https://www.idblanter.com/search/label/Template
https://www.idblanter.com
BLANTERORBITv101

H.H. Wilson এবং তাঁর ষড়যন্ত্রের ইতিহাস

Saturday, May 27, 2023


মিশনারী‌ এজেন্ট ম্লেচ্ছ উইলসনকে‌ ইদানিং কিছু অপপ্রচারকারীরা উপস্থান করছে, সনাতন‌ সংস্কৃতির 

বিরোধী‌তা‌ করতে । অবশ্য‌ দিবেই‌ না কেন, মিশোনারী আর মরুদস্যুদের চিন্তাভাবনা তো এক‌ই রেখা‌য় স্থিত । 

উইলসনের‌ নিকৃষ্ট উদ্দেশ্যের কতিপয় প্রমাণ নিম্নে‌ তুলে ধরা‌ হলো  ।


ESSAYS AND LECTURES CHIEFLY ON THE RELIGION OF THE HINDUS ” ব‌ইতে  উইলসনের 

অনেক‌ লেখা‌র সংকলন‌ রয়েছে ।

 


 

এই ব‌ইয়ের‌ দ্বিতীয় খণ্ডে‌র ১১৫ পৃষ্ঠায়   সনাতন বৈদিক ধর্মের আত্মা‌ এবং পরমাত্মার‌ বিষয়কে রোম এবং 

গ্রীসের প্রাচীন লোককথার সাথে সম্পৃক্ত করেছে  এমন‌ ; একটি প্যারায় বলে উ‌ইলসন‌ (কোনো প্রকার প্রমাণ 

ব্যতীত ) । এ দ্বারা  উইলসনের নিকৃষ্ট চিন্তাভাবনা লক্ষ্যণীয় ।

 


সারাংশ এই যে‌, উইলসন হিন্দুদের কনসেপ্ট বা মান্যতা‌ সর্বতোভাবে মিথ্যা‌ মানতো এবং আর‌ও বলে

 

 “ তাদের (হিন্দুদের) বিশেষত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, তাদের যুক্তিভিত্তিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করা

হয়েছিল, যে সমস্ত কারণে তারা যুক্তিকে বিনষ্ট  করেছিল তা থেকে তারা ' খ্রিস্টীয় ' সত্যের বর্শা দ্বারা 

সনাতন শাস্ত্রের মিথ্যাচারকে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছিল। সেই অস্ত্র (খ্রিস্টান মত), যা সেই সত্যের 

প্রথম রক্ষকদের দ্বারা চালিত, যা  বিভ্রান্তিগুলিকে (সনাতন শাস্ত্রকে) অস্বস্তিতে ফেলেছে….. ” 



উল্লেখ্য, এখানে উইলসন সনাতন শাস্ত্রকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলে আখ্যায়িত করে সেই সনাতনীদের নাকি 

খ্রিস্ট মতের যুক্তিবাদী তত্ত্ব বাঁচাবে বলে উল্লেখ করে !! ( অতীব হাস্যকর‌ ) এর মাধ্যমে উইলসনের বেদ 

ভাষ্যের পিছনে নোংরা অপকর্ম যা সাধারণ সনাতনীদের ধর্মান্তরীত করার অপকৌশল মাত্র তা ধরা পড়ে। 


ব‌ইয়ের‌ ৮০ পৃষ্ঠায়‌ উইলসন বলে,

 


 

এখানে সে‌ গুরুকুল শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্রাহ্মণ্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করে এবং বিদ্যার্থীদের গুরুর 

এবং গুরুর নির্দেশিত বইয়ের প্রতি একনিষ্ঠার উপর অভিযোগ করে। যা‌ তার‌ অপকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয় ।


কিন্তু ইহা নিতান্তপক্ষে নিরর্থক আরোপ। কারণ এক‌ই ভাবে মিশনারি শিক্ষা ব্যবস্থাতে‌ও মিশনের প্রধান 

শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থীরা‌ অনুগত থাকে এবং তাদের মতবাদে‌র হাস্যকর অপবিজ্ঞানের প্রতিও অন্ধবিশ্বাস 

রাখে এবং তা না মানলে শাস্তি প্রদানের বিধান রয়েছে  ; এবং এর উদাহরণও রয়েছে বটে।

  


৮১ পৃষ্ঠায় বলে,

 

 

 

এখানেও সে সমান ভাবে নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দে‌ওয়ার মতো পুরো শিক্ষাব্যবস্থা সহ 

সনাতন বৈদিক ধর্মকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিচু দেখানোর স্বার্থান্বেষী চেষ্টা করেছে। 


১৯১৮ সালের‌ জানুয়ারিতে “The Indian Review” পত্রিকার‌ ২১ তম সংখ্যার ২৮৬ পৃষ্ঠায়Wilson 

As Boden professor” লেখার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো —

 


 

 


 

সারাংশ - উইলসন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বক্তৃতা‌ দেয় । সেখানে " হিন্দুদের ধর্ম এবং দর্শন " সম্পর্কে 

যে বক্তৃতা দেয়  সেই লেকচার লিখতে সাহায্য করার জন্য  John Muir-কে  ২০০ পাউন্ড উপহার‌স্বরূপ দেয় ‌। 

উল্লেখ্য লেকচার‌টি ছিলো হিন্দু‌ রীতির বিষয়ে সেরা‌ খণ্ডনমূলক‌ লেখা ।

 

এসব প্রমাণেই উইলসনের চিন্তাভাবনা, উদ্দেশ্য কতোটা নিকৃষ্ট তা ফুটে উঠে । আর ইদানিং কিছু নিকৃষ্ট 

অপপ্রচারকারী উইলসনকে মরুদস্যুরা‌ প্রমাণ বানিয়ে বলে উইলসন নাকি সঠিক অনুবাদ করেছে !