প্রথমত, আমরা ইসকন প্রকাশিত 'ধর্মক্ষেত্র' বইটিতে দেখতে পাই, লেখক জাকির নায়েকসুলভ যুক্তির মাধ্যমে বেদে নবীকে পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, বেদে নবীর ভবিষ্যদ্বাণী করা আছে, তা আর্যসমাজী বা তথাকথিত পৌরাণিক পরম্পরাবাদী কারোর ভাষ্যেই নেই। তাহলে ইসকনের প্রভু পেলেন কোথায়? জাকিরের চ্যানেল দেখে বেদ না পড়লে তো পাওয়ার কথা না!
গ্রন্থটির প্রকাশক স্বয়ং ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী এবং সম্পাদক রূপানুগ গৌর দাস ব্রহ্মচারী।
পরবর্তী বই "বিজ্ঞান, সনাতন ধর্ম ও বিশ্ব সভ্যতা"। ইসকন প্রকাশিত এই গ্রন্থটির ৩১৪ পৃষ্ঠাতেও একই দাবি করা হয়েছে। বরং এবার আরো এক কাঠি সরেস, যীশুকেও তারা খুঁজে পেয়েছে
।
পরবর্তী গ্রন্থ, "প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন", যেখানে বিভ্রান্ত করতে ঋগ্বেদ ও অথর্ববেদের নামে গায়েবী মন্ত্র উদ্ধৃত করা হয়েছে। যদিও অথর্বের ব্রাকেটে অর্বাচীন (প্রধান ১১ টি বৈদিক উপনিষদ ভুক্ত নয়, বরং পরবর্তীতে রচিত সাম্প্রদায়িক উপনিষদ্) চৈতন্য উপনিষদের কথা রয়েছে। মজার ব্যাপার এদের ১০৮ উপনিষদের লিস্টেও এই উপনিষদ নেই । বাকিগুলোও অন্য কোনো বৈষ্ণবীয় উপনিষদ্ হবে, অথচ তা বেদের নামে মন্ত্র বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে ।
ইসকন প্রকাশিত আরেকটি বই "বেদের সারকথা" , যদিও কীসের সারকথা ঈশ্বরই জানেন! সেখানে ১৬-১৭ পৃষ্ঠায় লেখক বেদের বিকৃতি করেছেন। রেফারেন্স এবার ১০.১২৭.১-৩ ই আছে, কিন্তু চলে এসেছে যীশু ! কী হাস্যকর ব্যাপার ৷
তাই সময় থাকতে এবাই এদের থেকে সাবধান হোন । চাকচিক্যে না ভুলে অভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্য বুঝুন ।
0 মন্তব্য(গুলি)