায়জস্ব ॥ ৬॥
পদার্থঃ (অগ্নে) হে
পরমাত্মন্! (প্রত্নঃ) তুমি পুরাতন (হি) এই কারণে (ইড্য) সবার স্তুতিযোগ্য
(সনাত্, চ, হোতা) শাশ্বতিক হবনপ্রযোজক (নব্যঃ চ) নিত্যনূতন এবং (অধ্বরেষু,
সৎসি) হিংসারহিত যজ্ঞে বিরাজমান (স্বাম্ তন্বম্ চ) আপন ব্রহ্মণ্ডরূপী শরীর
কে (পিপ্রয়ত্ব) প্রীণিত করে (অস্মভ্যম্, চ) এবং আমাদের অর্থ (সৌভগম্,
আয়জস্ব) সৌভাগ্য প্রাপ্ত করাও।।৬।।
আপনাকে অসংখ্য,ধন্যবাদ এ ধরনের একটি ব্লগ করার জন্য।আমি এটাই খুজছিলাম যেটা অামাদের ধর্মের বিভিন্ন দিকের সঠিক ব্যাখা থাকবে
ReplyDeleteখুবই ভাল লাগছে সঠিকটা জানতে পারার জন্য। তবে ঋগবেদের পুরোটা যদি সঠিক অনুবাদসহ পুস্তকাকারে পাওয়া যেত তাহলে আরো অনেক কিছু জানতে পারতাম।
ReplyDelete